< লুক 19 >
1 যীশু যিরীহোয় প্রবেশ করে তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।
He entered and was passing through Irikhu.
2 সেখানে সক্কেয় নামে এক ব্যক্তি ছিল, সে ছিল প্রধান কর আদায়কারী ও একজন ধনী ব্যক্তি।
And look, there was a man named Zakai. He was a chief tax collector, and he was rich.
3 কে যীশু, সে তা দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু সে খাটো প্রকৃতির হওয়ার দরুন ও ভিড়ের জন্য, তাঁকে দেখতে পেল না।
He was trying to see who Yeshua was, and could not because of the crowd, because he was short.
4 তাই তাঁকে দেখার জন্য সে দৌড়ে গিয়ে সামনের একটি সিকামোর-ডুমুর গাছে উঠল। কারণ যীশু সেই পথ ধরেই আসছিলেন।
He ran on ahead, and climbed up into a sycamore tree to see him, for he was to pass that way.
5 যীশু সেই স্থানে উপস্থিত হয়ে উপর দিকে তাকালেন ও তাকে বললেন, “সক্কেয়, এখনই নেমে এসো, আজ আমাকে অবশ্যই তোমার ঘরে থাকতে হবে।”
And as he came to the place, looking up, Yeshua saw him, and said to him, "Zakai, hurry and come down, for today I must stay at your house."
6 তাই সে তখনই নেমে এসে সানন্দে তাঁকে স্বাগত জানাল।
He hurried, came down, and received him joyfully.
7 এই দেখে লোকেরা গুঞ্জন করতে লাগল, “ইনি একজন ‘পাপীর’ ঘরে অতিথি হতে যাচ্ছেন।”
And when they saw it, they all murmured, saying, "He has gone in to lodge with a man who is a sinner."
8 কিন্তু সক্কেয় দাঁড়িয়ে প্রভুকে বলল, “প্রভু দেখুন, আমি এখনই আমার সম্পত্তির অর্ধেক দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছি। আর কাউকে প্রতারণা করে যদি কিছু নিয়েছি, তাহলে তার চারগুণ অর্থ আমি তাকে ফিরিয়ে দেব।”
And Zakai stood and said to the Lord, "Look, Lord, half of my goods I give to the poor. If I have wrongfully exacted anything of anyone, I restore four times as much."
9 যীশু তাকে বললেন, “আজই এই পরিবারে পরিত্রাণ উপস্থিত হল, কারণ এই ব্যক্তিও অব্রাহামের সন্তান।
Yeshua said to him, "Today, salvation has come to this house, because he also is a son of Avraham.
10 বস্তুত, যা হারিয়ে গিয়েছিল, তার অন্বেষণ ও পরিত্রাণ করতে মনুষ্যপুত্র উপস্থিত হয়েছেন।”
For the Son of Man came to seek and to save that which was lost."
11 তারা যখন একথা শুনছিল, তিনি তাদের একটি রূপক কাহিনি বললেন, কারণ তিনি জেরুশালেমের নিকটে এসে পড়েছিলেন এবং লোকেরা মনে করছিল, ঈশ্বরের রাজ্যের আবির্ভাব তখনই হবে।
As they heard these things, he went on and told a parable, because he was near Urishlim, and they supposed that the Kingdom of God would be revealed immediately.
12 তিনি বললেন, “সম্ভ্রান্ত বংশের এক ব্যক্তি এই উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো এক সুদূর দেশে গেলেন যে রাজপদ লাভের পর স্বদেশে ফিরে আসবেন।
He said therefore, "A certain nobleman went into a far country to receive for himself a kingdom, and to return.
13 তাই তিনি তাঁর দশজন দাসকে ডেকে তাদের দশটি মিনা দিয়ে বললেন, ‘আমি যতদিন ফিরে না-আসি, এই অর্থ ব্যবসায়ে নিয়োগ করো।’
He called ten servants of his, and gave them ten mina coins, and told them, 'Conduct business until I come.'
14 “কিন্তু তার প্রজারা তাকে ঘৃণা করত। তারা তাই তার পিছনে এক প্রতিনিধি মারফত বলে পাঠাল, ‘আমরা চাই না, এই লোকটি আমাদের উপর রাজত্ব করুক।’
But his citizens hated him, and sent an envoy after him, saying, 'We do not want this man to reign over us.'
15 “যাই হোক, তিনি রাজপদ লাভ করে স্বদেশে ফিরে এলেন। তারপর তিনি যে দাসদের অর্থ দিয়ে গিয়েছিলেন, তারা কী লাভ করেছে, জানবার জন্য তাদের ডেকে পাঠালেন।
"It happened when he had come back again, having received the kingdom, that he commanded these servants, to whom he had given the money, to be called to him, that he might know what they had gained by conducting business.
16 “প্রথমজন এসে বলল, ‘হুজুর, আপনার মুদ্রা দিয়ে আমি আরও দশটি মুদ্রা অর্জন করেছি।’
The first came before him, saying, 'Lord, your mina has made ten more minas.'
17 “তার মনিব উত্তর দিলেন, ‘উত্তম দাস আমার, তুমি ভালোই করেছ। যেহেতু অত্যন্ত সামান্য বিষয়ে তুমি বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়েছ, সেজন্য তুমি দশটি নগরের দায়িত্ব গ্রহণ করো।’
"And he said to him, 'Well done, good servant. Because you were faithful with very little, you will have authority over ten cities.'
18 “দ্বিতীয়জন এসে বলল, ‘হুজুর, আপনার মুদ্রা দিয়ে আমি আরও পাঁচটি মুদ্রা অর্জন করেছি।’
"The second came, saying, 'Your mina, Lord, has made five minas.'
19 “তার মনিব উত্তর দিলেন, ‘তুমি পাঁচটি নগরের দায়িত্ব গ্রহণ করো।’
"So he said to him, 'And you are to be over five cities.'
20 “তখন অন্য একজন দাস এসে বলল, ‘হুজুর, এই নিন আপনার মুদ্রা, আমি এটাকে কাপড়ে জড়িয়ে রেখে দিয়েছিলাম।
Another came, saying, 'Lord, look, your mina, which I kept laid away in a handkerchief,
21 আমি আপনাকে ভয় করেছিলাম, কারণ আপনি কঠোর প্রকৃতির মানুষ। আপনি যা রাখেননি, তাই নিয়ে নেন, যা বোনেননি, তাও কাটেন।’
for I feared you, because you are an exacting man. You take up that which you did not lay down, and reap that which you did not sow.'
22 “তার মনিব উত্তর দিলেন, ‘দুষ্ট দাস, তোমার নিজের কথা দিয়েই আমি তোমার বিচার করব! তুমি না জানতে, আমি কঠোর প্রকৃতির মানুষ, যা আমি রাখিনি, তা নিয়ে থাকি, আর যা বুনিনি, তা কেটে থাকি?
"He said to him, 'Out of your own mouth will I judge you, you wicked servant. You knew that I am an exacting man, taking up that which I did not lay down, and reaping that which I did not sow.
23 আমার অর্থ তুমি কেন মহাজনের কাছে রাখোনি, তাহলে ফিরে এসে আমি তা সুদসমেত আদায় করতে পারতাম?’
Then why did you not deposit my money in the bank, and at my coming, I might have earned interest on it?'
24 “তারপর তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সকলের উদ্দেশে বললেন, ‘ওর কাছ থেকে মুদ্রাটি নিয়ে নাও, আর যার দশটি মুদ্রা আছে, তাকে দাও।’
He said to those who stood by, 'Take the mina away from him, and give it to him who has the ten minas.'
25 “তারা বলল, ‘মহাশয়, ওর তো দশটি মুদ্রা আছেই!’
"They said to him, 'Lord, he has ten minas.'
26 “তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি তোমাদের বলছি, যার আছে, তাকে আরও বেশি দেওয়া হবে; কিন্তু যার কিছু নেই, তার যেটুকু আছে, তাও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।
'For I tell you that to everyone who has, will more be given; but from him who does not have, even that which he has will be taken away.
27 আর যারা চায়নি যে, আমি তাদের উপরে রাজত্ব করি, আমার সেইসব শত্রুকে এখানে নিয়ে এসে আমার সামনে বধ করো।’”
But bring those enemies of mine who did not want me to reign over them here, and kill them before me.'"
28 এসব কথা বলার পর যীশু সামনে, জেরুশালেমের দিকে এগিয়ে চললেন।
Having said these things, he went on ahead, going up to Urishlim.
29 জলপাই পর্বত নামের পাহাড়ে, বেথফাগে ও বেথানি গ্রামের কাছে এসে তিনি তাঁর দুজন শিষ্যকে এই কথা বলে পাঠালেন,
It happened, when he drew near to Beth-Pageh and Beth-Naiya, at the mountain that is called Olivet, he sent two of the disciples,
30 “তোমরা সামনের ওই গ্রামে যাও। সেখানে প্রবেশ করা মাত্র দেখতে পাবে যে একটি গর্দভশাবক বাঁধা আছে, যার উপরে কেউ কখনও বসেনি। সেটির বাঁধন খুলে এখানে নিয়ে এসো।
saying, "Go your way into the village on the other side, in which, as you enter, you will find a colt tied, whereon no one ever yet sat. Untie it, and bring it.
31 কেউ যদি তোমাদের জিজ্ঞাসা করে, ‘এর বাঁধন খুলছ কেন?’ তাহলে তাকে বোলো, ‘এতে প্রভুর প্রয়োজন আছে।’”
If anyone asks you, 'Why are you untying it?' say to him: 'Because the Lord needs it.'"
32 যাদের আগে পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা গিয়ে যীশু যেমন বলেছিলেন, ঠিক তেমনই দেখতে পেলেন।
Those who were sent went away, and found things just as he had told them.
33 তাঁরা যখন গর্দভ শাবকটির বাঁধন খুলছিলেন, শাবকটির মালিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা কেন এর বাঁধন খুলছ?”
As they were untying the colt, its owners said to them, "Why are you untying the colt?"
34 তাঁরা উত্তর দিলেন, “এতে প্রভুর প্রয়োজন আছে।”
They said, "Because the Lord needs it."
35 তাঁরা শাবকটিকে যীশুর কাছে নিয়ে এসে তার উপর তাঁদের পোশাক বিছিয়ে দিলেন, আর তার উপর যীশুকে বসালেন।
They brought it to Yeshua. They threw their cloaks on the colt, and set Yeshua on them.
36 তাঁর যাওয়ার পথের উপর জনসাধারণ তাদের পোশাক বিছিয়ে দিতে লাগল।
As he went, they spread their cloaks in the way.
37 পথ যেখানে জলপাই পর্বতের দিকে নেমে গেছে, যীশু সেখানে উপস্থিত হলে তাঁর সমস্ত শিষ্যদল, যীশুর মাধ্যমে যেসব অলৌকিক কাজ দেখেছিলেন, সেগুলিকে উল্লেখ করে উচ্চকণ্ঠে ঈশ্বরের মহিমাকীর্তন করে বলতে লাগলেন:
As he was now getting near, at the descent of the Mount of Olives, the whole crowd of the disciples began to rejoice and praise God with a loud voice for all the mighty works which they had seen,
38 “ধন্য সেই রাজাধিরাজ, যিনি আসছেন প্রভুরই নামে।” “স্বর্গলোকে শান্তি, আর ঊর্ধ্বতমলোকে মহিমা হোক!”
saying, "Blessed is the King who comes in the name of the Lord. Peace in heaven, and glory in the highest."
39 লোকদের মধ্য থেকে কয়েকজন ফরিশী যীশুকে বলল, “গুরুমহাশয়, আপনার শিষ্যদের ধমক দিন!”
Some of the Pharisees from the crowd said to him, "Teacher, rebuke your disciples."
40 তিনি উত্তর দিলেন, “আমি তোমাদের বলছি, ওরা যদি চুপ করে থাকে, তাহলে এই পাথরগুলি চিৎকার করে উঠবে।”
He answered them, "I tell you that if these were silent, the stones would cry out."
41 জেরুশালেমের কাছাকাছি এসে নগরটিকে দেখে তিনি কেঁদে ফেললেন, আর বললেন,
When he drew near, he saw the city and wept over it,
42 “তুমি, শুধুমাত্র তুমি যদি জানতে, আজকের দিনে শান্তির জন্য তোমার কী প্রয়োজন! কিন্তু এখন তা তোমার দৃষ্টির অগোচর হয়ে রইল।
saying, "If you, even you, had known today the things that make for peace. But now, they are hidden from your eyes.
43 তোমার উপরে এমন একদিন ঘনিয়ে আসবে, যেদিন তোমার শত্রুরা তোমার বিরুদ্ধে অবরোধের প্রাচীর তুলবে, তোমাকে বেষ্টন করে সবদিক থেকে তোমাকে ঘিরে ধরবে।
For the days will come on you, when your enemies will throw up a barricade against you, surround you, hem you in on every side,
44 তারা তোমাকে ও তোমার চার দেওয়ালের মধ্যবর্তী সন্তানদের ভূমিসাৎ করবে। তারা একটি পাথরের উপর অন্য পাথর রাখবে না। কারণ তোমার কাছে ঈশ্বরের আগমনকালকে তুমি চিনতে পারোনি।”
and will dash you and your children within you to the ground. They will not leave in you one stone on another, because you did not know the time of your visitation."
45 তারপর তিনি মন্দির-প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে যারা বিক্রি করছিল তাদের তিনি তাড়িয়ে দিতে লাগলেন।
And he entered into the temple, and began to drive out those who were selling and buying in it,
46 তিনি তাদের বললেন, “এরকম লেখা আছে, ‘আমার গৃহ হবে প্রার্থনার গৃহ,’ কিন্তু তোমরা একে দস্যুদের গহ্বরে পরিণত করেছ।”
saying to them, "It is written, 'And my house will be a house of prayer,' but you have made it a 'den of robbers'."
47 প্রতিদিন তিনি মন্দিরে শিক্ষা দিতেন। কিন্তু প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও জননেতারা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করছিল।
He was teaching daily in the temple, but the chief priests and the scribes and the leaders among the people sought to destroy him.
48 তবুও তা কাজে পরিণত করার পথ তারা খুঁজে পাচ্ছিল না, কারণ জনসাধারণ মুগ্ধ হয়ে তাঁর বাক্য শুনত।
They could not find what they might do, for all the people hung on to every word that he said.