< বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 19 >

1 সেই সময় ইস্রায়েলে কোনও রাজা ছিলেন না। ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় একজন লেবীয় বসবাস করত। সে যিহূদার বেথলেহেম থেকে এক উপপত্নী এনেছিল।
There was a certain Levite, who dwelt on the side of mount Ephraim, who took a wife of Bethlehem Juda:
2 কিন্তু সেই মহিলাটি তার প্রতি অবিশ্বস্ত হল। সে তাকে ত্যাগ করে যিহূদার বেথলেহেমে তার বাবা-মার ঘরে ফিরে গেল। সেখানে চার মাস থাকার পর,
And she left him and returned to her father’s house in Bethlehem, and abode with him four months.
3 তার স্বামী তাকে ফিরে আসার জন্য রাজি করাতে তার কাছে গেল। তার সাথে ছিল তার দাস ও দুটি গাধা। সেই লোকটির উপপত্নী তাকে নিজের বাবা-মার ঘরে নিয়ে গেল, এবং তার বাবা যখন সেই লেবীয়কে দেখল, তখন সে সানন্দে তাকে অভ্যর্থনা জানাল।
And her husband followed her, willing to be reconciled with her, and to speak kindly to her, and to bring her back with him, having with him a servant and two asses: and she received him, and brought him into her father’s house. And when his father in law had heard this, and had seen him, he met him with joy,
4 তার শ্বশুরমশাই, সেই মেয়েটির বাবা, তাকে সেখানে থেকে যেতে অনুরোধ করায় সে তিন দিন তার সঙ্গে থাকল এবং ভোজনপান করল ও সেখানে রাত কাটাল।
And embraced the man. And the son in law tarried in the house of his father in law three days, eating with him and drinking familiarly.
5 চতুর্থ দিন ভোরবেলায় উঠে সে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হল, কিন্তু সেই মেয়েটির বাবা তার জামাইকে বলল, “কিছু খেয়ে নিজেকে চাঙ্গা করে নাও; পরে যেতে পারো।”
But on the fourth day arising early in the morning he desired to depart. But his father in law kept him, and said to him: Taste first a little bread, and strengthen thy stomach, and so thou shalt depart.
6 অতএব তারা দুজনে একসঙ্গে বসে ভোজনপান করল। তারপর সেই মেয়েটির বাবা বলল, “দয়া করে আজকের রাতটিও থেকে যাও ও একটু আরাম করে নাও।”
And they sat down together, and ate and drank. And the father of the young woman said to his son in law: I beseech thee to stay here today, and let us make merry together.
7 আর সেই লোকটি যখন যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াল, তখন তার শ্বশুরমশাই তাকে অনুরোধ জানাল, তাই সে সেই রাতটিও সেখানে থেকে গেল।
But he rising up began to be for departing. And nevertheless his father in law earnestly pressed him, and made him stay with him.
8 পঞ্চম দিন সকালবেলায়, সে যখন যাওয়ার জন্য উঠল, তখন সেই মেয়েটির বাবা বলল, “জলখাবার খেয়ে নাও। দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করো!” অতএব তারা দুজনে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করল।
But when morning was come, the Levite prepared to go on his journey. And his father in law said to him again: I beseech thee to take a little meat, and strengthening thyself, till the day be farther advanced, afterwards thou mayest depart. And they ate together.
9 পরে যখন সেই লোকটি তার উপপত্নী ও তার দাসকে সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য উঠল, তখন তার শ্বশুরমশাই—সেই মেয়েটির বাবা বলল, “দেখো, সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। রাতটুকু এখানেই কাটিয়ে যাও; দিন প্রায় ফুরিয়েই এল। এখানে থেকে একটু আরাম করে নাও। আগামীকাল ভোরবেলায় উঠে তোমরা ঘরের দিকে রওনা হয়ে যেতে পারো।”
And the young man arose to set forward with his wife and servant. And his father in law spoke to him again: Consider that the day is declining, and draweth toward evening: tarry with me today also, and spend the day in mirth, and tomorrow thou shalt depart, that thou mayest go into thy house.
10 কিন্তু, আর একটি রাত সেখানে কাটাতে রাজি না হয়ে, সেই লোকটি উঠে জিন পরানো দুটি গাধা ও তার উপপত্নীকে সঙ্গে নিয়ে যিবূষের (অর্থাৎ, জেরুশালেমের) দিকে চলে গেল।
His son in law would not consent to his words: but forthwith went forward and came over against Jebus, which by another name is called Jerusalem, leading with him two asses laden, and his concubine.
11 তারা যিবূষের কাছে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বেলা প্রায় গড়িয়ে গেল ও দাস তার মনিবকে বলল, “আসুন, যিবূষীয়দের এই নগরে থেমে রাত কাটানো যাক।”
And now they were come near Jebus, and the day was far spent: and the servant said to his master: Come, I beseech thee, let us turn into the city of the Jebusites, and lodge there.
12 তার মনিব উত্তর দিল, “না। আমরা এমন কোনো নগরে প্রবেশ করব না, যেখানকার লোকেরা ইস্রায়েলী নয়। আমরা গিবিয়ার দিকে এগিয়ে যাব।”
His master answered him: I will not go into the town of another nation, who are not of the children of Israel, but I will pass over to Gabaa:
13 সে আরও বলল, “এসো, গিবিয়ায় বা রামায় পৌঁছে, সেগুলির মধ্যে কোনো একটি স্থানে রাত কাটানো যাক।”
And when I shall come thither, we will lodge there, or at least in the city of Rama.
14 অতএব তারা এগিয়ে গেল, এবং বিন্যামীনের অন্তর্গত গিবিয়ার কাছে তারা পৌঁছানোমাত্রই সূর্য অস্ত গেল।
So they passed by Jebus, and went on their journey, and the sun went down upon them when they were by Gabaa, which is in the tribe of Benjamin:
15 রাত কাটানোর জন্য তারা সেখানে থামল। তারা নগরের চকে গিয়ে বসল, কিন্তু রাতে থাকার জন্য কেউই তাদের ঘরে নিয়ে গেল না।
And they turned into it, to lodge there. And when they were come in, they sat in the street of the city, for no man would receive them to lodge.
16 সেই সন্ধ্যায় ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশের অধিবাসী, গিবিয়ায় বসবাসকারী একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক ক্ষেতে কাজ করে ফিরে আসছিলেন। (সেই স্থানের অধিবাসীরা বিন্যামীনীয় ছিল)
And behold they saw an old man, returning out of the field and from his work in the evening, and he also was of mount Ephraim, and dwelt as a stranger in Gabaa; but the men of that country were the children of Jemini.
17 যখন সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোক চোখ তুলে নগরের চকে সেই পথিককে দেখতে পেলেন, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথায় যাচ্ছ? তুমি আসছই বা কোথা থেকে?”
And the old man lifting up his eyes, saw the man sitting with his bundles in the street of the city, and said to him: Whence comest thou? and whither goest thou?
18 সে উত্তর দিল, “আমরা যিহূদার অন্তর্গত বেথলেহেম থেকে ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশের এক প্রত্যন্ত এলাকায় যাচ্ছি, যা আমার বাসস্থান। আমি যিহূদার অন্তর্গত বেথলেহেমে গিয়েছিলাম, আর এখন আমি সদাপ্রভুর মন্দিরে যাচ্ছি। রাতে থাকার জন্য কেউ আমাকে ঘরে নিয়ে যায়নি।
He answered him: We came out from Bethlehem Juda, and we are going to our home, which is on the side of mount Ephraim, from whence we went to Bethlehem: and now we go to the house of God, and none will receive us under his roof:
19 আমাদের গাধাগুলির জন্য আমাদের কাছে খড় ও পশুখাদ্য আছে এবং আপনার দাসেদের—আমার, স্ত্রীলোকটির ও আমাদের সঙ্গী এই যুবকটির জন্যও রুটি ও দ্রাক্ষারস আছে। আমাদের কোনো কিছুরই অভাব নেই।”
We have straw and hay for provender of the asses, and bread and wine for the use of myself and of thy handmaid, and of the servant that is with me: we want nothing but lodging.
20 “আমার বাড়িতে তোমাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি,” সেই বৃদ্ধ ভদ্রলোক বললেন। “তোমাদের যা যা প্রয়োজন সেসব আমাকেই সরবরাহ করতে দাও। তোমরা শুধু চকে রাত কাটিয়ো না।”
And the old man answered him: Peace be with thee: I will furnish all things that are necessary: only I beseech thee, stay not in the street.
21 অতএব তিনি তাদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলেন এবং গাধাগুলিকে খাবার দিলেন। পা ধোয়ার পর, তারাও ভোজনপান করল।
And he brought him into his house, and gave provender to his asses: and after they had washed their feet, he entertained them with a feast.
22 তারা যখন একটু আরাম করছিল, তখন নগরের কয়েকজন দুষ্টলোক সেই বাড়িটি ঘিরে ধরল। দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে, তারা চিৎকার করে সেই গৃহকর্তা বৃদ্ধ ভদ্রলোককে বলল, “তোমার বাড়িতে যে লোকটি এসেছে, তাকে বের করে আনো, যেন আমরা তার সঙ্গে যৌন সহবাস করতে পারি।”
While they were making merry, and refreshing their bodies with meat and drink, after the labour of the journey, the men of that city, sons of Belial, (that is, without yoke, ) came and beset the old man’s house, and began to knock at the door, calling to the master of the house, and saying: Bring forth the man that came into thy house, that we may abuse him.
23 সেই গৃহকর্তা বাইরে বের হয়ে তাদের বললেন, “ওহে বন্ধুরা, না, না, এত নীচ হোয়ো না। যেহেতু এই লোকটি আমার অতিথি, তাই এরকম জঘন্য কাজ কোরো না।
And the old man went out to them, and said: Do not so, my brethren, do not so wickedly: because this man is come into my lodging, and cease I pray you from this folly.
24 দেখো, এই আমার কুমারী মেয়ে, ও সেই লোকটির উপপত্নী। আমি এখনই তাদের তোমাদের কাছে বের করে আনব, তোমরা তাদের ভোগ করতে পারো এবং তাদের নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করো। কিন্তু এই লোকটির প্রতি এ ধরনের কোনও জঘন্য কাজ কোরো না।”
I have a maiden daughter, and this man hath a concubine, I will bring them out to you, and you may humble them, and satisfy your lust: only, I beseech you, commit not this crime against nature on the man.
25 কিন্তু সেই লোকেরা তাঁর কথা শুনতে চাইল না। তাই সেই লেবীয় লোকটি তার উপপত্নীকে নিয়ে তাকে বাইরে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিল, আর তারা সারারাত ধরে তাকে ধর্ষণ করল ও তার উপর নির্যাতন চালাল, এবং ভোরবেলায় তাকে ছেড়ে দিল।
They would not be satisfied with his words; which the man seeing, brought out his concubine to them, and abandoned her to their wickedness: and when they had abused her all the night, they let her go in the morning.
26 ভোরবেলায় সেই মহিলাটি উঠে যে বাড়িতে তার স্বামী ছিল সেখানে ফিরে গেল, ও দিনের আলো না ফোটা পর্যন্ত দোরগোড়ায় পড়ে রইল।
But the woman, at the dawning of the day, came to the door of the house where her lord lodged, and there fell down.
27 তার স্বামী সকালবেলায় উঠে বাড়ির দরজা খুলল এবং যাওয়ার জন্য বাইরে এসে দেখল, তার উপপত্নী সেই বাড়ির দরজায় পড়ে আছে ও গোবরাটে তার হাত ছড়িয়ে রেখেছে।
And in the morning the man arose, and opened the door that he might end the journey he had begun: and behold his concubine lay before the door with her hands spread on the threshold.
28 সে তাকে বলল, “ওঠো; যাওয়া যাক।” কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া গেল না। তখন সেই লোকটি তাকে গাধার পিঠে চাপিয়ে ঘরের দিকে রওনা হল।
He thinking she was taking her rest, said to her: Arise, and let us be going. But as she made no answer, perceiving she was dead, he took her up, and laid her upon his ass, and returned to his house.
29 ঘরে ফিরে এসে, সে একটি ছুরি নিয়ে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধরে ধরে তার উপপত্নীর দেহটি বারো টুকরো করে, সেগুলি ইস্রায়েলের সব এলাকায় পাঠিয়ে দিল।
And when he was come home he took a sword, and divided the dead body of his wife with her bones into twelve parts, and sent the pieces into all the borders of Israel.
30 যারা যারা তা দেখল, তারা প্রত্যেকে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে বের হয়ে আসার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা কখনও দেখা যায়নি বা ঘটেওনি। ভাবা যায়! আমাদের কিছু একটা করতেই হবে! তাই চিৎকার করে ওঠো!”
And when every one had seen this, they all cried out: There was never such a thing done in Israel from the day that our fathers came up out of Egypt, until this day: give sentence, and decree in common what ought to be done.

< বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 19 >