< যিরমিয়ের বিলাপ 3 >

1 আমিই সেই ব্যক্তি, যে সদাপ্রভুর ক্রোধের দণ্ড দ্বারা কৃত দুঃখকষ্ট দেখেছে।
আমি সেই লোক, যে সদাপ্রভুর ক্রোধের দণ্ডের মাধ্যমে দুঃখ দেখেছে।
2 তিনি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেছেন এবং আলোতে নয় অন্ধকারে গমন করিয়েছেন;
তিনি আমাকে চালিয়েছেন এবং আমাকে আলোর বদলে অন্ধকারে হাঁটিয়েছেন।
3 সত্যিই, তিনি সমস্ত দিন, বারংবার আমার বিরুদ্ধে তাঁর হাত তুলেছেন।
অবশ্যই তিনি আমার বিরুদ্ধে ফিরে গেছেন; তিনি তাঁর হাত আমার বিরুদ্ধে সারা দিন ধরে ফিরিয়ে নেন।
4 তিনি আমার চামড়া ও আমার মাংস জীর্ণ হতে দিয়েছেন, তিনি আমার হাড়গুলি ভেঙে ফেলেছেন।
তিনি আমার মাংস ও আমার চামড়া ক্ষয়প্রাপ্ত করেছেন; তিনি আমার হাড়গুলি ভেঙে দিয়েছেন।
5 তিনি তিক্ততা ও দুর্দশা দিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করেছেন ও ঘিরে ধরেছেন।
তিনি আমাকে অবরোধ করেছেন এবং আমাকে তিক্ততা ও কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘিরে রেখেছেন;
6 যারা অনেক দিন আগে মারা গেছে, তাদের মতো তিনি আমাকে অন্ধকারে বসতি করান।
তিনি আমাকে অন্ধকার জায়গায় বাস করিয়েছেন, দীর্ঘ দিনের র মৃতদের মতো করেছেন।
7 তিনি আমার চারপাশে বেড়া দিয়েছেন, যেন আমি পালাতে না পারি; তিনি শিকল দিয়ে আমাকে ভারাক্রান্ত করেছেন।
তিনি আমার চারিদিকে দেওয়াল তুলে দিয়েছেন, যাতে আমি পালাতে না পারি; তিনি আমার শিকল ভারী করে দিয়েছেন।
8 এমনকি, যখন আমি সাহায্যের জন্য তাঁকে ডাকি বা কাঁদি, তিনি আমার প্রার্থনা শোনেন না।
যখন আমি কাঁদি এবং সাহায্যের জন্যে চিত্কার করি, তিনি আমার প্রার্থনা শোনেন না।
9 বিশাল সব পাথর দিয়ে তিনি আমার পথ অবরুদ্ধ করেছেন, তিনি আমার সব পথ বাঁকা করেছেন।
তিনি ক্ষোদিত পাথরের দেওয়াল তুলে আমার রাস্তা আঁটকে দিয়েছেন, তিনি সব পথ বাঁকা করেছেন।
10 ভালুক যেমন লুকিয়ে ওৎ পাতে, যেভাবে সিংহ গোপনে লুকিয়ে থাকে,
১০তিনি আমার কাছে ওৎ পেতে থাকা ভাল্লুকের মতো, একটা লুকিয়ে থাকা সিংহের মতো।
11 সেইভাবে তিনি আমাকে পথ থেকে টেনে এনে খণ্ডবিখণ্ড করেছেন এবং আমাকে সহায়হীন করেছেন।
১১তিনি আমার পথকে অন্য দিকে ঘুরিয়েছেন, তিনি আমাকে টুকরো টুকরো করেছেন এবং আমাকে নিঃসঙ্গ করেছেন।
12 তিনি তাঁর ধনুকে চাড়া দিয়েছেন, এবং আমাকে তাঁর তিরগুলির লক্ষ্যবস্তু করেছেন।
১২তিনি তাঁর ধনুকে টান দিয়েছেন এবং আমাকে তীরের লক্ষ্য হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
13 তাঁর তূণের তির দিয়ে তিনি বিদ্ধ করেছেন আমার হৃদয়।
১৩তিনি তাঁর তূণের তীর আমার হৃদয়ে বিদ্ধ করিয়েছেন।
14 আমার সব লোকজনদের কাছে আমি হাসির খোরাক হয়েছি; তারা সারাদিন আমাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক গান গায়।
১৪আমি আমার সব লোকদের কাছে হাস্যকর ও দিনের পর দিন তাদের উপহাসের গানের বিষয় হয়েছি।
15 তিনি আমাকে তিক্ততায় পূর্ণ করেছেন, এবং পান করার জন্য আমাকে এক বিষপূর্ণ পানপাত্র দিয়েছেন।
১৫তিনি তিক্ততায় আমাকে ভরে দিয়েছেন এবং তেতো রস পান করতে বাধ্য করেছেন।
16 তিনি কাঁকর দিয়ে আমার দাঁত ভেঙেছেন; তিনি ধুলিতে আমাকে পদদলিত করেছেন।
১৬তিনি কাঁকর দিয়ে আমার দাঁত ভেঙে দিয়েছেন, তিনি আমাকে ছাইয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।
17 আমি শান্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছি, আমি ভুলে গিয়েছি সমৃদ্ধি কাকে বলে।
১৭তুমি আমার জীবন থেকে শান্তি সরিয়ে নিয়েছ; আনন্দ আমি ভুলে গিয়েছি।
18 তাই আমি বলি, “আমার জৌলুস শেষ হয়ে গেছে, এবং সদাপ্রভুর কাছ থেকে আমার সব প্রত্যাশার অবসান হয়েছে।”
১৮তাই আমি বললাম, “আমার শক্তি ও সদাপ্রভুতে আমার আশা নষ্ট হয়েছে।”
19 আমি আমার কষ্ট ও অস্থির বিচরণ স্মরণ করি, আমার তিক্ততা ও পিত্তের কথা।
১৯মনে কর আমার দুঃখ ও আমার বিপথে যাওয়া, তেতো রস এবং বিষ।
20 সেগুলি আমার ভালোভাবেই স্মরণে আছে, এবং আমার প্রাণ আমারই মধ্যে অবসন্ন হয়েছে।
২০আমি অবশ্যই তা মনে রাখছি এবং আমি নিজের কাছে নত হচ্ছি।
21 তবুও আমি আবার একথা স্মরণ করি, আর তাই আমার আশা জেগে আছে:
২১কিন্তু আমি আবার মনে করি; তাই আমার আশা আছে।
22 সদাপ্রভুর মহৎ প্রেমের জন্য আমরা নষ্ট হইনি, কেননা তাঁর সহানুভূতি কখনও শেষ হয় না।
২২সদাপ্রভুর দয়ার জন্য আমরা নষ্ট হয়নি; কারণ তাঁর দয়া শেষ হয়নি।
23 প্রতি প্রভাতে তা নতুন করে দেখা দেয়; তোমার বিশ্বস্ততা মহৎ।
২৩প্রতি সকালে সেগুলি নতুন! তোমার বিশ্বস্ততা মহান।
24 আমি নিজেকে বলি, “সদাপ্রভু আমার অধিকার; এজন্য আমি তাঁর প্রতীক্ষায় থাকব।”
২৪আমার প্রাণ বলে, “সদাপ্রভুই আমার অধিকার,” তাই আমি তাঁর উপর আশা করব।
25 যারা সদাপ্রভুর উপরে তাদের আশা রাখে, এবং যারা তাঁর অন্বেষণ করে, তিনি তাদের পক্ষে মঙ্গলময়;
২৫সদাপ্রভু তার জন্যই ভালো যে তার অপেক্ষা করে, সেই জীবনের পক্ষে যা তাকে খোঁজে।
26 সদাপ্রভুর পরিত্রাণের জন্য শান্তভাবে অপেক্ষা করা ভালো।
২৬সদাপ্রভুর পরিত্রানের জন্য নীরবে অপেক্ষা করাই ভালো।
27 মানুষের যৌবনকালে জোয়াল বহন করা উত্তম।
২৭একজন মানুষের পক্ষে যৌবনকালে যোঁয়ালী বহন করা ভালো।
28 নীরবে সে একা বসে থাকুক, কেননা সেই জোয়াল সদাপ্রভু তার উপরে দিয়েছেন।
২৮তাকে একা ও নীরবে বসতে দাও, কারণ সদাপ্রভু তার ওপরে যোঁয়ালী চাপিয়েছেন।
29 সে ধুলোয় নিজের মুখ ঢেকে রাখুক— হয়তো তখনও আশা থাকতে পারে।
২৯সে ধূলোতে মুখ দিক, তবে হয়তো আশা হলেও হতে পারে।
30 যে তাকে আঘাত করেছে, তার প্রতি সে গাল পেতে দিক, এবং সে অপমানে পূর্ণ হোক।
৩০যে তাকে মারছে তার কাছে গাল পেতে দিক। তাকে অপমানে পরিপূর্ণ হতে দাও।
31 কারণ প্রভু মানুষকে চিরকালের জন্য পরিত্যাগ করেন না।
৩১কারণ প্রভু চিরকালের জন্য তাকে ত্যাগ করবেন না!
32 যদিও তিনি তাকে দুঃখ দেন, তাহলেও তিনি করুণা প্রদর্শন করবেন, তাঁর অব্যর্থ ভালোবাসা এমনই মহান।
৩২যদিও দুঃখ দেন, তবুও নিজের মহান দয়া অনুসারে করুণা করবেন।
33 কারণ তিনি ইচ্ছা করে মানবসন্তানদের কষ্ট বা মনোদুঃখ দেন না।
৩৩কারণ তিনি হৃদয়ের সঙ্গে দুঃখ দেন না, মানুষের সন্তানদের শোকার্ত করেন না।
34 দেশের সব বন্দিকে যদি লোকেরা পদতলে দলিত করে,
৩৪লোকে যে পৃথিবীর বন্দীদের সবাইকে পায়ের তলায় পিষে দেয়,
35 পরাৎপর ঈশ্বরের সামনে যদি মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে,
৩৫সর্বশক্তিমানের সামনে মানুষের প্রতি অন্যায় করে,
36 তারা যদি ন্যায়বিচার না পায়— তাহলে প্রভু কি এসব বিষয় দেখবেন না?
৩৬একজন লোক তার অন্যায় চেপে রাখে, তা সদাপ্রভু কি দেখতে পান না?
37 প্রভু যদি অনুমতি না দেন তাহলে কে কিছু বলে তা ঘটাতে পারে?
৩৭প্রভু আদেশ না করলে কার কথা সফল হতে পারে?
38 পরাৎপর ঈশ্বরের মুখ থেকে কি বিপর্যয় ও উত্তমতা দুই-ই নির্গত হয় না?
৩৮সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের মুখ থেকে কি বিপদ ও ভালো বিষয় দুইই বের হয় না?
39 তাহলে তাদের পাপের জন্য শাস্তি পেলে জীবিত মানুষমাত্র কেন অভিযোগ করে?
৩৯যে কোনো জীবিত লোক তার পাপের শাস্তির জন্য কেমন করে অভিযোগ করতে পারে?
40 এসো আমরা নিজেদের জীবনাচরণ যাচাই ও পরীক্ষা করি, আর এসো, আমরা সদাপ্রভুর পথে ফিরে যাই।
৪০এস, আমরা নিজের নিজের রাস্তা বিচার করি ও পরীক্ষা করি এবং সদাপ্রভুর কাছে ফিরে যাই।
41 এসো, আমরা স্বর্গের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে আমাদের হৃদয় ও আমাদের হাতগুলি তুলে ধরি, এবং বলি:
৪১এস, হাতের সঙ্গে হৃদয়কে ও স্বর্গের নিবাসী ঈশ্বরের দিকে হাত উঠাই এবং প্রার্থনা করি:
42 “আমরা পাপ করেছি ও বিদ্রোহী হয়েছি, এবং তুমি আমাদের ক্ষমা করোনি।
৪২“আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ ও বিদ্রোহ করেছি; তাই তুমি ক্ষমা করনি।
43 “তুমি ক্রোধে নিজেকে আচ্ছাদন করে আমাদের তাড়া করেছ; কোনো মমতা ছাড়াই তুমি হত্যা করেছ।
৪৩তুমি নিজেকে রাগে ঢেকে আমাদেরকে তাড়না করেছ, হত্যা করেছ, দয়া করনি।
44 তুমি মেঘ দ্বারা নিজেকে ঢেকেছ, ফলে কোনো প্রার্থনা তা ভেদ করতে পারে না।
৪৪তুমি নিজেকে মেঘে ঢেকে রেখেছ, তাই কোনো প্রার্থনা তা ভেদ করতে পারেনা।
45 তুমি জাতিগণের মধ্যে আমাদের আবর্জনা ও বর্জ্যপদার্থের মতো অবস্থা করেছ।
৪৫তুমি জাতিদের মধ্যে আমাদেরকে জঞ্জাল ও আবর্জনা করেছ।
46 “আমাদের সব শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে তাদের মুখ হাঁ করে খুলে আছে।
৪৬আমাদের সব শত্রু আমাদের বিরুদ্ধে উপহাসের সঙ্গে মুখ খুলেছে।
47 আমরা ত্রাস ও ফাঁদ, ধ্বংস ও বিনাশের মুখে পড়েছি।”
৪৭ভয় ও ফাঁদ, নির্জনতা ও ধ্বংস আমাদের ওপরে এসেছে।”
48 আমার দু-চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বয়ে যাচ্ছে কেননা আমার লোকেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
৪৮আমার লোকের মেয়ের ধ্বংসের জন্য আমার চোখে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে।
49 আমার অশ্রু অবিরাম বয়ে যায়, তার কোনো উপশম হয় না,
৪৯আমার চোখে সবদিন জলে বয়ে যাচ্ছে, থামে না,
50 যতক্ষণ না সদাপ্রভু স্বর্গ থেকে নিচে দৃষ্টিপাত করেন।
৫০যে পর্যন্ত সদাপ্রভু স্বর্গ থেকে নীচু হয়ে না তাকান।
51 আমার নগরের সমস্ত নারীর যে দশা আমি দেখি, তা আমার প্রাণকে দুঃখ দেয়।
৫১আমার শহরের সমস্ত মেয়ের জন্য আমার চোখ আমার জীবনে কঠিন ব্যথা আনে।
52 যারা বিনা কারণে আমার শত্রু হয়েছিল, তারা পাখির মতো আমাকে শিকার করেছে।
৫২বিনা কারণে যারা আমার শত্রু, তারা আমাকে পাখির মতো শিকার করেছে।
53 তারা গর্তে ফেলে আমার প্রাণ শেষ করতে চেয়েছে, তারা আমার দিকে পাথর ছুঁড়েছে;
৫৩তারা আমার জীবন কুয়োতে ধ্বংস করেছে এবং আমার ওপরে পাথর ছুঁড়েছে।
54 জলরাশি আমার মাথার উপরে উঠেছে, এবং আমি ভেবেছিলাম, আমি প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছি।
৫৪আমার মাথার ওপর দিয়ে জল বয়ে গেল; আমি বললাম, “আমি ধ্বংস হয়েছি।”
55 গর্তের গভীর তলদেশ থেকে হে সদাপ্রভু, আমি তোমার নামে ডেকেছি।
৫৫হে সদাপ্রভু, আমি নীচের গর্তের ভিতর থেকে তোমার নাম ডেকেছি।
56 তুমি আমার এই বিনতি শুনেছ: “উপশম লাভের জন্য আমার কান্নার প্রতি তুমি তোমার কান রুদ্ধ কোরো না।”
৫৬তুমি আমার কন্ঠস্বর শুনেছ; যখন আমি বললাম, “আমার সাহায্যের জন্য তোমার কান লুকিয়ে রেখো না।”
57 আমি তোমাকে ডাকলে তুমি নিকটে এলে, আর তুমি বললে, “ভয় কোরো না।”
৫৭যে দিন আমি তোমাকে ডেকেছি, সেই দিন তুমি আমার কাছে এসেছ এবং আমাকে বলেছ, “ভয় কোরো না।”
58 হে সদাপ্রভু, তুমি আমার পক্ষ নিয়েছ; তুমি আমার জীবন মুক্ত করেছ।
৫৮হে প্রভু, তুমি আমার জীবনের সমস্ত বিবাদগুলি সমাধান করেছ; আমার জীবন মুক্ত করেছ।
59 হে সদাপ্রভু, আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, তা তুমি দেখেছ। আমার বিচার করে তুমি আমাকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করো!
৫৯হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রতি করা অত্যাচার দেখেছ, আমার বিচার ন্যায্যভাবে কর।
60 তাদের প্রতিশোধ গ্রহণের গভীরতা, আমার বিরুদ্ধে তাদের সব ষড়যন্ত্র তুমি দেখেছ।
৬০ওদের সব প্রতিশোধ ও আমার বিরুদ্ধে করা সমস্ত পরিকল্পনা তুমি দেখেছ।
61 হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের টিটকিরি, আমার বিরুদ্ধে তাদের সব ষড়যন্ত্রের কথা শুনেছ,
৬১হে সদাপ্রভু, তুমি ওদের অবজ্ঞা ও আমার বিরুদ্ধে করা ওদের সকল পরিকল্পনা শুনেছ;
62 যা আমার শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে সারাদিন ফিসফিস ও বিড়বিড় করে বলে।
৬২যারা আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বলে এবং তারা আমার বিরুদ্ধে তাদের কথাবার্তা শুনেছ।
63 ওদের দেখো! ওরা দাঁড়িয়ে থাকুক বা বসে থাকুক, ওরা গান গেয়ে আমাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে।
৬৩তাদের বসা ও ওঠা দেখ, হে সদাপ্রভু! আমি তাদের বিদ্রূপের গানের বিষয়।
64 হে সদাপ্রভু, তাদের হস্তকৃত কাজের যোগ্য প্রতিফল তাদের দাও।
৬৪হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের হাতের কাজ অনুসারে প্রতিদান তাদেরকে দেবে।
65 তাদের হৃদয়ের উপরে তুমি একটি আবরণ দাও, তোমার অভিশাপ তাদের উপরে বর্তাক।
৬৫তুমি তাদের হৃদয়ে ভয় দেবে, তোমার অভিশাপ তাদের ওপর পড়বে।
66 সক্রোধে তাদের পিছনে তাড়া করো ও সদাপ্রভুর স্বর্গের নিচে তাদের ধ্বংস করো।
৬৬তুমি তাদেরকে রাগে তাড়া করবে এবং সদাপ্রভু স্বর্গের নীচে থেকে তাদেরকে ধ্বংস করবে।

< যিরমিয়ের বিলাপ 3 >