< লুক 1 >

1 যা কিছু ঘটে গেছে, আমাদের মধ্যে অনেকেই তার একটি বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
Ἐπειδήπερ πολλοὶ ἐπεχείρησαν ἀνατάξασθαι διήγησιν περὶ τῶν πεπληροφορημένων ἐν ἡμῖν πραγμάτων,
2 যাঁরা প্রথম থেকেই সবকিছু চাক্ষুষ দেখেছেন ও বাক্যের পরিচর্যা করেছেন, তাঁরাই সে সমস্ত আমাদের কাছে সমর্পণ করেছেন।
καθὼς παρέδοσαν ἡμῖν οἱ ἀπ᾽ ἀρχῆς αὐτόπται καὶ ὑπηρέται γενόμενοι τοῦ λόγου,
3 মহামান্য থিয়ফিল, সেইজন্য আমি প্রথম থেকে সবকিছু সযত্নে অনুসন্ধান করে আপনার জন্য একটি সুবিন্যস্ত বিবরণ রচনা করা সংগত বিবেচনা করলাম,
ἔδοξεν κἀμοὶ παρηκολουθηκότι ἄνωθεν πᾶσιν ἀκριβῶς καθεξῆς σοὶ γράψαι, κράτιστε Θεόφιλε,
4 যেন আপনি যে শিক্ষা লাভ করেছেন, সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান সুনিশ্চিত হয়।
ἵνα ἐπιγνῷς περὶ ὧν κατηχήθης λόγων τὴν ἀσφάλειαν.
5 যিহূদিয়ার রাজা হেরোদের রাজত্বকালে সখরিয় নামে একজন যাজক ছিলেন। তিনি ছিলেন অবিয়ের পুরোহিত অধীনস্থ যাজক-সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেতও ছিলেন হারোণ বংশীয়।
Ἐγένετο ἐν ταῖς ἡμέραις Ἡρώδου βασιλέως τῆς Ἰουδαίας ἱερεύς τις ὀνόματι Ζαχαρίας ἐξ ἐφημερίας Ἀβιά, καὶ γυνὴ αὐτῷ ἐκ τῶν θυγατέρων Ἀαρών, καὶ τὸ ὄνομα αὐτῆς Ἐλισάβετ.
6 তাঁরা উভয়েই ছিলেন ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক। তাঁরা প্রভুর সমস্ত আজ্ঞা ও বিধিনিয়ম নির্দোষরূপে পালন করতেন।
ἦσαν δὲ δίκαιοι ἀμφότεροι ἐναντίον τοῦ θεοῦ, πορευόμενοι ἐν πάσαις ταῖς ἐντολαῖς καὶ δικαιώμασιν τοῦ κυρίου ἄμεμπτοι.
7 কিন্তু তাঁরা ছিলেন নিঃসন্তান, কারণ ইলিশাবেত বন্ধ্যা ছিলেন এবং তাঁদের দুজনেরই বেশ বয়স হয়েছিল।
καὶ οὐκ ἦν αὐτοῖς τέκνον, καθότι ἦν [ἡ] Ἐλισάβετ στεῖρα, καὶ ἀμφότεροι προβεβηκότες ἐν ταῖς ἡμέραις αὐτῶν ἦσαν.
8 একদিন সখরিয়ের দলের পালা ছিল এবং তিনি ঈশ্বরের সামনে যাজকীয় পরিচর্যা করছিলেন।
ἐγένετο δὲ ἐν τῷ ἱερατεύειν αὐτὸν ἐν τῇ τάξει τῆς ἐφημερίας αὐτοῦ ἔναντι τοῦ θεοῦ,
9 যাজকীয় কাজের রীতি অনুসারে, প্রভুর মন্দিরে গিয়ে ধূপ জ্বালাবার জন্য তিনিই গুটিকাপাতের দ্বারা মনোনীত হয়েছিলেন।
κατὰ τὸ ἔθος τῆς ἱερατείας ἔλαχεν τοῦ θυμιᾶσαι εἰσελθὼν εἰς τὸν ναὸν τοῦ κυρίου·
10 সেই ধূপ জ্বালাবার সময় যখন উপস্থিত হল, সমবেত উপাসকেরা তখন বাইরে প্রার্থনা করছিলেন।
καὶ πᾶν τὸ πλῆθος ἦν τοῦ λαοῦ προσευχόμενον ἔξω τῇ ὥρᾳ τοῦ θυμιάματος.
11 সেই সময় প্রভুর এক দূত ধূপ জ্বালাবার বেদির ডানদিকে দাঁড়িয়ে তাঁর কাছে আবির্ভূত হলেন।
ὤφθη δὲ αὐτῷ ἄγγελος κυρίου ἑστὼς ἐκ δεξιῶν τοῦ θυσιαστηρίου τοῦ θυμιάματος·
12 তাঁকে দেখে সখরিয় বিস্ময়ে বিহ্বল ও ভীত হলেন।
καὶ ἐταράχθη Ζαχαρίας ἰδών, καὶ φόβος ἐπέπεσεν ἐπ᾽ αὐτόν.
13 কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “সখরিয়, ভয় পেয়ো না, ঈশ্বর তোমার প্রার্থনা শুনেছেন। তোমার স্ত্রী ইলিশাবেত তোমার জন্য এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবেন। তুমি তার নাম রাখবে, যোহন।
εἶπεν δὲ πρὸς αὐτὸν ὁ ἄγγελος, Μὴ φοβοῦ, Ζαχαρία· διότι εἰσηκούσθη ἡ δέησίς σου, καὶ ἡ γυνή σου Ἐλισάβετ γεννήσει υἱόν σοι, καὶ καλέσεις τὸ ὄνομα αὐτοῦ Ἰωάνην·
14 সে তোমার আনন্দ ও উল্লাসের কারণ হবে এবং তার জন্মে অনেক মানুষ উল্লসিত হবে,
καὶ ἔσται χαρά σοι καὶ ἀγαλλίασις, καὶ πολλοὶ ἐπὶ τῇ γενέσει αὐτοῦ χαρήσονται.
15 কারণ প্রভুর দৃষ্টিতে সে হবে মহান। সে কখনও দ্রাক্ষারস, বা অন্য কোনো উত্তেজক পানীয় গ্রহণ করবে না এবং জন্মমুহূর্ত থেকেই সে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হবে।
ἔσται γὰρ μέγας ἐνώπιον [τοῦ] κυρίου· καὶ οἶνον καὶ σίκερα οὐ μὴ πίῃ, καὶ πνεύματος ἁγίου πλησθήσεται ἔτι ἐκ κοιλίας μητρὸς αὐτοῦ·
16 ইস্রায়েলের বহু মানুষকে সে তাদের প্রভু ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনবে।
καὶ πολλοὺς τῶν υἱῶν Ἰσραὴλ ἐπιστρέψει ἐπὶ κύριον τὸν θεὸν αὐτῶν·
17 ভাববাদী এলিয়ের আত্মা ও পরাক্রমে সে প্রভুর অগ্রগামী হবে; সকল পিতৃহৃদয়কে তাদের সন্তানের দিকে ফিরিয়ে আনবে, অবাধ্যদের ধার্মিকদের প্রজ্ঞাপথে নিয়ে আসবে—প্রভুর জন্য এক প্রজাসমাজকে প্রস্তুত করে তুলবে।”
καὶ αὐτὸς προελεύσεται ἐνώπιον αὐτοῦ ἐν πνεύματι καὶ δυνάμει Ἡλίου, ἐπιστρέψαι καρδίας πατέρων ἐπὶ τέκνα, καὶ ἀπειθεῖς ἐν φρονήσει δικαίων, ἑτοιμάσαι κυρίῳ λαὸν κατεσκευασμένον.
18 সখরিয় দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কী করে এ বিষয়ে সুনিশ্চিত হব? কারণ আমি বৃদ্ধ, আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়েছে।”
καὶ εἶπεν Ζαχαρίας πρὸς τὸν ἄγγελον, Κατὰ τί γνώσομαι τοῦτο; ἐγὼ γάρ εἰμι πρεσβύτης, καὶ ἡ γυνή μου προβεβηκυῖα ἐν ταῖς ἡμέραις αὐτῆς.
19 দূত উত্তর দিলেন, “আমি গ্যাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। এই শুভবার্তা ব্যক্ত করার জন্য ও তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাকে তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।
καὶ ἀποκριθεὶς ὁ ἄγγελος εἶπεν αὐτῷ, Ἐγώ εἰμι Γαβριὴλ ὁ παρεστηκὼς ἐνώπιον τοῦ θεοῦ, καὶ ἀπεστάλην λαλῆσαι πρός σε καὶ εὐαγγελίσασθαί σοι ταῦτα·
20 কিন্তু তুমি আমার কথা বিশ্বাস করলে না, যদিও সেকথা যথাসময়ে সত্য হয়ে উঠবে। এজন্য তুমি বোবা হয়ে যাবে এবং যতদিন না এই ঘটনা ঘটে, তুমি কথা বলতে পারবে না।”
καὶ ἰδοὺ ἔσῃ σιωπῶν καὶ μὴ δυνάμενος λαλῆσαι ἄχρι ἧς ἡμέρας γένηται ταῦτα, ἀνθ᾽ ὧν οὐκ ἐπίστευσας τοῖς λόγοις μου, οἵτινες πληρωθήσονται εἰς τὸν καιρὸν αὐτῶν.
21 এদিকে সখরিয়ের জন্য অপেক্ষায় লোকেরা অবাক হয়ে ভাবছিল, তিনি মন্দিরে কেন এত দেরি করছেন।
καὶ ἦν ὁ λαὸς προσδοκῶν τὸν Ζαχαρίαν, καὶ ἐθαύμαζον ἐν τῷ χρονίζειν αὐτὸν ἐν τῷ ναῷ.
22 বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারলেন না। তারা উপলব্ধি করল, তিনি মন্দিরে কোনো দর্শন লাভ করেছেন, কারণ তিনি ক্রমাগত ইঙ্গিতে তাদের বোঝাচ্ছিলেন, কিন্তু কথা বলতে পারছিলেন না।
ἐξελθὼν δὲ οὐκ ἐδύνατο λαλῆσαι αὐτοῖς· καὶ ἐπέγνωσαν ὅτι ὀπτασίαν ἑώρακεν ἐν τῷ ναῷ· καὶ αὐτὸς ἦν διανεύων αὐτοῖς, καὶ διέμενεν κωφός.
23 তাঁর পরিচর্যার কাজ সম্পূর্ণ হলে তিনি ঘরে ফিরে গেলেন।
καὶ ἐγένετο ὡς ἐπλήσθησαν αἱ ἡμέραι τῆς λειτουργίας αὐτοῦ, ἀπῆλθεν εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ.
24 এরপরে তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেত অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং পাঁচ মাস গোপনে অবস্থান করলেন।
μετὰ δὲ ταύτας τὰς ἡμέρας συνέλαβεν Ἐλισάβετ ἡ γυνὴ αὐτοῦ, καὶ περιέκρυβεν ἑαυτὴν μῆνας πέντε, λέγουσα
25 তিনি বললেন, “প্রভু আমার জন্য এ কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি আমার প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছেন, লোকসমাজ থেকে আমার অপবাদ দূর করেছেন।”
ὅτι Οὕτως μοι πεποίηκεν κύριος ἐν ἡμέραις αἷς ἐπεῖδεν ἀφελεῖν ὄνειδός μου ἐν ἀνθρώποις.
26 ছয় মাস পরে ঈশ্বর তাঁর দূত গ্যাব্রিয়েলকে গালীল প্রদেশের নাসরৎ-নগরে এক কুমারীর কাছে পাঠালেন।
Ἐν δὲ τῷ μηνὶ τῷ ἕκτῳ ἀπεστάλη ὁ ἄγγελος Γαβριὴλ ἀπὸ τοῦ θεοῦ εἰς πόλιν τῆς Γαλιλαίας, ᾗ ὄνομα Ναζαρέτ,
27 তিনি দাউদ বংশের যোষেফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগদত্তা হয়েছিলেন। সেই কুমারী কন্যার নাম ছিল মরিয়ম।
πρὸς παρθένον ἐμνηστευμένην ἀνδρὶ ᾧ ὄνομα Ἰωσήφ, ἐξ οἴκου Δαυείδ, καὶ τὸ ὄνομα τῆς παρθένου Μαριάμ.
28 দূত তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “মহান অনুগ্রহের অধিকারিণী, তোমাকে অভিনন্দন! প্রভু তোমার সঙ্গে আছেন।”
καὶ εἰσελθὼν [ὁ ἄγγελος] πρὸς αὐτὴν εἶπεν, Χαῖρε, κεχαριτωμένη· ὁ κύριος μετὰ σοῦ, [εὐλογημένη σὺ ἐν γυναιξίν.]
29 তাঁর কথা শুনে মরিয়ম অত্যন্ত বিচলিত হলেন এবং অবাক হয়ে ভাবলেন, এ কী ধরনের অভিবাদন হতে পারে!
Ἡ δὲ ἐπὶ τῷ λόγῳ διεταράχθη καὶ διελογίζετο ποταπὸς εἴη ὁ ἀσπασμὸς οὗτος.
30 কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “মরিয়ম, ভয় পেয়ো না। তুমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছ।
καὶ εἶπεν ὁ ἄγγελος αὐτῇ, Μὴ φοβοῦ, Μαριάμ, εὗρες γὰρ χάριν παρὰ τῷ θεῷ.
31 তুমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এক পুত্রের জন্ম দেবে, আর তুমি তাঁর নাম রাখবে যীশু।
καὶ ἰδοὺ συλλήμψῃ ἐν γαστρί, καὶ τέξῃ υἱόν, καὶ καλέσεις τὸ ὄνομα αὐτοῦ Ἰησοῦν.
32 তিনি মহান হবেন ও পরাৎপরের পুত্র নামে আখ্যাত হবেন। প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতা দাউদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন
οὗτος ἔσται μέγας, καὶ υἱὸς ὑψίστου κληθήσεται, καὶ δώσει αὐτῷ κύριος ὁ θεὸς τὸν θρόνον Δαυεὶδ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ,
33 এবং তিনি যাকোব বংশে চিরকাল রাজত্ব করবেন। তাঁর রাজত্বের কখনও অবসান হবে না।” (aiōn g165)
καὶ βασιλεύσει ἐπὶ τὸν οἶκον Ἰακὼβ εἰς τοὺς αἰῶνας, καὶ τῆς βασιλείας αὐτοῦ οὐκ ἔσται τέλος. (aiōn g165)
34 মরিয়ম দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তা কী করে হবে? আমি যে কুমারী!”
Εἶπεν δὲ Μαριὰμ πρὸς τὸν ἄγγελον, Πῶς ἔσται τοῦτο, ἐπεὶ ἄνδρα οὐ γινώσκω;
35 উত্তর দিয়ে দূত তাঁকে বললেন, “পবিত্র আত্মা তোমার উপরে অবতরণ করবেন ও পরাৎপরের শক্তি তোমাকে আবৃত করবে। তাই যে পবিত্র পুরুষ জন্মগ্রহণ করবেন, তিনি ঈশ্বরের পুত্র বলে আখ্যাত হবেন।
καὶ ἀποκριθεὶς ὁ ἄγγελος εἶπεν αὐτῇ, Πνεῦμα ἅγιον ἐπελεύσεται ἐπὶ σέ, καὶ δύναμις ὑψίστου ἐπισκιάσει σοι, διὸ καὶ τὸ γεννώμενον ἅγιον κληθήσεται υἱὸς θεοῦ.
36 আর তোমার আত্মীয় ইলিশাবেতও বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের মা হতে চলেছেন। যাকে সকলে বন্ধ্যা বলে জানত, এখন তাঁর ছয় মাস চলছে।
καὶ ἰδοὺ Ἐλισάβετ ἡ συγγενής σου, καὶ αὐτὴ συνείληφεν υἱὸν ἐν γήρει αὐτῆς, καὶ οὗτος μὴν ἕκτος ἐστὶν αὐτῇ τῇ καλουμένῃ στείρᾳ,
37 কারণ ঈশ্বর যা বলেন তা সবসময় সত্যি হয়।”
ὅτι οὐκ ἀδυνατήσει παρὰ τοῦ θεοῦ πᾶν ῥῆμα.
38 মরিয়ম উত্তর দিলেন, “আমি প্রভুর দাসী। আপনি যে রকম বললেন, আমার প্রতি সেরকমই হোক।” এরপর দূত তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন।
Εἶπεν δὲ Μαριάμ, Ἰδοὺ ἡ δούλη κυρίου· γένοιτό μοι κατὰ τὸ ῥῆμά σου. Καὶ ἀπῆλθεν ἀπ᾽ αὐτῆς ὁ ἄγγελος.
39 তখন মরিয়ম যিহূদিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের এক নগরের দিকে দ্রুত বেরিয়ে পড়লেন।
Ἀναστᾶσα δὲ Μαριὰμ ἐν ταῖς ἡμέραις ταύταις ἐπορεύθη εἰς τὴν ὀρεινὴν μετὰ σπουδῆς εἰς πόλιν Ἰούδα,
40 সেখানে এসে তিনি সখরিয়ের বাড়িতে প্রবেশ করে ইলিশাবেতকে অভিনন্দন জানালেন।
καὶ εἰσῆλθεν εἰς τὸν οἶκον Ζαχαρίου καὶ ἠσπάσατο τὴν Ἐλισάβετ.
41 ইলিশাবেত যখন মরিয়মের অভিনন্দন শুনলেন, তাঁর গর্ভে শিশুটি লাফ দিয়ে উঠল এবং ইলিশাবেত পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন।
καὶ ἐγένετο ὡς ἤκουσεν τὸν ἀσπασμὸν τῆς Μαρίας ἡ Ἐλισάβετ, ἐσκίρτησεν τὸ βρέφος ἐν τῇ κοιλίᾳ αὐτῆς· καὶ ἐπλήσθη πνεύματος ἁγίου ἡ Ἐλισάβετ,
42 উচ্ছ্বসিত স্বরে তিনি বলে উঠলেন, “নারীকুলে তুমি ধন্য, আর যে শিশুকে তুমি গর্ভে ধারণ করবে, সেও ধন্য।
καὶ ἀνεφώνησεν κραυγῇ μεγάλῃ, καὶ εἶπεν, Εὐλογημένη σὺ ἐν γυναιξίν, καὶ εὐλογημένος ὁ καρπὸς τῆς κοιλίας σου.
43 আর আমার প্রতিই বা এত অনুগ্রহের কারণ কী যে, আমার প্রভুর মা আমার কাছে এসেছেন?
καὶ πόθεν μοι τοῦτο ἵνα ἔλθῃ ἡ μήτηρ τοῦ κυρίου μου πρός με;
44 তোমার অভিনন্দন আমার কানে প্রবেশ করা মাত্র, আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠল।
ἰδοὺ γὰρ ὡς ἐγένετο ἡ φωνὴ τοῦ ἀσπασμοῦ σου εἰς τὰ ὦτά μου, ἐσκίρτησεν ἐν ἀγαλλιάσει τὸ βρέφος ἐν τῇ κοιλίᾳ μου.
45 ধন্য সেই নারী, যে বিশ্বাস করেছে, প্রভুর প্রতিশ্রুতি তাঁর জীবনে সার্থক হয়ে উঠবে।”
καὶ μακαρία ἡ πιστεύσασα ὅτι ἔσται τελείωσις τοῖς λελαλημένοις αὐτῇ παρὰ κυρίου.
46 তখন মরিয়ম বললেন, “আমার প্রাণ প্রভুর মহিমাকীর্তন করে,
Καὶ εἶπεν Μαριάμ, Μεγαλύνει ἡ ψυχή μου τὸν κύριον,
47 আমার পরিত্রাতা ঈশ্বরে আমার আত্মা উল্লাস করে।
καὶ ἠγαλλίασεν τὸ πνεῦμά μου ἐπὶ τῷ θεῷ τῷ σωτῆρί μου,
48 কারণ তিনি তাঁর এই দীনদরিদ্র দাসীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন। এখন থেকে পুরুষ-পরম্পরা আমাকে ধন্য বলে অভিহিত করবে।
ὅτι ἐπέβλεψεν ἐπὶ τὴν ταπεί νωσιν τῆς δούλης αὐτοῦ. ἰδοὺ γὰρ ἀπὸ τοῦ νῦν μακαριοῦσίν με πᾶσαι αἱ γενεαί·
49 কারণ যিনি পরাক্রমী, যিনি আমার জন্য কত মহৎ কাজ সাধন করেছেন— তাঁর নাম পবিত্র।
ὅτι ἐποίησέν μοι μεγάλα ὁ δυνατός· καὶ ἅγιον τὸ ὄνομα αὐτοῦ·
50 যারা তাঁকে ভয় করে, তাদেরই জন্য পুরুষ-পরম্পরায় তাঁর করুণার হাত প্রসারিত।
καὶ τὸ ἔλεος αὐτοῦ εἰς γενεὰς καὶ γενεὰς τοῖς φοβουμένοις αὐτόν·
51 তাঁর বাহু সব পরাক্রম কাজ সাধন করেছে; যারা অন্তরের গভীরতম ভাবনায় গর্বিত, তিনি তাদের ছত্রভঙ্গ করেছেন।
ἐποίησεν κράτος ἐν βραχίονι αὐτοῦ, διεσκόρπισεν ὑπερηφάνους διανοίᾳ καρδίας αὐτῶν·
52 শাসকদের তিনি সিংহাসনচ্যূত করেছেন, কিন্তু বিনম্রদের উন্নত করেছেন।
καθεῖλεν δυνάστας ἀπὸ θρόνων, καὶ ὕψωσεν ταπεινούς·
53 তিনি উত্তম দ্রব্যে ক্ষুধার্তদের তৃপ্ত করেছেন, কিন্তু ধনীদের রিক্ত হাতে বিদায় করেছেন।
πεινῶντας ἐνέπλησεν ἀγαθῶν, καὶ πλουτοῦντας ἐξαπέστειλεν κενούς·
54 আপন করুণার কথা স্মরণ করে, তিনি তাঁর সেবক ইস্রায়েলকে সহায়তা দান করেছেন।
ἀντελάβετο Ἰσραὴλ παιδὸς αὐτοῦ, μνησθῆναι ἐλέους,
55 যেমন আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলেছিলেন, অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি চিরতরে করুণা প্রদান করেছেন।” (aiōn g165)
καθὼς ἐλάλησεν πρὸς τοὺς πατέρας ἡμῶν, τῷ Ἀβραὰμ καὶ τῷ σπέρματι αὐτοῦ εἰς τὸν αἰῶνα. (aiōn g165)
56 মরিয়ম প্রায় তিন মাস ইলিশাবেতের কাছে রইলেন, তারপর তিনি বাড়িতে ফিরে এলেন।
Ἔμεινεν δὲ Μαριὰμ σὺν αὐτῇ ὡς μῆνας τρεῖς· καὶ ὑπέστρεψεν εἰς τὸν οἶκον αὐτῆς.
57 প্রসবের সময় পূর্ণ হলে, ইলিশাবেত এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন।
Τῇ δὲ Ἐλισάβετ ἐπλήσθη ὁ χρόνος τοῦ τεκεῖν αὐτήν, καὶ ἐγέννησεν υἱόν.
58 তাঁর প্রতিবেশী এবং আত্মীয়পরিজনেরা শুনল যে, প্রভু তাঁর প্রতি মহৎ করুণা প্রদর্শন করেছেন, আর তারাও তাঁর আনন্দের অংশীদার হল।
καὶ ἤκουσαν οἱ περίοικοι καὶ οἱ συγγενεῖς αὐτῆς ὅτι ἐμεγάλυνεν κύριος τὸ ἔλεος αὐτοῦ μετ᾽ αὐτῆς, καὶ συνέχαιρον αὐτῇ.
59 অষ্টম দিনে তারা শিশুটিকে সুন্নত করার জন্য এসে তার পিতার নাম অনুসারে শিশুটির নাম সখরিয় রাখতে চাইল।
καὶ ἐγένετο ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῇ ὀγδόῃ ἦλθον περιτεμεῖν τὸ παιδίον· καὶ ἐκάλουν αὐτὸ ἐπὶ τῷ ὀνόματι τοῦ πατρὸς αὐτοῦ Ζαχαρίαν.
60 কিন্তু তার মা বলে উঠলেন, “না, ওর নাম হবে যোহন।”
καὶ ἀποκριθεῖσα ἡ μήτηρ αὐτοῦ εἶπεν, Οὐχί, ἀλλὰ κληθήσεται Ἰωάνης.
61 তারা তাঁকে বলল, “কেন? আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কারও তো এই নাম নেই!”
καὶ εἶπαν πρὸς αὐτὴν ὅτι Οὐδείς ἐστιν ἐκ τῆς συγγενείας σου ὃς καλεῖται τῷ ὀνόματι τούτῳ.
62 তখন তারা তার পিতার কাছে ইশারায় জানতে চাইল, তিনি শিশুটির কী নাম রাখতে চান।
ἐνένευον δὲ τῷ πατρὶ αὐτοῦ τὸ τί ἂν θέλοι καλεῖσθαι αὐτό.
63 তিনি একটি লিপিফলক চেয়ে নিলেন এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিখলেন, “ওর নাম যোহন।”
καὶ αἰτήσας πινακίδιον ἔγραψεν λέγων, Ἰωάνης ἐστὶν ὄνομα αὐτοῦ· καὶ ἐθαύμασαν πάντες.
64 সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখ খুলে গেল, জিভের জড়তা চলে গেল, আর তিনি কথা বলতে লাগলেন ও ঈশ্বরের প্রশংসায় মুখর হলেন।
ἀνεῴχθη δὲ τὸ στόμα αὐτοῦ παραχρῆμα καὶ ἡ γλῶσσα αὐτοῦ, καὶ ἐλάλει εὐλογῶν τὸν θεόν.
65 প্রতিবেশীরা সবাই ভীত হল এবং যিহূদিয়ার সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলের লোকেরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লাগল।
καὶ ἐγένετο ἐπὶ πάντας φόβος τοὺς περιοικοῦντας αὐτούς· καὶ ἐν ὅλῃ τῇ ὀρεινῇ τῆς Ἰουδαίας διελαλεῖτο πάντα τὰ ῥήματα ταῦτα,
66 যারা শুনল, তারা প্রত্যেকেই বিস্মিত হয়ে বলাবলি করল, “এই শিশুটি তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে?” কারণ প্রভুর হাত ছিল তার সহায়।
καὶ ἔθεντο πάντες οἱ ἀκούσαντες ἐν τῇ καρδίᾳ αὐτῶν λέγοντες, Τί ἄρα τὸ παιδίον τοῦτο ἔσται; καὶ γὰρ χεὶρ κυρίου ἦν μετ᾽ αὐτοῦ.
67 তখন তার পিতা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন:
Καὶ Ζαχαρίας ὁ πατὴρ αὐτοῦ ἐπλήσθη πνεύματος ἁγίου καὶ ἐπροφήτευσεν λέγων,
68 “প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের নাম প্রশংসিত হোক, কারণ তিনি এসে তাঁর প্রজাদের মুক্ত করেছেন।
Εὐλογητὸς κύριος ὁ θεὸς τοῦ Ἰσραήλ, ὅτι ἐπεσκέψατο καὶ ἐποίησεν λύτρωσιν τῷ λαῷ αὐτοῦ,
69 তিনি তাঁর দাস দাউদের বংশে আমাদের জন্য এক ত্রাণশৃঙ্গ তুলে ধরেছেন,
καὶ ἤγειρεν κέρας σωτηρίας ἡμῖν ἐν οἴκῳ Δαυεὶδ παιδὸς αὐτοῦ,
70 (বহুকাল আগে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে তিনি যেমন বলেছিলেন), (aiōn g165)
καθὼς ἐλάλησεν διὰ στόματος τῶν ἁγίων ἀπ᾽ αἰῶνος προφητῶν αὐτοῦ, (aiōn g165)
71 যেন আমরা আমাদের সব শত্রুর কবল থেকে উদ্ধার পাই, যারা আমাদের ঘৃণা করে, তাদের হাত থেকে রক্ষা পাই,
σωτηρίαν ἐξ ἐχθρῶν ἡμῶν καὶ ἐκ χειρὸς πάντων τῶν μισούντων ἡμᾶς,
72 আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি করুণা প্রদর্শন এবং তাঁর পবিত্র নিয়ম স্মরণ করার জন্য,
ποιῆσαι ἔλεος μετὰ τῶν πατέρων ἡμῶν, καὶ μνησθῆναι διαθήκης ἁγίας αὐτοῦ,
73 আমাদের পিতা অব্রাহামের কাছে তিনি যা শপথ করেছিলেন:
ὅρκον ὃν ὤμοσεν πρὸς Ἀβραὰμ τὸν πατέρα ἡμῶν, τοῦ δοῦναι ἡμῖν
74 তিনি আমাদের সব শত্রুর হাত থেকে আমাদের নিস্তার করবেন, যেন নির্ভয়ে তাঁর সেবা করতে আমাদের সক্ষম করেন,
ἀφόβως ἐκ χειρὸς ἐχθρῶν ῥυσθέντας λατρεύειν αὐτῷ
75 যেন তাঁর সামনে পবিত্রতায় ও ধার্মিকতায় আমরা তাঁর সেবা করে যাই।
ἐν ὁσιότητι καὶ δικαιοσύνῃ ἐνώπιον αὐτοῦ πάσαις ταῖς ἡμέραις ἡμῶν.
76 “আর তুমি, আমার শিশুসন্তান, তুমি পরাৎপরের ভাববাদী বলে আখ্যাত হবে, কারণ প্রভুর পথ প্রস্তুতির জন্য তুমি তাঁর অগ্রগামী হবে;
καὶ σὺ δὲ παιδίον, προφήτης ὑψίστου κληθήσῃ· προπορεύσῃ γὰρ πρὸ προσώπου κυρίου ἑτοιμάσαι ὁδοὺς αὐτοῦ,
77 তাঁর প্রজাবৃন্দকে, তাদের পাপসমূহ ক্ষমার মাধ্যমে পরিত্রাণের জ্ঞান দেওয়ার জন্য।
τοῦ δοῦναι γνῶσιν σωτηρίας τῷ λαῷ αὐτοῦ ἐν ἀφέσει ἁμαρτιῶν αὐτῶν,
78 আমাদের ঈশ্বরের স্নেহময় করুণার গুণে, স্বর্গ থেকে আমাদের মাঝে স্বর্গীয় জ্যোতির উদয় হবে।
διὰ σπλάγχνα ἐλέους θεοῦ ἡμῶν, ἐν οἷς ἐπισκέψατο ἡμᾶς ἀνατολὴ ἐξ ὕψους,
79 যারা অন্ধকারে, মৃত্যুচ্ছায়ায় বসবাস করছে, তাদের উপর আলো বিকীর্ণ করতে, আমাদের পা শান্তির পথে চালিত করতে।”
ἐπιφᾶναι τοῖς ἐν σκότει καὶ σκιᾷ θανάτου καθημένοις, τοῦ κατευθῦναι τοὺς πόδας ἡμῶν εἰς ὁδὸν εἰρήνης.
80 আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই শিশু আত্মাতে বলীয়ান হয়ে উঠলেন এবং ইস্রায়েলের জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ না করা পর্যন্ত, তিনি মরুপ্রান্তরে বসবাস করলেন।
Τὸ δὲ παιδίον ηὔξανεν καὶ ἐκραταιοῦτο πνεύματι, καὶ ἦν ἐν ταῖς ἐρήμοις ἕως ἡμέρας ἀναδείξεως αὐτοῦ πρὸς τὸν Ἰσραήλ.

< লুক 1 >