< মথি 19 >

1 যীশু এসব কথা বলা শেষ করে গালীল প্রদেশ ত্যাগ করলেন এবং জর্ডন নদীর অপর পারে যিহূদিয়ার অঞ্চলে উপস্থিত হলেন।
بَعْدَمَا أَنْهَى يَسُوعُ هَذَا الْكَلامَ، انْتَقَلَ مِنَ الْجَلِيلِ ذَاهِباً إِلَى نَوَاحِي مِنْطَقَةِ الْيَهُودِيَّةِ مَا وَرَاءَ نَهْرِ الأُرْدُنِّ.١
2 অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করল, আর তিনি সেখানে অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করলেন।
وَتَبِعَتْهُ جُمُوعٌ كَثِيرَةٌ، فَشَفَى مَرْضَاهُمْ هُنَاكَ.٢
3 কয়েকজন ফরিশী তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে এসে প্রশ্ন করল, “কোনো পুরুষের পক্ষে তার স্ত্রীকে যে কোনো কারণে পরিত্যাগ করা কি বিধিসংগত?”
وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ بَعْضُ الْفَرِّيسِيِّينَ يُجَرِّبُونَهُ، فَسَأَلُوهُ: «هَلْ يَحِلُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يُطَلِّقَ زَوْجَتَهُ لأَيِّ سَبَبٍ؟»٣
4 তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা কি পাঠ করোনি যে, প্রথমে সৃষ্টিকর্তা ‘তাদের পুরুষ ও স্ত্রীলোক করে সৃষ্টি করেছিলেন?’
فَأَجَابَهُمْ قَائِلاً: «أَلَمْ تَقْرَأُوا أَنَّ الْخَالِقَ جَعَلَ الإِنْسَانَ مُنْذُ الْبَدْءِ ذَكَراً وَأُنْثَى،٤
5 তিনি বললেন, ‘এই কারণে একজন পুরুষ তার পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করবে, তার স্ত্রীর সাথে সংযুক্ত হবে ও সেই দুজন একাঙ্গ হবে।’
وَقَالَ: لِذَلِكَ يَتْرُكُ الرَّجُلُ أَبَاهُ وَأُمَّهُ وَيَتَّحِدُ بِزَوْجَتِهِ، فَيَصِيرُ الاثْنَانِ جَسَداً وَاحِداً؟٥
6 তাই, তারা আর দুজন নয়, কিন্তু অভিন্নসত্তা। সেই কারণে, ঈশ্বর যা সংযুক্ত করেছেন, কোনো মানুষ তা বিচ্ছিন্ন না করুক।”
فَلَيْسَا فِيمَا بَعْدُ اثْنَيْنِ، بَلْ جَسَداً وَاحِداً. فَلا يُفَرِّقَنَّ الإِنْسَانُ مَا جَمَعَهُ اللهُ!»٦
7 তারা জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে মোশি কেন ত্যাগপত্র লিখে দিয়ে স্ত্রীকে বিদায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন?”
فَسَأَلُوهُ: «فَلِمَاذَا أَوْصَى مُوسَى بِأَنْ تُعْطَى الزَّوْجَةُ وَثِيقَةَ طَلاقٍ فَتُطَلَّقُ؟»٧
8 যীশু উত্তর দিলেন, “তোমাদের মন কঠোর বলেই মোশি তোমাদের স্ত্রীকে ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম থেকে এরকম বিধান ছিল না।
أَجَابَ: «بِسَبَبِ قَسَاوَةِ قُلُوبِكُمْ، سَمَحَ لَكُمْ مُوسَى بِتَطْلِيقِ زَوْجَاتِكُمْ. وَلَكِنَّ الأَمْرَ لَمْ يَكُنْ هَكَذَا مُنْذُ الْبَدْءِ.٨
9 আমি তোমাদের বলছি, বৈবাহিক জীবনে অবিশ্বস্ততার কারণ ছাড়া কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে অপর কোনো নারীকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে।”
وَلَكِنِّي أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ الَّذِي يُطَلِّقُ زَوْجَتَهُ لِغَيْرِ عِلَّةِ الزِّنَى، وَيَتَزَوَّجُ بِغَيْرِهَا، فَإِنَّهُ يَرْتَكِبُ الزِّنَى. وَالَّذِي يَتَزَوَّجُ بِمُطَلَّقَةٍ، يَرْتَكِبُ الزِّنَى».٩
10 শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, “স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক যদি এরকম হয়, তাহলে বিবাহ না করাই ভালো।”
فَقَالَ لَهُ تَلامِيذُهُ: «إِنْ كَانَتْ هَذِهِ حَالَةَ الزَّوْجِ مَعَ الزَّوْجَةِ، فَعَدَمُ الزَّوَاجِ أَفْضَلُ!»١٠
11 যীশু উত্তর দিলেন, “সবাই একথা গ্রহণ করতে পারে না, কিন্তু যাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তারাই পারে।
فَأَجَابَهُمْ: «هَذَا الْكَلامُ لَا يَقْبَلُهُ الْجَمِيعُ، بَلِ الَّذِينَ أُنْعِمَ عَلَيْهِمْ بِذَلِكَ.١١
12 কারণ কেউ কেউ নপুংসক, যেহেতু তারা সেইরকম হয়েই জন্মগ্রহণ করেছে; অন্যদের মানুষেরা নপুংসক করেছে; এছাড়াও আরও কিছু মানুষ স্বর্গরাজ্যের কারণে বিবাহ করতে অস্বীকার করেছে। যে এ বিষয় গ্রহণ করতে পারে সে গ্রহণ করুক।”
فَإِنَّ بَعْضَ الْخِصْيَانِ يُوْلَدُونَ مِنْ بُطُونِ أُمَّهَاتِهِمْ خِصْيَاناً؛ وَبَعْضُهُمْ قَدْ خَصَاهُمُ النَّاسُ؛ وَغَيْرُهُمْ قَدْ خَصَوْا أَنْفُسَهُمْ مِنْ أَجْلِ مَلَكُوتِ السَّمَاوَاتِ. فَمَنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَقْبَلَ هَذَا، فَلْيَقْبَلْهُ!»١٢
13 এরপর ছোটো শিশুদের যীশুর কাছে নিয়ে আসা হল, যেন তিনি তাদের উপরে হাত রেখে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যারা তাদের এনেছিল শিষ্যেরা তাদের বকুনি দিলেন।
ثُمَّ قَدَّمَ إِلَيْهِ بَعْضُهُمْ أَوْلاداً صِغَاراً لِيَضَعَ يَدَيْهِ عَلَيْهِمْ وَيُصَلِّيَ، فَزَجَرَهُمُ التَّلامِيذُ.١٣
14 যীশু বললেন, “ছোটো শিশুদের আমার কাছে আসতে দাও, ওদের বাধা দিয়ো না। কারণ স্বর্গরাজ্য এদের মতো মানুষদেরই।”
وَلَكِنَّ يَسُوعَ قَالَ: «دَعُوا الصِّغَارَ يَأْتُونَ إِلَيَّ وَلا تَمْنَعُوهُمْ، لأَنَّ لِمِثْلِ هَؤُلاءِ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ!»١٤
15 তিনি তাদের উপরে হাত রেখে প্রার্থনা করে সেখান থেকে চলে গেলেন।
وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ ذَهَبَ مِنْ هُنَاكَ.١٥
16 সেই সময় একজন লোক এসে যীশুকে জিজ্ঞাসা করল, “গুরুমহাশয়, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমাকে কী ধরনের সৎকর্ম করতে হবে?” (aiōnios g166)
وَإذَا شَابٌّ يَتَقَدَّمُ إِلَيْهِ وَيَسْأَلُ: «أَيُّهَا الْمُعَلِّمُ الصَّالِحُ، أَيَّ صَلاحٍ أَعْمَلُ لأَحْصُلَ عَلَى الْحَيَاةِ الأَبَدِيَّةِ؟» (aiōnios g166)١٦
17 যীশু উত্তর দিলেন, “আমাকে সৎ-এর বিষয়ে কেন জিজ্ঞাসা করো? সৎ কেবলমাত্র একজনই আছেন। তুমি যদি জীবনে প্রবেশ করতে চাও, তাহলে অনুশাসনগুলি পালন করো।”
فَأَجَابَهُ: «لِمَاذَا تَسْأَلُنِي عَنِ الصَّالِحِ؟ وَاحِدٌ هُوَ الصَّالِحُ. وَلكِنْ، إِنْ أَرَدْتَ أَنْ تَدْخُلَ الْحَيَاةَ، فَاعْمَلْ بِالْوَصَايَا».١٧
18 লোকটি জিজ্ঞাসা করল, “কোন কোন অনুশাসন?” যীশু উত্তর দিলেন, “নরহত্যা কোরো না, ব্যভিচার কোরো না, চুরি কোরো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না,
فَسَأَلَ: «أَيَّةِ وَصَايَا؟» أَجَابَهُ يَسُوعُ: «لا تَقْتُلْ؛ لَا تَزْنِ؛ لَا تَسْرِقْ؛ لَا تَشْهَدْ بِالزُّورِ؛١٨
19 তোমার পিতামাতাকে সম্মান কোরো ও তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতোই প্রেম কোরো।”
أَكْرِمْ أَبَاكَ وَأُمَّكَ؛ وَأَحِبَّ قَرِيبَكَ كَنَفْسِكَ.»١٩
20 যুবকটি বলল, “এ সমস্ত আমি পালন করেছি। আমার আর কী ত্রুটি আছে?”
قَالَ لَهُ الشَّابُّ: «هَذِهِ كُلُّهَا عَمِلْتُ بِها مُنْذُ صِغَرِي، فَمَاذَا يَنْقُصُنِي بَعْدُ؟»٢٠
21 যীশু উত্তর দিলেন, “তুমি যদি সিদ্ধ হতে চাও, তাহলে যাও, গিয়ে তোমার সব সম্পত্তি বিক্রি করে দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দাও, তাহলে তুমি স্বর্গে ধন লাভ করবে। তারপর এসে আমাকে অনুসরণ করো।”
فَأَجَابَهُ يَسُوعُ: «إِنْ أَرَدْتَ أَنْ تَكُونَ كَامِلاً، فَاذْهَبْ وَبِعْ كُلَّ مَا تَمْلِكُ، وَوَزِّعْ عَلَى الْفُقَرَاءِ، فَيَكُونَ لَكَ كَنْزٌ فِي السَّمَاوَاتِ. وَتَعَالَ اتْبَعْنِي!»٢١
22 এই কথা শুনে যুবকটি দুঃখিত হয়ে চলে গেল, কারণ তার প্রচুর ধনসম্পত্তি ছিল।
فَلَمَّا سَمِعَ الشَّابُّ هَذَا الْكَلامَ، مَضَى حَزِيناً لأَنَّهُ كَانَ صَاحِبَ ثَرْوَةٍ كَبِيرَةٍ.٢٢
23 তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, স্বর্গরাজ্যে ধনী মানুষের প্রবেশ করা কঠিন।
فَقَالَ يَسُوعُ لِتَلامِيذِهِ: «الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّهُ مِنَ الصَّعْبِ عَلَى الْغَنِيِّ أَنْ يَدْخُلَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ.٢٣
24 আবার আমি তোমাদের বলছি, ধনী মানুষের পক্ষে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করার চেয়ে বরং সুচের ছিদ্রপথ দিয়ে উটের পার হওয়া সহজ।”
وَأَيْضاً أَقُولُ: إِنَّهُ لأَسْهَلُ أَنْ يَدْخُلَ الْجَمَلُ فِي ثَقْبِ إِبْرَةٍ مِنْ أَنْ يَدْخُلَ الْغَنِيُّ مَلَكُوتَ اللهِ».٢٤
25 শিষ্যেরা একথা শুনে অত্যন্ত আশ্চর্য হলেন ও জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে কে পরিত্রাণ পেতে পারে?”
فَدُهِشَ التَّلامِيذُ جِدّاً لَمَّا سَمِعُوا ذَلِكَ، وَسَأَلُوا: «إِذَنْ، مَنْ يَقْدِرُ أَنْ يَنْجُوَ؟»٢٥
26 যীশু তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “মানুষের পক্ষে এটা অসম্ভব, কিন্তু ঈশ্বরের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব।”
فَنَظَرَ إِلَيْهِمْ وَقَالَ لَهُمْ: «هَذَا مُسْتَحِيلٌ عِنْدَ النَّاسِ. أَمَّا عِنْدَ اللهِ، فَكُلُّ شَيْءٍ مُسْتَطَاعٌ!»٢٦
27 পিতর উত্তরে তাঁকে বললেন, “আপনাকে অনুসরণ করার জন্য আমরা সবকিছু ত্যাগ করেছি। আমরা তাহলে কী পাব?”
عِنْدَئِذٍ قَالَ بُطْرُسُ: «هَا نَحْنُ قَدْ تَرَكْنَا كُلَّ شَيْءٍ وَتَبِعْنَاكَ، فَمَاذَا يَكُونُ نَصِيبُنَا؟»٢٧
28 যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সব বিষয়ের নতুন সৃষ্টিতে যখন মনুষ্যপুত্র মহিমার সিংহাসনে বসবেন, তখন তোমরা, যারা আমার অনুগামী হয়েছ, তোমরাও বারোটি সিংহাসনে বসে ইস্রায়েলের বারো বংশের বিচার করবে।
فَأَجَابَهُمْ يَسُوعُ: «الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّهُ فِي زَمَنِ التَّجْدِيدِ، عِنْدَمَا يَجْلِسُ ابْنُ الإِنْسَانِ عَلَى عَرْشِ مَجْدِهِ، تَجْلِسُونَ أَنْتُمُ الَّذِينَ تَبِعْتُمُونِي عَلَى اثْنَيْ عَشَرَ عَرْشاً لِتَدِينُوا أَسْبَاطَ إِسْرَائِيلَ الاثْنَيْ عَشَرَ.٢٨
29 আর যে কেউ আমার কারণে তার বাড়ি বা ভাইদের বা বোনেদের বা বাবাকে বা মাকে বা সন্তানদের বা স্থাবর সম্পত্তি ত্যাগ করেছে, সে তার শতগুণ লাভ করবে ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে। (aiōnios g166)
فَأَيُّ مَنْ تَرَكَ بُيُوتاً أَوْ إِخْوَةً أَوْ أَخَوَاتٍ أَوْ أَباً أَوْ أُمّاً أَوْ أَوْلاداً أَوْ أَرَاضِيَ مِنْ أَجْلِ اسْمِي، فَإِنَهُ يَنَالُ مِئَةَ ضِعْفٍ وَيَرِثُ الْحَيَاةَ الأَبَدِيَّةَ. (aiōnios g166)٢٩
30 কিন্তু যারা প্রথম, এমন অনেকে শেষে পড়বে, আর যারা শেষে তারা প্রথমে আসবে।”
وَلكِنْ أَوَّلُونَ كَثِيرُونَ يَصِيرُونَ آخِرِينَ، وَآخِرُونَ كَثِيرُونَ يَصِيرُونَ أَوَّلِينَ.٣٠

< মথি 19 >