< যিহোশূয়ের বই 2 >

1 পরে নূনের ছেলে যিহোশূয়, গোপনে দুজন গুপ্তচরকে শিটিম থেকে পাঠালেন। তিনি বললেন, “তোমরা যাও, ওই দেশ, বিশেষ করে যিরীহো নগরটি পর্যবেক্ষণ করো।” তাই তারা রাহব নামক এক বেশ্যার বাড়িতে গিয়ে উঠল ও সেখানে অবস্থান করল।
Jozua nu, de zoon van Nun, had twee mannen, die heimelijk verspieden zouden, gezonden van Sittim, zeggende: Gaat heen, bezichtigt het land en Jericho. Zij dan gingen, en kwamen ten huize van een vrouw, een hoer, wier naam was Rachab, en zij sliepen daar.
2 যিরীহোর রাজাকে বলা হল, “দেখুন! কয়েকজন ইস্রায়েলী আজ রাতে এখানে দেশ পর্যবেক্ষণ করার জন্য এসেছে।”
Toen werd den koning te Jericho geboodschapt, zeggende: Zie, in dezen nacht zijn hier mannen gekomen van de kinderen Israels, om dit land te doorzoeken.
3 তাই যিরীহোর রাজা, রাহবের কাছে এই খবর পাঠালেন: “যে লোকেরা তোমার কাছে এসে তোমার ঘরে প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে আনো, কারণ তারা সমস্ত দেশ পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে।”
Daarom zond de koning van Jericho tot Rachab, zeggende: Breng de mannen uit, die tot u gekomen zijn, die te uwen huize gekomen zijn; want zij zijn gekomen, om het ganse land te doorzoeken.
4 কিন্তু সেই নারী তাদের দুজনকে লুকিয়ে রেখেছিল। সে বলল, “সত্যিই সেই দুজন লোক আমার কাছে এসেছিল, কিন্তু আমি জানতাম না, তারা কোথা থেকে এসেছিল।
Maar die vrouw had die beide mannen genomen, en zij had hen verborgen; en zeide aldus: Er zijn mannen tot mij gekomen, maar ik wist niet, van waar zij waren.
5 সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়, যখন নগর-দুয়ার বন্ধ হওয়ার সময় হল, ওই লোকেরা চলে গেল। আমি জানি না, তারা কোন পথে গেল। তাদের পিছনে দ্রুত তাড়া করে যাও। তোমরা হয়তো তাদের নাগাল পাবে।”
En het geschiedde, als men de poort zou sluiten, als het duister was, dat die mannen uitgingen; ik weet niet, waarheen die mannen gegaan zijn; jaagt hen haastelijk na, want gij zult ze achterhalen.
6 (কিন্তু সে তাদের ছাদের উপরে নিয়ে গিয়ে, সেখানে ছাদের উপরে তার রাখা মসিনার ডাঁটার পাঁজায় তাদের লুকিয়ে রেখেছিল)
Maar zij had hen op het dak doen klimmen, en zij had hen verstoken onder de vlasstoppelen, die van haar op het dak beschikt waren.
7 তাই ওই লোকেরা সেই গুপ্তচরদের খুঁজে বের করার জন্য তাড়া করে গেল। তারা জর্ডন নদী পার হওয়ার জন্য পারঘাটের অভিমুখে চলে গেল। তারা যাওয়া মাত্র নগর-দুয়ার বন্ধ হল।
Die mannen nu jaagden hen na op den weg van de Jordaan, tot aan de veren; en men sloot de poort toe, nadat zij uitgegaan waren, die hen najaagden.
8 রাতে, ওই দুজন গুপ্তচর শুতে যাওয়ার আগে, রাহব ছাদে তাদের কাছে গেল
Eer zij nu sliepen, zo klom zij tot hen op, op het dak.
9 ও তাদের বলল, “আমি জানি, সদাপ্রভু এই দেশ তোমাদের হাতে দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে এক মহা ভয় এসে পড়েছে। সেই কারণে, তোমাদের জন্য এই দেশে বসবাসকারী প্রত্যেকের হৃদয় ভয়ে গলে গিয়েছে।
En zij sprak tot die mannen: Ik weet, dat de HEERE u dit land gegeven heeft, en dat ulieder verschrikking op ons gevallen is, en dat al de inwoners dezes lands voor ulieder aangezicht gesmolten zijn.
10 আমরা শুনেছি, যখন তোমরা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিলে, তোমাদের জন্য সদাপ্রভু কীভাবে লোহিত সাগরের জল শুকিয়ে দিয়েছিলেন। আরও শুনেছি, জর্ডন নদীর পূর্বদিকে, ইমোরীয়দের দুই রাজা সীহোন ও ওগের প্রতি তোমরা কী করেছিলে। তোমরা তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছ।
Want wij hebben gehoord, dat de HEERE de wateren der Schelfzee uitgedroogd heeft voor ulieder aangezicht, toen gij uit Egypte gingt; en wat gijlieden aan de twee koningen der Amorieten, Sihon en Og, gedaan hebt, die op gene zijde van de Jordaan waren, dewelke gijlieden verbannen hebt.
11 আমরা যখন সেকথা শুনলাম, আমাদের হৃদয় গলে গেল, তোমাদের জন্য আমাদের প্রত্যেকের সাহস নষ্ট হয়ে গেল, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু উপরে স্বর্গের ও নিচে পৃথিবীর ঈশ্বর।
Als wij het hoorden, zo versmolt ons hart, en er bestaat geen moed meer in iemand, vanwege ulieder tegenwoordigheid; want de HEERE, ulieder God, is een God boven in den hemel, en beneden op de aarde.
12 “তাই এখন, দয়া করে তোমরা আমার কাছে সদাপ্রভুর নামে শপথ করো যে, তোমরা আমার পরিবারবর্গের উপরে করুণা প্রদর্শন করবে, কারণ আমিও তোমাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছি। আমাকে একটি নিশ্চিত চিহ্ন দাও
Nu dan, zweert mij toch bij den HEERE, dewijl ik weldadigheid aan ulieden gedaan heb, dat gij ook weldadigheid doen zult aan mijns vaders huis, en geeft mij een waarteken,
13 যে, তোমরা আমার বাবা ও মা, আমার ভাইদের ও বোনেদের এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সকলের প্রাণভিক্ষা দেবে ও মৃত্যু থেকে আমাদের রক্ষা করবে।”
Dat gij mijn vader en mijn moeder in het leven zult behouden, als ook mijn broeders en mijn zusters, met alles, wat zij hebben; en dat gij onze zielen van den dood redden zult.
14 সেই গুপ্তচরেরা তাকে আশ্বাস দিল, “তোমাদের প্রাণের পরিবর্তে আমাদের প্রাণ যাক। আমরা যা করতে চলেছি, তা যদি তুমি কাউকে না বলো, তবে সদাপ্রভু যখন এই দেশ আমাদের দেবেন, তখন আমরা তোমাদের সঙ্গে বিশ্বস্ততাপূর্বক সদয় ব্যবহার করব।”
Toen spraken die mannen tot haar: Onze ziel zij voor ulieden om te sterven, indien gijlieden deze onze zaak niet te kennen geeft; het zal dan geschieden, wanneer de HEERE ons dit land geeft, zo zullen wij aan u weldadigheid en trouw bewijzen.
15 তাই রাহব জানালার পথে ওই দুজনকে একটি দড়ি দিয়ে নামিয়ে দিল, কারণ যে বাড়িতে সে বসবাস করত তা নগর-প্রাচীরের অংশবিশেষ ছিল।
Zij liet hen dan neder met een zeel door het venster; want haar huis was op den stadsmuur; en zij woonde op den muur.
16 সে তাদের বলল, “তোমরা পাহাড়ে উঠে যাও, যেন তোমাদের পশ্চাদ্ধাবনকারীরা তোমাদের সন্ধান না পায়। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত তিন দিন তোমরা সেখানেই নিজেদের লুকিয়ে রাখো, পরে নিজেদের পথে চলে যাবে।”
En zij zeide tot hen: Gaat op het gebergte, opdat niet misschien de vervolgers u ontmoeten, en verbergt u aldaar drie dagen, totdat de vervolgers wedergekeerd zullen zijn; en gaat daarna uw weg.
17 ওই লোকেরা তাকে বলল, “এই শপথ, যা তুমি আমাদের নিতে বাধ্য করেছ, তা থেকে আমরা মুক্ত হব,
Ook zeiden die mannen tot haar: Wij zullen onschuldig zijn van dezen uw eed, dien gij ons hebt doen zweren;
18 যদি আমাদের এই দেশে প্রবেশ করার সময়, যে জানালা দিয়ে তুমি আমাদের নামিয়ে দিলে, তাতে এই টকটকে লাল রংয়ের দড়িটি বেঁধে না রাখো। সেই সঙ্গে তুমি তোমার বাবা ও মা, তোমার ভাইরা ও তাদের সমস্ত পরিজন তোমার এই বাড়িতে এসে আশ্রয় নেবে।
Zie, wanneer wij in het land komen, zo zult gij dit snoer van scharlakendraad aan het venster binden, door hetwelk gij ons zult nedergelaten hebben; en gij zult tot u in het huis vergaderen uw vader, en uw moeder, en uw broeders, en het ganse huisgezin uws vaders.
19 যদি কেউ তোমার বাড়ির বাইরে পথে যায়, তার রক্তের দায় তারই মাথায় বর্তাবে; আমরা তার দায় নেব না। কিন্তু তোমার বাড়ির ভিতরে যারা থাকে, তাদের কারও উপরে আমাদের কেউ যদি হাত উঠায়, তার রক্তের দায় আমাদের মাথায় বর্তাবে।
Zo zal het geschieden, al wie uit de deuren van uw huis naar buiten gaan zal, zijn bloed zij op zijn hoofd, en wij zullen onschuldig zijn; maar al wie bij u in het huis zijn zal, diens bloed zij op ons hoofd, indien een hand tegen hem zijn zal!
20 কিন্তু আমরা যা করতে চলেছি, তা যদি তুমি প্রকাশ করে দাও, তবে যে শপথে তুমি আমাদের আবদ্ধ করেছ, তা থেকে আমরা মুক্ত হব।”
Maar indien gij deze onze zaak te kennen zult geven, zo zullen wij onschuldig zijn van uw eed, dien gij ons hebt doen zweren.
21 “আমি রাজি,” রাহব উত্তর দিল। “তোমরা যেমন বলেছ, তেমনই হবে।” এভাবে সে তাদের বিদায় দিল, ও তারা চলে গেল। সে তখন ওই টকটকে লাল রংয়ের দড়িটি তার জানালায় বেঁধে দিল।
Zij nu zeide: Het zij alzo naar uw woorden. Toen liet zij hen gaan; en zij gingen heen; en zij bond het scharlakensnoer aan het venster.
22 তারা প্রস্থান করে পাহাড়ি এলাকায় চলে গেল। সেখানে তারা তিন দিন অবস্থান করল। তাদের পশ্চাদ্ধাবনকারীরা সমস্ত পথ ধরে তাদের খুঁজে বেড়াল এবং তাদের সন্ধান না পেয়ে নগরে ফিরে গেল।
Zij dan gingen heen, en kwamen op het gebergte, en bleven aldaar drie dagen, totdat de vervolgers wedergekeerd waren; want de vervolgers hadden hen op al den weg gezocht, maar niet gevonden.
23 পরে সেই দুজন লোক ফিরে গেল এবং পাহাড়ের পাদদেশে নেমে গিয়ে জর্ডন নদী অতিক্রম করে নূনের ছেলে যিহোশূয়ের কাছে চলে গেল। তাদের প্রতি যা কিছু ঘটেছিল, তারা সে সমস্তই তাঁকে বলল।
Alzo keerden die twee mannen weder, en gingen af van het gebergte, en voeren over, en kwamen tot Jozua, den zoon van Nun; en zij vertelden hem al wat hun wedervaren was.
24 তারা যিহোশূয়কে বলল, “সদাপ্রভু নিশ্চিতভাবেই এই সমস্ত দেশ আমাদের হাতে দিয়েছেন; আমাদের কারণে সেখানকার সমস্ত মানুষের হৃদয় ভয়ে গলে গিয়েছে।”
En zij zeiden tot Jozua: Zekerlijk, de HEERE heeft dat ganse land in onze handen gegeven; want ook zijn al de inwoners des lands voor onze aangezichten gesmolten.

< যিহোশূয়ের বই 2 >