< লেবীয় বই 27 >
১আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তুমি কথা বলো ও তাদের জানিয়ে দাও: ‘যদি কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশে কোনো একজনকে উৎসর্গ করবার জন্য সমতুল্য মূল্য দিয়ে এক বিশেষ মানত করে,
২“তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে বল, তাদেরকে বল, ‘যদি কেউ বিশেষ মানত করে, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে প্রাণী সব সদাপ্রভুর হবে।
3 তাহলে কুড়ি থেকে ষাট বছরের মধ্যে বয়স্ক কোনো এক পুরুষের মূল্য হিসেবে সে পঞ্চাশ শেকল রুপো ধার্য করবে, যা পবিত্রস্থানের শেকল অনুসারে হবে,
৩তোমার নির্ধারিত মূল্য এই; কুড়ি বছর বয়স থেকে ষাট বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষ হলে তোমার নির্ধারিত মূল্য পবিত্র জায়গায় শেকল অনুসারে পঞ্চাশ শেকল রৌপ্য।
4 একজন নারীর ক্ষেত্রে তাকে ত্রিশ শেকল মূল্য ধার্য করতে হবে।
৪কিন্তু যদি স্ত্রীলোক হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য ত্রিশ শেকল হবে।
5 যদি পাঁচ থেকে কুড়ি বছরের মধ্যে বয়স্ক কোনো এক ব্যক্তিকে উৎসর্গ করতে হয়, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে কুড়ি শেকল এবং নারীর ক্ষেত্রে দশ শেকল ধার্য করতে হবে।
৫যদি পাঁচ বছর বয়স থেকে কুড়ি বছর বয়স পর্যন্ত হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে কুড়ি শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
6 যদি এক মাস ও পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনো বয়সি কেউ থাকে, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে পাঁচ শেকল রুপো ও নারীর ক্ষেত্রে তিন শেকল রুপো ধার্য করতে হবে।
৬যদি এক মাস বয়স থেকে পাঁচ বৎসর বয়স পর্যন্ত হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পাঁচ শেকল রূপা ও তোমার নির্ধারিত মূল্য স্ত্রীর পক্ষে তিন শেকল রূপা হবে।
7 যদি কারও বয়স ষাট অথবা তদূর্ধ্ব হয়, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে পনেরো শেকল ও নারীর ক্ষেত্রে দশ শেকল ধার্য করতে হবে।
৭যদি ষাট বছর কিংবা তার বেশী বয়স হয়, তবে তোমার নির্ধারিত মূল্য পুরুষের পক্ষে পনের শেকল ও স্ত্রীর পক্ষে দশ শেকল হবে।
8 যদি কেউ মানত করে, অথচ অত্যন্ত দরিদ্রতার কারণে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য দিতে অসমর্থ হয়, তাহলে সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে যাজকের কাছে আনা হবে এবং মানতকারীর সামর্থ্য অনুযায়ী সেই ব্যক্তির পক্ষে যাজক মূল্য নির্ধারণ করবে।
৮কিন্তু যদি গরিব হওয়ার জন্য তোমার নির্ধারিত মূল্য দিতে সে না পারে, তবে যাজকের কাছে আনতে হবে এবং যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; মানতকারী ব্যক্তির ক্ষমতা অনুসারে যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে।
9 “‘একটি পশু দিয়ে যদি সে মানত করে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক উপহাররূপে সেই মানত গ্রহণযোগ্য। সদাপ্রভুর উদ্দেশে দত্ত এমন এক পশু পবিত্র হয়।
৯আর যদি কেউ সদাপ্রভুর কাছে উৎসর্গের জন্য পশু দান করে, তবে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দেওয়া সেরকম সব পশু পবিত্র বস্তু হবে।
10 সে যেন পরিবর্তন না করে, অথবা বিকল্পরূপে মন্দের স্থানে ভালো কিংবা ভালোর স্থানে মন্দ পশু জোগান না দেয়। যদি সে একটিরও পক্ষে অন্য পশু বিকল্পরূপে দেয়, তাহলে বিকল্প দুটিই পবিত্র হয়।
১০সে তার অন্যথা কি পরিবর্তন করবে না, খারাপের বদলে ভাল, কিংবা ভালর বদলে খারাপ দেবে না; যদি সে কোন প্রকারে পশুর সঙ্গে পশুর বদল করে, তবে তা এবং তার বদলে দুটোই পবিত্র হবে।
11 যদি তার মানত করা পশু আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি হয়, যদি তা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক উপহাররূপে গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে ওই পশুকে অবশ্যই যাজকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
১১আর যা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উপহার হিসাবে উৎসর্গ করা যায় না, এমন কোন অশুচি পশু যদি কেউ দান করে, তবে সে ঐ পশুকে যাজকের সামনে উপস্থিত করবে।
12 পশুটি ভালো অথবা মন্দ, সে বিষয়ের গুণাগুণ যাজক বিচার করবে। পরে যাজক দ্বারা নিরূপিত মূল্য অনুযায়ী পশুর মূল্য নির্ধারিত হবে।
১২ঐ পশু ভাল কিংবা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; তোমার অর্থাৎ যাজকের নির্ধারন অনুসারেই মূল্য হবে।
13 পশুর মালিক যদি পশুকে মুক্ত করতে চায়, নিরূপিত মূল্যের পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই অতিরিক্ত দেবে।
১৩কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তা মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে।
14 “‘যদি কোনো পুরুষ পবিত্র বস্তুরূপে তার বাড়ি সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে তাহলে ভালো অথবা মন্দ বাড়িটির গুণাগুণ যাজক বিচার করবে; যাজক দ্বারা নির্ধারিত মূল্য মেনে নেওয়া হবে।
১৪আর যদি কোনো ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিজের গৃহ পবিত্র করে, তবে তা ভাল কিম্বা খারাপ হোক, যাজক তার মূল্য নির্ধারন করবে; যাজক তার যে মূল্য নিরধারণ করবে, তাই ঠিক হবে।
15 যদি উৎসর্গকারী তার বাড়ি মুক্ত করে, তাহলে নিরূপিত মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই দেবে। বাড়িটি পুনরায় তার হবে।
১৫আর যে তা অর্পণ করেছে, সে যদি নিজের গৃহ মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দেবে; তা করলে গৃহ তার হবে।
16 “‘যদি কোনো পুরুষ তার অধিকৃত ক্ষেতের অংশবিশেষ সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে, সেই ক্ষেতে বপনীয় বীজের পরিমাণানুসারে ক্ষেতটির মূল্য নিরূপিত হবে—এক হোমর যবের বীজের জন্য পঞ্চাশ শেকল রুপো।
১৬আর যদি কেউ নিজের অধিকার করা জমির কোন অংশ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে, তবে তার বোনা বীজ অনুসারে তার মূল্য তোমার নির্ধারিত হবে; এক এক হোমর পরিমিত যবের বীজের প্রতি পঞ্চাশ পঞ্চাশ শেকল করে রূপা।
17 অর্ধশত বছর চলাকালীন যদি সে তার ক্ষেত উৎসর্গ করে, তাহলে ক্ষেতটির নিরূপিত মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।
১৭যদি সে যোবেল বছর পর্যন্ত নিজের জমি পবিত্র করে, তবে তোমার নির্ধারিত সেই মূল্য অনুসারে তা ঠিক হবে।
18 কিন্তু যদি অর্ধশতবার্ষিকীর পরে সে তার ক্ষেত উৎসর্গ করে, পরবর্তী অর্ধশতবার্ষিকী না আসা পর্যন্ত বছরগুলির সংখ্যা অনুযায়ী যাজক মূল্য নির্ধারণ করবে এবং নির্ধারিত মূল্য হ্রাস পাবে।
১৮কিন্তু যদি সে যোবেলের পরে নিজের জমি পবিত্র করে, তবে যাজক আগামী যোবেল পর্যন্ত অবশিষ্ট বছরের সংখ্যা অনুসারে তার দেওয়া রূপা গণনা করবে এবং সেই অনুসারে তোমার নির্ধারিত মূল্য কম করা যাবে।
19 উৎসর্গকারী যদি তার ক্ষেত মুক্ত করতে চায়, ক্ষেতটির মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই দেবে এবং ক্ষেতটি আবার তার হয়ে যাবে।
১৯আর যে তা পবিত্র করেছে, সে যদি কোনো প্রকারে নিজের জমি মুক্ত করতে চায়, তবে সে তোমার নির্ধারিত রূপার পঞ্চমাংশ বেশী দিলে তা তারই হবে।
20 অন্যদিকে, যদি সে তার ক্ষেত মুক্ত না করে, অথবা অন্য কারও কাছে ক্ষেতটি বিক্রি করে, তাহলে তা কখনও মুক্ত হবে না।
২০কিন্তু যদি সে সেই জমি মুক্ত না করে, কিংবা যদি অন্য কারও কাছে সেই জমি বিক্রয় করে, তবে তা আর কখনও মুক্ত হবে না;
21 অর্ধশতবার্ষিকীতে ক্ষেত মুক্ত হলে তা হবে পবিত্র, যেন সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিকশিত এক ক্ষেত; এটি হবে যাজকদের সম্পত্তি।
২১সেই জমি যোবেল বছরে ক্রেতার হাত থেকে গিয়ে বর্জিত জমির মত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে, তাতে যাজকেরই অধিকার হবে।
22 “‘যদি কোনো এক পুরুষ তার কেনা একটি ক্ষেত সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে, যা তার পৈতৃক ভূমির অংশ নয়,
২২আর যদি কেউ নিজের পৈতৃক জমি ছেড়ে নিজের কেনা জমি সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র করে,
23 অর্ধশত বছর পর্যন্ত যাজক সেই ক্ষেতটির মূল্য নির্ধারণ করবে এবং সেই মালিককে তার মূল্য সেদিন দিতে হবে যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র বলে বিবেচিত হবে।
২৩তবে যাজক তোমার নির্ধারিত মূল্য অনুসারে যোবেল বছর পর্যন্ত তার দেওয়া রূপা গণনা করবে, আর সেই দিনের সে তোমার নির্ধারিত মূল্য দেবে; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
24 পঞ্চাশতম বছরে ক্ষেতটি পূর্ব অধিকারে যাবে, যার নিকট থেকে সে ক্ষেতটি কিনেছিল অর্থাৎ পূর্বাধিকারী সেই ক্ষেত পাবে।
২৪যোবেল বছরে সেই জমি বিক্রেতার হাতে, অর্থাৎ সেই জমি যার পৈতৃক অধিকার, তার হাতে ফিরে আসবে।
25 পবিত্রস্থানের শেকল অনুযায়ী প্রত্যেক বিষয়ের মূল্য নিরূপিত হবে, প্রতি শেকলে কুড়ি গেরা।
২৫আর তোমার নির্ধারিত সব মূল্য পবিত্র জায়গার শেকল অনুসারে হবে; কুড়ি গেরাতে এক শেকল হয়।
26 “‘অন্যদিকে, প্রথমজাত কোনো পশুকে কেউ উৎসর্গ করতে পারবে না, যেহেতু প্রথমজাত সদাপ্রভুর অধিকার; ষাঁড় অথবা মেষ যা জন্মাবে, তা প্রভুর।
২৬কেবল প্রথমজাত পশুর বাচ্চা সব সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রথমজাত হওয়ার জন্য কেউ তা পবিত্র করতে পারবে না; গরু হোক, মেষ হোক, তা সদাপ্রভুর।
27 যদি তা এক অশুচি পশু হয়, তাহলে নিরূপিত মূল্যে সে আবার প্রথমজাতকে কিনবে, এর মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে দেবে। যদি পশুটিকে সে মুক্ত না করে, তাহলে নিরূপিত মূল্যে ওই পশুকে বিক্রি করতে হবে।
২৭যদি সেই পশু অশুচি হয়, তবে সে তোমার নির্ধারিত মূল্যের পঞ্চমাংশ বেশী দিয়ে তা মুক্ত করতে পারে, মুক্ত না হলে তা তোমার নির্ধারিত মুল্যে বিক্রি করা যাবে।
28 “‘কিন্তু কোনো ব্যক্তি নিজের সর্বস্ব থেকে—মানুষ কিংবা পশু কিংবা পৈতৃক সম্পত্তি—সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত করে; তা বিক্রি বা মুক্ত করা যাবে না; সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত সবকিছুই অতি পবিত্র।
২৮আর কোনো ব্যক্তি নিজের সর্বস্ব হতে, মানুষ কি পশু কি অধিকার করা জমি হতে, যে কিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অর্পণ করে, তা বিক্রি করা বা মুক্ত করা যাবে না; সব অর্পিত বস্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে অতি পবিত্র।
29 “‘ধ্বংসাত্মক কর্মে লিপ্ত কোনো বর্জিত ব্যক্তির বন্দিত্বমোচন হবে না; তাকে মৃত্যুদণ্ড পেতেই হবে।
২৯মানুষদের মধ্যে যে কেউ বর্জিত হয়, তাকে মুক্ত করা যাবে না; সে অবশ্যই মরবে।
30 “‘ভূমি থেকে উৎপন্ন সবকিছুর দশমাংশ মাটি থেকে উৎপন্ন খাদ্যশস্য অথবা গাছের ফল, সমস্তই সদাপ্রভুর। উৎপাদিত সবকিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র।
৩০জমির শস্য কিংবা গাছের ফল হোক, জমির উত্পন্ন সব জিনিসের দশমাংশ সদাপ্রভুর; তা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র।
31 যদি কোনো পুরুষ তার দশমাংশের কিছুটা মুক্ত করে, তাহলে দশমাংশ মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই দেবে।
৩১আর যদি কেউ নিজের দশমাংশ থেকে কিছু মুক্ত করতে চায়, তবে সে তার পাঁচ অংশ বেশী দেবে।
32 গরু ও মেষের সম্পূর্ণ দশমাংশ মেষপালকের চরাণী পাওয়া প্রত্যেক দশটি পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র হবে।
৩২আর গরু মেষ পালের দশমাংশ, পাঁচনির নিচ দিয়ে যা কিছু যায়, তার মধ্যে প্রত্যেক দশম পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে।
33 সে মন্দ পশুদের মধ্য থেকে ভালো পশু বেছে নেবে না, অথবা বিকল্প বিধান নেবে না। যদি সে বিকল্প উপায় গ্রহণ করে, তাহলে পশু ও তাদের বিকল্প উভয়ই পবিত্র হবে এবং তাদের মুক্ত করা যাবে না।’”
৩৩তা ভালো কি খারাপ, এর খোঁজ সে করবে না ও তার পরিবর্তন করবে না; কিন্তু যদি সে কোনো প্রকারে তার পরিবর্তন করে, তবে তা ও তার বিনিময়ে দুটোই পবিত্র হবে; তা মুক্ত করা যাবে না।’”
34 সদাপ্রভুর এই আদেশগুলি ইস্রায়েলীদের জন্য সীনয় পর্বতে মোশিকে দেওয়া হল।
৩৪সদাপ্রভু সীনয় পাহাড়ে ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোশিকে এই সব আদেশ করেছিলেন।