< মথি 19 >
1 যীশু এসব কথা বলা শেষ করে গালীল প্রদেশ ত্যাগ করলেন এবং জর্ডন নদীর অপর পারে যিহূদিয়ার অঞ্চলে উপস্থিত হলেন।
Καὶ ἐγένετο ὅτε ἐτέλεσεν ὁ Ἰησοῦς τοὺς λόγους τούτους, μετῆρεν ἀπὸ τῆς Γαλιλαίας, καὶ ἦλθεν εἰς τὰ ὅρια τῆς Ἰουδαίας πέραν τοῦ Ἰορδάνου.
2 অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল, আর তিনি সেখানে অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করলেন।
Καὶ ἠκολούθησαν αὐτῷ ὄχλοι πολλοί, καὶ ἐθεράπευσεν αὐτοὺς ἐκεῖ.
3 কয়েকজন ফরিশী তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে এসে প্রশ্ন করল, “কোনো পুরুষের পক্ষে তার স্ত্রীকে যে কোনো কারণে পরিত্যাগ করা কি বিধিসংগত?”
Καὶ προσῆλθον αὐτῷ οἱ Φαρισαῖοι πειράζοντες αὐτόν, καὶ λέγοντες αὐτῷ, Εἰ ἔξεστιν ἀνθρώπῳ ἀπολῦσαι τὴν γυναῖκα αὐτοῦ κατὰ πᾶσαν αἰτίαν;
4 তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা কি পাঠ করোনি যে, প্রথমে সৃষ্টিকর্তা ‘তাদের পুরুষ ও স্ত্রীলোক করে সৃষ্টি করেছিলেন?’
Ὁ δὲ ἀποκριθεὶς εἶπεν αὐτοῖς, Οὐκ ἀνέγνωτε ὅτι ὁ ποιήσας ἀπ᾿ ἀρχῆς ἄρσεν καὶ θῆλυ ἐποίησεν αὐτούς,
5 তিনি বললেন, ‘এই কারণে একজন পুরুষ তার পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করবে, তার স্ত্রীর সাথে সংযুক্ত হবে ও সেই দুজন একাঙ্গ হবে।’
καὶ εἶπεν, Ἕνεκεν τούτου καταλείψει ἄνθρωπος τὸν πατέρα καὶ τὴν μητέρα, καὶ προσκολληθήσεται τῇ γυναικὶ αὐτοῦ, καὶ ἔσονται οἱ δύο εἰς σάρκα μίαν;
6 তাই, তারা আর দুজন নয়, কিন্তু অভিন্নসত্তা। সেই কারণে, ঈশ্বর যা সংযুক্ত করেছেন, কোনো মানুষ তা বিচ্ছিন্ন না করুক।”
Ὥστε οὐκέτι εἰσὶ δύο, ἀλλὰ σὰρξ μία. Ὃ οὖν ὁ Θεὸς συνέζευξεν, ἄνθρωπος μὴ χωριζέτω.
7 তারা জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে মোশি কেন ত্যাগপত্র লিখে দিয়ে স্ত্রীকে বিদায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন?”
Λέγουσιν αὐτῷ, Τί οὖν Μωσῆς ἐνετείλατο δοῦναι βιβλίον ἀποστασίου, καὶ ἀπολῦσαι αὐτήν;
8 যীশু উত্তর দিলেন, “তোমাদের মন কঠোর বলেই মোশি তোমাদের স্ত্রীকে ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম থেকে এরকম বিধান ছিল না।
Λέγει αὐτοῖς ὅτι Μωσῆς πρὸς τὴν σκληροκαρδίαν ὑμῶν ἐπέτρεψεν ὑμῖν ἀπολῦσαι τὰς γυναῖκας ὑμῶν· ἀπ᾿ ἀρχῆς δὲ οὐ γέγονεν οὕτω.
9 আমি তোমাদের বলছি, বৈবাহিক জীবনে অবিশ্বস্ততার কারণ ছাড়া কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে অপর কোনো নারীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে।”
Λέγω δὲ ὑμῖν ὅτι ὃς ἂν ἀπολύσῃ τὴν γυναῖκα αὐτοῦ, εἰ μὴ ἐπὶ πορνείᾳ, καὶ γαμήσῃ ἄλλην, μοιχᾶται· καὶ ὁ ἀπολελυμένην γαμήσας μοιχᾶται.
10 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক যদি এরকম হয়, তাহলে বিবাহ না করাই ভালো।”
Λέγουσιν αὐτῷ οἱ μαθηταὶ αὐτοῦ, Εἰ οὕτως ἐστὶν ἡ αἰτία τοῦ ἀνθρώπου μετὰ τῆς γυναικός, οὐ συμφέρει γαμῆσαι.
11 যীশু উত্তর দিলেন, “সবাই একথা গ্রহণ করতে পারে না, কিন্তু যাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তারাই পারে।
Ὁ δὲ εἶπεν αὐτοῖς, Οὐ πάντες χωροῦσι τὸν λόγον τοῦτον, ἀλλ᾿ οἷς δέδοται.
12 কারণ কেউ কেউ নপুংসক, যেহেতু তারা সেইরকম হয়েই জন্মগ্রহণ করেছে; অন্যদের মানুষেরা নপুংসক করেছে; এছাড়াও আরও কিছু মানুষ স্বর্গরাজ্যের কারণে বিবাহ করতে অস্বীকার করেছে। যে এ বিষয় গ্রহণ করতে পারে সে গ্রহণ করুক।”
Εἰσὶ γὰρ εὐνοῦχοι, οἵτινες ἐκ κοιλίας μητρὸς ἐγεννήθησαν οὕτω· καί εἰσιν εὐνοῦχοι, οἵτινες εὐνουχίσθησαν ὑπὸ τῶν ἀνθρώπων· καί εἰσιν εὐνοῦχοι, οἵτινες εὐνούχισαν ἑαυτοὺς διὰ τὴν βασιλείαν τῶν οὐρανῶν. Ὁ δυνάμενος χωρεῖν χωρείτω.
13 এরপর ছোটো শিশুদের যীশুর কাছে নিয়ে আসা হল, যেন তিনি তাদের উপরে হাত রেখে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যারা তাদের এনেছিল শিষ্যেরা তাদের বকুনি দিলেন।
Τότε προσηνέχθη αὐτῷ παιδία, ἵνα τὰς χεῖρας ἐπιθῇ αὐτοῖς, καὶ προσεύξηται· οἱ δὲ μαθηταὶ ἐπετίμησαν αὐτοῖς.
14 যীশু বললেন, “ছোটো শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও, ওদের বাধা দিয়ো না। কারণ স্বর্গরাজ্য এদের মতো মানুষদেরই।”
Ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν, Ἄφετε τὰ παιδία, καὶ μὴ κωλύετε αὐτὰ ἐλθεῖν πρός με· τῶν γὰρ τοιούτων ἐστὶν ἡ βασιλεία τῶν οὐρανῶν.
15 তিনি তাদের উপরে হাত রেখে প্রার্থনা করে সেখান থেকে চলে গেলেন।
Καὶ ἐπιθεὶς αὐτοῖς τὰς χεῖρας, ἐπορεύθη ἐκεῖθεν.
16 সেই সময় একজন লোক এসে যীশুকে জিজ্ঞাসা করল, “গুরুমহাশয়, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমাকে কী ধরনের সৎকর্ম করতে হবে?” (aiōnios )
Καὶ ἰδού, εἷς προσελθὼν εἶπεν αὐτῷ, Διδάσκαλε ἀγαθέ, τί ἀγαθὸν ποιήσω, ἵνα ἔχω ζωὴν αἰώνιον; (aiōnios )
17 যীশু উত্তর দিলেন, “আমাকে সৎ-এর বিষয়ে কেন জিজ্ঞাসা করো? সৎ কেবলমাত্র একজনই আছেন। তুমি যদি জীবনে প্রবেশ করতে চাও, তাহলে অনুশাসনগুলি পালন করো।”
Ὁ δὲ εἶπεν αὐτῷ, Τί με λέγεις ἀγαθόν; Οὐδεὶς ἀγαθός, εἰ μὴ εἷς, ὁ Θεός. Εἰ δὲ θέλεις εἰσελθεῖν εἰς τὴν ζωήν, τήρησον τὰς ἐντολάς.
18 লোকটি জিজ্ঞাসা করল, “কোন কোন অনুশাসন?” যীশু উত্তর দিলেন, “নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না,
Λέγει αὐτῷ, Ποίας; Ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπε, Τὸ Οὐ φονεύσεις· οὐ μοιχεύσεις· οὐ κλέψεις· οὐ ψευδομαρτυρήσεις·
19 তোমার পিতামাতাকে সম্মান কোরো ও তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতোই প্রেম কোরো।”
τίμα τὸν πατέρα σου καὶ τὴν μητέρα· καί, ἀγαπήσεις τὸν πλησίον σου ὡς σεαυτόν.
20 যুবকটি বলল, “এ সমস্ত আমি পালন করেছি। আমার আর কী ত্রুটি আছে?”
Λέγει αὐτῷ ὁ νεανίσκος, Πάντα ταῦτα ἐφυλαξάμην ἐκ νεότητός μου· τί ἔτι ὑστερῶ;
21 যীশু উত্তর দিলেন, “তুমি যদি সিদ্ধ হতে চাও, তাহলে যাও, গিয়ে তোমার সব সম্পত্তি বিক্রি করে দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাহলে তুমি স্বর্গে ধন লাভ করবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ করো।”
Ἔφη αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Εἰ θέλεις τέλειος εἶναι, ὕπαγε, πώλησόν σου τὰ ὑπάρχοντα καὶ δὸς πτωχοῖς, καὶ ἕξεις θησαυρὸν ἐν οὐρανῷ· καὶ δεῦρο, ἀκολούθει μοι.
22 এই কথা শুনে যুবকটি দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার প্রচুর ধনসম্পত্তি ছিল।
Ἀκούσας δὲ ὁ νεανίσκος τὸν λόγον ἀπῆλθε λυπούμενος· ἦν γὰρ ἔχων κτήματα πολλά.
23 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, স্বর্গরাজ্যে ধনী মানুষের প্রবেশ করা কঠিন।
Ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπε τοῖς μαθηταῖς αὐτοῦ, Ἀμὴν λέγω ὑμῖν ὅτι δυσκόλως πλούσιος εἰσελεύσεται εἰς τὴν βασιλείαν τῶν οὐρανῶν.
24 আবার আমি তোমাদের বলছি, ধনী মানুষের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সুচের ছিদ্রপথ দিয়ে উটের পার হওয়া সহজ।”
Πάλιν δὲ λέγω ὑμῖν, εὐκοπώτερόν ἐστι κάμηλον διὰ τρυπήματος ῥαφίδος διελθεῖν, ἢ πλούσιον εἰς τὴν βασιλείαν τοῦ Θεοῦ εἰσελθεῖν.
25 শিষ্যেরা একথা শুনে অত্যন্ত আশ্চর্য হলেন ও জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে কে পরিত্রাণ পেতে পারে?”
Ἀκούσαντες δὲ οἱ μαθηταὶ αὐτοῦ ἐξεπλήσσοντο σφόδρα, λέγοντες, Τίς ἄρα δύναται σωθῆναι;
26 যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “মানুষের পক্ষে এটা অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব।”
Ἐμβλέψας δὲ ὁ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτοῖς, Παρὰ ἀνθρώποις τοῦτο ἀδύνατόν ἐστι, παρὰ δὲ Θεῷ πάντα δυνατά ἐστι.
27 পিতর উত্তরে তাঁকে বললেন, “আপনাকে অনুসরণ করার জন্য আমরা সবকিছু ত্যাগ করেছি। আমরা তাহলে কী পাব?”
Τότε ἀποκριθεὶς ὁ Πέτρος εἶπεν αὐτῷ, Ἰδού, ἡμεῖς ἀφήκαμεν πάντα καὶ ἠκολουθήσαμέν σοι· τί ἄρα ἔσται ἡμῖν;
28 যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সব বিষয়ের নতুন সৃষ্টিতে যখন মনুষ্যপুত্র মহিমার সিংহাসনে বসবেন, তখন তোমরা, যারা আমার অনুগামী হয়েছ, তোমরাও বারোটি সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো বংশের বিচার করবে।
Ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτοῖς, Ἀμὴν λέγω ὑμῖν ὅτι ὑμεῖς οἱ ἀκολουθήσαντές μοι, ἐν τῇ παλιγγενεσίᾳ ὅταν καθίσῃ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου ἐπὶ θρόνου δόξης αὐτοῦ, καθίσεσθε καὶ ὑμεῖς ἐπὶ δώδεκα θρόνους, κρίνοντες τὰς δώδεκα φυλὰς τοῦ Ἰσραήλ.
29 আর যে কেউ আমার কারণে তার বাড়ি বা ভাইদের বা বোনেদের বা বাবাকে বা মাকে বা সন্তানদের বা স্থাবর সম্পত্তি ত্যাগ করেছে, সে তার শতগুণ লাভ করবে ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে। (aiōnios )
Καὶ πᾶς ὃς ἀφῆκεν οἰκίας, ἢ ἀδελφούς, ἢ ἀδελφάς, ἢ πατέρα, ἢ μητέρα, ἢ γυναῖκα, ἢ τέκνα, ἢ ἀγρούς, ἕνεκεν τοῦ ὀνόματός μου, ἑκατονταπλασίονα λήψεται, καὶ ζωὴν αἰώνιον κληρονομήσει. (aiōnios )
30 কিন্তু যারা প্রথম, এমন অনেকে শেষে পড়বে, আর যারা শেষে তারা প্রথমে আসবে।”
Πολλοὶ δὲ ἔσονται πρῶτοι ἔσχατοι, καὶ ἔσχατοι πρῶτοι.