< মথি 20 >
1 “কারণ স্বর্গরাজ্য এমন এক গৃহকর্তার মতো, যিনি তাঁর দ্রাক্ষাক্ষেতে কর্মী নিয়োগের জন্য ভোরবেলা বাইরে গেলেন।
ὁμοία γάρ ἐστιν ἡ βασιλεία τῶν οὐρανῶν ἀνθρώπῳ οἰκοδεσπότῃ, ὅστις ἐξῆλθεν ἅμα πρωῒ μισθώσασθαι ἐργάτας εἰς τὸν ἀμπελῶνα αὐτοῦ.
2 কর্মীদের দৈনিক এক দিনার পারিশ্রমিক দিতে সম্মত হয়ে তাদের তিনি নিজের দ্রাক্ষাক্ষেতে পাঠিয়ে দিলেন।
συμφωνήσας δὲ μετὰ τῶν ἐργατῶν ἐκ δηναρίου τὴν ἡμέραν, ἀπέστειλεν αὐτοὺς εἰς τὸν ἀμπελῶνα αὐτοῦ.
3 “সকাল নয়টার সময় তিনি বাইরে গিয়ে দেখলেন, আরও কিছু মানুষ বাজারে নিষ্কর্মা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
καὶ ἐξελθὼν περὶ τρίτην ὥραν εἶδεν ἄλλους ἑστῶτας ἐν τῇ ἀγορᾷ ἀργούς·
4 তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরাও গিয়ে আমার দ্রাক্ষাক্ষেতে কাজ করো, যা ন্যায়সংগত তা আমি তোমাদের দেব।’
κἀκείνοις εἶπεν, Ὑπάγετε καὶ ὑμεῖς εἰς τὸν ἀμπελῶνα, καὶ ὃ ἐὰν ᾖ δίκαιον δώσω ὑμῖν.
5 তাতে তারাও গেল। “বেলা বারোটার সময় ও বিকেল তিনটের সময় তিনি আবার বাইরে গিয়ে সেরকম করলেন।
οἱ δὲ ἀπῆλθον. πάλιν δὲ ἐξελθὼν περὶ ἕκτην καὶ ἐνάτην ὥραν ἐποίησεν ὡσαύτως.
6 বিকেল প্রায় পাঁচটার সময় তিনি বাইরে গিয়ে দেখলেন, আরও কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কেন এখানে সমস্ত দিন নিষ্কর্মা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছ?’
περὶ δὲ τὴν ἑνδεκάτην ἐξελθὼν εὗρεν ἄλλους ἑστῶτας καὶ λέγει αὐτοῖς, Τί ὧδε ἑστήκατε ὅλην τὴν ἡμέραν ἀργοί;
7 “তারা উত্তর দিল, ‘কারণ কেউই আমাদের কাজে লাগায়নি।’ “তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরাও গিয়ে আমার দ্রাক্ষাক্ষেতে কাজ করো।’
λέγουσιν αὐτῷ, Ὅτι οὐδεὶς ἡμᾶς ἐμισθώσατο. λέγει αὐτοῖς, Ὑπάγετε καὶ ὑμεῖς εἰς τὸν ἀμπελῶνα.
8 “পরে সন্ধ্যা হলে, দ্রাক্ষাক্ষেতের মালিক তাঁর নায়েবকে ডেকে বললেন, ‘সব কর্মীকে ডেকে শেষের জন থেকে শুরু করে প্রথমজন পর্যন্ত প্রত্যেককে তাদের মজুরি দিয়ে দাও।’
Ὀψίας δὲ γενομένης λέγει ὁ κύριος τοῦ ἀμπελῶνος τῷ ἐπιτρόπῳ αὐτοῦ, Κάλεσον τοὺς ἐργάτας, καὶ ἀπόδος [αὐτοῖς] τὸν μισθόν, ἀρξάμενος ἀπὸ τῶν ἐσχάτων ἕως τῶν πρώτων.
9 “বিকেল পাঁচটায় যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তারা এসে সকলে এক দিনার করে পেল।
καὶ ἐλθόντες οἱ περὶ τὴν ἑνδεκάτην ὥραν ἔλαβον ἀνὰ δηνάριον.
10 তখন যাদের সর্বপ্রথমে নিযুক্ত করা হয়েছিল, তারা এসে আরও বেশি পারিশ্রমিক আশা করল। কিন্তু তারা প্রত্যেকে এক দিনার করেই পেল।
καὶ ἐλθόντες οἱ πρῶτοι ἐνόμισαν ὅτι πλεῖον λήμψονται· καὶ ἔλαβον τὸ ἀνὰ δηνάριον καὶ αὐτοί·
11 তারা তা পেয়ে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে লাগল।
λαβόντες δὲ ἐγόγγυζον κατὰ τοῦ οἰκοδεσπότου
12 তারা বলল, ‘এই লোকেরা, যাদের বিকেল পাঁচটায় নিয়োগ করা হয়েছিল, তারা তো কেবলমাত্র এক ঘণ্টা কাজ করেছে। আর আমরা যারা সমস্ত দিনের কাজের ভারবহন করে রোদের তাপে পুড়েছি, আপনি কি না আমাদের সমান মজুরি তাদের দিলেন।’
λέγοντες, Οὗτοι οἱ ἔσχατοι μίαν ὥραν ἐποίησαν, καὶ ἴσους ἡμῖν αὐτοὺς ἐποίησας, τοῖς βαστάσασιν τὸ βάρος τῆς ἡμέρας καὶ τὸν καύσωνα.
13 “কিন্তু তিনি তাদের একজনকে উত্তর দিলেন, ‘বন্ধু, আমি তোমার প্রতি কোনও অবিচার করিনি। তুমি কি এক দিনারের বিনিময়ে কাজ করতে সম্মত হওনি?
ὁ δὲ ἀποκριθεὶς εἶπεν ἑνὶ αὐτῶν, Ἑταῖρε, οὐκ ἀδικῶ σε· οὐχὶ δηναρίου συνεφώνησάς μοι;
14 তোমার পাওনা নিয়ে চলে যাও। আমার ইচ্ছা আমি শেষে নিয়োগ করা লোকটিকেও তোমার সমানই মজুরি দেব।
ἆρον τὸ σὸν καὶ ὕπαγε. θέλω δὲ τούτῳ τῷ ἐσχάτῳ δοῦναι ὡς καὶ σοί·
15 আমার অর্থ নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করার কি অধিকার আমার নেই? না, আমি সদয় বলে তুমি ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছ?’
οὐκ ἔξεστίν μοι ὃ θέλω ποιῆσαι ἐν τοῖς ἐμοῖς; ἢ ὁ ὀφθαλμός σου πονηρός ἐστιν, ὅτι ἐγὼ ἀγαθός εἰμι;
16 “এভাবেই শেষের জন প্রথম হবে ও প্রথমের জন শেষে পড়বে।”
οὕτως ἔσονται οἱ ἔσχατοι πρῶτοι, καὶ οἱ πρῶτοι ἔσχατοι· [πολλοὶ γάρ εἰσιν κλητοί, ὀλίγοι δὲ ἐκλεκτοί.]
17 এসময় যীশু যখন জেরুশালেমের পথে যাচ্ছিলেন, তিনি সেই বারোজন শিষ্যকে এক পাশে ডেকে বললেন,
Καὶ ἀναβαίνων ὁ Ἰησοῦς εἰς Ἱεροσόλυμα παρέλαβεν τοὺς δώδεκα κατ᾽ ἰδίαν, καὶ ἐν τῇ ὁδῷ εἶπεν αὐτοῖς,
18 “আমরা জেরুশালেম পর্যন্ত যাচ্ছি, আর মনুষ্যপুত্রকে প্রধান যাজকদের ও শাস্ত্রবিদদের হাতে সমর্পণ করা হবে। তারা তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করবে
Ἰδοὺ ἀναβαίνομεν εἰς Ἱεροσόλυμα, καὶ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου παραδοθήσεται τοῖς ἀρχιερεῦσιν καὶ γραμματεῦσιν, καὶ κατακρινοῦσιν αὐτὸν θανάτῳ,
19 ও অইহুদিদের হাতে তুলে দেবে। তারা তাঁকে বিদ্রুপ করবে ও চাবুক দিয়ে মারার এবং ক্রুশার্পিত হওয়ার জন্য তাঁকে সমর্পণ করবে। কিন্তু তৃতীয় দিনে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হবেন।”
καὶ παραδώσουσιν αὐτὸν τοῖς ἔθνεσιν εἰς τὸ ἐμπαῖξαι καὶ μαστιγῶσαι καὶ σταυρῶσαι· καὶ τῇ τρίτῃ ἡμέρᾳ ἐγερθήσεται.
20 পরে সিবদিয়ের দুই পুত্রের মা তাদের নিয়ে যীশুর কাছে এলেন এবং নতজানু হয়ে তাঁর কাছে এক প্রার্থনা চাইলেন।
Τότε προσῆλθεν αὐτῷ ἡ μήτηρ τῶν υἱῶν Ζεβεδαίου μετὰ τῶν υἱῶν αὐτῆς, προσκυνοῦσα καὶ αἰτοῦσά τι ἀπ᾽ αὐτοῦ.
21 তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কী চাও?” তিনি বললেন, “অনুমতি দিন যেন আপনার রাজ্যে আমার এক ছেলে আপনার ডানদিকে ও অন্যজন বাঁদিকে বসতে পায়।”
ὁ δὲ εἶπεν αὐτῇ, Τί θέλεις; λέγει αὐτῷ, Εἰπὲ ἵνα καθίσωσιν οὗτοι οἱ δύο υἱοί μου εἷς ἐκ δεξιῶν σου καὶ εἷς ἐξ εὐωνύμων σου ἐν τῇ βασιλείᾳ σου.
22 যীশু তাদের বললেন, “তোমরা কী চাইছ, তা তোমরা বোঝো না। আমি যে পানপাত্রে পান করি, তাতে কি তোমরা পান করতে পারো?” তারা উত্তর দিলেন, “আমরা পারি।”
ἀποκριθεὶς δὲ ὁ Ἰησοῦς εἶπεν, Οὐκ οἴδατε τί αἰτεῖσθε. δύνασθε πιεῖν τὸ ποτήριον ὃ ἐγὼ μέλλω πίνειν; λέγουσιν αὐτῷ, Δυνάμεθα.
23 যীশু তাদের বললেন, “তোমরা সত্যিই আমার পানপাত্র থেকে পান করবে, কিন্তু আমার ডানদিকে বা বাঁদিকে বসার অনুমতি আমি দিতে পারি না। আমার পিতা যাদের জন্য তা নির্ধারিত করেছেন, এই স্থানগুলিতে কেবলমাত্র তারাই বসতে পারবে।”
λέγει αὐτοῖς, Τὸ μὲν ποτήριόν μου πίεσθε, τὸ δὲ καθίσαι ἐκ δεξιῶν μου καὶ ἐξ εὐωνύμων, οὐκ ἔστιν ἐμὸν δοῦναι, ἀλλ᾽ οἷς ἡτοίμασται ὑπὸ τοῦ πατρός μου.
24 অন্য দশজন একথা শুনে সেই দুই ভাইয়ের প্রতি রুষ্ট হলেন।
καὶ ἀκούσαντες οἱ δέκα ἠγανάκτησαν περὶ τῶν δύο ἀδελφῶν.
25 যীশু তাদের সকলকে কাছে ডেকে বললেন, “তোমরা জানো, পরজাতীয়দের শাসকেরা তাদের উপরে প্রভুত্ব করে, আবার তাদের উচ্চপদাধিকারীরাও তাদের উপরে কর্তৃত্ব করে।
ὁ δὲ Ἰησοῦς προσκαλεσάμενος αὐτοὺς εἶπεν, Οἴδατε ὅτι οἱ ἄρχοντες τῶν ἐθνῶν κατακυριεύουσιν αὐτῶν, καὶ οἱ μεγάλοι κατεξουσιάζουσιν αὐτῶν.
26 তোমাদের ক্ষেত্রে সেরকম হবে না। বরং, কেউ যদি তোমাদের মধ্যে মহান হতে চায়, তাকে অবশ্যই তোমাদের দাস হতে হবে।
οὐχ οὕτως ἐστὶν ἐν ὑμῖν, ἀλλ᾽ ὃς ἂν θέλῃ ἐν ὑμῖν μέγας γενέσθαι, ἔσται ὑμῶν διάκονος·
27 আর কেউ যদি প্রধান হতে চায়, তাকে অবশ্যই তোমাদের ক্রীতদাস হতে হবে।
καὶ ὃς ἂν θέλῃ ἐν ὑμῖν εἶναι πρῶτος, ἔσται ὑμῶν δοῦλος·
28 যেমন মনুষ্যপুত্রও সেবা পেতে আসেননি, কিন্তু সেবা করতে ও অনেকের পরিবর্তে নিজের প্রাণ মুক্তিপণস্বরূপ দিতে এসেছেন।”
ὥσπερ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου οὐκ ἦλθεν διακονηθῆναι, ἀλλὰ διακονῆσαι καὶ δοῦναι τὴν ψυχὴν αὐτοῦ λύτρον ἀντὶ πολλῶν.
29 যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যখন যিরীহো ছেড়ে যাচ্ছিলেন, অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল।
Καὶ ἐκπορευομένων αὐτῶν ἀπὸ Ἱεριχὼ ἠκολούθησεν αὐτῷ ὄχλος πολύς.
30 দুজন অন্ধ মানুষ পথের পাশে বসেছিল। তারা যখন শুনল, যীশু সেই পথ দিয়ে যাচ্ছেন, তারা চিৎকার করে বলল, “প্রভু, দাউদ-সন্তান, আমাদের প্রতি কৃপা করুন!”
καὶ ἰδοὺ δύο τυφλοὶ καθήμενοι παρὰ τὴν ὁδόν, ἀκούσαντες ὅτι Ἰησοῦς παράγει ἔκραξαν λέγοντες, Κύριε, ἐλέησον ἡμᾶς, υἱὸς Δαυείδ.
31 লোকেরা তাদের ধমক দিয়ে শান্ত থাকতে বলল, কিন্তু তারা আরও জোরে চিৎকার করতে লাগল, “প্রভু, দাউদ-সন্তান, আমাদের প্রতি কৃপা করুন!”
ὁ δὲ ὄχλος ἐπετίμησεν αὐτοῖς ἵνα σιωπήσωσιν. οἱ δὲ μεῖζον ἔκραξαν λέγοντες, Κύριε, ἐλέησον ἡμᾶς, υἱὸς Δαυείδ.
32 যীশু পথ চলা থামিয়ে তাদের ডাকলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী চাও, আমি তোমাদের জন্য কী করব?”
καὶ στὰς ὁ Ἰησοῦς ἐφώνησεν αὐτοὺς καὶ εἶπεν, Τί θέλετε ποιήσω ὑμῖν;
33 তারা উত্তর দিল, “প্রভু, আমরা দৃষ্টিশক্তি পেতে চাই।”
λέγουσιν αὐτῷ, Κύριε, ἵνα ἀνοιγῶσιν οἱ ὀφθαλμοὶ ἡμῶν.
34 যীশু তাদের প্রতি করুণায় পূর্ণ হয়ে তাদের চোখ স্পর্শ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা দৃষ্টিশক্তি লাভ করল ও তাঁকে অনুসরণ করতে লাগল।
σπλαγχνισθεὶς δὲ ὁ Ἰησοῦς ἥψατο τῶν ὀμμάτων αὐτῶν, καὶ εὐθέως ἀνέβλεψαν, καὶ ἠκολούθησαν αὐτῷ.