মালাখি ভাববাদীর বই 2

1 “তবে এখন, যাজকেরা, তোমরা শোনো, এই সতর্কবাণী তোমাদেরই জন্য।

١ «وَالآنَ هَاكُمْ هَذِهِ الْوَصِيَّةُ أَيُّهَا الْكَهَنَةُ:

2 যদি তোমরা না শোনো এবং যদি তোমরা আমার নামের মহিমা করতে মনস্থ না করো,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, “আমি তোমাদের ওপর অভিশাপ পাঠাব, ও তোমাদের সকল আশীর্বাদকে অভিশাপ দেব। হ্যাঁ, আমি সেই সবকিছুকে ইতিমধ্যে অভিশাপ দিয়েছি, কারণ তোমরা আমার নামের মহিমা করতে মনস্থ করোনি।

٢ إِنْ أَبَيْتُمْ الاسْتِمَاعَ، وَلَمْ تَنْوُوا فِي قُلُوبِكُمْ أَنْ تُمَجِّدُوا اسْمِي، أَصُبُّ عَلَيْكُمُ اللَّعْنَةَ، وَأَلْعَنُ بَرَكَاتِكُمْ، بَلْ هَا أَنَا قَدْ حَوَّلْتُهَا إِلَى لَعْنَاتٍ لأَنَّكُمْ لَمْ تَجْعَلُوهَا فِي قُلُوبِكُمْ.

3 “তোমাদের জন্য, আমি তোমাদের বংশধরদের তিরস্কার করব; তোমাদের উৎসবের বলি থেকে সার নিয়ে তা তোমাদের মুখে মাখিয়ে দেব এবং তোমাদের সেইভাবেই নিয়ে যাওয়া হবে।

٣ هَا أَنَا أُعَاقِبُ أَوْلادَكُمْ، وَأَنْثُرُ رَوْثَ الْحَيَوَانَاتِ الَّتِي تُقَدِّمُونَهَا لِي عَلَى وُجُوهِكُمْ، ثُم يَطْرَحُونَكُمْ مَعَهَا خَارِجاً فَوْقَ الْقُمَامَةِ الدَّنِسَةِ.

4 আর তোমরা জানবে যে, আমি তোমাদের কাছে এই সতর্কবাণী পাঠিয়েছি যাতে লেবীয়দের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থায়ী হয়,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।

٤ فَتُدْرِكُونَ أَنِّي أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ هَذِهِ التَّحْذِيرَاتِ لِكَيْ يَظَلَّ عَهْدِي مَعَ أَبْنَاءِ لاوِي قَائِماً.

5 “তার সঙ্গে আমার নিয়ম হয়েছিল, জীবন ও শান্তির নিয়ম, আর আমি উভয়ই তাকে দিয়েছিলাম; যেন সে আমাকে শ্রদ্ধা করে এবং সে আমাকে সত্যিই ভয় করেছিল এবং আমার নামে ভয়ে কেঁপেছিল।

٥ فَقَدْ كَانَ عَهْدِي مَعَ لاوِي وَنَسْلِهِ عَهْدَ حَيَاةٍ وَسَلامٍ، فَوَهَبْتُهُمَا لَهُمْ، وَمَنَحْتُهُمُ التَّقْوَى، فَاتَّقُونِي وَوَقَفُوا خَاشِعِينَ لاِسْمِي يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ.

6 তার মুখে সত্যের বিধান ছিল এবং কোনও প্রকার মিথ্যা তার ঠোঁটে খুঁজে পাওয়া যেত না। শান্তিতে ও ন্যায়পরায়ণতায় সে আমার সঙ্গে পথ চলেছে এবং পাপ থেকে মন ফিরিয়েছে।

٦ نَطَقَ فَمُهُ بِشَرِيعَةِ الْحَقِّ، وَلَمْ يَكُنْ فِي شَفَتَيْهِ إِثْمٌ. وَسَلَكَ مَعِي سَبِيلَ السَّلامِ وَالاسْتِقَامَةِ وَرَدَّ كَثِيرِينَ عَنِ الْمَعْصِيَةِ.

7 “প্রকৃতপক্ষে যাজকদের মুখ ঈশ্বরের জ্ঞানের সম্ভার হওয়া উচিত, কারণ সে সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর দূত এবং লোকেরা যাজকদের মুখ থেকেই উপদেশ চায়।

٧ لأَنَّ شَفَتَيِ الْكَاهِنِ تَحْفَظَانِ الْعِلْمَ، وَمِنْ فَمِهِ يَطْلُبُ النَّاسُ الشَّرِيعَةَ، لأَنَّهُ رَسُولُ الرَّبِّ الْقَدِيرِ.

8 কিন্তু তুমি বিপথে গিয়েছ এবং তোমার শিক্ষার মাধ্যমে অনেককে বিভ্রান্ত করেছ; লেবির সঙ্গে নিয়ম তুমি লঙ্ঘন করেছ,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।

٨ وَلَكِنَّكُمُ انْحَرَفْتُمْ عَنِ الطَّرِيقِ الْمُسْتَقِيمِ، وَأَعْثَرْتُمْ بِتَعَالِيمِكُمْ كَثِيرِينَ، وَنَقَضْتُمْ عَهْدِي مَعَ النَّسْلِ الْكَهَنُوتِيِّ، يَقُولُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ.

9 “এজন্য আমি সমস্ত লোকের সামনে তোমাদেরকে অবজ্ঞা ও অপদস্থ করেছি, কারণ তোমরা আমার পথে চলোনি, উপরন্তু বিধানের বিষয়ে তোমরা পক্ষপাতিত্ব করেছ।”

٩ لِذَلِكَ أُحَقِّرُكُمْ وَأُذِلُّكُمْ أَمَامَ جَمِيعِ النَّاسِ، لأَنَّكُمْ لَمْ تُطِيعُوا طُرُقِي، وَحَابَيْتُمْ فِي تَطْبِيقِ شَرِيعَتِي».

10 আমাদের সকলের কি একই বাবা নয়? একজন ঈশ্বরই কি আমাদের সৃষ্টি করেননি? তবে কেন আমরা একে অপরের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে আমাদের পূর্বপুরুষদের নিয়ম অপবিত্র করি?

١٠ أَلَيْسَ لَنَا جَمِيعاً أَبٌ وَاحِدٌ؟ أَلَمْ يَخْلُقْنَا إِلَهٌ وَاحِدٌ، فَمَا بَالُنَا يَغْدُرُ أَحَدُنَا بِالآخَرِ وَنُدَنِّسُ عَهْدَ آبَائِنَا؟

11 যিহূদা অবিশ্বস্ত হয়েছে। ইস্রায়েলে ও জেরুশালেমে জঘন্য এক কাজ করা হয়েছে: যিহূদা, সেই মেয়েদের বিয়ে করেছে যারা অইহুদি এক দেবতার আরাধনা করে এবং এভাবে সদাপ্রভুর প্রেমের পবিত্রস্থান কলুষিত করেছে।

١١ لَقَدْ غَدَرَ يَهُوذَا وَارْتَكَبَ الرَّجَاسَةَ فِي إِسْرَائِيلَ وَفِي أُورُشَلِيمَ لأَنَّ يَهُوذَا قَدْ دَنَّسَ هَيْكَلَ الرَّبِّ الْمَحْبُوبَ، وَتَزَوَّجَ مِنْ بَنَاتٍ يَعْبُدْنَ آلِهَةً غَرِيبَةً.

12 যে ব্যক্তি এমন কাজ করেছে, সে যেই হোক না কেন, যদিও সে সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর কাছে এক নৈবেদ্য নিয়ে আসে, তবুও যেন সদাপ্রভু যাকোবের তাঁবু থেকে তাকে উৎখাত করে।

١٢ لِيَسْتَأْصِلِ الرَّبُّ مِنْ شَعْبِ إِسْرَائِيلَ كُلَّ مَنْ فَعَلَ هَذَا، مِنْ غَيْرِ تَمْيِيزٍ، وَحَتَّى مِمَّنْ يُقَدِّمُونَ قَرَابِينَ لِلرَّبِّ الْقَدِيرِ.

13 আরেকটি কাজ তোমরা করো: তোমরা চোখের জলে সদাপ্রভুর বেদি ভাসিয়ে দাও। তোমরা কান্নাকাটি করো ও বিলাপ করো কারণ তিনি তোমাদের নৈবেদ্যর প্রতি আর অনুগ্রহপূর্বক দৃষ্টি দেন না বা তোমাদের হাত থেকে তা খুশিমনে গ্রহণ করেন না।

١٣ وَهَذَا أَيْضاً مَا ارْتَكَبْتُمْ: لَقَدْ أَغْرَقْتُمْ مَذْبَحَ الرَّبِّ بِالدُّمُوعِ، فَأَنْتُمْ تَبْكُونَ وَتَنُوحُونَ لأَنَّهْ لَمْ يَعُدْ يُعِيرُ تَقْدِمَاتِكُمُ انْتِبَاهاً أَوْ يَقْبَلُهَا مِنْكُمْ بِمَسَرَّةٍ.

14 তবুও তোমরা জিজ্ঞাসা করো, “কেন?” কারণ সদাপ্রভু তোমার ও তোমার যৌবনের স্ত্রীর মধ্যে সাক্ষী হয়েছেন; তুমি তার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছ; যদিও সে তোমার সঙ্গী, তোমার বিবাহ নিয়মের স্ত্রী।

١٤ وَتَتَسَاءَلُونَ: لِمَاذَا؟ لأَنَّ الرَّبَّ كَانَ شَاهِداً عَلَى الْعَهْدِ الْمَقْطُوعِ بَيْنَكَ وَبَيْنَ زَوْجَةِ صِبَاكَ الَّتِي غَدَرْتَ بِها، مَعَ أَنَّهَا شَرِيكَتُكَ وَامْرَأَةُ عَهْدِكَ.

15 একই ঈশ্বর কি তোমাদের সৃষ্টি করেননি? দেহ এবং আত্মাতে তো তোমরা তাঁরই। আর সেই এক ঈশ্বর কি চান? ঈশ্বরভক্ত সন্তানসন্ততি। সুতরাং নিজেদের সম্পর্কে সতর্ক হও এবং তোমাদের যৌবনের স্ত্রীর প্রতি অবিশ্বস্ত হোয়ো না।

١٥ وَلَكِنْ لَمْ يُقْدِمْ عَلَى ذَلِكَ أَيُّ وَاحِدٍ مَازَالَتْ فِيهِ بَقِيَّةٌ مِنَ الرُّوحِ. وَمَاذَا طَلَبَ هَذَا الْوَاحِدُ؟ ذُرِّيَّةَ اللهِ. لِهَذَا حَافِظُوا عَلَى أَرْوَاحِكُمْ، وَلا يَغْدُرْ أَحَدٌ بِزَوْجَةِ صِبَاهُ.

16 “যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে ঘৃণা করে ও বিবাহবিচ্ছেদ করে,” সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, “যাকে তার রক্ষা করা উচিত তার প্রতি সে অত্যাচার করে,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন। সুতরাং নিজেদের সম্পর্কে সতর্ক হও এবং অবিশ্বস্ত হোয়ো না।

١٦ وَيَقُولُ الرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: إِنِّي أَمْقُتُ الطَّلاقَ وَأَمْقُتُ أَنْ يُغَطِّيَ الرَّجُلُ زَوْجَتَهُ بِجَوْرِهِ، كَمَا يَتَغَطَّى هُوَ بِثَوْبِهِ. لِذَلِكَ احْتَرِسُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلا تَنْكُثُوا عَهْداً.

17 তোমরা তোমাদের কথার মাধ্যমে সদাপ্রভুকে ক্লান্ত করেছ। “আমরা কীভাবে তাঁকে ক্লান্ত করেছি?” তোমরা জিজ্ঞাসা করো। এই বলে, “সবাই যারা মন্দ কাজ করে তারা সদাপ্রভুর চোখে ভালো এবং তিনি তাদের উপর খুশি” অথবা এই বলে, “ন্যায়ের ঈশ্বর কোথায়?”

١٧ قَدْ أَتْعَبْتُمُ الرَّبَّ بِكَلامِكُمْ، وَمَابَرِحْتُمْ تَتَسَاءَلُونَ: «كَيْفَ أَتْعَبْنَاهُ؟» أَتْعَبْتُمُوهُ بِقَوْلِكُمْ: «كُلُّ مَنْ يَرْتَكِبُ الشَّرَّ هُوَ صَالِحٌ فِي عَيْنَيِ الرَّبِّ وَهُوَ يُسَرُّ بِهِمْ»، أَوْ بِسُؤَالِكُمْ: «أَيْنَ هُوَ إِلَهُ الْعَدْلِ؟»