< গণনার বই 24 >

1 বিলিয়ম যখন দেখল যে ইস্রায়েলীদের আশীর্বাদ করা সদাপ্রভুর সন্তোষজনক, তখন অন্য সময়ের মতো সে প্রত্যাদেশ লাভ করতে অন্যত্র গেল না, কিন্তু তার মুখ প্রান্তরের দিকে ফেরালো।
বিলিয়ম যখন দেখল, ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ করতে সদাপ্রভু আনন্দিত, তখন আর আগের মত জাদুবিদ্যা ব্যবহার করার জন্য গেল না, কিন্তু মরুপ্রান্তের দিকে তাকিয়ে রইল।
2 বিলিয়ম দেখল, গোষ্ঠী অনুসারে ইস্রায়েল ছাউনি স্থাপন করে আছে, তখন ঈশ্বরের আত্মা তার উপরে এলেন
আর বিলিয়ম চোখ তুলে দেখল, ইস্রায়েল তাদের বংশ অনুসারে শিবির করেছে এবং ঈশ্বরের আত্মা তাঁর উপরে আসলেন।
3 এবং সে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের প্রত্যাদেশ, যার চোখ স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করে, তার প্রত্যাদেশ,
সে তাঁর ভাববাণী গ্রহণ করে বলল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম বলছে, যার চোখ ভালোভাবে খোলা ছিল, সেই পুরুষ বলছে,
4 তার প্রত্যাদেশ, যে ঐশ বাণী শ্রবণ করে, যে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে দর্শন পায়, যে সাষ্টাঙ্গ প্রণত হয়, ও যার চোখ খোলা থাকে।
যে ঈশ্বরের বাক্যগুলি শোনে, সে সর্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে নত ও খোলা চোখে বলছে।
5 “হে যাকোব, তোমার তাঁবুগুলি, হে ইস্রায়েল, তোমার নিবাসস্থান কেমন মনোহর!
যাকোব, তোমার তাঁবুগুলি কত সুন্দর, হে ইস্রায়েল, যেখানে তুমি বাস কর!
6 “উপত্যকার মতো সেগুলি বিস্তৃত হয়, নদী-তীরের বাগানের মতো হয়; সদাপ্রভু দ্বারা রোপিত অগুরু গাছগুলির মতো, জলস্রোতের পাশে থাকা দেবদারু গাছগুলির মতো হয়।
সেগুলি উপত্যকার মত বিস্তারিত, নদীর তীরের বাগানের মত, সদাপ্রভুর রোপণ করা জোলাপের মত, জলের ধারের এরস গাছের মত।
7 তাদের বালতি থেকে জল উপচে পড়বে, তাদের বীজ প্রচুর জল পাবে। “তাদের রাজা হবেন অগাগ থেকেও মহৎ, উন্নত হবে তাদের রাজ্য।
তাদের কলসী থেকে জল উথলে উঠবে, তার বীজ গভীর জলে পরিপূর্ণ হবে, তাদের রাজা অগাগের থেকেও মহত্তম হবে, তার রাজ্য উন্নত হবে।
8 “ঈশ্বর মিশর থেকে তাদের নির্গত করেছেন, তারা বন্য ষাঁড়ের মতো শক্তিশালী। বৈরী জাতিদের তারা ছিন্নভিন্ন করে, খণ্ডবিখণ্ড করে তাদের অস্থিগুলি, তিরগুলি দিয়ে তাদের বিদ্ধ করে।
ঈশ্বর মিশর থেকে তাকে এনেছেন, সে বন্য ষাঁড়ের মত শক্তিশালী। সে তার বিপক্ষ জাতিদেরকে গিলে খাবে, তাদের হাড় চূরমার করে দেবে, নিজের বাণ দিয়ে তাদেরকে ভেদ করবে।
9 সিংহের মতোই তারা হামাগুড়ি দেয়, সিংহীর মতোই শয়ন করে; কোন সাহসী তাকে উঠাতে পারে? “যারা তোমাকে আশীর্বাদ করে তারা আশিস ধন্য হবে, যারা তোমাকে অভিশাপ দেয় তারা অভিশপ্ত হবে!”
সে গুঁড়িসুটি মারল, সিংহের মত ও সিংহীর মত। কার তাকে বিরক্ত করার সাহস আছে? যে তাকে আশীর্বাদ করে, সে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়, যে তাকে অভিশাপ দেয়, সে অভিশপ্ত হয়।”
10 তখন বিলিয়মের প্রতি বালাকের ক্রোধ বহ্নিমান হল। তিনি হাতে করাঘাত করে তাকে বললেন, “আমি আপনাকে ডেকে এনেছিলাম যেন আপনি আমার শত্রুদের অভিশাপ দেন, কিন্তু এই তিনবার আপনি তাদের আশীর্বাদ করলেন।
১০তখন বিলিয়মের প্রতি বালাক রাগে জ্বলে উঠলে তিনি নিজের হাতে আঘাত করলেন। বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমার শত্রুদেরকে অভিশাপ দিতে আমি আপনাকে এনেছিলাম, আর দেখুন, এই তিনবার আপনি তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন।
11 এখন এই মুহূর্তে, প্রস্থান করুন ও বাড়িতে ফিরে যান! আমি বলেছিলাম, আপনাকে উদারভাবে পুরস্কৃত করব, কিন্তু সদাপ্রভুই আপনাকে পুরস্কার নিতে দিলেন না।”
১১এখন নিজের জায়গায় পালিয়ে যান। আমি বলেছিলাম, আপনাকে ভালো পুরষ্কার দেব, কিন্তু দেখুন, সদাপ্রভু আপনাকে পুরষ্কার বিহীন করলেন।”
12 বালাককে বিলিয়ম উত্তর দিল, “আপনি যে বার্তাবাহকদের পাঠিয়েছিলেন, আমি কি তাদের বলিনি,
১২তাতে বিলিয়ম বালাককে বলল, “আমি কি আপনার পাঠানো দূতেদের সাক্ষাৎেই বলিনি,
13 ‘বালাক যদিও তাঁর প্রাসাদের সমস্ত সোনা ও রুপো দেন, আমি স্বেচ্ছায়, ভালো অথবা মন্দ, সদাপ্রভুর আদেশের অতিরিক্ত, কিছুই করতে পারি না। আমি শুধু সেই কথা বলব, যা সদাপ্রভু আমাকে বলে দেবেন।’
১৩যতই বালাক সোনা ও রূপাই ভর্তি নিজের বাড়ি আমাকে দেন, তবুও আমি নিজের ইচ্ছায় ভাল কি মন্দ করার জন্য সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করতে পারব না। সদাপ্রভু যা বলবেন, আমি তাই বলতে পারব?
14 এখন আমি আমার স্বজাতির কাছে ফিরে যাই, কিন্তু এই লোকেরা ভবিষ্যতে আপনার লোকদের প্রতি কী করবে, আসুন, সেই বিষয়ে আপনাকে সচেতন করে দিই।”
১৪এখন দেখুন, আমি নিজের লোকেদের কাছে ফিরে যাই। আসুন, এই জাতি আগামী দিনের আপনার জাতির সঙ্গে কি করবে, তা আপনাকে জানাই।”
15 পরে সে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের প্রত্যাদেশ, যার চোখ স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করে, তার প্রত্যাদেশ,
১৫পরে সে তার ভাববাণী গ্রহণ করে বলল, “বিয়োরের ছেলে বিলিয়ম বলছে, যার চোখ ভালোভাবে খোলা ছিল, সেই পুরুষ বলছে।
16 তার প্রত্যাদেশ, যে ঐশ বাণী শ্রবণ করে, যিনি পরাৎপরের কাছে থেকে জ্ঞান লাভ করেছে, যে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে দর্শন পায়, যে সাষ্টাঙ্গ প্রণত হয় ও যার চোখ খোলা থাকে।
১৬যে ঈশ্বরের বাক্যগুলি শোনে, যে পরাৎপরের প্রজ্ঞা জানে, যে সর্বশক্তিমানের দর্শন পায়, সে নত ও খোলা চোখে বলছে।
17 “আমি তাঁকে দেখব, কিন্তু এখন নয়, আমি দর্শন করব, কিন্তু কাছ থেকে নয়; যাকোব থেকে উদিত হবেন এক তারকা, ইস্রায়েল থেকে এক রাজদণ্ডের উত্থান হবে। তিনি মোয়াবের কপালগুলি ও শেথের সমস্ত সন্তানের খুলিগুলি চূর্ণ করবেন।
১৭আমি তাকে দেখব, কিন্তু এখন নয়, তাঁকে দর্শন করব, কিন্তু কাছাকাছি নয়। যাকোবের থেকে একটি তারা উঠবে, ইস্রায়েল থেকে একটি রাজদণ্ড উঠবে, তা মোয়াবের নেতাদের ধ্বংস করবে, সেথের সমস্ত সন্তানদের হত্যা করবে।
18 ইদোম পরাভূত হবে, তার শত্রু সেয়ীর পরাভূত হবে, কিন্তু ইস্রায়েল উত্তরোত্তর শক্তিমান হবে।
১৮তখন ইদোম ইস্রায়েলের অধিকারে হবে, তার শত্রু সেয়ীরও তাদের অধিকারে হবে, আর ইস্রায়েল বীরের কাজ করবে।
19 যাকোব থেকে এক প্রশাসকের আগমন হবে, তিনি নগরের অবশিষ্ট ব্যক্তিদের বিনাশ করবেন।”
১৯যাকোব থেকে একজন রাজা আসবেন যে কর্তৃত্ব করবেন এবং শহরের অবশিষ্ট লোকদেরকে বিনষ্ট করবেন।”
20 পরে বিলিয়ম অমালেকের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, “অমালেক জাতিসমূহের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিল, কিন্তু বিনাশই হবে তার পরিণতি।”
২০তখন বিলিয়ম অমালেকের দিকে তাকিয়ে তার ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “অমালেক জাতিদের মধ্যে প্রথম ছিল, কিন্তু বিনাশ এর শেষ দশা হবে।”
21 তারপর সে কেনীয়দের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, “তোমার নিবাসস্থল সুরক্ষিত, তোমার নীড় শৈলের মধ্যে স্থাপিত,
২১তখন বিলিয়ম কেনীয়দের দিকে তাকিয়ে তার ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “যেখানে তুমি বসবাস কর সেটা মজবুত, তোমার বাসা শিলাতে স্থাপিত।
22 তা সত্ত্বেও কেনীয়েরা, তোমার হবে বিধ্বংস যখন আসিরীয়রা বন্দি করে তোমাদের নিয়ে যাবে।”
২২তবুও কেন ক্ষয় পাবে, শেষে অশূর তোমাকে বন্দি করে নিয়ে যাবে।”
23 তারপর সে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, “হায়! ঈশ্বর যখন এই কাজ করেন, তখন কে রক্ষা পেতে পারে?
২৩তখন বিলিয়ম তার সর্বশেষ ভাববাণী শুরু করল। সে বলল, “হায়! যখন ঈশ্বর এইসব করবেন, তখন কে বাঁচবে?
24 কিত্তীমের সৈকত থেকে জাহাজগুলি আসবে, তারা আসিরিয়া ও এবরকে দমন করবে; কিন্তু তাদের নিজেদেরও বিনাশ হবে।”
২৪কিত্তীমের তীর থেকে জাহাজ আসবে; তারা অশূরকে দুঃখ দেবে, এবরকে দুঃখ দেবে, কিন্তু তাদেরও বিনাশ ঘটবে।”
25 এরপরে বিলিয়ম উঠে নিজের ঘরে ফিরে গেল এবং বালাকও নিজের পথে প্রস্থান করলেন।
২৫তখন বিলিয়ম উঠে তার বাড়ি ফিরে গেল এবং বালাকও নিজের পথে চলে গেলেন।

< গণনার বই 24 >