মথি 27
1 ভোরবেলায়, সমস্ত প্রধান যাজক ও লোকদের প্রাচীনবর্গ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
Ότε δε έγεινε πρωΐ, συνεβουλεύθησαν πάντες οι αρχιερείς και οι πρεσβύτεροι του λαού κατά του Ιησού διά να θανατώσωσιν αυτόν·
2 তারা তাঁকে বেঁধে প্রদেশপাল পীলাতের কাছে গেল ও তাঁর হাতে তাঁকে সমর্পণ করল।
και δέσαντες αυτόν, έφεραν και παρέδωκαν αυτόν εις τον Πόντιον Πιλάτον τον ηγεμόνα.
3 যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই যিহূদা যখন দেখল যে যীশুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সে তীব্র বিবেক দংশনে বিদ্ধ হল। সে প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনদের কাছে গিয়ে সেই ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা ফিরিয়ে দিল।
Τότε ιδών Ιούδας ο παραδόσας αυτόν ότι κατεδικάσθη, μεταμεληθείς επέστρεψε τα τριάκοντα αργύρια εις τους πρεσβυτέρους,
4 সে বলল, “নির্দোষ মানুষের রক্ত সমর্পণ করে আমি পাপ করেছি।” তারা উত্তরে বলল, “তাতে আমাদের কী? সে তোমার দায়।”
λέγων· Ήμαρτον παραδόσας αίμα αθώον. Οι δε είπον· Τι προς ημάς; συ όψει.
5 তাই যিহূদা সেই অর্থ মন্দিরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল। তারপর গিয়ে নিজেকে ফাঁসি দিল।
Και ρίψας τα αργύρια εν τω ναώ, ανεχώρησε και απελθών εκρεμάσθη.
6 প্রধান যাজকেরা মুদ্রাগুলি তুলে নিয়ে বলল, “এই অর্থ ভাণ্ডারে রাখা বিধানবিরুদ্ধ, কারণ এটি রক্তের মূল্য।”
Οι δε αρχιερείς, λαβόντες τα αργύρια, είπον· Δεν είναι συγκεχωρημένον να βάλωμεν αυτά εις το θησαυροφυλάκιον, διότι είναι τιμή αίματος.
7 তাই তারা স্থির করল, ওই অর্থ দিয়ে কুমোরের জমি কেনা হবে, যেন বিদেশিদের কবর দেওয়া যেতে পারে।
Και συμβουλευθέντες ηγόρασαν με αυτά τον αγρόν του κεραμέως, διά να ενταφιάζωνται εκεί οι ξένοι.
8 এই কারণে একে আজও পর্যন্ত রক্তক্ষেত্র বলা হয়।
Διά τούτο ωνομάσθη ο αγρός εκείνος Αγρός αίματος έως της σήμερον.
9 তখন ভাববাদী যিরমিয়ের দ্বারা কথিত এই বচন পূর্ণ হল: “তারা সেই ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা নিল, ইস্রায়েল-সন্তানেরা যা তাঁর মূল্য নির্ধারণ করেছিল,
Τότε επληρώθη το ρηθέν διά Ιερεμίου του προφήτου, λέγοντος· Και έλαβον τα τριάκοντα αργύρια, την τιμήν του εκτιμηθέντος, τον οποίον εξετίμησαν από των υιών Ισραήλ,
10 আর তারা সেই অর্থ কুমোরের জমি কেনার জন্য ব্যয় করল, যেমন প্রভু আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন।”
και έδωκαν αυτά εις τον αγρόν του κεραμέως, καθώς μοι παρήγγειλεν ο Κύριος.
11 ইতিমধ্যে যীশুকে প্রদেশপালের সামনে দাঁড় করানো হল। প্রদেশপাল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহুদিদের রাজা?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বললে।”
Ο δε Ιησούς εστάθη έμπροσθεν του ηγεμόνος· και ηρώτησεν αυτόν ο ηγεμών, λέγων· Συ είσαι ο βασιλεύς των Ιουδαίων; Ο δε Ιησούς είπε προς αυτόν· Συ λέγεις.
12 প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে লাগল, তিনি কোনও উত্তর দিলেন না।
Και ενώ εκατηγορείτο υπό των αρχιερέων και των πρεσβυτέρων, ουδέν απεκρίθη.
13 তখন পীলাত তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার বিরুদ্ধে ওরা যে সাক্ষ্য এনেছে তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না?”
Τότε λέγει προς αυτόν ο Πιλάτος· Δεν ακούεις πόσα σου καταμαρτυρούσι;
14 তবুও যীশু কোনো উত্তর দিলেন না, একটি অভিযোগেরও না। এতে প্রদেশপাল অত্যন্ত বিস্মিত হলেন।
Και δεν απεκρίθη προς αυτόν ουδέ προς ένα λόγον, ώστε ο ηγεμών εθαύμαζε πολύ.
15 সেই সময়ে, পর্ব উপলক্ষে প্রদেশপালের একটি প্রথা ছিল, লোকসাধারণ যে কারাবন্দিকে চাইত, তিনি তাকে মুক্তি দিতেন।
Κατά δε την εορτήν εσυνείθιζεν ο ηγεμών να απολύη εις τον όχλον ένα δέσμιον, όντινα ήθελον.
16 তখন যীশু-বারাব্বা নামে তাদের এক কুখ্যাত বন্দি ছিল।
Και είχον τότε δέσμιον περιβόητον λεγόμενον Βαραββάν.
17 তাই লোকেরা সমবেত হলে পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের জন্য আমি কাকে মুক্তি দেব, বারাব্বাকে না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে?”
Ενώ λοιπόν ήσαν συνηγμένοι, είπε προς αυτούς ο Πιλάτος· Τίνα θέλετε να σας απολύσω; τον Βαραββάν ή τον Ιησούν τον λεγόμενον Χριστόν;
18 কারণ তিনি জানতেন, তারা ঈর্ষাবশত যীশুকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল।
Επειδή ήξευρεν ότι διά φθόνον παρέδωκαν αυτόν.
19 পীলাত যখন বিচারাসনে বসেছিলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে এই বার্তা পাঠালেন, “ওই নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি তুমি কিছু কোরো না, কারণ আজ আমি স্বপ্নে তাঁর কারণে ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।”
Ενώ δε εκάθητο επί του βήματος, απέστειλε προς αυτόν η γυνή αυτού, λέγουσα· Άπεχε του δικαίου εκείνου· διότι πολλά έπαθον σήμερον κατ' όναρ δι' αυτόν.
20 কিন্তু প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ লোকদের প্ররোচিত করে বলল, তারা যেন বারাব্বাকে মুক্তির জন্য চেয়ে নেয়, কিন্তু যীশুকে যেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
Οι δε αρχιερείς και οι πρεσβύτεροι έπεισαν τους όχλους να ζητήσωσι τον Βαραββάν, τον δε Ιησούν να απολέσωσι.
21 প্রদেশপাল জিজ্ঞাসা করলেন, “এই দুজনের মধ্যে তোমরা কাকে চাও যে আমি মুক্ত করি?” তারা উত্তর দিল, “বারাব্বাকে।”
Και αποκριθείς ο ηγεμών είπε προς αυτούς· Τίνα θέλετε από των δύο να σας απολύσω; οι δε είπον· Τον Βαραββάν.
22 পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, আমি তাকে নিয়ে কী করব?” তারা সকলে মিলে উত্তর দিল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
Λέγει προς αυτούς ο Πιλάτος· Τι λοιπόν να κάμω τον Ιησούν τον λεγόμενον Χριστόν; Λέγουσι προς αυτόν πάντες· Σταυρωθήτω.
23 পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন? ও কী অপরাধ করেছে?” কিন্তু তারা আরও জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
Ο δε ηγεμών είπε· Και τι κακόν έπραξεν; Οι δε περισσότερον έκραζον, λέγοντες· Σταυρωθήτω.
24 পীলাত যখন দেখলেন, তাঁর সব প্রচেষ্টা নিষ্ফল হচ্ছে, বরং এক হট্টগোলের সৃষ্টি হচ্ছে, তিনি জল নিয়ে লোকদের সামনে তাঁর হাত ধুয়ে বললেন, “আমি এই মানুষটির রক্তপাত সম্পর্কে নির্দোষ। এই দায় তোমাদের!”
Και ιδών ο Πιλάτος ότι ουδέν ωφελεί, αλλά μάλλον θόρυβος γίνεται, λαβών ύδωρ ένιψε τας χείρας αυτού έμπροσθεν του όχλου, λέγων· Αθώος είμαι από του αίματος του δικαίου τούτου· υμείς όψεσθε.
25 লোকেরা সবাই উত্তর দিল, “ওর রক্ত আমাদের উপরে ও আমাদের সন্তানের উপরে বর্তাক।”
Και αποκριθείς πας ο λαός είπε· το αίμα αυτού ας ήναι εφ' ημάς και επί τα τέκνα ημών.
26 তখন তিনি তাদের কাছে বারাব্বাকে মুক্ত করে দিলেন, কিন্তু যীশুকে চাবুক দিয়ে প্রহার করিয়ে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করলেন।
Τότε απέλυσεν εις αυτούς τον Βαραββάν, τον δε Ιησούν μαστιγώσας παρέδωκε διά να σταυρωθή.
27 এরপর প্রদেশপালের সৈন্যরা যীশুকে তাঁর প্রাসাদে নিয়ে গেল ও তাঁর চারপাশে সমস্ত সৈন্যদলকে একত্র করল।
Τότε οι στρατιώται του ηγεμόνος, παραλαβόντες τον Ιησούν εις το πραιτώριον, συνήθροισαν επ' αυτόν όλον το τάγμα των στρατιωτών·
28 তারা তাঁর পোশাক খুলে একটি লাল রংয়ের পোশাক পরিয়ে দিল।
και εκδύσαντες αυτόν ενέδυσαν αυτόν χλαμύδα κοκκίνην,
29 তারপর কাঁটালতা দিয়ে পাকানো একটি মুকুট তৈরি করে তাঁর মাথায় স্থাপন করল। তারা তাঁর ডান হাতে নলখাগড়ার একটি ছড়ি দিল ও তাঁর সামনে নতজানু হয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করল, বলল, “ইহুদিদের রাজা, নমস্কার!”
και πλέξαντες στέφανον εξ ακανθών, έθεσαν επί την κεφαλήν αυτού και κάλαμον εις την δεξιάν αυτού, και γονυπετήσαντες έμπροσθεν αυτού, ενέπαιζον αυτόν, λέγοντες· Χαίρε, ο βασιλεύς των Ιουδαίων·
30 তারা তাঁর গায়ে থুতু দিল, ছড়িটি নিয়ে নিল এবং তা দিয়ে বারবার তাঁর মাথায় আঘাত করতে লাগল।
και εμπτύσαντες εις αυτόν έλαβον τον κάλαμον και έτυπτον εις την κεφαλήν αυτού.
31 তাঁকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করার পর, তারা তাঁর পোশাকটি খুলে নিল ও তাঁর নিজের পোশাক তাঁকে পরিয়ে দিল। তারপর তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য নিয়ে গেল।
Και αφού ενέπαιξαν αυτόν, εξέδυσαν αυτόν την χλαμύδα και ενέδυσαν αυτόν τα ιμάτια αυτού, και έφεραν αυτόν διά να σταυρώσωσιν.
32 তারা যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা কুরীণ থেকে আগত শিমোন নামে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেল। তারা ক্রুশ বয়ে নিয়ে যেতে তাকে বাধ্য করল।
Ενώ δε εξήρχοντο, εύρον άνθρωπον Κυρηναίον, ονομαζόμενον Σίμωνα· τούτον ηγγάρευσαν διά να σηκώση τον σταυρόν αυτού.
33 তারা গলগথা নামক এক স্থানে এল (নামটির অর্থ, “মাথার খুলির স্থান”)।
Και ότε ήλθον εις τόπον λεγόμενον Γολγοθά, όστις λέγεται Κρανίου τόπος,
34 তারা সেখানে যীশুকে পিত্তরসে মেশানো দ্রাক্ষারস পান করতে দিল; কিন্তু তিনি তার স্বাদ নিয়ে তা পান করতে চাইলেন না।
έδωκαν εις αυτόν να πίη όξος μεμιγμένον μετά χολής· και γευθείς δεν ήθελε να πίη.
35 তারা যখন তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করল, তারা গুটিকাপাত করে তাঁর পোশাকগুলি ভাগ করে নিল।
Αφού δε εσταύρωσαν αυτόν διεμερίσθησαν τα ιμάτια αυτού, βάλλοντες κλήρον, διά να πληρωθή το ρηθέν υπό του προφήτου, Διεμερίσθησαν τα ιμάτιά μου εις εαυτούς και επί τον ιματισμόν μου έβαλον κλήρον.
36 আর সেখানে বসে, তারা তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।
Και καθήμενοι εφύλαττον αυτόν εκεί.
37 তাঁর মাথার উপরে তারা তাঁর বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগপত্র টাঙিয়ে দিল: এই ব্যক্তি যীশু, ইহুদিদের রাজা।
Και έθεσαν επάνωθεν της κεφαλής αυτού την κατηγορίαν αυτού γεγραμμένην· Ούτος εστιν Ιησούς ο βασιλεύς των Ιουδαίων.
38 দুজন দস্যুকে তাঁর সঙ্গে ক্রুশার্পিত করা হল, একজনকে তাঁর ডানদিকে, অন্যজনকে তাঁর বাঁদিকে।
Τότε εσταυρώθησαν μετ' αυτού δύο λησταί, εις εκ δεξιών και εις εξ αριστερών.
39 যারা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাদের মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁকে অপমান করে বলতে লাগল,
οι δε διαβαίνοντες εβλασφήμουν αυτόν, κινούντες τας κεφαλάς αυτών
40 “তুমি নাকি মন্দির ধ্বংস করে তিনদিনের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করতে চলেছিলে, এবার নিজেকে রক্ষা করো! তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এসো!”
και λέγοντες· Ο χαλών τον ναόν και διά τριών ημερών οικοδομών, σώσον σεαυτόν· αν ήσαι Υιός του Θεού, κατάβα από του σταυρού.
41 একইভাবে প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও প্রাচীনবর্গ তাঁকে বিদ্রুপ করল।
Ομοίως δε και οι αρχιερείς εμπαίζοντες μετά των γραμματέων και πρεσβυτέρων, έλεγον.
42 তারা বলল, “ও অন্যদের বাঁচাত, কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারে না! ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন ও ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরাও ওকে বিশ্বাস করব।
Άλλους έσωσεν, εαυτόν δεν δύναται να σώση· αν ήναι βασιλεύς του Ισραήλ, ας καταβή τώρα από του σταυρού και θέλομεν πιστεύσει εις αυτόν·
43 ও ঈশ্বরে নির্ভর করে। ঈশ্বরই ওকে নিস্তার করুন, যদি তিনি ওকে চান, কারণ ও বলেছে, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র।’”
πέποιθεν επί τον Θεόν, ας σώση τώρα αυτόν, εάν θέλη αυτόν· επειδή είπεν ότι Θεού Υιός είμαι.
44 একইভাবে, তাঁর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ দুই দস্যুও তাঁকে বিভিন্নভাবে অপমান করল।
Το αυτό δε και οι λησταί οι συσταυρωθέντες μετ' αυτού ωνείδιζον εις αυτόν.
45 দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশে অন্ধকার ছেয়ে গেল।
Από δε έκτης ώρας σκότος έγεινεν εφ' όλην την γην έως ώρας εννάτης·
46 প্রায় তিনটের সময় যীশু উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন, “এলী, এলী, লামা শবক্তানী?” যার অর্থ, “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ?”
περί δε την εννάτην ώραν ανεβόησεν ο Ιησούς μετά φωνής μεγάλης, λέγων· Ηλί, Ηλί, λαμά σαβαχθανί; τουτέστι, Θεέ μου, Θεέ μου, διά τι με εγκατέλιπες;
47 সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন এমন কয়েকজন যখন একথা শুনল, তারা বলল, “ও এলিয়কে ডাকছে।”
Και τινές των εκεί εστώτων ακούσαντες, έλεγον ότι τον Ηλίαν φωνάζει ούτος.
48 সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে একজন দৌড়ে গিয়ে একটি স্পঞ্জ নিয়ে এল। সে তা সিরকা মিশ্রিত দ্রাক্ষারসে পূর্ণ করে একটি নলের সাহায্যে যীশুকে পান করতে দিল।
Και ευθύς έδραμεν εις εξ αυτών και λαβών σπόγγον και γεμίσας όξους και περιθέσας εις κάλαμον επότιζεν αυτόν.
49 অন্যেরা সকলে বলল, “এখন ওকে একা ছেড়ে দাও। দেখি, এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।”
Οι δε λοιποί έλεγον· Άφες, ας ίδωμεν αν έρχηται ο Ηλίας να σώση αυτόν.
50 পরে যীশু আবার উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে তাঁর আত্মাকে সমর্পণ করলেন।
Ο δε Ιησούς πάλιν κράξας μετά φωνής μεγάλης, αφήκε το πνεύμα.
51 আর সেই মুহূর্তে মন্দিরের পর্দাটি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চিরে দু-টুকরো হল। ভূমিকম্প হল ও পাথর শিলাগুলি বিদীর্ণ হল।
Και ιδού, το καταπέτασμα του ναού εσχίσθη εις δύο από άνωθεν έως κάτω, και η γη εσείσθη και αι πέτραι εσχίσθησαν,
52 কবরসকল উন্মুক্ত হল ও বহু পুণ্যজনের শরীর, যাঁরা পূর্বে নিদ্রাগত হয়েছিলেন, তাদের জীবনে উত্থাপিত করা হল।
και τα μνημεία ηνοίχθησαν και πολλά σώματα των κεκοιμημένων αγίων ανέστησαν,
53 তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে এলেন ও যীশুর পুনরুত্থানের পর পবিত্র নগরে প্রবেশ করলেন এবং বহু মানুষকে দর্শন দিলেন।
και εξελθόντες εκ των μνημείων μετά την ανάστασιν αυτού εισήλθον εις την αγίαν πόλιν και ενεφανίσθησαν εις πολλούς.
54 তখন সেই শত-সেনাপতি ও যারা তার সঙ্গে যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, সেই ভূমিকম্প ও অন্য সব ঘটনা ঘটতে দেখে, তারা আতঙ্কগ্রস্ত হল ও বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠল, “নিশ্চিতরূপেই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন!”
Ο δε εκατόνταρχος και οι μετ' αυτού φυλάττοντες τον Ιησούν, ιδόντες τον σεισμόν και τα γενόμενα, εφοβήθησαν σφόδρα, λέγοντες· Αληθώς Θεού Υιός ήτο ούτος.
55 সেখানে বহু মহিলাও উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা দূর থেকে সব লক্ষ্য করছিলেন। তাঁরা যীশুর পরিচর্যার জন্য গালীল থেকে তাঁকে অনুসরণ করে আসছিলেন।
Ήσαν δε εκεί γυναίκες πολλαί από μακρόθεν θεωρούσαι, αίτινες ηκολούθησαν τον Ιησούν από της Γαλιλαίας υπηρετούσαι αυτόν·
56 তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাগ্দালাবাসী মরিয়ম, যাকোব ও যোষির মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের পুত্রদের মা।
μεταξύ των οποίων ήτο Μαρία η Μαγδαληνή, και Μαρία η μήτηρ του Ιακώβου και Ιωσή, και η μήτηρ των υιών Ζεβεδαίου.
57 সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, সেখানে যোষেফ নামে আরিমাথিয়ার এক ধনী ব্যক্তি উপস্থিত হলেন। তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।
Ότε δε έγεινεν εσπέρα, ήλθεν άνθρωπος πλούσιος από Αριμαθαίας, το όνομα Ιωσήφ, όστις και αυτός εμαθήτευσεν εις τον Ιησούν·
58 পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি যীশুর দেহটি চাইলেন, পীলাত তা তাঁকে দেওয়ার আদেশ দিলেন।
ούτος ελθών προς τον Πιλάτον, εζήτησε το σώμα του Ιησού. Τότε ο Πιλάτος προσέταξε να αποδοθή το σώμα.
59 যোষেফ সেই দেহটি নিয়ে পরিষ্কার লিনেন কাপড়ে জড়ালেন
Και λαβών το σώμα ο Ιωσήφ, ετύλιξεν αυτό με σινδόνα καθαράν,
60 ও পাথরে খোদাই করা তাঁর নিজের নতুন সমাধি গৃহে তা রাখলেন। তিনি সমাধির প্রবেশপথে একটি বড়ো পাথর গড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।
και έθεσεν αυτό εν τω νέω αυτού μνημείω, το οποίον ελατόμησεν εν τη πέτρα, και προσκυλίσας λίθον μέγαν εις την θύραν του μνημείου ανεχώρησεν.
61 সেখানে মাগ্দালাবাসী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবরের উল্টোদিকে বসেছিলেন।
Ήτο δε εκεί Μαρία η Μαγδαληνή και η άλλη Μαρία, καθήμεναι απέναντι του τάφου.
62 পরের দিন, অর্থাৎ প্রস্তুতি-দিনের পরদিন, প্রধান যাজকেরা ও ফরিশীরা পীলাতের কাছে গেল।
Και τη επαύριον, ήτις είναι μετά την παρασκευήν, συνήχθησαν οι αρχιερείς και οι Φαρισαίοι προς τον Πιλάτον
63 তারা বলল, “মহাশয়, আমাদের মনে পড়ছে, সেই প্রবঞ্চক জীবিত থাকাকালীন বলেছিল, ‘তিন দিন পরে আমি আবার উত্থিত হব।’
λέγοντες· Κύριε, ενεθυμήθημεν ότι εκείνος ο πλάνος είπεν έτι ζων, Μετά τρεις ημέρας θέλω αναστηθή.
64 সেই কারণে, তিন দিন পর্যন্ত সমাধিটি পাহারা দিতে আদেশ দিন, তা না হলে, তাঁর শিষ্যেরা এসে সেই দেহ চুরি করে নিয়ে যাবে ও লোকদের বলবে যে তিনি মৃতলোক থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। তাহলে শেষের এই প্রতারণা প্রথমের থেকে আরও গুরুতর হবে।”
Πρόσταξον λοιπόν να ασφαλισθή ο τάφος έως της τρίτης ημέρας, μήποτε οι μαθηταί αυτού ελθόντες διά νυκτός κλέψωσιν αυτόν και είπωσι προς τον λαόν, Ανέστη εκ των νεκρών· και θέλει είσθαι η εσχάτη πλάνη χειροτέρα της πρώτης.
65 পীলাত উত্তর দিলেন, “তোমরা পাহারা দাও। গিয়ে সমাধি যতটা সুরক্ষিত রাখতে পারো, তোমরা তাই করো।”
Είπε δε προς αυτούς ο Πιλάτος· Έχετε φύλακας· υπάγετε, ασφαλίσατε καθώς εξεύρετε.
66 তাই তারা গেল, সেই পাথরটি মোহরাঙ্কিত করে সমাধি সুরক্ষিত করল ও প্রহরীদের নিযুক্ত করল।
Οι δε υπήγον και ησφάλισαν τον τάφον, σφραγίσαντες τον λίθον και επιστήσαντες τους φύλακας.
