< লেবীয় বই 20 >

1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে আরও বল,
2 “ইস্রায়েলীদের বলো, ‘কোনো ইস্রায়েলী অথবা ইস্রায়েলে বসবাসকারী কোনো প্রবাসী যদি তার সন্তানদের মোলকের উদ্দেশে উৎসর্গ করার জন্য দেয়, তাহলে অবশ্যই তার প্রাণদণ্ড হবে। সমাজের লোকেরা তাকে প্রস্তরাঘাত করবে।
“ইস্রায়েল-সন্তানদের, ‘কোনো ব্যক্তি কিংবা ইস্রায়েলের মধ্যে বসবাসকারী কোনো বিদেশী লোক যদি নিজের বংশের কাউকেও মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, তবে তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, দেশের লোকেরা তাকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে।
3 আমি তার বিরুদ্ধে বিমুখ হব ও তার পরিজনদের মধ্যে থেকে তাকে উচ্ছিন্ন করব; কারণ মোলকের উদ্দেশে তার সন্তান দিয়ে সে আমার পবিত্র ধর্মধাম কলুষিত করেছে ও আমার পবিত্র নাম কলঙ্কিত করেছে।
আর আমিও সেই ব্যক্তির প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব; কারণ মোলক দেবের উদ্দেশ্যে নিজের বংশজাতকে দেওয়াতে সে আমার ধর্ম্মধাম অশুচি করে ও আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করে।
4 যখন সে তার সন্তানদের মধ্য থেকে একটি সন্তান মোলককে উৎসর্গ করে, তখন যদি সমাজের লোকেরা তাদের চোখ বন্ধ রাখে ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে না পারে,
আর যে দিনের সেই ব্যক্তি নিজের বংশের কাউকে মোলক দেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে, সেই দিনের যদি দেশীয় লোকেরা চোখ বুজে থাকে তাকে বধ না করে,
5 তাহলে সেই ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিপক্ষে আমি বিমুখ হব এবং তাকে ও তার অনুগামী মোলকের সঙ্গে ব্যভিচারী সবাইকে তাদের পরিজনদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন করব।
তবে আমি সেই ব্যক্তির ওপর ও তার গোষ্ঠীর ওপর বিমুখ হয়ে তাকে ও মোলক দেবের সঙ্গে ব্যভিচার করার জন্য তার অনুগামী ব্যভিচারী সকলকে তাদের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা করব।
6 “‘সেই মানুষের বিপক্ষে আমি বিমুখ হব, যে ভূতপ্রেত ও গুণীনদের অনুগমনে ব্যভিচার করার জন্য তাদের অভিমুখে যায় এবং তাকে তার আপনজনদের মধ্য থেকে আমি উচ্ছিন্ন করব।
আর যে কোনো প্রাণী মৃতদের কিংবা গুণীদের অনুগমনে ব্যভিচার করবার জন্য তাদের দিকে ফেরে, আমি সেই প্রাণীর প্রতি বিমুখ হয়ে তার লোকদের মধ্য থেকে তাকে আলাদা করব।
7 “‘তোমরা নিজেদের উৎসর্গ করো ও পবিত্র হও, কেননা আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
তোমরা নিজেদেরকে পবিত্র কর, পবিত্র হও; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
8 আমার বিধিবিধান পালন করবে, সেগুলির অনুগামী হবে। আমিই সদাপ্রভু, যিনি তোমাদের পবিত্র করেন।
আর তোমরা আমার বিধি মান্য কোরো, পালন কোরো; আমি সদাপ্রভু তোমাদের পবিত্রকারী।
9 “‘যদি কেউ তার বাবাকে বা মাকে অভিশাপ দেয়, তাকে মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে। সে তার বাবাকে বা মাকে অভিশাপ দিয়েছে; সুতরাং তার রক্ত তার নিজের মাথায় প্রযোজ্য হবে।
যে কেউ নিজের বাবাকে কিংবা মাকে শাপ দেয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; বাবা মা কে শাপ দেওয়াতে তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
10 “‘যদি কোনো ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে—তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে—ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়ের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে।
১০আর যে কেউ পরের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে, সেই ব্যভিচারী ও সেই ব্যভিচারিণী, উভয়ের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে।
11 “‘যদি কোনো পুরুষ তার বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, সে তার বাবাকে অশ্রদ্ধা করেছে। সেই পুরুষ ও নারী উভয়ের অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে; তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে।
১১আর যে কেউ নিজের বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, সে নিজের বাবার আবরণীয় খুলে দেয়; তাদের দুই জনেরই প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
12 “‘যদি কেউ তার ছেলের বউ-এর সঙ্গে শয়ন করে তাদের উভয়ের প্রাণদণ্ড হবে। তারা যা করেছে তা স্বেচ্ছাচারিতা; তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে।
১২এবং যদি কেউ নিজের ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, তবে তাদের দুই জনের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তারা বিপরীত কাজ করেছে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
13 “‘যদি কোনো পুরুষ অন্য এক পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে, যেমন একটি পুরুষ কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে করে তাহলে তারা দুজনই ঘৃণিত কাজ করেছে। অবশ্যই তাদের মৃত্যুদণ্ড হবে; তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে।
১৩আর যেমন স্ত্রীর সঙ্গে, তেমনি পুরুষ যদি পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে, তবে তারা দুই জনে ঘৃণার কাজ করে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে
14 “‘যদি কোনো পুরুষ এক নারী ও তার মাকে বিয়ে করে, এটি দুশ্চরিত্রতা। তাকে ও তাদের আগুনে জ্বালিয়ে দিতে হবে, যেন তোমাদের মাঝে কোনো দুশ্চরিত্রতা না থাকে।
১৪আর যদি কেউ কোনো স্ত্রীকে ও তার মাকে বিয়ে করে, তবে তা খারাপ; তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে, তাকে ও তাদের দুজনকে পুড়িয়ে দিতে হবে; যেন তোমাদের মধ্যে খারাপ কাজ না হয়।
15 “‘যদি কোনো পুরুষ একটি পশুর সঙ্গে কামনা চরিতার্থ করে, তার অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে এবং পশুকে তোমরা অবশ্যই বধ করবে।
১৫আর যে কেউ যদি কোন পশুর সঙ্গে শয়ন করে, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে এবং তোমরা সেই পশুকেও হত্যা করবে।
16 “‘যদি একটি নারী কামনা চরিতার্থ করতে কোনো পশুর কাছে যায়, সেই নারী ও পশু উভয়কে তোমরা অবশ্যই বধ করবে। অবশ্যই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেবে। তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে।
১৬আর কোন স্ত্রী যদি পশুর কাছে গিয়ে তার সঙ্গে শয়ন করে, তবে তুমি সেই স্ত্রীকে ও সেই পশুকে হত্যা করবে; তাদের প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে, তাদের রক্ত তাদের উপরে পড়বে।
17 “‘যদি কোনো পুরুষ তার বোনকে বিয়ে করে, যে তার বাবার অথবা মায়ের মেয়ে এবং তারা কামনা চরিতার্থ করে, এটি লজ্জার বিষয়। তাদের পরিজনদের নজর থেকে তাদের উচ্ছিন্ন করতেই হবে। সে তার বোনের সতীত্ব হরণ করেছে এবং এই দুষ্কর্মের জন্য সে দায়ী থাকবে।
১৭আর যদি কেউ নিজের বোনকে, বাবার মেয়ে কে কিংবা মায়ের মেয়ের সঙ্গে ব্যভিচার করে ও উভয়ে উভয়ের আবরণীয় দেখে, তবে তা লজ্জাকর বিষয়; তারা নিজের জাতির ছেলেদের সামনে আলাদা হবে; নিজের বোনের আবরণীয় খোলে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।
18 “‘যদি কোনো পুরুষ একটি স্ত্রীলোকের মাসিক রক্তস্রাব চলাকালীন তার সঙ্গে শয়ন ও কামনা চরিতার্থ করে, সে ওই স্ত্রীলোকের স্রাবের উৎস উন্মোচন করে এবং স্ত্রীলোকটিও তা অনাবৃত করে। তাদের উভয়কে তাদের আপনজনদের মধ্য থেকে অবশ্যই উচ্ছিন্ন করতে হবে।
১৮আর যদি কেউ রজস্বলা স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে ও তার আবরণীয় খোলে তবে সেই পুরুষ তার রক্তাকর প্রকাশ করাতে ও সেই স্ত্রী নিজের রক্তাকর খোলাতে তারা উভয়ে নিজের লোকদের মধ্য থেকে আলাদা হবে।
19 “‘তোমার মায়ের অথবা তোমার বাবার বোনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে না; কেননা সেই কাজ নিকট আত্মীয়ের প্রতি অসম্মানজনক। এর জন্য তোমরা দুজনই দায়ী থাকবে।
১৯আর তুমি নিজের মাসীর কিংবা পিসীর আবরণীয় খুলো না; তা করলে নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের আবরণীয় খোলা হয়, তারা উভয়েই নিজের নিজের অপরাধ বহন করবে।
20 “‘যদি কোনো পুরুষ তার আত্মীয়ার সঙ্গে শয়ন করে, তাহলে সে তার আত্মীয়কে অশ্রদ্ধা করেছে। তারা অপরাধী হবে ও নিঃসন্তান থাকাকালীন মারা যাবে।
২০আর যদি কেউ নিজের কাকার স্ত্রীর সঙ্গে শোয় তবে নিজের কাকার স্ত্রীর আবরণীয় খোলে; তারা নিজের নিজের পাপ বহন করবে, নিঃসন্তান হয়ে মরিবে।
21 “‘যদি কোনো পুরুষ তার ভাইয়ের বউকে বিয়ে করে, এই কাজ অশুদ্ধাচার; সে তার অগ্রজকে অশ্রদ্ধা করেছে। তারা নিঃসন্তান থাকবে।
২১আর যদি কেউ নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে করে, তা অশুচি কাজ; নিজের ভাইয়ের স্ত্রীর আবরণীয় খোলাতে তারা নিঃসন্তান থাকবে।
22 “‘আমার সব অনুশাসন ও বিধান পালন করবে ও সেগুলির অনুগামী হবে, যেন যে দেশে তোমাদের আমি নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদের উগরে না ফেলে।
২২তোমরা আমার সমস্ত বিধি ও আমার সমস্ত শাসন মান্য কোরো, পালন কোরো; যেন আমি তোমাদের থাকার জন্য তোমাদেরকে যে দেশে নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদের কে উগরিয়ে না ফেলে।
23 তোমরা ওই সমস্ত জাতির বিভিন্ন প্রথা অনুযায়ী জীবনযাপন করবে না, তোমাদের সামনে থেকে যাদের আমি বিতাড়িত করতে যাচ্ছি, কেননা আমার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত কাজগুলি এরা করেছে।
২৩আর আমি তোমাদের সামনে থেকে যে জাতিকে দূর করতে উদ্যত, তার আচার আচরন অনুযায়ী আচরণ করিও না; কারণ তারা ঐ সব কাজ করত, এই জন্য আমি তাদেরকে ঘৃণা করলাম।
24 কিন্তু আমি তোমাদের বলেছি, “তাদের দেশ তোমরা অধিকার করবে। আমি উত্তরাধিকাররূপে দেশটি তোমাদের দেব, যে দেশে দুধ ও মধু প্রবাহিত হয়।” আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি সমস্ত জাতি থেকে তোমাদের পৃথক করেছেন।
২৪কিন্তু আমি তোমাদেরকে অধিকার করার জন্য সেই দুগ্ধমধুপ্রবাহী দেশ দেব; আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি অন্য জাতি সব থেকে তোমাদেরকে আলাদা করেছি।
25 “‘অতএব, শুচি ও অশুচি পশুদের মাঝে এবং অশুচি ও শুচি পাখিদের মাঝে তোমরা অবশ্যই তফাৎ রাখবে। কোনো পশু অথবা পাখি কিংবা ভূমিতে বিচরণকারী কোনো কিছুর দ্বারা নিজেদের কলুষিত করবে না—তোমাদের জন্য অশুচিরূপে সেগুলিকে আমি পৃথক রেখেছি।
২৫অতএব তোমরা শুচি অশুচি পশুর ও শুচি অশুচি পাখীর তফাৎ করবে; আমি যে যে পশু, পাখী ও ভূচর কীটা সব জন্তুকে অশুচি বলে তোমাদের থেকে আলাদা করলাম, সে সকলের দ্বারা তোমরা নিজেদের প্রাণকে ঘৃণার্হ কোরো না।
26 আমার উদ্দেশে তোমাদের পবিত্র হতে হবে, কারণ আমি সদাপ্রভু পবিত্র এবং জাতিদের মধ্য থেকে তোমাদের আমি পৃথক রেখেছি, যেন তোমরা আমার নিজস্ব হও।
২৬আর তোমরা আমার উদ্দেশ্যে পবিত্র হও, কারণ আমি সদাপ্রভু পবিত্র এবং আমি তোমাদেরকে জাতিদের থেকে আলাদা করেছি, যেন তোমরা আমারই হও।
27 “‘তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো পুরুষ বা নারী যদি প্রেতমাধ্যম অথবা জাদুকর হয়, তার অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে। তাদের তোমরা প্রস্তরাঘাত করবে। তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে।’”
২৭আর পুরুষের কিম্বা স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ ভূতড়িয়া কিম্বা গুণী হয়, তার প্রাণদণ্ড অবশ্য হবে; লোকে তাদেরকে পাথরের আঘাতে হত্যা করবে; তাদের রক্ত তাদের উপর পড়বে’।”

< লেবীয় বই 20 >