< যিহোশূয়ের বই 18 >
1 ইস্রায়েলীদের সমগ্র মণ্ডলী শীলোতে একত্রিত হল এবং সেখানে সমাগম তাঁবুটি স্থাপন করল। দেশটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন হল,
১পরে ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী শীলোতে সমবেত হয়ে সেই জায়গায় সমাগম-তাঁবু স্থাপন করল; দেশ তাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল।
2 কিন্তু ইস্রায়েলীদের সাতটি বংশ তখনও তাদের উত্তরাধিকার লাভ করেনি।
২ঐ দিনের ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে সাত বংশ অবশিষ্ট ছিল, যারা নিজেদের অধিকার ভাগ করে নেয় নি।
3 অতএব যিহোশূয় ইস্রায়েলীদের বললেন: “তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশটি তোমাদের দিয়েছেন, তা অধিকার করার আগে তোমরা আর কত দিন অপেক্ষা করবে?
৩যিহোশূয় ইস্রায়েল-সন্তানদের বললেন, “তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে দেশ দিয়েছেন, সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার করতে তোমরা আর কত দিন দেরি করবে?
4 প্রত্যেক বংশ থেকে তিনজন করে লোক নিযুক্ত করো। দেশটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার ও প্রত্যেকটি বংশের উত্তরাধিকার অনুসারে সেখানকার এক বর্ণনা লিখে আনার জন্য আমি তাদের সেখানে পাঠাব। পরে তারা আমার কাছে ফিরে আসবে।
৪তোমরা নিজেদের এক একটি বংশের মধ্যে থেকে তিনজন করে দাও; আমি তাদেরকে পাঠাব, তারা উঠে দেশের সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখবে এবং প্রত্যেকের অধিকার অনুসারে তার বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে।
5 তোমরা দেশটিকে সাত ভাগে বিভক্ত করবে। যিহূদা দক্ষিণ দিকে তার এলাকায় থাকবে এবং উত্তর দিকে থাকবে যোষেফের বংশগুলি।
৫তারা তা সাত ভাগে ভাগ করবে; দক্ষিণ দিকে যিহূদা তাদের সীমাতে থাকবে এবং উত্তর দিকে যোষেফের গোষ্ঠী তাদের সীমাতে থাকবে।
6 দেশের সাতটি ভাগের বর্ণনা লিখে আনার পর, তোমরা সেগুলি এখানে আমার কাছে নিয়ে আসবে এবং আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে আমি তোমাদের জন্য গুটিকাপাতের দান চালব।
৬তোমরা দেশটিকে সাত অংশে ভাগ করে তার বর্ণনা লিখে আমার কাছে আনবে; আমি এই জায়গায় আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের জন্য গুলিবাঁট করব।
7 লেবীয়েরা অবশ্য, তোমাদের মধ্যে কোনও অংশ পাবে না, কারণ সদাপ্রভুর যাজকীয় সেবাকাজই হল তাদের অধিকার। আর গাদ ও রূবেণ বংশ এবং মনঃশির অর্ধেক বংশ জর্ডন নদীর পূর্বপাড়ে ইতিমধ্যেই তাদের উত্তরাধিকার লাভ করেছে। সদাপ্রভুর দাস মোশি তাদের তা দান করেছেন।”
৭কারণ তোমাদের মধ্যে লেবীয়দের কোন অংশ নেই, কারণ সদাপ্রভুর যাজকত্বপদ তাদের অধিকার; আর গাদ ও রূবেণ এবং মনঃশির অর্ধেক বংশ যর্দ্দনের পূর্ব পারে যা সদাপ্রভুর দাস মোশির দেওয়া অধিকার তারা পেয়েছে।”
8 লোকজন দেশের মানচিত্র তৈরি করার কাজে হাত লাগাতে না লাগাতেই যিহোশূয় তাদের নির্দেশ দিলেন, “তোমরা যাও ও দেশটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করো এবং তার একটি বর্ণনা লিখে ফেলো। পরে আমার কাছে ফিরে এসো, এবং আমি এখানে এই শীলোতে, সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে তোমাদের জন্য গুটিকাপাতের দান চালব।”
৮পরে সেই লোকেরা উঠে চলে গেল; আর যারা সেই দেশের বর্ণনা লিখতে গেল, যিহোশূয় তাদেরকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা গিয়ে দেশের সমস্ত জায়গা ঘুরে দেশের বর্ণনা লিখে নিয়ে আমার কাছে ফিরে এস; তাতে আমি এই শীলোতে সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের জন্য গুলিবাঁট করব।”
9 অতএব লোকেরা প্রস্থান করল ও সেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল। একটি গুটানো চামড়ার পুঁথিতে তারা এক-একটি নগর ধরে ধরে সাতটি ভাগে সেখানকার বর্ণনা লিখে নিল ও শীলোর শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে ফিরে এল।
৯পরে ঐ লোকেরা গিয়ে দেশের সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখল এবং নগর অনুযায়ী সাত অংশ করে বইতে তার বর্ণনা লিখল; পরে শীলোতে অবস্থিত শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে ফিরে গেল।
10 যিহোশূয় তখন শীলোতে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে তাদের জন্য গুটিকাপাতের দান চাললেন, এবং সেখানেই তিনি ইস্রায়েলীদের বংশ-বিভাগ অনুসারে তাদের জন্য সেই দেশটি বিতরণ করলেন।
১০আর যিহোশূয় শীলোতে সদাপ্রভুর সামনে তাদের জন্য গুলিবাঁট করলেন; যিহোশূয় সেই জায়গায় ইস্রায়েল-সন্তানদের বিভাগ অনুসারে দেশ তাদেরকে ভাগ করে দিলেন।
11 গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন বংশের নামে গুটিকাপাতের প্রথম দান পড়ল। তাদের জন্য বরাদ্দ এলাকা যিহূদা ও যোষেফ বংশের মধ্যে পড়ল:
১১আর গুলিবাঁট অনুযায়ী এক অংশ নিজেদের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন-সন্তানদের বংশের নামে উঠল। গুলিবাঁটে নির্দিষ্ট তাদের সীমা যিহূদা-সন্তানদের ও যোষেফের সন্তানদের মধ্যে হল।
12 উত্তর দিকে তাদের সীমানা জর্ডন নদী থেকে শুরু হয়ে, যিরীহোর উত্তর দিকের ঢাল বেয়ে পশ্চিমাভিমূখী হয়ে পার্বত্য প্রদেশের দিকে এগোলো এবং বেথ-আবনের মরুপ্রান্তরে বের হয়ে এল।
১২তাদের উত্তর দিকের সীমা যর্দ্দন থেকে যিরীহোর উত্তর দিক দিয়ে গেল, পরে পার্বত্য প্রদেশের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিকে বৈৎ-আবনের মরুভূমি পর্যন্ত গেল।
13 সেখান থেকে তা লূসের (অর্থাৎ, বেথেলের) দক্ষিণ দিকের ঢাল অতিক্রম করল এবং নিম্নতর বেথ-হোরোণের দক্ষিণে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকায় অটারোৎ-অদ্দরে নেমে গেল।
১৩সেখান থেকে ঐ সীমা লূসে, দক্ষিণে লূসের দিকে অর্থাৎ বৈথেলের প্রান্ত পর্যন্ত গেল এবং নিচের বৈৎ-হোরোণের দক্ষিণে অবস্থিত পর্বত দিয়ে অটারোৎ-অদ্দরের দিকে নেমে গেল।
14 দক্ষিণ দিকে অবস্থিত বেথ-হোরোণের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় থেকে সীমানাটি পশ্চিমদিক ধরে দক্ষিণ দিকে বাঁক নিল এবং সেই কিরিয়ৎ-বালে (অর্থাৎ, কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে) বের হয়ে এল, যা হল যিহূদার লোকজনের অধিকারভুক্ত একটি নগর। এই হল পশ্চিম সীমানা।
১৪সেখান থেকে ঐ সীমা ফিরে পশ্চিম দিকে, বৈৎ-হোরোণের দক্ষিণে অবস্থিত পর্বত থেকে দক্ষিণ দিকে গেল; আর যিহূদা-সন্তানদের কিরিয়ৎ বাল অর্থাৎ যার নাম কিরিয়ৎ-যিয়ারীম সেই নগর পর্যন্ত গেল; এটি পশ্চিম দিকে।
15 দক্ষিণ দিকের সীমানাটি শুরু হল পশ্চিমে কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের উপকন্ঠ থেকে, এবং তা বের হয়ে এল নিপ্তোহের জলরাশির উৎসে।
১৫আর দক্ষিণ দিকে কিরিয়ৎ-যিরারীমের প্রান্ত থেকে আরম্ভ হল এবং সে সীমা পশ্চিম দিকে বার হয়ে নিপ্তোহের জলের উনুই পর্যন্ত গেল।
16 সীমানাটি নেমে গেল সেই পাহাড়ের পাদদেশে, যা রফায়ীম উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত বিন-হিন্নোম উপত্যকার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল। তা হিন্নোম উপত্যকার আরও নিচে নেমে গিয়ে যিবূষীয় নগরের দক্ষিণ দিকের ঢাল হয়ে ঐন-রোগেল পর্যন্ত গেল।
১৬আর ঐ সীমা হিম্নোম সন্তানের উপত্যকার সামনে অবস্থিত ও রফায়ীম তলভূমির উত্তর দিকের পর্বতের প্রান্ত পর্যন্ত নেমে গেল এবং হিম্নোমের উপত্যকায়, যিবূষের দক্ষিণ প্রান্তে নেমে এসে ঐন্-রোগেলে গেল।
17 পরে তা উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে, ঐন-শেমশে গেল ও সেই গলীলৎ পর্যন্ত গেল, যা অদুম্মীম গিরিখাতের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল এবং পরে তা রূবেণের ছেলে বোহনের পাথরের কাছে নেমে গেল।
১৭আর উত্তরদিকে ফিরে ঐন্-শেমশে গেল এবং অদুম্মীম উপরে উঠে যাওয়ার পথের সামনে অবস্থিত গলীলোতের থেকে বার হয়ে রূবেণ-সন্তান বোহনের পাথর পর্যন্ত নেমে গেল।
18 সেখান থেকে তা বেথ-অরাবার উত্তর দিকের ঢালের দিকে গেল এবং আরও নিচে অরাবায় নেমে গেল।
১৮আর উত্তর দিকে অরাবা তলভূমির পাশ দিয়ে গিয়ে অরাবা তলভূমিতে নেমে গেল।
19 পরে তা বেথ-হগ্লার উত্তর দিকের ঢালের দিকে গিয়ে দক্ষিণ দিকে জর্ডন নদীর মোহানায়, মরুসাগরের উত্তর উপসাগরে বের হয়ে এল। এই হল দক্ষিণ সীমানা।
১৯আর ঐ সীমা উত্তর দিকে বৈৎ-হগ্লার প্রান্ত পর্যন্ত গেল; যর্দ্দনের দক্ষিণ প্রান্তের লবণ-সমুদ্রের উত্তর খাড়ী সেই সীমার প্রান্ত ছিল; তা দক্ষিণ সীমা।
20 পূর্বদিকে জর্ডন নদীই সীমানা হল। চারিদিকে এই সীমানাগুলিই বিন্যামীনের সন্তানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার চিহ্নিত করল।
২০আর পূর্ব দিকে যর্দ্দন তার সীমা ছিল। চারিদিকে তার সীমা অনুসারে, নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে, বিন্যামীন-সন্তানদের এই অধিকার ছিল।
21 গোষ্ঠী অনুসারে, বিন্যামীন বংশ এসব নগর লাভ করল: যিরীহো, বেথ-হগ্লা, এমক-কশিশ,
২১নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন-সন্তানদের বংশের নগর যিরীহো, বৈৎ-হগ্লা, এমক-কশিশ,
22 বেথ-অরাবা, সমারয়িম, বেথেল,
২২বৈৎ-অরাবা, সমারয়িম, বৈথেল,
24 কফর-অম্মোনী, অফ্নি, ও গেবা—বারোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি।
২৪কফর-অম্নোনী, অফ্নি ও গেবা; তাদের গ্রামের সঙ্গে বারটি নগর ছিল।
25 গিবিয়োন, রামা, বেরোৎ,
২৫গিবিয়োন, রামা, বেরোৎ,
26 মিস্পী, কফীরা, মোৎসা,
২৬মিস্পী, কফীরা, মোৎসা,
28 সেলা, এলফ, যিবূষীয় নগর (অর্থাৎ, জেরুশালেম), গিবিয়া ও কিরিয়ৎ—চোদ্দোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। গোষ্ঠী অনুসারে এই হল বিন্যামীন বংশের উত্তরাধিকার।
২৮সেলা, এলফ, যিবূষ অর্থাৎ যিরূশালেম, গিবিয়াৎ ও কিরিয়ৎ, তাদের গ্রামের সঙ্গে চৌদ্দটি নগর। নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন-সন্তানদের এই অধিকার।