< মথি 26 >
1 এসব বিষয় বলা শেষ করার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন,
Καὶ ἐγένετο ὅτε ἐτέλεσεν ὁ Ἰησοῦς πάντας τοὺς λόγους τούτους, εἶπε τοῖς μαθηταῖς αὐτοῦ,
2 “তোমরা জানো, আর দু-দিন পরে নিস্তারপর্ব আসছে, তখন মনুষ্যপুত্রকে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করা হবে।”
Οἴδατε ὅτι μετὰ δύο ἡμέρας τὸ Πάσχα γίνεται, καὶ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου παραδίδοται εἰς τὸ σταυρωθῆναι.
3 সেই সময় প্রধান যাজকেরা ও লোকেদের প্রাচীনবর্গ কায়াফা নামক মহাযাজকের প্রাসাদে সমবেত হল।
Τότε συνήχθησαν οἱ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ γραμματεῖς καὶ οἱ πρεσβύτεροι τοῦ λαοῦ εἰς τὴν αὐλὴν τοῦ ἀρχιερέως τοῦ λεγομένου Καϊάφα,
4 আর তারা কোনও ছলে যীশুকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল।
καὶ συνεβουλεύσαντο ἵνα τὸν Ἰησοῦν κρατήσωσι δόλῳ καὶ ἀποκτείνωσιν.
5 তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।”
Ἔλεγον δέ, Μὴ ἐν τῇ ἑορτῇ, ἵνα μὴ θόρυβος γένηται ἐν τῷ λαῷ.
6 যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন,
Τοῦ δὲ Ἰησοῦ γενομένου ἐν Βηθανίᾳ ἐν οἰκίᾳ Σίμωνος τοῦ λεπροῦ,
7 তখন একজন নারী একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বহুমূল্য সুগন্ধি তেল নিয়ে তাঁর কাছে এল। যীশু যখন টেবিলে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, সেই নারী তাঁর মাথায় তা উপুড় করে ঢেলে দিল।
προσῆλθεν αὐτῷ γυνὴ ἀλάβαστρον μύρου ἔχουσα βαρυτίμου, καὶ κατέχεεν ἐπὶ τὴν κεφαλὴν αὐτοῦ ἀνακειμένου.
8 শিষ্যেরা এই দেখে ভীষণ রুষ্ট হলেন। তাঁরা বললেন, “এই অপচয় কেন?
Ἰδόντες δὲ οἱ μαθηταὶ αὐτοῦ ἠγανάκτησαν, λέγοντες, Εἰς τί ἡ ἀπώλεια αὕτη;
9 এই সুগন্ধি তেল তো অনেক টাকায় বিক্রি করে দরিদ্রদের দান করা যেত!”
Ἠδύνατο γὰρ τοῦτο τὸ μύρον πραθῆναι πολλοῦ, καὶ δοθῆναι πτωχοῖς.
10 একথা শুনে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন এই মহিলাকে বিরক্ত করছ? সে তো আমার জন্য এক ভালো কাজই করেছে।
Γνοὺς δὲ ὁ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτοῖς, Τί κόπους παρέχετε τῇ γυναικί; Ἔργον γὰρ καλὸν εἰργάσατο εἰς ἐμέ.
11 দরিদ্রেরা তোমাদের সঙ্গে সবসময়ই থাকবে, কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না।
Πάντοτε γὰρ τοὺς πτωχοὺς ἔχετε μεθ᾿ ἑαυτῶν, ἐμὲ δὲ οὐ πάντοτε ἔχετε.
12 সে আমার শরীরে এই সুগন্ধি তেল ঢেলে আমাকে সমাধির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করল।
Βαλοῦσα γὰρ αὕτη τὸ μύρον τοῦτο ἐπὶ τοῦ σώματός μου, πρὸς τὸ ἐνταφιάσαι με ἐποίησεν.
13 আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে যেখানেই এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।”
Ἀμὴν λέγω ὑμῖν, ὅπου ἐὰν κηρυχθῇ τὸ εὐαγγέλιον τοῦτο ἐν ὅλῳ τῷ κόσμῳ, λαληθήσεται καὶ ὃ ἐποίησεν αὕτη εἰς μνημόσυνον αὐτῆς.
14 তখন সেই বারোজনের মধ্যে একজন, যে যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নামে আখ্যাত, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল,
Τότε πορευθεὶς εἷς τῶν δώδεκα, ὁ λεγόμενος Ἰούδας Ἰσκαριώτης, πρὸς τοὺς ἀρχιερεῖς,
15 “যীশুকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করলে, আপনারা আমাকে কী দেবেন?” তারা তাকে ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা গুনে দিল।
εἶπε, Τί θέλετέ μοι δοῦναι, κἀγὼ ὑμῖν παραδώσω αὐτόν; Οἱ δὲ ἔστησαν αὐτῷ τριάκοντα ἀργύρια,
16 সেই সময় থেকে যিহূদা তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
καὶ ἀπὸ τότε ἐζήτει εὐκαιρίαν ἵνα αὐτὸν παραδῷ.
17 খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে, শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণের প্রস্তুতি আমরা কোথায় করব?”
Τῇ δὲ πρώτῃ τῶν ἀζύμων προσῆλθον οἱ μαθηταὶ τῷ Ἰησοῦ, λέγοντες αὐτῷ, Ποῦ θέλεις ἑτοιμάσωμέν σοι φαγεῖν τὸ Πάσχα;
18 তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা নগরে জনৈক ব্যক্তির কাছে যাও ও তাকে বলো, ‘গুরুমহাশয় বলছেন, আমার জন্য নির্ধারিত সময় এসে গেছে। আমি তোমার গৃহে আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে চাই।’”
Ὁ δὲ εἶπεν, Ὑπάγετε εἰς τὴν πόλιν πρὸς τὸν δεῖνα, καὶ εἴπατε αὐτῷ, Ὁ διδάσκαλος λέγει, Ὁ καιρός μου ἐγγύς ἐστι· πρὸς σε ποιῶ τὸ Πάσχα μετὰ τῶν μαθητῶν μου.
19 তাই শিষ্যেরা যীশুর নির্দেশমতো কাজ করলেন ও গিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
Καὶ ἐποίησαν οἱ μαθηταὶ ὡς συνέταξεν αὐτοῖς ὁ Ἰησοῦς, καὶ ἡτοίμασαν τὸ Πάσχα.
20 সন্ধ্যা হলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে ভোজের টেবিলে হেলান দিয়ে বসলেন।
Ὀψίας δὲ γενομένης ἀνέκειτο μετὰ τῶν δώδεκα.
21 তারা খাওয়াদাওয়া করছেন, এমন সময়ে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।”
Καὶ ἐσθιόντων αὐτῶν εἶπεν, Ἀμὴν λέγω ὑμῖν ὅτι εἷς ἐξ ὑμῶν παραδώσει με.
22 তাঁরা ভীষণ দুঃখিত হলেন ও একের পর এক তাঁকে বললেন, “প্রভু, সে নিশ্চয়ই আমি নই?”
Καὶ λυπούμενοι σφόδρα ἤρξαντο λέγειν αὐτῷ ἕκαστος αὐτῶν, Μήτι ἐγώ εἰμι, Κύριε;
23 যীশু উত্তর দিলেন, “যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে হাত ডুবালো, সেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
Ὁ δὲ ἀποκριθεὶς εἶπεν, Ὁ ἐμβάψας μετ᾿ ἐμοῦ ἐν τῷ τρυβλίῳ τὴν χεῖρα, οὗτός με παραδώσει.
24 মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।”
Ὁ μὲν υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου ὑπάγει, καθὼς γέγραπται περὶ αὐτοῦ· οὐαὶ δὲ τῷ ἀνθρώπῳ ἐκείνῳ δι᾿ οὗ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου παραδίδοται· καλὸν ἦν αὐτῷ εἰ οὐκ ἐγεννήθη ὁ ἄνθρωπος ἐκεῖνος.
25 তখন, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সেই যিহূদা বলল, “রব্বি, সে নিশ্চয়ই আমি নই?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, তুমিই সে।”
Ἀποκριθεὶς δὲ Ἰούδας ὁ παραδιδοὺς αὐτὸν εἶπε, Μήτι ἐγώ εἰμι, ῥαββί; Λέγει αὐτῷ, Σὺ εἶπας.
26 তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও, এবং ভোজন করো; এ আমার শরীর।”
Ἐσθιόντων δὲ αὐτῶν, λαβὼν ὁ Ἰησοῦς τὸν ἄρτον, καὶ εὐλογήσας ἔκλασε καὶ ἐδίδου τοῖς μαθηταῖς, καὶ εἶπε, Λάβετε, φάγετε· τοῦτό ἐστι τὸ σῶμά μου.
27 তারপর তিনি পানপাত্র নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও শিষ্যদের তা দিয়ে বললেন, “তোমরা সবাই এর থেকে পান করো।
Καὶ λαβὼν τὸ ποτήριον καὶ εὐχαριστήσας ἔδωκεν αὐτοῖς, λέγων, Πίετε ἐξ αὐτοῦ πάντες·
28 এ আমার রক্ত, সেই নতুন নিয়মের রক্ত, যা পাপক্ষমার উদ্দেশ্যে অনেকের জন্য পাতিত হচ্ছে।
τοῦτο γάρ ἐστι τὸ αἷμά μου, τὸ τῆς καινῆς διαθήκης, τὸ περὶ πολλῶν ἐκχυνόμενον εἰς ἄφεσιν ἁμαρτιῶν.
29 আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে আমি এই দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না, যতদিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে নতুন দ্রাক্ষারস পান করি।”
Λέγω δὲ ὑμῖν ὅτι οὐ μὴ πίω ἀπ᾿ ἄρτι ἐκ τούτου τοῦ γεννήματος τῆς ἀμπέλου, ἕως τῆς ἡμέρας ἐκείνης ὅταν αὐτὸ πίνω μεθ᾿ ὑμῶν καινὸν ἐν τῇ βασιλείᾳ τοῦ πατρός μου.
30 পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন।
Καὶ ὑμνήσαντες ἐξῆλθον εἰς τὸ ὄρος τῶν Ἐλαιῶν.
31 তারপর যীশু তাঁদের বললেন, “এই রাত্রিতে তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে, “‘আমি পালরক্ষককে আঘাত করব, তাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।’
Τότε λέγει αὐτοῖς ὁ Ἰησοῦς, Πάντες ὑμεῖς σκανδαλισθήσεσθε ἐν ἐμοὶ ἐν τῇ νυκτὶ ταύτῃ· γέγραπται γάρ, Πατάξω τὸν ποιμένα, καὶ διασκορπισθήσεται τὰ πρόβατα τῆς ποίμνης.
32 কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।”
Μετὰ δὲ τὸ ἐγερθῆναί με, προάξω ὑμᾶς εἰς τὴν Γαλιλαίαν.
33 পিতর উত্তর দিলেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও, আমি কিন্তু কখনও যাব না।”
Ἀποκριθεὶς δὲ ὁ Πέτρος εἶπεν αὐτῷ, Εἰ καὶ πάντες σκανδαλισθήσονται ἐν σοί, ἐγὼ οὐδέποτε σκανδαλισθήσομαι.
34 প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজ রাত্রে, মোরগ ডাকার আগেই, তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।”
Ἔφη αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Ἀμὴν λέγω σοι ὅτι ἐν ταύτῃ τῇ νυκτί, πρὶν ἀλέκτορα φωνῆσαι, τρὶς ἀπαρνήσῃ με.
35 কিন্তু পিতর তাঁকে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” অন্য সব শিষ্যও একই কথা বললেন।
Λέγει αὐτῷ ὁ Πέτρος, Κἂν δέῃ με σὺν σοὶ ἀποθανεῖν, οὐ μή σε ἀπαρνήσομαι. Ὁμοίως καὶ πάντες οἱ μαθηταὶ εἶπον.
36 তারপর যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে গেৎশিমানি নামে এক স্থানে গেলেন। তিনি তাদের বললেন, “আমি যতক্ষণ ওখানে প্রার্থনা করি তোমরা ততক্ষণ এখানে বসে থাকো।”
Τότε ἔρχεται μετ᾿ αὐτῶν ὁ Ἰησοῦς εἰς χωρίον λεγόμενον Γεθσημανῆ, καὶ λέγει τοῖς μαθηταῖς, Καθίσατε αὐτοῦ, ἕως οὗ ἀπελθὼν προσεύξωμαι ἐκεῖ.
37 তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই পুত্রকে তাঁর সঙ্গে নিলেন। তিনি ক্রমেই দুঃখার্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন।
Καὶ παραλαβὼν τὸν Πέτρον καὶ τοὺς δύο υἱοὺς Ζεβεδαίου, ἤρξατο λυπεῖσθαι καὶ ἀδημονεῖν.
38 তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং আমার সঙ্গে জেগে থাকো।”
Τότε λέγει αὐτοῖς, Περίλυπός ἐστιν ἡ ψυχή μου ἕως θανάτου· μείνατε ὧδε καὶ γρηγορεῖτε μετ᾿ ἐμοῦ.
39 আরও কিছু দূর এগিয়ে, তিনি ভূমিতে উবুড় হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূর করে দাও। তবুও আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছামতো হোক।”
Καὶ προελθὼν μικρόν, ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ προσευχόμενος καὶ λέγων, Πάτερ μου, εἰ δυνατόν ἐστι, παρελθέτω ἀπ᾿ ἐμοῦ τὸ ποτήριον τοῦτο· πλὴν οὐχ ὡς ἐγὼ θέλω, ἀλλ᾿ ὡς σύ.
40 তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি এক ঘণ্টাও আমার সঙ্গে জেগে থাকতে পারলে না?
Καὶ ἔρχεται πρὸς τοὺς μαθητὰς καὶ εὑρίσκει αὐτοὺς καθεύδοντας, καὶ λέγει τῷ Πέτρῳ, Οὕτως οὐκ ἰσχύσατε μίαν ὥραν γρηγορῆσαι μετ᾿ ἐμοῦ;
41 জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন তোমরা প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।”
Γρηγορεῖτε καὶ προσεύχεσθε, ἵνα μὴ εἰσέλθητε εἰς πειρασμόν. Τὸ μὲν πνεῦμα πρόθυμον, ἡ δὲ σὰρξ ἀσθενής.
42 তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা আমার, আমি পান না করলে যদি এই পাত্র দূর না হয়, তাহলে তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক।”
Πάλιν ἐκ δευτέρου ἀπελθὼν προσηύξατο, λέγων, Πάτερ μου, εἰ οὐ δύναται τοῦτο τὸ ποτήριον παρελθεῖν ἀπ᾿ ἐμοῦ, ἐὰν μὴ αὐτὸ πίω, γενηθήτω τὸ θέλημά σου.
43 যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল।
Καὶ ἐλθὼν εὑρίσκει αὐτοὺς πάλιν καθεύδοντας· ἦσαν γὰρ αὐτῶν οἱ ὀφθαλμοὶ βεβαρημένοι.
44 তাই তিনি পুনরায় তাদের ছেড়ে এগিয়ে গেলেন ও একই কথা বলে তৃতীয়বার প্রার্থনা করলেন।
Καὶ ἀφεὶς αὐτοὺς ἀπελθὼν πάλιν προσηύξατο ἐκ τρίτου, τὸν αὐτὸν λόγον εἰπών.
45 তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? দেখো, সময় হয়েছে। মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
Τότε ἔρχεται πρὸς τοὺς μαθητὰς αὐτοῦ, καὶ λέγει αὐτοῖς, Καθεύδετε τὸ λοιπὸν καὶ ἀναπαύεσθε. Ἰδού, ἤγγικεν ἡ ὥρα, καὶ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου παραδίδοται εἰς χεῖρας ἁμαρτωλῶν.
46 ওঠো, চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে!”
Ἐγείρεσθε, ἄγωμεν. Ἰδού, ἤγγικεν ὁ παραδιδούς με.
47 তিনি তখনও কথা বলছেন সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা সেখানে এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল।
Καὶ ἔτι αὐτοῦ λαλοῦντος, ἰδού, Ἰούδας, εἷς τῶν δώδεκα, ἦλθε καὶ μετ᾿ αὐτοῦ ὄχλος πολὺς μετὰ μαχαιρῶν καὶ ξύλων, ἀπὸ τῶν ἀρχιερέων καὶ πρεσβυτέρων τοῦ λαοῦ.
48 সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো।”
Ὁ δὲ παραδιδοὺς αὐτὸν ἔδωκεν αὐτοῖς σημεῖον, λέγων, Ὃν ἂν φιλήσω, αὐτός ἐστι· κρατήσατε αὐτόν.
49 সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি, নমস্কার!” আর তাঁকে চুম্বন করল।
Καὶ εὐθέως προσελθὼν τῷ Ἰησοῦ εἶπε, Χαῖρε, ῥαββί· καὶ κατεφίλησεν αὐτόν.
50 যীশু উত্তর দিলেন, “বন্ধু, যা করতে এসেছ, তুমি তাই করো।” তখন সেই লোকেরা এগিয়ে এসে যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল।
Ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτῷ, Ἑταῖρε, ἐφ᾿ ᾧ πάρει; Τότε προσελθόντες ἐπέβαλον τὰς χεῖρας ἐπὶ τὸν Ἰησοῦν, καὶ ἐκράτησαν αὐτόν.
51 তাই দেখে যীশুর সঙ্গীদের একজন তাঁর তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার কান কেটে ফেললেন।
Καὶ ἰδού, εἷς τῶν μετὰ Ἰησοῦ, ἐκτείνας τὴν χεῖρα, ἀπέσπασε τὴν μάχαιραν αὐτοῦ, καὶ πατάξας τὸν δοῦλον τοῦ ἀρχιερέως ἀφεῖλεν αὐτοῦ τὸ ὠτίον.
52 যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার তরোয়াল পুনরায় স্বস্থানে রাখো, কারণ যারাই তরোয়াল ধারণ করে তারাই তরোয়ালের দ্বারা মৃত্যুবরণ করবে।
Τότε λέγει αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Ἀπόστρεψόν σου τὴν μάχαιραν εἰς τὸν τόπον αὐτῆς· πάντες γὰρ οἱ λαβόντες μάχαιραν ἐν μαχαίρᾳ ἀπολοῦνται.
53 তুমি কি মনে করো? আমি কি আমার পিতাকে ডাকতে পারি না, আর তিনি সঙ্গে সঙ্গে কি আমার অধীনে বারোটি বাহিনীরও বেশি দূত পাঠিয়ে দেবেন না?
Ἢ δοκεῖς ὅτι οὐ δύναμαι ἄρτι παρακαλέσαι τὸν πατέρα μου, καὶ παραστήσει μοι πλείους ἢ δώδεκα λεγεῶνας ἀγγέλων;
54 তাহলে শাস্ত্রবাণী কীভাবে পূর্ণ হবে, যা বলে যে, এসব এভাবেই ঘটবে?”
Πῶς οὖν πληρωθῶσιν αἱ γραφαί, ὅτι οὕτω δεῖ γενέσθαι;
55 সেই সময় যীশু লোকদের বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ? প্রতিদিন আমি মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি।
Ἐν ἐκείνῃ τῇ ὥρᾳ εἶπεν ὁ Ἰησοῦς τοῖς ὄχλοις, Ὡς ἐπὶ λῃστὴν ἐξήλθετε μετὰ μαχαιρῶν καὶ ξύλων συλλαβεῖν με; Καθ᾿ ἡμέραν πρὸς ὑμᾶς ἐκαθεζόμην διδάσκων ἐν τῷ ἱερῷ, καὶ οὐκ ἐκρατήσατέ με.
56 কিন্তু এ সমস্ত এজন্যই ঘটছে, যেন ভাববাদীদের লিখিত বচনগুলি পূর্ণ হয়।” তখন সব শিষ্য তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন।
Τοῦτο δὲ ὅλον γέγονεν, ἵνα πληρωθῶσιν αἱ γραφαὶ τῶν προφητῶν. Τότε οἱ μαθηταὶ πάντες ἀφέντες αὐτὸν ἔφυγον.
57 যারা যীশুকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে সব শাস্ত্রবিদ ও লোকদের প্রাচীনবর্গ সমবেত হয়েছিল।
Οἱ δὲ κρατήσαντες τὸν Ἰησοῦν ἀπήγαγον πρὸς Καϊάφαν τὸν ἀρχιερέα, ὅπου οἱ γραμματεῖς καὶ οἱ πρεσβύτεροι συνήχθησαν.
58 কিন্তু পিতর দূর থেকে, মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত যীশুকে অনুসরণ করলেন। তিনি প্রবেশ করে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখার জন্য রক্ষীদের কাছে গিয়ে বসলেন।
Ὁ δὲ Πέτρος ἠκολούθει αὐτῷ ἀπὸ μακρόθεν, ἕως τῆς αὐλῆς τοῦ ἀρχιερέως· καὶ εἰσελθὼν ἔσω ἐκάθητο μετὰ τῶν ὑπηρετῶν, ἰδεῖν τὸ τέλος.
59 প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল।
Οἱ δὲ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ πρεσβύτεροι καὶ τὸ συνέδριον ὅλον ἐζήτουν ψευδομαρτυρίαν κατὰ τοῦ Ἰησοῦ, ὅπως αὐτὸν θανατώσωσιν,
60 বহু মিথ্যাসাক্ষী এগিয়ে এলেও তারা সেরকম কিছুই পেল না। শেষে দুজন এগিয়ে
καὶ οὐχ εὗρον. Καὶ πολλῶν ψευδομαρτύρων προσελθόντων, οὐχ εὗρον.
61 এসে বলল, “এই লোকটি বলেছিল, ‘আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙে ফেলতে ও তিনদিনের মধ্যে তা পুনর্নির্মাণ করতে পারি।’”
Ὕστερον δὲ προσελθόντες δύο ψευδομάρτυρες εἶπον, Οὗτος ἔφη, Δύναμαι καταλῦσαι τὸν ναὸν τοῦ Θεοῦ, καὶ διὰ τριῶν ἡμερῶν οἰκοδομῆσαι αὐτόν.
62 তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে যীশুকে বললেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? এই লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে এসেছে, এগুলি কী?”
Καὶ ἀναστὰς ὁ ἀρχιερεὺς εἶπεν αὐτῷ, Οὐδὲν ἀποκρίνῃ; Τί οὗτοί σου καταμαρτυροῦσιν;
63 যীশু তবুও নীরব রইলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, “আমি জীবন্ত ঈশ্বরের নামে শপথ করে তোমাকে অভিযুক্ত করছি: আমাদের বলো দেখি, তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?”
Ὁ δὲ Ἰησοῦς ἐσιώπα. Καὶ ἀποκριθεὶς ὁ ἀρχιερεὺς εἶπεν αὐτῷ, Ἐξορκίζω σε κατὰ τοῦ Θεοῦ τοῦ ζῶντος, ἵνα ἡμῖν εἴπῃς εἰ σὺ εἶ ὁ Χριστός, ὁ υἱὸς τοῦ Θεοῦ.
64 যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বলেছ। কিন্তু আমি তোমাদের সবাইকে বলছি: ভাবীকালে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।”
Λέγει αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Σὺ εἶπας. Πλὴν λέγω ὑμῖν, ἀπ᾿ ἄρτι ὄψεσθε τὸν υἱὸν τοῦ ἀνθρώπου καθήμενον ἐκ δεξιῶν τῆς δυνάμεως καὶ ἐρχόμενον ἐπὶ τῶν νεφελῶν τοῦ οὐρανοῦ.
65 তখন মহাযাজক তাঁর কাপড় ছিঁড়ে ফেলে বললেন, “ও ঈশ্বরনিন্দা করেছে! আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন? দেখো, এখন তোমরা ঈশ্বরনিন্দা শুনলে।
Τότε ὁ ἀρχιερεὺς διέρρηξε τὰ ἱμάτια αὐτοῦ, λέγων ὅτι Ἐβλασφήμησε· τί ἔτι χρείαν ἔχομεν μαρτύρων; Ἴδε, νῦν ἠκούσατε τὴν βλασφημίαν αὐτοῦ.
66 তোমাদের অভিমত কী?” তারা উত্তর দিল, “ও মৃত্যুরই যোগ্য।”
Τί ὑμῖν δοκεῖ; Οἱ δὲ ἀποκριθέντες εἶπον, Ἔνοχος θανάτου ἐστί.
67 তারা তখন তাঁর মুখে থুতু দিল ও তাঁকে ঘুসি মারল।
Τότε ἐνέπτυσαν εἰς τὸ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ ἐκολάφισαν αὐτόν· οἱ δὲ ἐρράπισαν,
68 অন্যেরা তাঁকে চড় মেরে বলতে লাগল, “ওরে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল দেখি, কে তোকে মারল?”
λέγοντες, Προφήτευσον ἡμῖν, Χριστέ. Τίς ἐστιν ὁ παίσας σε;
69 সেই সময় পিতর বাইরের উঠানে বসেছিলেন। একজন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, “তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।”
Ὁ δὲ Πέτρος ἔξω ἐκάθητο ἐν τῇ αὐλῇ· καὶ προσῆλθεν αὐτῷ μία παιδίσκη, λέγουσα, Καὶ σὺ ἦσθα μετὰ Ἰησοῦ τοῦ Γαλιλαίου.
70 কিন্তু তিনি তাদের সবার সামনে সেকথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “আমি জানি না, তুমি কী বলছ।”
Ὁ δὲ ἠρνήσατο ἔμπροσθεν πάντων, λέγων, Οὐκ οἶδα τί λέγεις.
71 তখন তিনি ফটকের কাছে গেলেন। সেখানে অন্য একজন দাসী তাঁকে দেখে, সেখানকার লোকজনকে বলল, “এই লোকটিও নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল।”
Ἐξελθόντα δὲ αὐτὸν εἰς τὸν πυλῶνα, εἶδεν αὐτὸν ἄλλη, καὶ λέγει τοῖς ἐκεῖ, Καὶ οὗτος ἦν μετὰ Ἰησοῦ τοῦ Ναζωραίου.
72 তিনি শপথ করে আবার তা অস্বীকার করলেন, বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনি না!”
Καὶ πάλιν ἠρνήσατο μεθ᾿ ὅρκου ὅτι Οὐκ οἶδα τὸν ἄνθρωπον.
73 আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তারা পিতরের কাছে গিয়ে বলল, “নিশ্চিতরূপে তুমি তাদেরই একজন, কারণ তোমার উচ্চারণভঙ্গিই তা প্রকাশ করছে।”
Μετὰ μικρὸν δὲ προσελθόντες οἱ ἑστῶτες εἶπον τῷ Πέτρῳ, Ἀληθῶς καὶ σὺ ἐξ αὐτῶν εἶ· καὶ γὰρ ἡ λαλιά σου δῆλόν σε ποιεῖ.
74 তখন তিনি নিজের উপরে অভিশাপ ডেকে এনে তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনিই না!” সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডেকে উঠল।
Τότε ἤρξατο καταναθεματίζειν καὶ ὀμνύειν ὅτι Οὐκ οἶδα τὸν ἄνθρωπον. Καὶ εὐθέως ἀλέκτωρ ἐφώνησε.
75 তখন যীশু যে কথা বলেছিলেন, তা পিতরের মনে পড়ল, “মোরগ ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” আর তিনি বাইরে গিয়ে খুব কাঁদতে লাগলেন।
Καὶ ἐμνήσθη ὁ Πέτρος τοῦ ῥήματος τοῦ Ἰησοῦ εἰρηκότος αὐτῷ ὅτι Πρὶν ἀλέκτορα φωνῆσαι, τρὶς ἀπαρνήσῃ με. Καὶ ἐξελθὼν ἔξω ἔκλαυσε πικρῶς.