লুক 10
1 এরপর প্রভু আরও বাহাত্তর জনকে নিযুক্ত করলেন এবং যে সমস্ত নগরে ও স্থানে নিজে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তার আগেই তিনি দুজন দুজন করে তাঁদের সেইসব স্থানে পাঠিয়ে দিলেন।
ⲁ̅ⲙⲛⲛⲥⲁ ⲛⲁⲓ ⲁⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲥⲉⲧⲡⲕⲉϣϥⲉ ⲥⲛⲟⲟⲩⲥ ⲁϥϫⲟⲟⲩⲥⲉ ⲥⲛⲁⲩ ⲥⲛⲁⲩ ϩⲁⲧⲉϥϩⲏ ⲉⲡⲟⲗⲓⲥ ⲛⲓⲙ ⲛⲙⲙⲁ ⲛⲓⲙ ⲉⲧϥⲛⲁⲃⲱⲕ ⲉϩⲟⲩⲛ ⲉⲣⲟⲟⲩ
2 তিনি তাঁদের বললেন, “ফসল প্রচুর, কিন্তু কর্মী সংখ্যা অল্প। তোমরা ফসলের মালিকের কাছে প্রার্থনা করো, যেন তিনি তাঁর শস্যক্ষেত্রে কর্মচারীদের পাঠান।”
ⲃ̅ⲛⲉϥϫⲱ ⲇⲉ ⲙⲙⲟⲥ ⲛⲁⲩ ϫⲉ ⲡⲱϩⲥ ⲙⲉⲛ ⲛⲁϣⲱϥ ⲛⲉⲣⲅⲁⲧⲏⲥ ⲇⲉ ⲥⲃⲕⲏⲡⲉ ⲥⲉⲡⲥⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲇⲉ ⲙⲡⲱϩⲥ ϫⲉ ⲉϥⲉⲛⲉϫ ⲉⲣⲅⲁⲧⲏⲥ ⲉⲃⲟⲗ ⲉⲡⲉϥⲱϩⲥ
3 তোমরা যাও! আমি নেকড়েদের মধ্যে তোমাদের মেষের মতো পাঠাচ্ছি।
ⲅ̅ⲃⲱⲕ ⲉⲓⲥ ϩⲏⲏⲧⲉ ⲁⲛⲟⲕ ϯϫⲟⲟⲩ ⲙⲙⲱⲧⲛ ⲛⲑⲉ ⲛϩⲉⲛϩⲓⲉⲓⲃ ⲛⲧⲙⲏⲧⲉ ⲛϩⲉⲛⲟⲩⲱⲛϣ
4 তোমাদের সঙ্গে টাকার থলি, ঝুলি, অথবা চটিজুতো নিয়ো না; পথে কাউকে অভিবাদন জানিয়ো না।
ⲇ̅ⲙⲡⲣϥⲓⲧⲱⲱⲙⲉ ⲟⲩⲇⲉ ⲡⲏⲣⲁ ⲟⲩⲇⲉ ⲧⲟⲟⲩⲉ ⲁⲩⲱ ⲙⲡⲣⲁⲥⲡⲁⲍⲉ ⲗⲗⲁⲁⲩ ϩⲓⲧⲉϩⲓⲏ
5 “কোনো বাড়িতে প্রবেশ করার সময়, প্রথমে তোমরা বোলো, ‘এই বাড়িতে শান্তি বিরাজ করুক।’
ⲉ̅ⲡⲏⲓ ⲇⲉ ⲉⲧⲉⲧⲛⲁⲃⲱⲕ ⲉϩⲟⲩⲛ ⲉⲣⲟϥ ⲁϫⲓⲥ ⲛϣⲟⲣⲡ ϫⲉ ϯⲣⲏⲛⲏ ⲙⲡⲉⲓⲏⲓ
6 সেখানে কোনো শান্তিপ্রিয় মানুষ থাকলে, তোমাদের শান্তি তার উপর বিরাজ করবে, না থাকলে তোমাদের কাছেই তা ফিরে আসবে।
ⲋ̅ⲁⲩⲱ ⲉϣⲱⲡⲉ ⲟⲩⲛϣⲏⲣⲉ ⲛⲉⲓⲣⲏⲛⲏ ⲙⲙⲁⲩ ⲉⲣⲉⲧⲉⲧⲛⲉⲓⲣⲏⲛⲏ ⲙⲧⲟⲛ ⲙⲙⲟⲥ ⲉϩⲣⲁⲓ ⲉϫⲱϥ ⲉϣⲱⲡⲉ ⲇⲉ ⲙⲙⲟⲛ ⲉⲥⲉⲕⲟⲧⲥ ⲉⲣⲱⲧⲛ
7 তোমরা সেই বাড়িতে থেকো, তারা যা দেবেন, তাই খেয়ো ও পান কোরো, কারণ কর্মচারী তার বেতন পাওয়ার যোগ্য। তোমরা এক বাড়ি ছেড়ে অন্য কোনো বাড়িতে আশ্রয় নিয়ো না।
ⲍ̅ⲉⲧⲉⲧⲛⲉϭⲱ ⲇⲉ ϩⲛ ⲟⲩⲏⲓ ⲛⲟⲩⲱⲧ ⲉⲧⲉⲧⲛⲟⲩⲱⲙ ⲁⲩⲱ ⲉⲧⲉⲧⲛⲥⲱ ⲛⲧⲟⲟⲧⲟⲩ ⲡⲉⲣⲅⲁⲧⲏⲥ ⲅⲁⲣ ⲙⲡϣⲁ ⲙⲡⲉϥⲃⲉⲕⲉ ⲙⲡⲣⲡⲱⲱⲛⲉ ⲉⲃⲟⲗ ϩⲛ ⲟⲩⲏⲓ ⲉⲩⲏⲓ
8 “তোমরা কোনো নগরে প্রবেশ করলে সেখানকার লোক যদি তোমাদের স্বাগত জানিয়ে কিছু খাবার খেতে দেয়, তবে সেই খাবার গ্রহণ কোরো।
ⲏ̅ⲧⲡⲟⲗⲉⲓⲥ ⲇⲉ ⲉⲧⲉⲧⲛⲁⲃⲱⲕ ⲉϩⲟⲩⲛ ⲉⲣⲟⲥ ⲛⲥⲉϣⲉⲡⲧⲏⲩⲧⲛ ⲉⲣⲟⲟⲩ ⲟⲩⲱⲙ ⲛⲛⲉⲧⲟⲩⲛⲁⲕⲁⲁⲩ ϩⲁⲣⲱⲧⲛ
9 সেখানকার পীড়িতদের সুস্থ কোরো। তাদের বোলো, ‘ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের সন্নিকট।’
ⲑ̅ⲁⲩⲱ ⲛⲧⲉⲧⲛⲧⲁⲗϭⲉⲛⲉⲧϣⲱⲛⲉ ⲛϩⲏⲧⲥ ⲛⲧⲉⲧⲛϫⲟⲟⲥ ⲛⲁⲩ ϫⲉ ⲁⲧⲙⲛⲧⲣⲣⲟ ⲙⲡⲛⲟⲩⲧⲉ ϩⲱⲛ ⲉϫⲱⲧⲛ
10 কিন্তু কোনো নগরে প্রবেশ করার পর লোকে যদি তোমাদের স্বাগত না জানায়, তবে পথে বেরিয়ে পড়ে বোলো,
ⲓ̅ⲧⲡⲟⲗⲉⲓⲥ ⲇⲉ ⲉⲧⲉⲧⲛⲁⲃⲱⲕ ⲉϩⲟⲩⲛ ⲉⲣⲟⲥ ⲛⲥⲉⲧⲙϣⲉⲡⲧⲏⲩⲧⲛ ⲉⲣⲟⲟⲩ ⲁⲙⲏⲓⲧⲛ ⲉⲃⲟⲗ ⲉⲛⲉⲥⲡⲗⲁⲧⲓⲁ ⲛⲧⲉⲧⲛϫⲟⲟⲥ
11 ‘তোমাদের নগরের যে ধুলো আমাদের পায়ে লেগেছিল, তাও আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে ঝেড়ে ফেললাম। তবুও তোমরা এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জেনো, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।’
ⲓ̅ⲁ̅ϫⲉ ⲡⲕⲉϣⲟⲓϣ ⲉⲛⲧⲁϥⲧⲱϭⲉ ⲉⲛⲉⲛⲟⲩⲉⲣⲏⲧⲉ ⲉⲃⲟⲗ ϩⲛ ⲧⲉⲧⲛⲡⲟⲗⲉⲓⲥ ⲧⲛϥⲱⲧⲉ ⲙⲙⲟϥ ⲛⲏⲧⲛ ⲡⲗⲏⲛ ⲉⲓⲙⲉ ⲉⲡⲁⲓ ϫⲉ ⲁⲧⲙⲛⲧⲣⲣⲟ ⲙⲡⲛⲟⲩⲧⲉ ϩⲱⲛ ⲉⲣⲱⲧⲛ
12 আমি তোমাদের বলছি, বিচারদিনে সদোমের দশা, বরং সেই নগরের চেয়ে বেশি সহনীয় হবে।
ⲓ̅ⲃ̅ϯϫⲱ ⲙⲙⲟⲥ ⲛⲏⲧⲛ ϫⲉ ⲥⲉⲛⲁϩⲣⲟϣ ⲛϩⲏⲧ ⲉϫⲛ ⲥⲟⲇⲟⲙⲁ ϩⲙ ⲡⲉϩⲟⲟⲩ ⲉⲧⲙⲙⲁⲩ ⲉϩⲟⲩⲉⲧⲡⲟⲗⲉⲓⲥ ⲉⲧⲙⲙⲁⲩ
13 “কোরাসীন, ধিক্ তোমাকে! বেথসৈদা, ধিক্ তোমাকে! তোমাদের মধ্যে যেসব অলৌকিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, সেসব যদি টায়ার ও সীদোনে করা হত, তারা অনেক আগেই চটবস্ত্র পরে ভস্মে বসে অনুতাপ করত।
ⲓ̅ⲅ̅ⲟⲩⲟⲓ ⲛⲉ ⲭⲟⲣⲁⲍⲉⲓⲛ ⲟⲩⲟⲓ ⲛⲉ ⲃⲏⲇⲥⲁⲓⲇⲁ ϫⲉ ⲉⲛⲉ ⲛⲧⲁⲛϭⲟⲙ ⲉⲛⲧⲁⲩϣⲱⲡⲉ ⲛϩⲏⲧⲧⲏⲩⲧⲛ ϣⲱⲡⲉ ϩⲛ ⲧⲩⲣⲟⲥ ⲛⲙⲥⲓⲇⲱⲛ ⲉϣϫⲉ ⲁⲩϩⲙⲟⲟⲥ ϩⲛ ⲟⲩϭⲟⲟⲩⲛⲉ ⲛⲙⲟⲩⲕⲣⲙⲉⲥ ⲉⲩⲙⲉⲧⲁⲛⲟⲓ
14 কিন্তু বিচারদিনে টায়ার ও সীদোনের দশা, বরং তোমাদের চেয়ে বেশি সহনীয় হবে।
ⲓ̅ⲇ̅ⲡⲗⲏⲛ ⲥⲉⲛⲁⲁⲛⲉⲭⲉ ⲛⲧⲩⲣⲟⲥ ⲛⲙⲥⲓⲇⲱⲛ ϩⲛ ⲧⲉⲕⲣⲓⲥⲓⲥ ⲉϩⲟⲩⲉⲣⲱⲧⲛ
15 আর তুমি কফরনাহূম, তুমি কি না স্বর্গ পর্যন্ত উঁচুতে উঠবে? তা নয়, তুমি অধোলোক পর্যন্ত তলিয়ে যাবে। (Hadēs g86)
ⲓ̅ⲉ̅ⲛⲧⲟ ϩⲱⲱⲧⲉ ⲕⲁⲫⲁⲣⲛⲁⲟⲩⲙ ⲙⲏ ⲧⲉⲛⲁϫⲓⲥⲉ ϣⲁϩⲣⲁⲓ ⲉⲧⲡⲉ ⲥⲉⲛⲁⲛⲧⲉ ϣⲁⲁⲙⲛⲧⲉ (Hadēs g86)
16 “যারা তোমাদের কথা শোনে, তারা আমারই কথা শোনে; যারা তোমাদের প্রত্যাখ্যান করে, তারা আমাকেই প্রত্যাখ্যান করে; কিন্তু যে আমাকে প্রত্যাখ্যান করে, সে প্রত্যাখ্যান করে তাঁকেই, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।”
ⲓ̅ⲋ̅ⲡⲉⲧⲥⲱⲧⲙ ⲉⲣⲱⲧⲛ ⲉϥⲥⲱⲧⲙ ⲉⲣⲟⲓ ⲁⲩⲱ ⲡⲉⲧⲁⲑⲉⲧⲓ ⲙⲙⲱⲧⲛ ⲉϥⲁⲑⲉⲧⲓ ⲙⲙⲟⲓ ⲡⲉⲧⲁⲑⲉⲧⲓ ⲇⲉ ⲙⲙⲟⲓ ⲉϥⲁⲑⲉⲧⲓ ⲙⲡⲉⲛⲧⲁϥⲧⲛⲛⲟⲟⲩⲧ
17 সেই বাহাত্তর জন শিষ্য সানন্দে ফিরে এসে বললেন, “প্রভু, আপনার নামে ভূতেরাও আমাদের অধীনতা স্বীকার করে।”
ⲓ̅ⲍ̅ⲁⲩⲕⲟⲧⲟⲩ ⲇⲉ ⲛϭⲓ ⲡⲉϣϥⲉⲥⲛⲟⲟⲩⲥ ϩⲛ ⲟⲩⲣⲁϣⲉ ⲉⲩϫⲱ ⲙⲙⲟⲥ ϫⲉ ⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲛⲕⲉⲩⲇⲁⲓⲙⲱⲛⲓⲟⲛ ⲥⲉϩⲩⲡⲟⲧⲁⲥⲥⲉ ⲛⲁⲛ ϩⲙ ⲡⲉⲕⲣⲁⲛ
18 তিনি উত্তর দিলেন, “আমি আকাশ থেকে বিদ্যুতের মতো শয়তানকে পতিত হতে দেখেছি।
ⲓ̅ⲏ̅ⲡⲉϫⲁϥ ⲇⲉ ⲛⲁⲩ ϫⲉ ⲛⲉⲓⲛⲁⲩ ⲉⲡⲥⲁⲧⲁⲛⲁⲥ ⲉϥⲛⲏⲟⲩ ⲉⲡⲉⲥⲏⲧ ⲉⲃⲟⲗ ϩⲛ ⲧⲡⲉ ⲛⲑⲉ ⲛⲟⲩⲃⲣⲏϭⲉ
19 আমি তোমাদের সাপ ও কাঁকড়াবিছে পায়ের তলায় পিষে মারার এবং শত্রুর সমস্ত ক্ষমতার উপর কর্তৃত্ব করার অধিকার দান করেছি। কোনো কিছুই তোমাদের ক্ষতি করতে পারবে না।
ⲓ̅ⲑ̅ⲉⲓⲥ ϩⲏⲏⲧⲉ ⲁⲓϯ ⲛⲏⲧⲛ ⲛⲧⲉⲝⲟⲩⲥⲓⲁ ⲉϩⲱⲙ ⲉϫⲛ ⲛϩⲟϥ ⲛⲙⲟⲩⲟⲟϩⲉ ⲁⲩⲱ ⲉϫⲛ ⲧϭⲟⲙ ⲧⲏⲣⲥ ⲙⲡϫⲁϫⲉ ⲛⲧⲉⲧⲙⲗⲁⲁⲩ ϫⲓⲧⲏⲩⲧⲛ ⲛϭⲟⲛⲥ
20 কিন্তু আত্মারা তোমাদের বশীভূত হয় বলে উল্লসিত হোয়ো না, বরং স্বর্গে তোমাদের নাম লেখা হয়েছে বলে উল্লসিত হও।”
ⲕ̅ⲡⲗⲏⲛ ⲙⲡⲣⲣⲁϣⲉ ϩⲙ ⲡⲁⲓ ϫⲉ ⲛⲉⲡⲛⲁ ϩⲩⲡⲟⲧⲁⲥⲥⲉ ⲛⲏⲧⲛ ⲣⲁϣⲉ ⲇⲉ ⲛⲧⲟϥ ϫⲉ ⲛⲉⲧⲛⲣⲁⲛ ⲥⲏϩ ϩⲛ ⲙⲡⲏⲩⲉ
21 সেই সময় যীশু পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে বললেন, “হে পিতা, তুমি স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু, আমি তোমার প্রশংসা করি, কারণ তুমি এই সমস্ত বিষয় বিজ্ঞ ও শিক্ষিত মানুষদের কাছ থেকে গোপন রেখে ছোটো শিশুদের কাছে প্রকাশ করেছ। হ্যাঁ পিতা, কারণ এই ছিল তোমার ঈপ্সিত ইচ্ছা।
ⲕ̅ⲁ̅ϩⲛ ⲧⲉⲩⲛⲟⲩ ⲇⲉ ⲉⲧⲙⲙⲁⲩ ⲁϥⲧⲉⲗⲏⲗ ϩⲙ ⲡⲉⲡⲛⲁ ⲉⲧⲟⲩⲁⲁⲃ ⲡⲉϫⲁϥ ϫⲉ ϯⲉⲝⲟⲙⲟⲗⲟⲅⲓ ⲛⲁⲕ ⲡⲁⲓⲱⲧ ⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲛⲧⲡⲉ ⲛⲙⲡⲕⲁϩ ϫⲉ ⲁⲕϩⲉⲡⲛⲁⲓ ⲉⲛⲥⲟⲫⲟⲥ ⲛⲙⲛⲥⲁⲃⲉ ⲁⲕϭⲟⲗⲡⲟⲩ ⲉⲃⲟⲗ ⲉϩⲉⲛϣⲏⲣⲉ ϣⲏⲙ ⲁϩⲉ ⲡⲁⲓⲱⲧ ϫⲉ ⲧⲁⲓ ⲧⲉ ⲑⲉ ⲉⲛⲧⲁⲥⲣⲁⲛⲁⲕ ⲙⲡⲉⲕⲙⲧⲟ ⲉⲃⲟⲗ
22 “আমার পিতা সবকিছুই আমার হাতে সমর্পণ করেছেন। পুত্রকে কেউ জানে না, কেবলমাত্র পিতা জানেন এবং পিতাকে কেউ জানে না, কেবলমাত্র পুত্র জানেন ও পুত্র যার কাছে তাঁকে প্রকাশ করে, সেই জানে।”
ⲕ̅ⲃ̅ⲁⲩϯ ⲛⲁⲓ ⲛϩⲱⲃ ⲛⲓⲙ ⲉⲃⲟⲗ ϩⲓⲧⲙ ⲡⲁⲓⲱⲧ ⲁⲩⲱ ⲙⲙⲛⲗⲁⲁⲩ ⲥⲟⲟⲩⲛ ϫⲉ ⲛⲓⲙ ⲡⲉ ⲡϣⲏⲣⲉ ⲛⲥⲁⲡⲓⲱⲧ ⲏ ⲛⲓⲙ ⲡⲉ ⲡⲓⲱⲧ ⲛⲥⲁⲡϣⲏⲣⲉ ⲁⲩⲱ ⲡⲉⲧⲉⲣⲉ ⲡϣⲏⲣⲉ ⲛⲁⲟⲩⲁϣϥ ϣⲁϥϭⲱⲗⲡ ⲛⲁϥ ⲉⲃⲟⲗ
23 তারপর তিনি শিষ্যদের দিকে ফিরে একান্তে বললেন, “তোমরা যা দেখছ, যারা তা দেখতে পায় ধন্য তাদের চোখ।
ⲕ̅ⲅ̅ⲁϥⲕⲟⲧϥ ⲇⲉ ⲉⲙⲙⲁⲑⲏⲧⲏⲥ ⲛⲥⲁⲟⲩⲥⲁ ⲡⲉϫⲁϥ ⲛⲁⲩ ϫⲉ ⲛⲁⲓⲁⲧⲟⲩ ⲛⲃⲃⲁⲗ ⲉⲧⲛⲁⲩ ⲉⲛⲉⲧⲉⲧⲛⲛⲁⲩ ⲉⲣⲟⲟⲩ
24 কারণ আমি তোমাদের বলছি, বহু ভাববাদী ও রাজা তা দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা তা দেখতে পাননি এবং তোমরা যা শুনছ, তাঁরা তা শুনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শুনতে পাননি।”
ⲕ̅ⲇ̅ϯϫⲱ ⲅⲁⲣ ⲙⲙⲟⲥ ⲛⲏⲧⲛ ϫⲉ ⲁϩⲁϩ ⲙⲡⲣⲟⲫⲏⲧⲏⲥ ϩⲓⲣⲣⲟ ⲟⲩⲉϣ ⲛⲁⲩ ⲉⲛⲉⲧⲉⲧⲛⲛⲁⲩ ⲉⲣⲟⲟⲩ ⲙⲡⲟⲩⲛⲁⲩ ⲁⲩⲱ ⲉⲥⲱⲧⲙ ⲉⲣⲟⲓ ⲉⲛⲉⲧⲉⲧⲛⲥⲱⲧⲙ ⲉⲣⲟⲟⲩ ⲙⲡⲟⲩⲥⲱⲧⲙ
25 একদিন এক শাস্ত্রবিদ যীশুকে পরীক্ষা করার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল, “গুরুমহাশয়, অনন্ত জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?” (aiōnios g166)
ⲕ̅ⲉ̅ⲉⲓⲥⲟⲩⲛⲟⲙⲓⲕⲟⲥ ⲇⲉ ⲁϥⲧⲱⲟⲩⲛ ⲉϥⲡⲉⲓⲣⲁⲍⲉ ⲙⲙⲟϥ ⲉϥϫⲱ ⲙⲙⲟⲥ ϫⲉ ⲡⲥⲁϩ ⲉⲓⲛⲁⲣⲟⲩ ⲧⲁⲕⲗⲏⲣⲟⲛⲟⲙⲓ ⲙⲡⲱⲛϩ ϣⲁ ⲉⲛⲉϩ (aiōnios g166)
26 তিনি উত্তর দিলেন, “বিধানশাস্ত্রে কী লেখা আছে? তুমি কি পাঠ করছ?”
ⲕ̅ⲋ̅ⲛⲧⲟϥ ⲇⲉ ⲡⲉϫⲁϥ ϫⲉ ⲟⲩ ⲡⲉⲧⲥⲏϩ ϩⲙ ⲡⲛⲟⲙⲟⲥ ⲉⲕⲱϣ ⲛⲁϣ ⲛϩⲉ
27 সে উত্তরে বলল, “‘তুমি তোমার সমস্ত হৃদয়, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত শক্তি ও সমস্ত মন দিয়ে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করবে’; এবং, ‘তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো প্রেম করবে।’”
ⲕ̅ⲍ̅ⲛⲧⲟϥ ⲇⲉ ⲡⲉϫⲁϥ ϫⲉ ⲉⲕⲉⲙⲉⲣⲉ ⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲡⲉⲕⲛⲟⲩⲧⲉ ϩⲙ ⲡⲉⲕϩⲏⲧ ⲧⲏⲣϥ ⲛⲙ ⲧⲉⲕⲯⲩⲭⲏ ⲧⲏⲣⲥ ⲛⲙ ⲧⲉⲕϭⲟⲙ ⲧⲏⲣⲥ ⲙⲛ ⲛⲉⲕⲙⲉⲉⲩⲉ ⲧⲏⲣⲟⲩ ⲁⲩⲱ ⲡⲉⲧϩⲓⲧⲟⲩⲱⲕ ⲛⲧⲉⲕϩⲉ
28 যীশু উত্তরে বললেন, “তুমি যথার্থ উত্তর দিয়েছ। তাই করো এবং এতেই তুমি জীবন লাভ করবে।”
ⲕ̅ⲏ̅ⲡⲉϫⲁϥ ⲇⲉ ⲛⲁϥ ϫⲉ ⲁⲕⲟⲩⲱϣⲃ ϩⲛ ⲟⲩⲥⲟⲟⲩⲧⲛ ⲁⲣⲓ ⲡⲁⲓ ⲁⲩⲱ ⲕⲛⲁⲱⲛϩ
29 কিন্তু সে নিজের সততা প্রতিপন্ন করতে যীশুকে প্রশ্ন করল, “বেশ, আমার প্রতিবেশী কে?”
ⲕ̅ⲑ̅ⲛⲧⲟϥ ⲇⲉ ⲉϥⲟⲩⲉϣ ⲧⲙⲁⲓⲟϥ ⲡⲉϫⲁϥ ⲛⲓⲏⲥ ϫⲉ ⲛⲓⲙ ⲡⲉ ⲡⲉⲧϩⲓⲧⲟⲩⲱⲓ
30 প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “এক ইহুদি ব্যক্তি জেরুশালেম থেকে যিরীহোতে নেমে যাচ্ছিল। পথে সে দস্যুদের কবলে পড়ল। তারা তার পোশাক খুলে নিয়ে এবং তাকে মেরে আধমরা করে ফেলে রেখে চলে গেল।
ⲗ̅ⲁⲓⲏⲥ ⲟⲩⲱϣⲃ ⲡⲉϫⲁϥ ⲛⲁϥ ϫⲉ ⲟⲩⲣⲱⲙⲉ ⲡⲉⲛⲧⲁϥⲉⲓ ⲉⲃⲟⲗ ϩⲛ ⲑⲓⲉⲣⲟⲥⲟⲗⲩⲙⲁ ⲉⲓⲉⲣⲓⲭⲱ ⲁϥⲉⲓ ⲉⲧⲟⲟⲧⲟⲩ ⲛϩⲉⲛⲙⲁ ⲛⲥⲟⲟⲛⲉ ⲛⲁⲓ ⲇⲉ ⲁⲩⲕⲁⲁϥ ⲕⲁϩⲏⲟⲩ ⲁⲩϫϥϩⲉⲛⲥⲁϣ ⲁⲩⲃⲱⲕ ⲁⲩⲕⲁⲁϥ ⲉϥⲟ ⲙⲡϣⲙⲟⲩ
31 ঘটনাক্রমে একজন যাজক সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। লোকটিকে দেখে সে রাস্তার অন্য প্রান্ত দিয়ে চলে গেল।
ⲗ̅ⲁ̅ϩⲛ ⲟⲩϣⲥⲛⲉ ⲇⲉ ⲁⲩⲟⲩⲏⲏⲃ ⲉⲓ ⲉⲡⲉⲥⲏⲧ ϩⲓⲧⲉϩⲓⲏ ⲉⲧⲙⲙⲁⲩ ⲁϥⲛⲁⲩ ⲉⲣⲟϥ ⲁϥⲥⲁⲁⲧϥ
32 সেভাবে একজন লেবীয়ও সেখানে এসে তাকে দেখে অন্য দিক দিয়ে চলে গেল।
ⲗ̅ⲃ̅ϩⲟⲙⲟⲓⲱⲥ ⲟⲛ ⲟⲩⲗⲉⲩⲉⲧⲏⲥ ⲛⲧⲉⲣⲉϥⲉⲓ ⲉϫⲙⲡⲙⲁ ⲉⲧⲙⲙⲁⲩ ⲁϥⲛⲁⲩ ⲉⲣⲟϥ ⲁϥⲥⲁⲁⲧϥ
33 কিন্তু একজন শমরীয় পথ চলতে চলতে, সেই ব্যক্তি যেখানে ছিল, সেখানে এসে পৌঁছাল; তাকে দেখে সে তার প্রতি করুণাবিষ্ট হল।
ⲗ̅ⲅ̅ⲁⲩⲥⲁⲙⲁⲣⲓⲧⲏⲥ ⲇⲉ ⲉϥⲙⲟⲟϣⲉ ⲉⲓ ⲉϫⲱϥ ⲁϥⲛⲁⲩ ⲉⲣⲟϥ ⲁϥϣⲛϩⲧⲏϥ ⲉϩⲣⲁⲓ ⲉϫⲱϥ
34 সে তার কাছে গিয়ে ক্ষতস্থানে তেল ও দ্রাক্ষারস লাগিয়ে বেঁধে দিল। তারপর সেই ব্যক্তিকে তার নিজের গাধায় চাপিয়ে একটি পান্থশালায় নিয়ে এসে তার সেবাযত্ন করল।
ⲗ̅ⲇ̅ⲁϥϯ ⲡⲉϥⲟⲩⲟⲓ ⲉⲣⲟϥ ⲁϥⲙⲟⲩⲣ ⲛⲛⲉϥⲥⲁϣ ⲁϥⲡⲱϩⲧ ⲛⲟⲩⲛⲉϩ ⲉϫⲱⲟⲩ ⲛⲙⲟⲩⲏⲣⲡ ⲁϥⲧⲁⲗⲟϥ ⲉϫⲛ ⲡⲉϥⲧⲃⲛⲏ ⲙⲙⲓⲛ ⲙⲙⲟϥ ⲁϥⲛⲧϥ ⲉⲩⲡⲁⲛⲧⲟⲭⲓⲟⲛ ⲁϥϥⲓⲡⲉϥⲣⲟⲟⲩϣ
35 পরদিন পান্থশালার মালিককে সে দুটি রুপোর মুদ্রা দিল। সে বলল, ‘ওই ব্যক্তির সেবাযত্ন কোরো। এর অতিরিক্ত কিছু ব্যয় হলে, ফেরার পথে আমি পরিশোধ করে দেব।’
ⲗ̅ⲉ̅ⲙⲡⲉϥⲣⲁⲥⲧⲉ ⲇⲉ ⲉϥⲛⲏⲟⲩ ⲉⲃⲟⲗ ⲁϥϯϥⲕⲏⲧⲉ ⲙⲡⲡⲁⲛⲧⲟⲭⲉⲩⲥ ⲡⲉϫⲁϥ ⲛⲁϥ ϫⲉ ϥⲓⲡⲉϥⲣⲟⲟⲩϣ ⲁⲩⲱ ⲡⲉⲧⲕⲛⲁϫⲟϥ ⲉⲃⲟⲗ ⲉⲣⲟϥ ⲉⲓϣⲁⲛⲕⲧⲟⲓ ϯⲛⲁⲧⲁⲁϥ ⲛⲁⲕ
36 “এই তিনজনের মধ্যে কে দস্যুদের হাতে পড়া ওই লোকটির কাছে প্রতিবেশী হয়ে উঠল? তোমার কী মনে হয়?”
ⲗ̅ⲋ̅ⲛⲓⲙ ⲙⲡⲉⲓϣⲟⲙⲛⲧ ⲛⲛⲁϩⲣⲁⲕ ⲡⲉⲛⲧⲁϥⲣ ⲡⲉⲧϩⲓⲧⲟⲩⲱϥ ⲙⲡⲉⲛⲧⲁϥⲉⲓ ⲉⲧⲟⲟⲧⲟⲩ ⲛⲛⲥⲟⲟⲛⲉ
37 সেই শাস্ত্রবিদ উত্তর দিল, “লোকটির প্রতি যে করুণা দেখিয়েছিল, সেই।” যীশু তাকে বললেন, “যাও, ফিরে গিয়ে তুমিও সেরকম করো।”
ⲗ̅ⲍ̅ⲛⲧⲟϥ ⲇⲉ ⲡⲉϫⲁϥ ⲛⲁϥ ϫⲉ ⲡⲉⲛⲧⲁϥⲣⲡⲛⲁ ⲛⲙⲙⲁϥ ⲡⲉ ⲡⲉϫⲉ ⲓⲏⲥ ⲇⲉ ⲛⲁϥ ϫⲉ ⲃⲱⲕ ϩⲱⲱⲕ ⲛⲅⲉⲓⲣⲉ ϩⲓⲛⲁⲓ
38 যীশু শিষ্যদের নিয়ে পথ চলতে চলতে একটি গ্রামে এসে পৌঁছালেন। সেখানে মার্থা নামে এক স্ত্রীলোক তাঁর বাড়িতে তাঁকে স্বাগত জানালেন।
ⲗ̅ⲏ̅ϩⲙ ⲡⲧⲣⲉⲩⲙⲟⲟϣⲉ ⲇⲉ ⲛⲧⲟϥ ⲁϥⲃⲱⲕ ⲉϩⲟⲩⲛ ⲉⲩϯⲙⲉ ⲁⲩⲥϩⲓⲙⲉ ⲉⲡⲉⲥⲣⲁⲛ ⲡⲉ ⲙⲁⲣⲑⲁ ϣⲟⲡϥ ⲉⲣⲟⲥ
39 মরিয়ম নামে তাঁর এক বোন ছিলেন। প্রভুর মুখের বাক্য শোনার জন্য তিনি তাঁর পায়ের কাছে বসলেন।
ⲗ̅ⲑ̅ⲛⲉⲟⲩⲛⲧⲥ ⲟⲩⲥⲱⲛⲉ ⲇⲉ ⲡⲉ ⲉϣⲁⲩⲙⲟⲩⲧⲉ ⲉⲣⲟⲥ ϫⲉ ⲙⲁⲣⲓⲁ ⲧⲁⲓ ⲇⲉ ⲁⲥϩⲙⲟⲟⲥ ϩⲁⲧⲛ ⲟⲩⲉⲣⲏⲧⲉ ⲙⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲁⲥⲥⲱⲧⲙ ⲉⲡⲉϥϣⲁϫⲉ
40 কিন্তু মার্থা আপ্যায়নের আয়োজন করতে গিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন। তিনি যীশুর কাছে এসে বললেন, “প্রভু, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না, আমার বোন আমার একার উপর সমস্ত কাজের ভার ছেড়ে দিয়েছে? আপনি ওকে বলুন, আমাকে সাহায্য করতে।”
ⲙ̅ⲙⲁⲣⲑⲁ ⲇⲉ ⲛⲉⲥⲡⲉⲣⲓⲥⲡⲁ ⲡⲉ ⲉⲩⲛⲟϭ ⲛⲇⲓⲁⲕⲟⲛⲓⲁ ⲁⲥⲁϩⲉⲣⲁⲧⲥ ⲉϫⲱϥ ⲡⲉϫⲁⲥ ⲛⲁϥ ϫⲉ ⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲙⲡⲉⲕⲣⲟⲟⲩϣ ⲁⲛ ⲡⲉ ϫⲉ ⲁⲧⲁⲥⲱⲛⲉ ⲕⲁⲁⲧ ⲙⲁⲩⲁⲁⲧ ⲉⲓⲇⲓⲁⲕⲟⲛⲓ ⲁϫⲓⲥ ϭⲉ ⲛⲁⲥ ϫⲉⲕⲁⲥ ⲉⲥⲉⲡⲱϣⲛ ⲉⲣⲟⲓ
41 প্রভু উত্তর দিলেন, “মার্থা, মার্থা, তুমি অনেক বিষয়ে উদ্বিগ্ন, আর বিচলিত হয়ে পড়েছ।
ⲙ̅ⲁ̅ⲁⲡϫⲟⲉⲓⲥ ⲇⲉ ⲟⲩⲱϣⲃ ⲛⲁⲥ ⲡⲉϫⲁϥ ϫⲉ ⲙⲁⲣⲑⲁ ⲙⲁⲣⲑⲁ ⲧⲉϥⲓⲣⲟⲟⲩϣ ϩⲁϩⲁϩ ⲁⲩⲱ ⲧⲉϣⲧⲣⲧⲱⲣ
42 কিন্তু প্রয়োজন একটিমাত্র বিষয়ের। মরিয়ম সেই উত্তম বিষয়টিই মনোনীত করেছে, যা তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে না।”
ⲙ̅ⲃ̅ⲟⲩⲁ ⲇⲉ ⲡⲉⲧⲟⲩⲣⲭⲣⲓⲁ ⲙⲙⲟϥ ⲙⲁⲣⲓⲁ ⲅⲁⲣ ⲁⲥⲥⲉⲧⲡ ⲧⲧⲟ ⲛⲁⲥ ⲉⲧⲛⲁⲛⲟⲩⲥ ⲧⲁⲓ ⲉⲛⲥⲉⲛⲁϥⲓⲧⲥ ⲛⲧⲟⲟⲧⲥ ⲁⲛ
