মথি 14
1 সেই সময়ে শাসনকর্তা হেরোদ যীশুর সম্মন্ধে শুনে
Ἐν ἐκείνῳ τῷ καιρῷ ἤκουσεν Ἡρώδης ὁ τετράρχης τὴν ἀκοὴν Ἰησοῦ,
2 তাঁর পরিচারকদের বললেন, “ইনি সেই বাপ্তিষ্মদাতা যোহন, যিনি মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন! সেই কারণে এইসব অলৌকিক ক্ষমতা তাঁর মধ্যে রয়েছে।”
καὶ εἶπεν τοῖς παισὶν αὐτοῦ, Οὗτός ἐστιν Ἰωάννης ὁ βαπτιστής· αὐτὸς ἠγέρθη ἀπὸ τῶν νεκρῶν, καὶ διὰ τοῦτο αἱ δυνάμεις ἐνεργοῦσιν ἐν αὐτῷ.
3 কারণ হেরোদ, তাঁর ভাই ফিলিপের স্ত্রী হেরোদিয়ার জন্য যোহনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন ও তাঁকে কারাগারে বন্দি করেছিলেন।
ὁ γὰρ Ἡρώδης κρατήσας τὸν Ἰωάννην ἔδησεν αὐτὸν καὶ ἐν τῇ φυλακῇ ἀπέθετο διὰ Ἡρωδιάδα τὴν γυναῖκα Φιλίππου τοῦ ἀδελφοῦ αὐτοῦ.
4 কারণ যোহন তাঁকে ক্রমাগত বলতেন, “আপনার পক্ষে হেরোদিয়াকে রাখা ন্যায়সংগত নয়।”
ἔλεγεν γὰρ ὁ Ἰωάννης, Οὐκ ἔξεστίν σοι ἔχειν αὐτήν.
5 হেরোদ যোহনকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি লোকদের ভয় পেতেন কারণ তারা তাকে ভাববাদী বলে মনে করত।
καὶ θέλων αὐτὸν ἀποκτεῖναι, ἐφοβήθη τὸν ὄχλον, ὅτι ὡς προφήτην αὐτὸν εἶχον.
6 হেরোদের জন্মদিনে হেরোদিয়ার মেয়ে সকলের জন্য নৃত্য করে হেরোদকে এমন সন্তুষ্ট করল যে,
γενεσίοις δὲ γενομένοις τοῦ Ἡρώδου ὠρχήσατο ἡ θυγάτηρ τῆς Ἡρωδιάδος ἐν τῷ μέσῳ, καὶ ἤρεσεν τῷ Ἡρώδῃ·
7 তিনি শপথ করে বললেন সেই মেয়ে যা চাইবে, তাই তিনি তাকে দেবেন।
ὅθεν μεθ᾽ ὅρκου ὡμολόγησεν αὐτῇ δοῦναι ὃ ἂν αἰτήσηται.
8 তার মায়ের প্ররোচনায়, সে তখন বলল, “বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের মাথা আমাকে থালায় করে এনে দিন।”
ἡ δὲ προβιβασθεῖσα ὑπὸ τῆς μητρὸς αὐτῆς, Δός μοι, φησίν, ὧδε ἐπὶ πίνακι τὴν κεφαλὴν Ἰωάννου τοῦ βαπτιστοῦ.
9 এতে রাজা হেরোদ মর্মাহত হলেন, কিন্তু তাঁর নিজের শপথের জন্য ও যাঁরা তাঁর সঙ্গে ভোজসভায় বসেছিলেন তাঁদের জন্য তিনি তাঁর অনুরোধ রক্ষার আদেশ দিলেন।
καὶ λυπηθεὶς ὁ βασιλεὺς διὰ τοὺς ὅρκους καὶ τοὺς συνανακειμένους ἐκέλευσεν δοθῆναι·
10 তিনি কারাগারে লোক পাঠিয়ে যোহনের মাথা কাটালেন।
καὶ πέμψας ἀπεκεφάλισεν Ἰωάννην ἐν τῇ φυλακῇ.
11 তাঁর মাথা একটি থালায় করে এনে সেই মেয়েকে দেওয়া হল। সে তার মায়ের কাছে তা নিয়ে গেল।
καὶ ἠνέχθη ἡ κεφαλὴ αὐτοῦ ἐπὶ πίνακι καὶ ἐδόθη τῷ κορασίῳ, καὶ ἤνεγκεν τῇ μητρὶ αὐτῆς.
12 পরে যোহনের শিষ্যেরা এসে তাঁর শরীর নিয়ে গেল ও কবর দিল। তারপর তারা গিয়ে যীশুকে সেই সংবাদ দিল।
καὶ προσελθόντες οἱ μαθηταὶ αὐτοῦ ἦραν τὸ πτῶμα καὶ ἔθαψαν αὐτόν· καὶ ἐλθόντες ἀπήγγειλαν τῷ Ἰησοῦ.
13 সেই ঘটনার সংবাদ শুনে যীশু নৌকায় একান্তে এক নির্জন স্থানে গেলেন। একথা শুনতে পেয়ে অনেক লোক বিভিন্ন নগর থেকে পায়ে হেঁটে তাঁকে অনুসরণ করল।
Ἀκούσας δὲ ὁ Ἰησοῦς ἀνεχώρησεν ἐκεῖθεν ἐν πλοίῳ εἰς ἔρημον τόπον κατ᾽ ἰδίαν. καὶ ἀκούσαντες οἱ ὄχλοι ἠκολούθησαν αὐτῷ πεζῇ ἀπὸ τῶν πόλεων.
14 তীরে নেমে যীশু যখন অনেক লোককে দেখতে পেলেন, তিনি তাদের প্রতি করুণায় পূর্ণ হলেন ও তাদের মধ্যে অসুস্থ লোকদের সুস্থ করলেন।
Καὶ ἐξελθὼν εἶδεν πολὺν ὄχλον, καὶ ἐσπλαγχνίσθη ἐπ᾽ αὐτοῖς καὶ ἐθεράπευσεν τοὺς ἀῤῥώστους αὐτῶν.
15 সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, শিষ্যেরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “এ এক নির্জন স্থান, আর ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আপনি সবাইকে বিদায় দিন, যেন তারা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য কিছু খাবার কিনতে পারে।”
Ὀψίας δὲ γενομένης προσῆλθαν αὐτῷ οἱ μαθηταὶ λέγοντες, Ἔρημός ἐστιν ὁ τόπος, καὶ ἡ ὥρα ἤδη παρῆλθεν· ἀπόλυσον τοὺς ὄχλους, ἵνα ἀπελθόντες εἰς τὰς κώμας ἀγοράσωσιν ἑαυτοῖς βρώματα.
16 যীশু উত্তর দিলেন, “ওদের যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তোমরাই ওদের কিছু খেতে দাও।”
ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτοῖς, Οὐ χρείαν ἔχουσιν ἀπελθεῖν· δότε αὐτοῖς ὑμεῖς φαγεῖν.
17 তারা উত্তর দিলেন, “এখানে আমাদের কাছে কেবলমাত্র পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ আছে।”
οἱ δὲ λέγουσιν αὐτῷ, Οὐκ ἔχομεν ὧδε εἰ μὴ πέντε ἄρτους καὶ δύο ἰχθύας.
18 তিনি বললেন, “ওগুলি আমার কাছে নিয়ে এসো।”
ὁ δὲ εἶπεν, Φέρετέ μοι ὧδε αὐτούς.
19 আর তিনি লোকদের ঘাসের উপরে বসার জন্য নির্দেশ দিলেন। সেই পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ নিয়ে যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ধন্যবাদ দিলেন ও রুটিগুলিকে ভাঙলেন। তারপর তিনি সেগুলি শিষ্যদের দিলেন ও শিষ্যেরা লোকদের দিলেন।
καὶ κελεύσας τοὺς ὄχλους ἀνακλιθῆναι ἐπὶ τοῦ χόρτου λαβὼν τοὺς πέντε ἄρτους καὶ τοὺς δύο ἰχθύας, ἀναβλέψας εἰς τὸν οὐρανὸν ηὐλόγησεν, καὶ κλάσας ἔδωκεν τοῖς μαθηταῖς τοὺς ἄρτους, οἱ δὲ μαθηταὶ τοῖς ὄχλοις.
20 তারা সকলে খেয়ে পরিতৃপ্ত হল। আর শিষ্যেরা অবশিষ্ট রুটির টুকরো সংগ্রহ করে বারো ঝুড়ি পূর্ণ করলেন।
καὶ ἔφαγον πάντες καὶ ἐχορτάσθησαν· καὶ ἦραν τὸ περισσεῦον τῶν κλασμάτων, δώδεκα κοφίνους πλήρεις.
21 যারা খাবার খেয়েছিল, তাদের সংখ্যা ছিল নারী ও শিশু বাদ দিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ।
οἱ δὲ ἐσθίοντες ἦσαν ἄνδρες ὡσεὶ πεντακισχίλιοι, χωρὶς γυναικῶν καὶ παιδίων.
22 পর মুহূর্তেই যীশু শিষ্যদের নৌকায় তুলে দিয়ে তাঁর যাওয়ার আগেই সাগরের অপর পারে তাঁদের চলে যেতে বললেন, ইতিমধ্যে তিনি সকলকে বিদায় দিলেন।
Καὶ εὐθέως ἠνάγκασεν τοὺς μαθητὰς ἐμβῆναι εἰς πλοῖον καὶ προάγειν αὐτὸν εἰς τὸ πέραν, ἕως οὗ ἀπολύσῃ τοὺς ὄχλους.
23 তাদের বিদায় করার পর তিনি একা প্রার্থনা করার জন্য এক পর্বতের উপরে উঠলেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তিনি সেখানে একাই ছিলেন।
καὶ ἀπολύσας τοὺς ὄχλους ἀνέβη εἰς τὸ ὄρος κατ᾽ ἰδίαν προσεύξασθαι. ὀψίας δὲ γενομένης μόνος ἦν ἐκεῖ.
24 কিন্তু নৌকাখানি তখন তীর থেকে বেশ খানিকটা দূরে চলে গিয়েছিল। বাতাস প্রতিকূলে বইছিল তাই নৌকা ঢেউয়ে টলোমলো করছিল।
τὸ δὲ πλοῖον ἤδη σταδίους πολλοὺς ἀπὸ τῆς γῆς ἀπεῖχεν βασανιζόμενον ὑπὸ τῶν κυμάτων· ἦν γὰρ ἐναντίος ὁ ἄνεμος.
25 রাত্রির চতুর্থ প্রহরে যীশু সাগরের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে শিষ্যদের কাছে গেলেন।
τετάρτῃ δὲ φυλακῇ τῆς νυκτὸς ἦλθεν πρὸς αὐτοὺς περιπατῶν ἐπὶ τὴν θάλασσαν.
26 শিষ্যেরা তাঁকে সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখে ভীষণ ভয় পেলেন। তাঁরা বললেন, “এ এক ভূত!” আর তাঁরা ভয়ে চিৎকার করে উঠলেন।
καὶ ἰδόντες αὐτὸν οἱ μαθηταὶ ἐπὶ τῆς θαλάσσης περιπατοῦντα ἐταράχθησαν, λέγοντες ὅτι φάντασμά ἐστιν, καὶ ἀπὸ τοῦ φόβου ἔκραξαν.
27 কিন্তু যীশু তক্ষুনি তাঁদের বললেন, “সাহস করো! এ আমি। ভয় পেয়ো না।”
εὐθὺς δὲ ἐλάλησεν αὐτοῖς ὁ Ἰησοῦς λέγων, Θαρσεῖτε· ἐγώ εἰμι, μὴ φοβεῖσθε.
28 পিতর উত্তর দিলেন, “প্রভু, যদি আপনিই হন, তাহলে আমাকেও জলের উপর দিয়ে আপনার কাছে হেঁটে আসতে বলুন।”
ἀποκριθεὶς δὲ αὐτῷ ὁ Πέτρος εἶπεν, Κύριε, εἰ σὺ εἶ, κέλευσόν με ἐλθεῖν πρός σε ἐπὶ τὰ ὕδατα.
29 তিনি বললেন, “এসো।” তখন পিতর নৌকা থেকে নেমে জলের উপর দিয়ে হেঁটে যীশুর দিকে চললেন।
ὁ δὲ εἶπεν, Ἐλθέ. καὶ καταβὰς ἀπὸ τοῦ πλοίου Πέτρος περιεπάτησεν ἐπὶ τὰ ὕδατα, ἐλθεῖν πρὸς τὸν Ἰησοῦν.
30 কিন্তু যখন তিনি বাতাসের দিকে দৃষ্টি দিলেন, তিনি ভয় পেলেন ও ডুবতে লাগলেন। তিনি চিৎকার করে বললেন, “প্রভু, আমাকে রক্ষা করুন!”
βλέπων δὲ τὸν ἄνεμον ἰσχυρὸν ἐφοβήθη· καὶ ἀρξάμενος καταποντίζεσθαι ἔκραξεν λέγων, Κύριε, σῶσόν με.
31 সঙ্গে সঙ্গে যীশু তাঁর হাত বাড়িয়ে তাঁকে ধরে ফেললেন ও বললেন, “অল্পবিশ্বাসী তুমি, কেন তুমি সন্দেহ করলে?”
εὐ θέως δὲ ὁ Ἰησοῦς ἐκτείνας τὴν χεῖρα ἐπελάβετο αὐτοῦ, καὶ λέγει αὐτῷ, Ὀλιγόπιστε, εἰς τί ἐδίστασας;
32 আর তাঁরা যখন নৌকায় উঠলেন তখন বাতাস থেমে গেল।
Καὶ ἀναβάντων αὐτῶν εἰς τὸ πλοῖον ἐκόπασεν ὁ ἄνεμος·
33 তখন যাঁরা নৌকায় ছিলেন, তাঁরা তাঁকে প্রণাম করলেন, বললেন, “সত্যি, আপনিই ঈশ্বরের পুত্র।”
οἱ δὲ ἐν τῷ πλοίῳ ἐλθόντες προσεκύνησαν αὐτῷ λέγοντες, Ἀληθῶς θεοῦ υἱὸς εἶ.
34 তাঁরা সাগরের অপর পারে গিয়ে গিনেষরৎ প্রদেশে নৌকা থেকে নামলেন।
Καὶ διαπεράσαντες ἦλθον ἐπὶ τὴν γῆν εἰς Γεννησαρέτ.
35 সেখানকার লোকেরা যখন তাঁকে চিনতে পারল তারা চতুর্দিকে খবর পাঠাল। লোকেরা সব অসুস্থ ব্যক্তিদের তাঁর কাছে নিয়ে এল,
καὶ ἐπιγνόντες αὐτὸν οἱ ἄνδρες τοῦ τόπου ἐκείνου ἀπέστειλαν εἰς ὅλην τὴν περίχωρον ἐκείνην, καὶ προσήνεγκαν αὐτῷ πάντας τοὺς κακῶς ἔχοντας·
36 আর তাঁর কাছে মিনতি করল, যেন অসুস্থরা কেবলমাত্র তাঁর পোশাকের আঁচলটুকু স্পর্শ করতে পারে। আর যারাই তাঁকে স্পর্শ করল তারা সকলে সুস্থ হল।
καὶ παρεκάλουν αὐτὸν ἵνα μόνον ἅψωνται τοῦ κρασπέδου τοῦ ἱματίου αὐτοῦ· καὶ ὅσοι ἥψαντο διεσώθησαν.
