< গণনার বই 32 >

1 রূবেণ ও গাদ গোষ্ঠীর খুব বড়ো বড়ো গোপাল ও মেষপাল ছিল। তারা দেখল যে যাসের ও গিলিয়দ অঞ্চল পশুপালনের জন্য উপযোগী।
রূবেণ সন্তানদের ও গাদ সন্তানদের অনেক পশুধন ছিল; তারা যাসের দেশ ও গিলিয়দ দেশ পর্যবেক্ষণ করল, আর দেখ, সে স্থান পশুপালনের স্থান।
2 তারা মোশি, ও যাজক ইলিয়াসর এবং সমাজের নেতৃবর্গের কাছে এল এবং বলল,
পরে গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা এসে মোশিকে, ইলীয়াসর যাজককে ও মণ্ডলীর শাসনকর্তাদেরকে বলল,
3 “অটারোৎ, দীবোন, যাসের, নিম্রা, হিষ্‌বোন, ইলিয়ালী, সেবাম, নেবো ও বিয়োন,
“অটারোৎ, দীবোন, যাসের নিম্রা, হিষ্বোন, ইলিয়ালী, সেবাম, নবো ও বিয়োন,
4 সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের সামনে যে সমস্ত অঞ্চলের পতন ঘটিয়েছেন, তা পশুপালের জন্য উপযোগী এবং আপনাদের সেবকদের কাছে পশুপাল আছে।
এই যে দেশকে সদাপ্রভু ইস্রায়েল মণ্ডলীর সামনে আঘাত করেছেন, এটা পশুপালনের উপযুক্ত দেশ, আর আপনার এই দাসেদের পশু আছে।”
5 যদি আমরা আপনাদের দৃষ্টিতে কৃপা লাভ করে থাকি,” তারা বলল, “তাহলে স্বত্বাধিকাররূপে এই ভূমি আমাদের দান করা হোক। আমাদের জর্ডনের অপর পারে যেতে বাধ্য করবেন না।”
তারা আরও বলল, “আমরা যদি আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আপনার দাসেদের অধিকারের জন্য এই দেশ দিতে আদেশ করুন, আমাদেরকে যর্দ্দনের পারে নিয়ে যাবেন না।”
6 গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠীর সবাইকে মোশি বললেন, “তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইয়েরা যুদ্ধে যাবে আর তোমরা সবাই এখানে বসে থাকবে?
তখন মোশি গাদ সন্তানদের ও রূবেণ সন্তানদের বললেন, “তোমাদের ভাইয়েরা যুদ্ধ করতে যাবে, আর তোমরা কি এই স্থানে বসে থাকবে?
7 সদাপ্রভু যে দেশ ইস্রায়েলীদের দান করেছেন, তোমরা সেখানে যেতে কেন তাদের নিরুৎসাহ করছ?
সদাপ্রভুর দেওয়া দেশ পার হয়ে যেতে ইস্রায়েল সন্তানদের মন কেন নিরাশ করছ?
8 এরকমই কাজ তোমাদের পূর্বপুরুষেরা করেছিল, যখন আমি কাদেশ-বর্ণেয় থেকে তাদের দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পাঠিয়েছিলাম।
তোমাদের বাবারা, যখন আমি দেশ দেখতে কাদেশ বর্ণেয় থেকে তাদেরকে পাঠিয়েছিলাম, তখন তাই করেছিল;
9 তারা ইষ্কোল উপত্যকা পর্যন্ত উঠে গিয়ে দেশ নিরীক্ষণ করে এসে, যে দেশ সদাপ্রভু তাদের দান করেছিলেন, সেই দেশে প্রবেশ করতে ইস্রায়েলীদের হতোদ্যম করেছিল।
তারা ইষ্কোলের উপত্যকা পর্যন্ত গমন করে দেশ দেখে সদাপ্রভুর দেওয়া দেশে যেতে ইস্রায়েল সন্তানদের মন নিরাশ করেছিল।
10 সেদিন সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হয়েছিল এবং তিনি শপথ করে বলেছিলেন,
১০সেই দিন সদাপ্রভু প্রচণ্ড রেগে গিয়ে শপথ করে বলেছিলেন,
11 ‘যেহেতু তারা সর্বান্তঃকরণে আমার অনুগমন করেনি, তাই তাদের মধ্যে যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিল, তাদের মধ্যে একজনও সেই দেশে প্রবেশ করবে না, যে দেশ আমি অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের নিকট দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম।
১১‘আমি অব্রাহামকে, ইসহাককে ও যাকোবকে যে দেশ দিতে দিব্যি করেছি, মিশর থেকে আসা পুরুষদের মধ্যে কুড়ি বছর ও তার থেকে বয়সী কেউই সেই দেশ দেখতে পাবে না; কারণ তারা সম্পূর্ণ ভাবে আমাকে মেনে চলে নি;
12 কেবলমাত্র, কনিষীয়, যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় ছাড়া, অন্য একজনও নয়, কারণ তারা সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর অনুগমন করেছিল।’
১২শুধু কনিসীয় যিফুন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় তা দেখবে, কারণ তারাই সম্পূর্ণ ভাবে সদাপ্রভুর অনুগত হয়েছে’।
13 ইস্রায়েলের বিপক্ষে সদাপ্রভুর ক্রোধ বহ্নিমান হয়েছিল, তিনি চল্লিশ বছর তাদের প্রান্তরে পরিভ্রমণ করিয়েছিলেন, যতদিন না সেই সম্পূর্ণ প্রজন্ম, যারা তার দৃষ্টিতে কুকাজ করেছিল, মারা গেল।
১৩তখন ইস্রায়েলের প্রতি সদাপ্রভুর রাগ জ্বলে উঠলো, আর তিনি চল্লিশ বছর পর্যন্ত, সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে খারাপ কাজ করা সমস্ত লোকের শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তাদেরকে মরুপ্রান্তে ভ্রমণ করালেন।
14 “এখন, পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের সন্তান তোমরা সকলে, যারা তোমাদের পূর্বপুরুষদের স্থানে দণ্ডায়মান হয়েছে, ইস্রায়েলীদের বিপক্ষে সদাপ্রভুকে আরও বেশি রুষ্ট করছ।
১৪আর দেখ, ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ভয়ানক রাগ আরও বেড়ে যাওয়ার জন্য, পাপী লোকেদের বংশ যে তোমরা, তোমরা তোমাদের বাবার জায়গায় উঠেছ।
15 যদি তোমরা তাঁর অনুগমন থেকে ফিরে আস, তিনি এই সমস্ত লোককে প্রান্তরে পরিত্যাগ করবেন এবং তোমরাই তাদের বিনাশের কারণ হবে।”
১৫কারণ যদি তোমরা তাঁর অনুসরণ না করে ফিরে যাও, তবে তিনি পুনরায় ইস্রায়েলকে মরুপ্রান্তে পরিত্যাগ করবেন, তাতে তোমরা এইসব লোককে বিনষ্ট করবে।”
16 তারা তখন তাঁর কাছে এসে বলল, “আমরা এখানে আমাদের পশুপালের জন্য খোঁয়াড় ও স্ত্রী-সন্তানদের জন্য নগর নির্মাণ করতে চাই।
১৬তখন তারা তাঁর কাছে এসে বলল, “আমরা এই স্থানে আমাদের পশুদের জন্য মেষবাথান ও আমাদের বালকবালিকাদের জন্য শহর তৈরী করব।
17 তা সত্ত্বেও, আমরা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে, ইস্রায়েলের পুরোভাগে যাব, যতদিন না তাদের গন্তব্য স্থানে নিয়ে যাই। এসময়, আমাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা, দেশবাসীদের থেকে নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষিত নগরে বসবাস করবে।
১৭আমরা যতদিন ইস্রায়েল সন্তানদের নিজের তৈরী না করি, ততদিন সজ্জিত হয়ে তাদের আগে আগে গমন করব; শুধু আমাদের বালকবালিকারা দেশে বসবাসীদের ভয়ে সুরক্ষিত শহরে বাস করবে।
18 যতক্ষণ না প্রত্যেক ইস্রায়েলী তাদের অধিকার লাভ করে, আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যাব না,
১৮ইস্রায়েল সন্তানরা প্রত্যেকে যতক্ষণ নিজেদের অধিকার না পায়, ততক্ষণ আমরা নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে আসব না।
19 জর্ডনের অপর পাড়ে, আমরা তাদের সঙ্গে আর কোনো স্বত্বাধিকার গ্রহণ করব না, কারণ আমাদের স্বত্বাধিকার জর্ডনের পূর্বপাড়ে আমরা প্রাপ্ত হয়েছি।”
১৯কিন্তু আমরা যর্দ্দনের অন্য পারে তাদের সঙ্গে অধিকার নেব না, কারণ যর্দ্দনের এই পূর্বপারে আমরা অধিকার পেয়েছি।”
20 তখন মোশি তাদের বললেন, “যদি তোমরা সেরকম করো, সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধের জন্য যদি নিজেদের অস্ত্রসজ্জা গ্রহণ করো,
২০মোশি তাদেরকে বললেন, “তোমরা যদি এই কাজ কর, যদি সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধ করতে যাও
21 যদি তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি সদাপ্রভুর সামনে, সশস্ত্র হয়ে জর্ডনের অন্য পাড়ে যাও, যতক্ষণ না তিনি তাঁর শত্রুদের তাঁর সামনে থেকে বিতাড়িত করেন,
২১এবং তিনি যতদিন তাঁর শত্রুদেরকে নিজের কাছ থেকে অধিকারচ্যুত না করেন, ততদিন যদি তোমরা প্রত্যেকে সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে যর্দ্দন পার হও
22 যখন দেশ, সদাপ্রভুর সামনে পদানত হবে, তখন তোমরা ফিরে আসতে পারো এবং সদাপ্রভু ও ইস্রায়েলীদের প্রতি বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত হতে পারো। তখন সদাপ্রভুর সামনে এই ভূমির স্বত্বাধিকার, তোমাদের হবে।
২২এবং দেশ সদাপ্রভুর বশীভূত হয়, তখন তোমরা ফিরে আসবে এবং সদাপ্রভুর ও ইস্রায়েলের কাছে নির্দোষ হবে, আর সদাপ্রভুর সামনে তোমরা এই দেশের অধিকারী হবে।
23 “কিন্তু এই কাজ করতে যদি অক্ষম হও, তোমরা সদাপ্রভুর বিপক্ষে পাপ করবে। তাহলে নিশ্চিত জেনো, তোমাদের পাপ তোমাদের ধরবে।
২৩কিন্তু যদি তেমন না কর, তবে দেখ, তোমরা সদাপ্রভুর কাছে পাপ করলে এবং নিশ্চয় জেনো, তোমাদের পাপ তোমাদেরকে ধরবে।
24 তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য নগর ও পশুপালের জন্য খোঁয়াড় নির্মাণ করো, কিন্তু যা শপথ করেছ, কাজেও তা পূর্ণ করবে।”
২৪তোমরা নিজেদের বালকবালিকাদের জন্য শহর ও ভেড়াদের জন্য বাথান তৈরী কর এবং নিজেদের কথামত কাজ কর।”
25 গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠী মোশিকে বলল, “আমদের প্রভু যেমন আদেশ দিলেন, আপনার দাস আমরা তাই করব।
২৫তখন গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা মোশিকে বলল, “আমাদের প্রভু যে আদেশ করলেন, আপনার দাস আমরা তাই করব।
26 আমাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা, মেষপাল ও গোপালসমূহ, গিলিয়দ অঞ্চলের এই সমস্ত নগরে অবস্থান করবে।
২৬আমাদের বালকবালিকারা, আমাদের স্ত্রীলোকেরা, আমাদের পালগুলি ও আমাদের সমস্ত পশুধন এখানে গিলিয়দের শহরগুলিতে থাকবে।
27 কিন্তু আপনার দাসেরা, যুদ্ধের জন্য সশস্ত্র প্রত্যেক পুরুষ, সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধের জন্য জর্ডন পার হয়ে যাবে, যেমন আমাদের প্রভু বলেছেন।”
২৭আর আমাদের প্রভুর বাক্য অনুসারে আপনার এই দাসেরা, সজ্জিত প্রত্যেক জন যুদ্ধ করতে সদাপ্রভুকে পার হয়ে যাবে।”
28 মোশি তখন তাদের সম্বন্ধে, যাজক ইলিয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং ইস্রায়েল গোষ্ঠীর বংশ-প্রধানদের আদেশ দিলেন।
২৮তখন মোশি তাদের বিষয়ে ইলীয়াসর যাজককে, নূনের ছেলে যিহোশূয়কে ও ইস্রায়েল সন্তানদের বংশগুলির পূর্বপুরুষদের নেতাকে আদেশ করলেন।
29 তিনি তাদের বললেন, “যদি গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠীর প্রত্যেক পুরুষ যুদ্ধের জন্য সসজ্জ হয়, সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের সঙ্গে জর্ডন অতিক্রম করে, তাহলে দেশ যখন তোমাদের সামনে পদানত হবে, তখন স্বত্বাধিকারস্বরূপ তাদের গিলিয়দের ভূমি দান করবে।
২৯মোশি তাদেরকে বললেন, “গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা, যুদ্ধের জন্য সজ্জিত প্রত্যেক জন যদি তোমাদের সঙ্গে সদাপ্রভুর সামনে যর্দ্দন পার হয়, তবে তোমাদের সামনে দেশ বশীভূত হওয়ার পর তোমরা অধিকারের জন্য তাদেরকে গিলিয়দ দেশ দেবে।
30 কিন্তু সশস্ত্র হয়ে তারা যদি তোমাদের সঙ্গে জর্ডন অতিক্রম না করে, তাহলে তারা অবশ্যই তাদের স্বত্বাধিকার, কনানে, তোমাদের সঙ্গে লাভ করবে।”
৩০কিন্তু যদি তারা সজ্জিত হয়ে তোমাদের সঙ্গে পার না হয়, তবে তারা তোমাদের মধ্যে কনান দেশের অধিকার পাবে।”
31 গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠী উত্তর দিল, “সদাপ্রভু যে রকম বলেছেন, আপনার দাসেরা সেরকমই করবে।
৩১পরে গাদ সন্তানরা ও রূবেণ সন্তানরা উত্তর দিল, “সদাপ্রভু আপনার এই দাসদেরকে যা বলেছেন, আমরা তাই করব।
32 আমরা সদাপ্রভুর সামনে, সশস্ত্র অবস্থায় পার হয়ে কনানে প্রবেশ করব, কিন্তু আমাদের অধিকারস্বরূপ স্বত্ব, জর্ডনের এই পাড়ে থাকবে।”
৩২আমরা সজ্জিত হয়ে সদাপ্রভুর সামনে পার হয়ে কনান দেশে যাব; আর যর্দ্দনের পূর্বপারে আমাদের অধিকার নির্দিষ্ট হয়ে রইল।”
33 তখন মোশি, গাদ গোষ্ঠী, রূবেণ গোষ্ঠী ও যোষেফের ছেলে মনঃশির অর্ধগোষ্ঠীকে, ইমোরীয় রাজা সীহোনের রাজ্য ও বাশনের রাজা ওগের রাজ্য দান করলেন। তাদের নগর সমেত সমস্ত দেশ ও তাদের সন্নিহিত অঞ্চলগুলিও দিলেন।
৩৩পরে মোশি তাদেরকে, অর্থাৎ গাদ সন্তানদের, রূবেণ সন্তানদের ও যোষেফের ছেলে মনঃশির অর্ধেক বংশকে ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের রাজ্য ও বাশনের রাজা ওগের রাজ্য, সেই দেশ, পরিসীমা সমেত সেখানকার শহরগুলি অর্থাৎ দেশের চারদিকের শহরগুলি দিলেন।
34 গাদ গোষ্ঠী দীবোন, অটারোৎ, অরোয়ের,
৩৪গাদ সন্তানরা দীবোন, অটারোৎ, অরোয়ের,
35 অটারোৎ শোফন, যাসের, যগ্‌বিহ,
৩৫অটরোত শোফন, যাসের, যগবিহ,
36 বেথ-নিম্রা ও বেত-হারণ, সুরক্ষিত নগর এবং পশুপালের খোঁয়াড় নির্মাণ করল।
৩৬বৈৎ-নিম্রা ও বৈৎ-হারণ, এইসব দেওয়ালে ঘেরা শহর ও মেষবাথান তৈরী করল।
37 আবার রূবেণ গোষ্ঠী হিষ্‌বোন, ইলিয়ালী ও কিরিয়াথয়িম,
৩৭রূবেন সন্তানরা হিষবোন, ইলিয়ালী ও কিরিয়াথয়িম
38 সেই সঙ্গে নেবো, বায়াল-মিয়োন (এই নামগুলি পরিবর্তিত হয়েছিল) এবং সিব্‌মা। এসব নগর তারা পুনর্নির্মাণ করে তাদের নামকরণ করল।
৩৮নবো ও বাল্-মিয়োন (তাদের নাম পরে পরিবর্তন হয়েছে) এবং সিবমা এইসব শহর তৈরী করে অন্য নাম রাখল।
39 মনঃশির ছেলে মাখীরের বংশধরেরা গিলিয়দে গিয়ে তা দখল করল ও যারা সেখানে ছিল, সেই ইমোরীয়দের বিতাড়িত করল।
৩৯মনঃশির ছেলে মাখীরের সন্তানরা গিলিয়দে গিয়ে তা দখল করল এবং সেই স্থানে বসবাসকারী ইমোরীয়দেরকে অধিকারচ্যুত করল।
40 তাই মোশি, মনঃশির বংশধর মাখীরীয়দের গিলিয়দ দান করলেন। তারা সেখানেই উপনিবেশ স্থাপন করল।
৪০তখন মোশি মনঃশির ছেলে মাখীরকে গিলিয়দ দিলেন এবং সে সেখানে বাস করল।
41 মনঃশির বংশধর যায়ীরও তাদের উপনিবেশগুলি দখল করে সেগুলির নাম হব্বোথ-যায়ীর রাখলেন।
৪১মনঃশির সন্তান যায়ীর গিয়ে সেখানকার গ্রামগুলি দখল করল এবং তাদের নাম হব্বোৎ-যায়ীর [যায়ীরের গ্রামগুলি] রাখল।
42 নোবহ, কনাৎ ও তার সন্নিহিত অঞ্চলগুলি দখল করে তার নিজের নামানুসারে তার নাম নোবহ রাখল।
৪২নোবহ গিয়ে কনাৎ ও তার গ্রামগুলি দখল করল এবং নিজের নাম অনুসারে তার নাম নোবহ রাখল।

< গণনার বই 32 >