< লুক 9 >

1 যীশু সেই বারোজনকে আহ্বান করে মন্দ-আত্মা তাড়ানোর এবং রোগনিরাময় করার ক্ষমতা ও অধিকার তাদের দিলেন।
Συγκαλεσάμενος δὲ τοὺς δώδεκα ἔδωκεν αὐτοῖς δύναμιν καὶ ἐξουσίαν ἐπὶ πάντα τὰ δαιμό νια, καὶ νόσους θεραπεύειν·
2 তিনি ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে প্রচার ও পীড়িতদের আরোগ্য দান করার জন্য তাঁদের পাঠালেন।
καὶ ἀπέστειλεν αὐτοὺς κηρύσσειν τὴν βασιλείαν τοῦ θεοῦ, καὶ ἰᾶσθαι [τοὺς ἀσθενεῖς].
3 তিনি তাঁদের বললেন, “যাত্রার উদ্দেশে তোমরা সঙ্গে কিছুই নিয়ো না; ছড়ি, থলি, কোনো খাবার, টাকাপয়সা, অতিরিক্ত পোশাক, কোনো কিছুই না।
καὶ εἶπεν πρὸς αὐτούς, Μηδὲν αἴρετε εἰς τὴν ὁδόν· μήτε ῥάβδον, μήτε πήραν, μήτε ἄρτον, μήτε ἀργύριον, μήτε [ἀνὰ] δύο χιτῶνας ἔχειν.
4 যে বাড়িতে তোমরা প্রবেশ করবে, সেই নগর পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তোমরা সেখানেই থেকো।
καὶ εἰς ἣν ἂν οἰκίαν εἰσέλθητε, ἐκεῖ μένετε, καὶ ἐκεῖθεν ἐξέρχεσθε.
5 লোকে তোমাদের স্বাগত না জানালে, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণস্বরূপ, তাদের নগর পরিত্যাগ করার সময় তোমাদের পায়ের ধুলো ঝেড়ে ফেলো।”
καὶ ὅσοι ἂν μὴ δέχωνται ὑμᾶς, ἐξερχόμενοι ἀπὸ τῆς πόλεως ἐκείνης, τὸν κονιορτὸν ἀπὸ τῶν ποδῶν ὑμῶν ἀποτινάξατε, εἰς μαρτύριον ἐπ᾽ αὐτούς.
6 সেইমতো তাঁরা যাত্রা করলেন এবং গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে সুসমাচার প্রচার করলেন, সর্বত্র লোকদের রোগনিরাময় করলেন।
Ἐξερχόμενοι δὲ διήρχοντο κατὰ τὰς κώμας, εὐαγγελιζόμενοι καὶ θεραπεύοντες πανταχοῦ.
7 সামন্তরাজ হেরোদ এসব ঘটনার কথা শুনতে পেলেন। তিনি খুব বিচলিত হয়ে পড়লেন, কারণ কেউ কেউ বলছিল যে, যোহন মৃত্যুলোক থেকে উত্থিত হয়েছেন।
Ἤκουσεν δὲ Ἡρώδης ὁ τετράρχης τὰ γινόμενα πάντα· καὶ διηπόρει, διὰ τὸ λέγεσθαι ὑπό τινων ὅτι Ἰωάνης ἠγέρθη ἐκ νεκρῶν·
8 অন্যেরা বলছিল, এলিয় আবির্ভূত হয়েছেন; আবার কেউ কেউ বলছিল, প্রাচীনকালের কোনো ভাববাদী পুনর্জীবিত হয়েছেন।
ὑπό τινων δὲ ὅτι Ἡλίας ἐφάνη· ἄλλων δὲ ὅτι Προφήτης τις τῶν ἀρχαίων ἀνέστη.
9 কিন্তু হেরোদ বললেন, “আমিই তো যোহনের মাথা কেটেছিলাম, তাহলে কে এই ব্যক্তি, যাঁর সম্পর্কে আমি এত কথা শুনছি?” তিনি যীশুকে দেখার চেষ্টা করতে লাগলেন।
εἶπεν δὲ Ἡρώδης, Ἰωάνην ἐγὼ ἀπεκεφάλισα· τίς δέ ἐστιν οὗτος, περὶ οὗ [ἐγὼ] ἀκούω τοιαῦτα; καὶ ἐζήτει ἰδεῖν αὐτόν.
10 প্রেরিতশিষ্যেরা ফিরে এসে যীশুকে তাঁদের কাজের বিবরণ দিলেন। তিনি তখন তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বেথসৈদা নগরের দিকে একান্তে যাত্রা করলেন।
Καὶ ὑποστρέψαντες οἱ ἀπόστολοι διηγήσαντο αὐτῷ ὅσα ἐποίησαν· καὶ παραλαβὼν αὐτοὺς ὑπεχώρησεν κατ᾽ ἰδίαν εἰς πόλιν καλουμένην Βηθσαϊδά.
11 কিন্তু লোকেরা সেকথা জানতে পেরে তাঁকে অনুসরণ করল। তিনি তাদের স্বাগত জানিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে কথা বললেন এবং যাদের সুস্থতা লাভের প্রয়োজন ছিল, তাদের সুস্থ করলেন।
οἱ δὲ ὄχλοι γνόντες ἠκολούθησαν αὐτῷ· καὶ ἀποδεξάμενος αὐτοὺς ἐλάλει αὐτοῖς περὶ τῆς βασιλείας τοῦ θεοῦ, καὶ τοὺς χρείαν ἔχοντας θεραπείας ἰᾶτο.
12 পড়ন্ত বিকেলে সেই বারোজন তাঁর কাছে এসে বললেন, “লোকদের চলে যেতে বলুন, তারা যেন চারদিকের গ্রামে এবং পল্লিতে গিয়ে খাবার ও রাত্রিবাসের সন্ধান করতে পারে, কারণ আমরা এখানে এক প্রত্যন্ত স্থানে আছি।”
Ἡ δὲ ἡμέρα ἤρξατο κλίνειν· προσελθόντες δὲ οἱ δώδεκα εἶπον αὐτῷ, Ἀπόλυσον τὸν ὄχλον, ἵνα πορευθέντες εἰς τὰς κύκλῳ κώμας καὶ [τοὺς] ἀγροὺς καταλύσωσιν καὶ εὕρωσιν ἐπισιτισμόν· ὅτι ὧδε ἐν ἐρήμῳ τόπῳ ἐσμέν.
13 তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরাই ওদের কিছু খেতে দাও।” তাঁরা বললেন, “আমাদের কাছে কেবলমাত্র পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ আছে—সব লোককে খাওয়াতে হলে আমাদের গিয়ে খাবার কিনতে হবে।”
Εἶπεν δὲ πρὸς αὐτούς, Δότε αὐτοῖς ὑμεῖς φαγεῖν. Οἱ δὲ εἶπαν, Οὐκ εἰσὶν ἡμῖν πλεῖον ἢ πέντε ἄρτοι καὶ ἰχθύες δύο, εἰ μή τι πορευθέντες ἡμεῖς ἀγοράσωμεν εἰς πάντα τὸν λαὸν τοῦτον βρώματα.
14 (সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল।) তিনি কিন্তু শিষ্যদের বললেন, “প্রত্যেক সারিতে কমবেশি পঞ্চাশ জন করে ওদের বসিয়ে দাও।”
Ἦσαν γὰρ ὡσεὶ ἄνδρες πεντακισχίλιοι. εἶπεν δὲ πρὸς τοὺς μαθητὰς αὐτοῦ, Κατακλίνατε αὐτοὺς κλισίας [ὡσεὶ] ἀνὰ πεντήκοντα.
15 শিষ্যেরা তাই করলেন, এবং প্রত্যেকে বসে পড়ল।
Καὶ ἐποίησαν οὕτως, καὶ κατέκλιναν ἅπαντας.
16 সেই পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ নিয়ে যীশু স্বর্গের দিকে দৃষ্টি দিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও রুটিগুলিকে ভাঙলেন। তারপর তিনি সেগুলি লোকদের পরিবেশন করার জন্য শিষ্যদের হাতে তুলে দিলেন।
λαβὼν δὲ τοὺς πέντε ἄρτους καὶ τοὺς δύο ἰχθύας, ἀναβλέψας εἰς τὸν οὐρανὸν εὐλόγησεν αὐτοὺς καὶ κατέκλασεν, καὶ ἐδίδου τοῖς μαθηταῖς παραθεῖναι τῷ ὄχλῳ.
17 তারা সকলে খেয়ে পরিতৃপ্ত হল। আর শিষ্যেরা অবশিষ্ট রুটির টুকরো সংগ্রহ করে বারো ঝুড়ি পূর্ণ করলেন।
καὶ ἔφαγον καὶ ἐχορτάσθησαν πάντες· καὶ ἤρθη τὸ περισσεῦσαν αὐτοῖς κλασμάτων κόφινοι δώδεκα.
18 একদিন যীশু একান্তে প্রার্থনা করছিলেন। তাঁর শিষ্যেরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এ বিষয়ে লোকেরা কী বলে?”
Καὶ ἐγένετο ἐν τῷ εἶναι αὐτὸν προσευχόμενον κατὰ μόνας, συνῆσαν αὐτῷ οἱ μαθηταί· καὶ ἐπηρώτησεν αὐτοὺς λέγων, Τίνα με οἱ ὄχλοι λέγουσιν εἶναι;
19 তাঁরা উত্তর দিলেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন, অন্যেরা বলে এলিয়, আর কেউ কেউ বলে, প্রাচীনকালের কোনও একজন ভাববাদী যিনি পুনর্জীবিত হয়েছেন।”
Οἱ δὲ ἀποκριθέντες εἶπαν, Ἰωάνην τὸν βαπτιστήν· ἄλλοι δὲ Ἡλίαν· ἄλλοι δὲ ὅτι Προφήτης τις τῶν ἀρχαίων ἀνέστη.
20 “কিন্তু তোমরা কী বলো?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী বলো, আমি কে?” পিতর উত্তর দিলেন, “আপনি ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট।”
Εἶπεν δὲ αὐτοῖς, Ὑμεῖς δὲ τίνα με λέγετε εἶναι; Πέτρος δὲ ἀποκριθεὶς εἶπεν, Τὸν χριστὸν τοῦ θεοῦ.
21 একথা কারও কাছে প্রকাশ না করার জন্য যীশু দৃঢ়ভাবে তাঁদের সতর্ক করে দিলেন।
ὁ δὲ ἐπιτιμήσας αὐτοῖς παρήγγειλεν μηδενὶ λέγειν τοῦτο,
22 তিনি বললেন, “মনুষ্যপুত্রকে বিভিন্ন বিষয়ে দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনবর্গ, মহাযাজকবৃন্দ ও শাস্ত্রবিদরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে। তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তৃতীয় দিনে তাঁর পুনরুত্থান হবে।”
εἰπὼν ὅτι Δεῖ τὸν υἱὸν τοῦ ἀνθρώπου πολλὰ παθεῖν, καὶ ἀποδοκιμασθῆναι ἀπὸ τῶν πρεσβυτέρων καὶ ἀρχιερέων καὶ γραμματέων, καὶ ἀποκτανθῆναι, καὶ τῇ τρίτῃ ἡμέρᾳ ἐγερθῆναι.
23 তারপর তিনি তাঁদের সবাইকে বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, সে অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করবে, প্রতিদিন তার ক্রুশ তুলে নেবে ও আমাকে অনুসরণ করবে।
Ἔλεγεν δὲ πρὸς πάντας, Εἴ τις θέλει ὀπίσω μου ἔρχεσθαι ἀρνησάσθω ἑαυτὸν καὶ ἀράτω τὸν σταυρὸν αὐτοῦ καθ᾽ ἡμέραν, καὶ ἀκολουθείτω μοι.
24 কারণ কেউ যদি তার প্রাণরক্ষা করতে চায়, সে তা হারাবে, কিন্তু কেউ যদি আমার কারণে তার প্রাণ হারায়, সে তা লাভ করবে।
ὃς γὰρ ἂν θέλῃ τὴν ψυχὴν αὐτοῦ σῶσαι, ἀπολέσει αὐτήν· ὃς δ᾽ ἂν ἀπολέσῃ τὴν ψυχὴν αὐτοῦ ἕνεκεν ἐμοῦ, οὗτος σώσει αὐτήν.
25 মানুষ যদি সমস্ত জগতের অধিকার লাভ করে ও তার নিজের প্রাণ হারায়, বা জীবন থেকে বঞ্চিত হয়, তাতে তার কী লাভ হবে?
τί γὰρ ὠφελεῖται ἄνθρωπος κερδήσας τὸν κόσμον ὅλον, ἑαυτὸν δὲ ἀπολέσας ἢ ζημιωθείς;
26 কেউ যদি আমার ও আমার বাক্যের জন্য লজ্জাবোধ করে, মনুষ্যপুত্র যখন তাঁর নিজের মহিমায় ও তাঁর পিতা এবং পবিত্র স্বর্গদূতদের মহিমায় আসবেন, তিনিও তার জন্য লজ্জাবোধ করবেন।
ὃς γὰρ ἂν ἐπαισχυνθῇ με καὶ τοὺς ἐμοὺς λόγους, τοῦτον ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου ἐπαισχυνθήσεται, ὅταν ἔλθῃ ἐν τῇ δόξῃ αὐτοῦ καὶ τοῦ πατρὸς καὶ τῶν ἁγίων ἀγγέλων.
27 “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এখানে যারা দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঈশ্বরের রাজ্যের দর্শন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর আস্বাদ লাভ করবে না।”
λέγω δὲ ὑμῖν ἀληθῶς εἰσίν τινες τῶν αὐτοῦ ἑστώτων, οἳ οὐ μὴ γεύσωνται θανάτου ἕως ἂν ἴδωσιν τὴν βασιλείαν τοῦ θεοῦ.
28 একথা বলার প্রায় আট দিন পরে যীশু পিতর, যোহন ও যাকোবকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য এক পর্বতে উঠলেন।
Ἐγένετο δὲ μετὰ τοὺς λόγους τούτους ὡσεὶ ἡμέραι ὀκτώ, καὶ παραλαβὼν Πέτρον καὶ Ἰωάνην καὶ Ἰάκωβον ἀνέβη εἰς τὸ ὄρος προσεύξασθαι.
29 প্রার্থনাকালে তাঁর মুখের রূপের পরিবর্তন হল এবং তাঁর পোশাক বিদ্যুতের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
καὶ ἐγένετο ἐν τῷ προσεύχεσθαι αὐτὸν τὸ εἶδος τοῦ προσώπου αὐτοῦ ἕτερον, καὶ ὁ ἱματισμὸς αὐτοῦ λευκὸς ἐξαστράπτων.
30 দুজন পুরুষ, মোশি ও এলিয়, হঠাৎই আবির্ভূত হয়ে যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
καὶ ἰδοὺ ἄνδρες δύο συνελάλουν αὐτῷ, οἵτινες ἦσαν Μωυσῆς καὶ Ἡλίας·
31 তাঁরা মহিমাময় রূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়ে যীশুর সঙ্গে তাঁর আসন্ন প্রস্থানের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, যা তিনি জেরুশালেমে সম্পন্ন করতে চলেছিলেন।
οἳ ὀφθέντες ἐν δόξῃ ἔλεγον τὴν ἔξοδον αὐτοῦ ἣν ἤμελλεν πληροῦν ἐν Ἱερουσαλήμ.
32 পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যখন তাঁরা সম্পূর্ণ জেগে উঠলেন, তাঁরা যীশুর মহিমান্বিত রূপ এবং তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন।
ὁ δὲ Πέτρος καὶ οἱ σὺν αὐτῷ ἦσαν βεβαρημένοι ὕπνῳ· διαγρηγορήσαντες δὲ εἶδον τὴν δόξαν αὐτοῦ, καὶ τοὺς δύο ἄνδρας τοὺς συνεστῶτας αὐτῷ.
33 যখন তাঁরা যীশুকে ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হলেন, তখন পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, এখানে থাকা আমাদের পক্ষে ভালোই হবে। এখানে আমরা তিনটি তাঁবু নির্মাণ করি, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য, ও একটি এলিয়ের জন্য।” (তিনি কী বলছেন, তা নিজেই বুঝতে পারলেন না।)
καὶ ἐγένετο ἐν τῷ διαχωρίζεσθαι αὐτοὺς ἀπ᾽ αὐτοῦ, εἶπεν ὁ Πέτρος πρὸς τὸν Ἰησοῦν, Ἐπιστάτα, καλόν ἐστιν ἡμᾶς ὧδε εἶναι· καὶ ποιήσωμεν σκηνὰς τρεῖς, μίαν σοὶ καὶ μίαν Μωυσεῖ καὶ μίαν Ἡλίᾳ· μὴ εἰδὼς ὃ λέγει.
34 তিনি একথা বলছেন, এমন সময় একখণ্ড মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল। যখন তাঁরা মেঘে ঢাকা পড়লেন, তখন তাঁরা অত্যন্ত ভয়ভীত হলেন।
ταῦτα δὲ αὐτοῦ λέγοντος ἐγένετο νεφέλη καὶ ἐπεσκίαζεν αὐτούς· ἐφοβήθησαν δὲ ἐν τῷ εἰσελθεῖν αὐτοὺς εἰς τὴν νεφέλην.
35 তখন মেঘের ভিতর থেকে একটি স্বর ধ্বনিত হল, “ইনিই আমার পুত্র, আমার মনোনীত, তোমরা এঁর কথা শোনো।”
καὶ φωνὴ ἐγένετο ἐκ τῆς νεφέλης λέγουσα, Οὗτός ἐστιν ὁ υἱός μου ὁ ἐκλελεγμένος, αὐτοῦ ἀκούετε.
36 সেই স্বর ধ্বনিত হওয়ার পর, তাঁরা দেখলেন যীশু একা দাঁড়িয়ে আছেন। শিষ্যেরা নিজেদের মধ্যেই সেকথা গোপন করে রাখলেন, তাঁরা কী দেখেছেন, সে সম্বন্ধে তাঁরা কারও কাছেই প্রকাশ করলেন না।
Καὶ ἐν τῷ γενέσθαι τὴν φωνὴν εὑρέθη Ἰησοῦς μόνος. καὶ αὐτοὶ ἐσίγησαν καὶ οὐδενὶ ἀπήγγειλαν ἐν ἐκείναις ταῖς ἡμέραις οὐδὲν ὧν ἑώρακαν.
37 পরদিন তাঁরা পর্বত থেকে নেমে আসার পর একদল লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।
Ἐγένετο δὲ [ἐν] τῇ ἑξῆς ἡμέρᾳ κατελθόντων αὐτῶν ἀπὸ τοῦ ὄρους, συνήντησεν αὐτῷ ὄχλος πολύς.
38 সকলের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি তাঁকে উচ্চকণ্ঠে বলল, “গুরুমহাশয়, মিনতি করছি, আপনি আমার ছেলেটির দিকে দয়া করে একবার দেখুন, সে আমার একমাত্র সন্তান।
καὶ ἰδοὺ ἀνὴρ ἀπὸ τοῦ ὄχλου ἐβόησεν λέγων, Διδάσκαλε, δέομαί σου, ἐπιβλέψαι ἐπὶ τὸν υἱόν μου, ὅτι μονογενής μοί ἐστιν·
39 একটি আত্মা তার উপর ভর করেছে। সে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে। সেই আত্মা তাকে আছড়ে ফেলে এবং এমনভাবে মোচড় দেয় যে, তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। সে তাকে যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে, কিছুতেই তাকে ছেড়ে যায় না।
καὶ ἰδοὺ πνεῦμα λαμβάνει αὐτὸν καὶ ἐξαίφνης κράζει, καὶ σπαράσσει αὐτὸν μετὰ ἀφροῦ, καὶ μόγις ἀποχωρεῖ ἀπ᾽ αὐτοῦ συντρῖβον αὐτόν.
40 আমি আপনার শিষ্যদের কাছে মিনতি করেছিলাম যেন তাঁরা সেই আত্মাকে তাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।”
καὶ ἐδεήθην τῶν μαθητῶν σου ἵνα ἐκβάλωσιν αὐτό, καὶ οὐκ ἠδυνήθησαν.
41 যীশু উত্তর দিলেন, “ওহে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী প্রজন্ম, আমি আর কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকব ও তোমাদের সহ্য করব? তোমার ছেলেটিকে এখানে নিয়ে এসো।”
Ἀποκριθεὶς δὲ ὁ Ἰησοῦς εἶπεν, Ὦ γενεὰ ἄπιστος καὶ διεστραμμένη, ἕως πότε ἔσομαι πρὸς ὑμᾶς καὶ ἀνέξομαι ὑμῶν; προσάγαγε ὧδε τὸν υἱόν σου.
42 ছেলেটি যখন আসছিল, এমন সময় সেই ভূত তাকে মাটিতে আছাড় দিয়ে মুচড়ে ধরল। কিন্তু যীশু মন্দ-আত্মাটিকে ধমক দিলেন, ছেলেটিকে সুস্থ করলেন এবং তাকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিলেন।
Ἔτι δὲ προσερχομένου αὐτοῦ, ἔῤῥηξεν αὐτὸν τὸ δαιμόνιον καὶ συνεσπάραξεν· ἐπετίμησεν δὲ ὁ Ἰησοῦς τῷ πνεύματι τῷ ἀκαθάρτῳ, καὶ ἰάσατο τὸν παῖδα, καὶ ἀπέδωκεν αὐτὸν τῷ πατρὶ αὐτοῦ.
43 ঈশ্বরের এই মহিমা দেখে তারা সকলে অভিভূত হয়ে পড়ল। যীশুর কার্যকলাপ যখন সবাইকে বিস্মিত করে দিল, তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন,
ἐξεπλήσσοντο δὲ πάντες ἐπὶ τῇ μεγαλειότητι τοῦ θεοῦ. Πάντων δὲ θαυμαζόντων ἐπὶ πᾶσιν οἷς ἐποίει, εἶπεν πρὸς τοὺς μαθητὰς αὐτοῦ,
44 “আমি তোমাদের যা বলতে চলেছি, তা মন দিয়ে শোনো। মনুষ্যপুত্র মানুষদের হাতে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে চলেছেন।”
Θέσθε ὑμεῖς εἰς τὰ ὦτα ὑμῶν τοὺς λόγους τούτους· ὁ γὰρ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου μέλλει παραδίδοσθαι εἰς χεῖρας ἀνθρώπων.
45 তাঁরা কিন্তু একথার অর্থ বুঝতে পারলেন না। বিষয়টি তাঁদের কাছে গুপ্ত রাখা হয়েছিল বলে, তাঁরা তা উপলব্ধি করতে পারলেন না। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেও তাঁরা ভয় পেলেন।
Οἱ δὲ ἠγνόουν τὸ ῥῆμα τοῦτο, καὶ ἦν παρακεκαλυμμένον ἀπ᾽ αὐτῶν, ἵνα μὴ αἴσθωνται αὐτό· καὶ ἐφοβοῦντο ἐρωτῆσαι αὐτὸν περὶ τοῦ ῥήματος τούτου.
46 পরে শিষ্যদের মধ্যে এক বিতর্কের সূচনা হল, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ?
εἰσῆλθεν δὲ διαλογισμὸς ἐν αὐτοῖς, τὸ τίς ἂν εἴη μείζων αὐτῶν.
47 যীশু তাঁদের মনোভাব জানতে পেরে একটি শিশুকে কাছে টেনে নিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালেন।
ὁ δὲ Ἰησοῦς ἰδὼν τὸν διαλογισμὸν τῆς καρδίας αὐτῶν, ἐπιλαβόμενος παιδίον ἔστησεν αὐτὸ παρ᾽ ἑαυτῷ,
48 তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “যে আমার নামে এই শিশুটিকে স্বাগত জানায়, সে আমাকেই স্বাগত জানায়। যে আমাকে গ্রহণ করে, সে তাঁকেই গ্রহণ করে যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন। কারণ তোমাদের সকলের মধ্যে যে নগণ্য, সেই হল শ্রেষ্ঠ।”
καὶ εἶπεν αὐτοῖς, Ὃς ἐὰν δέξηται τοῦτο τὸ παιδίον ἐπὶ τῷ ὀνόματί μου, ἐμὲ δέχεται· καὶ ὃς ἐὰν ἐμὲ δέξηται, δέχεται τὸν ἀποστείλαντά με. ὁ γὰρ μικρότερος ἐν πᾶσιν ὑμῖν ὑπάρχων οὗτός ἐστιν μέγας.
49 যোহন বললেন, “প্রভু, আমরা একজনকে আপনার নামে ভূত তাড়াতে দেখে, তাকে সে কাজ করতে বারণ করেছিলাম, কারণ সে আমাদের কেউ নয়।”
Ἀποκριθεὶς δὲ Ἰωάνης εἶπεν, Ἐπιστάτα, εἴδομέν τινα ἐν τῷ ὀνόματί σου ἐκβάλλοντα δαιμόνια· καὶ ἐκωλύσαμεν αὐτόν, ὅτι οὐκ ἀκολουθεῖ μεθ᾽ ἡμῶν.
50 যীশু বললেন, “তাকে নিষেধ কোরো না, কারণ যে তোমাদের বিপক্ষে নয়, সে তোমাদের সপক্ষে।”
εἶπεν δὲ πρὸς αὐτὸν ὁ Ἰησοῦς, Μὴ κωλύετε· ὃς γὰρ οὐκ ἔστιν καθ᾽ ὑμῶν, ὑπὲρ ὑμῶν ἐστιν.
51 স্বর্গে যাওয়ার কাল সন্নিকট হলে, যীশু স্থিরসংকল্প হয়ে জেরুশালেমের দিকে যাত্রা করলেন।
Ἐγένετο δὲ ἐν τῷ συμπληροῦσθαι τὰς ἡμέρας τῆς ἀναλήμψεως αὐτοῦ, καὶ αὐτὸς τὸ πρόσωπον [αὐτοῦ] ἐστήρισεν τοῦ πορεύεσθαι εἰς Ἱερουσαλήμ.
52 তিনি তাঁর বার্তাবহদের আগেই পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা যীশুর জন্য সবকিছুর আয়োজন সম্পূর্ণ করতে শমরীয়দের এক গ্রামে প্রবেশ করলেন।
καὶ ἀπέστειλεν ἀγγέλους πρὸ προσώπου αὐτοῦ· καὶ πορευθέντες εἰσῆλθον εἰς κώμην Σαμαρειτῶν ὥστε ἑτοιμάσαι αὐτῷ.
53 কিন্তু তিনি জেরুশালেম দিকে যাচ্ছিলেন বলে সেখানকার অধিবাসীরা কেউ তাঁকে স্বাগত জানাল না।
καὶ οὐκ ἐδέξαντο αὐτόν, ὅτι τὸ πρόσωπον αὐτοῦ ἦν πορευόμενον εἰς Ἱερουσαλήμ.
54 এই দেখে তাঁর দুজন শিষ্য, যাকোব ও যোহন জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, আপনি কি চান যে, আমরা ওদের ধ্বংস করার জন্য আকাশ থেকে আগুন নেমে আসতে বলি, যেমন এলিয় করেছিলেন?”
ἰδόντες δὲ οἱ μαθηταὶ [αὐτοῦ] Ἰάκωβος καὶ Ἰωάνης εἶπαν, Κύριε, θέλεις εἴπωμεν πῦρ καταβῆναι ἀπὸ τοῦ οὐρανοῦ, καὶ ἀναλῶσαι αὐτούς;
55 কিন্তু যীশু তাঁদের দিকে ফিরে তিরস্কার করলেন।
Στραφεὶς δὲ ἐπετίμησεν αὐτοῖς.
56 এরপর তাঁরা অন্য গ্রামে চলে গেলেন।
καὶ ἐπορεύθησαν εἰς ἑτέραν κώμην.
57 তাঁরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সময় একজন তাঁকে বলল, “আপনি যেখানে যাবেন আমিও আপনার সঙ্গে সেখানে যাব।”
Καὶ πορευομένων αὐτῶν ἐν τῇ ὁδῷ εἶπέν τις πρὸς αὐτόν, Ἀκολουθήσω σοι ὅπου ἐὰν ἀπέρχῃ.
58 উত্তরে যীশু বললেন, “শিয়ালদের গর্ত আছে, আকাশের পাখিদের বাসা আছে, কিন্তু মনুষ্যপুত্রের মাথা রাখার কোনও স্থান নেই।”
Καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Αἱ ἀλώπεκες φωλεοὺς ἔχουσιν καὶ τὰ πετεινὰ τοῦ οὐρανοῦ κατασκηνώσεις· ὁ δὲ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου οὐκ ἔχει ποῦ τὴν κεφαλὴν κλίνῃ.
59 তারপর তিনি অন্য একজনকে বললেন, “আমাকে অনুসরণ করো।” কিন্তু সে উত্তর দিল, “প্রভু, প্রথমে আমাকে গিয়ে আমার পিতাকে সমাধি দিয়ে আসার অনুমতি দিন।”
Εἶπεν δὲ πρὸς ἕτερον, Ἀκολούθει μοι. Ὁ δὲ εἶπεν, Κύριε, ἐπίτρεψόν μοι πρῶτον ἀπελθόντι θάψαι τὸν πατέρα μου.
60 যীশু তাকে বললেন, “মৃতরাই তাদের মৃতদের সমাধি দিক। কিন্তু তুমি গিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যের কথা ঘোষণা করো।”
Εἶπεν δὲ αὐτῷ, Ἄφες τοὺς νεκροὺς θάψαι τοὺς ἑαυτῶν νεκρούς· σὺ δὲ ἀπελθὼν διάγγελλε τὴν βασιλείαν τοῦ θεοῦ.
61 আরও একজন বলল, “প্রভু, আমি আপনাকে অনুসরণ করব। কিন্তু আমাকে ফিরে গিয়ে প্রথমে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিতে অনুমতি দিন।”
Εἶπεν δὲ καὶ ἕτερος, Ἀκολουθήσω σοι, κύριε· πρῶτον δὲ ἐπίτρεψόν μοι ἀποτάξασθαι τοῖς εἰς τὸν οἶκόν μου.
62 যীশু উত্তর দিলেন, “লাঙ্গলে হাত দিয়ে যে পিছনে ফিরে তাকায়, সে ঈশ্বরের রাজ্যের সেবাকাজের উপযুক্ত নয়।”
Εἶπεν δὲ ὁ Ἰησοῦς πρὸς αὐτόν, Οὐδεὶς ἐπιβαλὼν τὴν χεῖρα [αὐτοῦ] ἐπ᾽ ἄροτρον, καὶ βλέπων εἰς τὰ ὀπίσω, εὔθετός ἐστιν τῇ βασιλείᾳ τοῦ θεοῦ.

< লুক 9 >