< গণনার বই 10 >
2 “পিটানো রুপো দিয়ে দুটি তূরী নির্মাণ করো এবং জনসাধারণকে একত্র করতে ও ছাউনির যাত্রা শুরু করার জন্য সেগুলি ব্যবহার করবে।
২“তুমি দুইটি রূপার শিঙ্গা তৈরী কর; পেটান রূপা দিয়ে তা তৈরী কর; তুমি তা মণ্ডলীকে ডাকার জন্য ও শিবিরগুলির যাত্রার জন্য ব্যবহার করবে।
3 যখন উভয় তূরী ধ্বনিত হবে, সমস্ত সমাজ, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে, তোমার কাছে একত্র হবে।
৩সেই দুটি শিঙ্গা বাজলে সমস্ত মণ্ডলী সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে তোমার কাছে জড়ো হবে।
4 যদি একটিমাত্র ধ্বনিত হয়, তাহলে নেতৃবর্গ, অর্থাৎ ইস্রায়েলী গোষ্ঠীর প্রধানেরা, তোমার কাছে একত্র হবে।
৪কিন্তু একটি শিঙ্গা বাজালে শাসনকর্তারা, ইস্রায়েলের সহস্রপতিরা, তোমার কাছে জড়ো হবে।
5 যখন প্রথমবার তূরীধ্বনি শোনা যাবে, তখন ছাউনিস্থিত পূর্ব প্রান্তের গোষ্ঠীসমূহ যাত্রা শুরু করবে।
৫তোমরা যুদ্ধের শিঙ্গা বাজালে পূর্বদিকের শিবিরের লোকেরা শিবির উঠাবে।
6 দ্বিতীয়বার তূরীধ্বনি শোনা গেলে, দক্ষিণপ্রান্তের ছাউনিসমূহ যাত্রা করবে। তুরীধ্বনিই যাত্রা শুরুর সংকেত হবে।
৬তোমরা দ্বিতীয় বার যুদ্ধের শিঙ্গা বাজালে দক্ষিণ দিকের শিবিরের লোকেরা শিবির উঠাবে; তাদের যাবার জন্য যুদ্ধের শিঙ্গা বাজাতে হবে।
7 জনসাধারণকে একত্র করার জন্য, তূরীধ্বনি করবে, কিন্তু যাত্রা শুরু করার সংকেত হবে না।
৭কিন্তু সমাজের মিলিত হওয়ার জন্য শিঙ্গা বাজাবার দিনের তোমরা যুদ্ধের শিঙ্গা বাজিও না।
8 “হারোণের ছেলেরা যাজকেরা তূরী বাজাবে। এই আদেশ তোমাদের ও তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিরদিন থাকবে।
৮হারোণের সন্তান যাজকেরা সেই শিঙ্গা বাজাবে, তোমাদের বংশ পরম্পরা অনুসারে চিরস্থায়ী নিয়মের জন্য তোমরা তা রাখবে।
9 স্বদেশে, যারা তোমাদের নিপীড়ন করে, যখন তোমরা সেই সমস্ত শত্রুর বিপক্ষে যুদ্ধ করতে যাবে, তূরী বাজাবে। সেই সময় সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের স্মরণ করবেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিস্তার করবেন।
৯যে দিনের তোমরা নিজেদের দেশে বিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে যারা তোমাদের জন্য দুঃখদায়ক, তখন তুমি যুদ্ধের শিঙ্গার সতর্ক ধ্বনি বাজাবে; তাতে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদেরকে স্মরণ করবেন ও তোমরা নিজেদের শত্রুদের থেকে রক্ষা পাবে।
10 তোমাদের আনন্দের দিনেও, অর্থাৎ তোমাদের নিরূপিত পর্বসমূহে ও পূর্ণিমার উৎসবে, তোমাদের হোম-নৈবেদ্যের ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করার সময়ে, তোমরা তূরী বাজাবে। সেসব ঈশ্বরের সামনে তোমাদের জন্য স্মারকরূপে হবে। আমিই সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।”
১০তোমাদের আনন্দের দিনের, পর্বের দিনের ও মাসের শুরুতে হোমবলির ও তোমাদের মঙ্গলার্থক বলিদান উপলক্ষে তোমরা সেই তূরী বাজাবে; এটা আমাকে, তোমাদের ঈশ্বরকে স্মরণ করিয়ে দেবে। আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।”
11 দ্বিতীয় বছরের, দ্বিতীয় মাসের, বিংশতিতম দিনে, সাক্ষ্যের তাঁবুর উপর থেকে মেঘ উন্নীত হল।
১১দ্বিতীয় বছর দ্বিতীয় মাসের কুড়িতম দিনের সেই মেঘ সাক্ষ্যের সমাগম তাঁবুর উপর থেকে উঁচুতে উঠল।
12 তখন ইস্রায়েলীরা সীনয় মরুভূমিতে থেকে বের হল এবং তারা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ভ্রমণ করল, যতক্ষণ না মেঘ, পারণ প্রান্তরে এসে থামল।
১২তাতে ইস্রায়েল সন্তানরা নিজেদের যাত্রার নিয়ম অনুসারে সীনয় মরুভূমি থেকে যাত্রা করল, পরে সেই মেঘ পারণ মরুপ্রান্তে অবস্থান করল।
13 মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে, তারা এই প্রথমবার যাত্রা করল।
১৩মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তারা এই প্রথম বার যাত্রা করল।
14 প্রথমে যিহূদার শিবিরের অন্তর্গত সমস্ত সেনাবিভাগ, তাদের নিশান নিয়ে অগ্রসর হল। অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন তাদের সেনাপতি ছিলেন।
১৪প্রথমে তাদের সৈন্যদের সঙ্গে যিহূদা সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল; অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন তাদের সেনাপতি ছিলেন।
15 ইষাখর গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে সূয়ারের ছেলে নথনেল ছিলেন
১৫সূয়ারের ছেলে নথনেল ইষাখর সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
16 এবং হেলোনের ছেলে ইলীয়াব ছিলেন সবূলূন গোষ্ঠীর সেনাপতি।
১৬হেলোনের ছেলে ইলীয়াব সবূলূন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
17 এরপর সমাগম তাঁবু তুলে ফেলা হল এবং যারা তা বহন করত, সেই গের্শোনীয়েরা এবং মরারীয়েরা তখন যাত্রারম্ভ করল।
১৭সমাগম তাঁবু তোলা হলে গের্শোনের সন্তানরা ও মরারির সন্তানরা সেই সমাগম তাঁবু বহন করার জন্য এগিয়ে গেল।
18 তারপর রূবেণের শিবিরের সমস্ত সৈন্য দলীয় নিশান নিয়ে যাত্রা শুরু করল। শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
১৮তারপরে নিজের সৈন্যদের সঙ্গে রূবেণের শিবিরের পতাকা চলল; শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
19 শিমিয়োনের গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে ছিলেন সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল।
১৯সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল শিমিয়োন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
20 দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ ছিলেন গাদ গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে।
২০দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ গাদ সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
21 এরপর কহাতীয়েরা বের হল। তারা পবিত্র দ্রব্যসমূহ বহন করছিল। তাদের পৌঁছানোর আগেই সমাগম তাঁবু পুনঃস্থাপিত হয়েছিল।
২১কহাতীয়েরা পবিত্র স্থানের উপকরণ বহন করে যাত্রা করল। অন্য লোকেরা কহাতীয়দের পরের শিবিরে পৌঁছানোর আগে সমাগম তাঁবু স্থাপন করল।
22 তারপর ইফ্রয়িমের শিবিরের সেনাবিভাগ, দলীয় নিশান নিয়ে যাত্রা শুরু করল। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা ছিলেন সেনাপতি।
২২নিজের সৈন্যদের সঙ্গে ইফ্রয়িম সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা তাদের সেনাপতি ছিলেন।
23 পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল, মনঃশি গোষ্ঠীর শীর্ষে ছিলেন।
২৩পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল মনঃশি সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
24 গিদিয়োনির ছেলে অবীদান ছিলেন বিন্যামীন গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে।
২৪গিদিয়োনির ছেলে অবীদান বিন্যামীন সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
25 সমস্ত শিবিরের পিছনে প্রহরীরূপে দানের শিবিরের সমস্ত সেনাবিভাগ, তাদের নিশান নিয়ে যাত্রা করল। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর ছিলেন তাদের সেনাপতি।
২৫সমস্ত শিবিরের পিছু পিছু নিজের সৈন্যের সঙ্গে দান সন্তানদের শিবিরের পতাকা চলল। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর তাদের সেনাপতি ছিলেন।
26 আশের গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে ছিলেন অক্রণের ছেলে পগীয়েল।
২৬অক্রণের ছেলে পগীয়েল আশের সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
27 আবার ঐননের ছেলে অহীরঃ ছিলেন নপ্তালির গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে।
২৭ঐননের ছেলে অহীরঃ নপ্তালি সন্তানদের বংশের সেনাপতি ছিলেন।
28 সমস্ত ইস্রায়েলী সেনাবিভাগ এই ধারায় যাত্রা করত।
২৮ইস্রায়েল সন্তানরা এই ভাবে যাত্রা করত।
29 এরপর মোশি, তাঁর শ্বশুর, মিদিয়নীয় রূয়েলের ছেলে হোববকে বললেন, “আমরা সেই স্থানের উদ্দেশে বের হয়েছি, যার সম্পর্কে সদাপ্রভু বলেছিলেন, ‘আমি সেই দেশ তোমাকে দেব।’ আমাদের সঙ্গে এসো, আমরা তোমাদের সঙ্গে যথোচিত ব্যবহার করব, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের কাছে উত্তম বিষয়সমূহের শপথ করেছেন।”
২৯মোশি তাঁর শ্বশুর মিদিয়োনীয় রূয়েলের ছেলে হোববকে বললেন, “সদাপ্রভু আমাদেরকে যে স্থান দিতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, আমরা সে স্থানে যাত্রা করছি, তুমিও আমাদের সঙ্গে এস, আমরা তোমার মঙ্গল করব, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের মঙ্গল করার প্রতিজ্ঞা করেছেন।”
30 সে উত্তর দিল, “না আমি যাব না। আমি স্বদেশে, আমার স্বজাতির কাছে ফিরে যাচ্ছি।”
৩০তিনি তাকে বললেন, “আমি যাব না, আমি নিজের দেশে ও নিজের আত্মীয়দের কাছে যাব।”
31 মোশি তা সত্ত্বেও বললেন, “দয়া করে আমাদের ত্যাগ কোরো না। তুমি জানো প্রান্তরে আমাদের কোন স্থানে ছাউনি স্থাপন করতে হবে এবং তুমি আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারো।
৩১মোশি বললেন, “দয়া করে আমাদেরকে ত্যাগ কোরো না, কারণ মরুপ্রান্তের মধ্যে আমাদের শিবির স্থাপনের বিষয়ে তুমি জান, আর তুমি আমাদের পথপ্রদর্শক হবে।
32 যদি তুমি আমাদের সঙ্গে চলো, তাহলে সদাপ্রভু যে সকল উত্তম দ্রব্য আমাদের দান করবেন, আমরা তোমার সঙ্গে সেই সমস্ত ভাগ করে নেব।”
৩২যদি তুমি আমাদের সঙ্গে যাও, সদাপ্রভু আমাদের প্রতি যে মঙ্গল করবেন, আমরা তোমার প্রতি তাই করব।”
33 এইভাবে তারা সদাপ্রভুর পর্বত থেকে বের হয়ে তিনদিনের পথ ভ্রমণ করল। সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক তাদের অগ্রবর্তী হয়ে সেই তিন দিন চলার পর তারা বিশ্রামের জন্য জায়গা অন্বেষণ করল।
৩৩তারা সদাপ্রভুর পর্বত থেকে তিন দিনের র পথ চলে গেল। তাদের বিশ্রাম স্থান খোঁজার জন্য সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুক তিন দিনের র পথ তাদের থেকে এগিয়ে গেল।
34 তারা যখন শিবির থেকে বের হল, সদাপ্রভুর মেঘ তাদের ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ছিল।
৩৪শিবির থেকে অন্য জায়গায় যাবার দিনের সদাপ্রভুর মেঘ দিনের রবেলায় তাদের উপরে থাকত।
35 যখনই সিন্দুক যাত্রা করত মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ওঠো! তোমার শত্রুদের ছিন্নভিন্ন করো; যারা তোমাকে ঘৃণা করে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।”
৩৫আর সিন্দুকের এগিয়ে যাবার দিনের মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ওঠ, তোমার শত্রুরা বিচ্ছিন্ন হোক, যারা তোমাকে ঘৃণা করে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।”
36 যখনই বিশ্রামের অবকাশ হত, তিনি বলতেন, “সদাপ্রভু, ফিরে এসো, অযুত অযুত ইস্রায়েলীদের মধ্যে।”
৩৬যখন নিয়মের সিন্দুক থামতো, মোশি বলতেন, “হে সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের হাজার হাজারের কাছে ফিরে এস।”