< যোনা ভাববাদীর বই 4 >

1 কিন্তু যোনার কাছে এটি খুব অন্যায় মনে হল এবং তাঁর ক্রোধ উৎপন্ন হল।
Cela déplut fort à Jonas, et il fut irrité.
2 তিনি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, “হে সদাপ্রভু, আমি যখন বাড়িতে ছিলাম তখনই কি আমি একথা বলিনি? সেই কারণেই তর্শীশে পালিয়ে গিয়ে আমি এটা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি জানতাম যে, তুমি এক কৃপাময় ও স্নেহশীল ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর ও প্রেমে মহান। তুমি এমন ঈশ্বর, যে শাস্তি দিতে উদ্যত হয়েও মন পরিবর্তন করো।
Il implora l’Éternel, et il dit: Ah! Éternel, n’est-ce pas ce que je disais quand j’étais encore dans mon pays? C’est ce que je voulais prévenir en fuyant à Tarsis. Car je savais que tu es un Dieu compatissant et miséricordieux, lent à la colère et riche en bonté, et qui te repens du mal.
3 এখন, হে সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রাণ নিয়ে নাও, কারণ বেঁচে থাকার চেয়ে আমার মরে যাওয়া ভালো।”
Maintenant, Éternel, prends-moi donc la vie, car la mort m’est préférable à la vie.
4 কিন্তু সদাপ্রভু উত্তরে বললেন, “তোমার রাগ করা কি ঠিক হচ্ছে?”
L’Éternel répondit: Fais-tu bien de t’irriter?
5 যোনা তখন বাইরে গেলেন ও নগরের পূর্বদিকে এক স্থানে বসলেন। সেখানে তিনি নিজের জন্য একটি ছাউনি নির্মাণ করে, তার ছায়ায় বসলেন এবং নগরের প্রতি কী ঘটবে, তা দেখার অপেক্ষায় রইলেন।
Et Jonas sortit de la ville, et s’assit à l’orient de la ville, là il se fit une cabane, et s’y tint à l’ombre, jusqu’à ce qu’il vît ce qui arriverait dans la ville.
6 তারপর সদাপ্রভু ঈশ্বর সেখানে একটি দ্রাক্ষালতা উৎপন্ন করলেন এবং সেটিকে যোনার মাথার উপর পর্যন্ত বৃদ্ধি করালেন, যেন সেটি তার মাথায় ছায়া দেয় ও তার অস্বস্তির আরাম হয়। দ্রাক্ষালতাটির জন্য যোনা ভীষণ আনন্দিত হলেন।
L’Éternel Dieu fit croître un ricin, qui s’éleva au-dessus de Jonas, pour donner de l’ombre sur sa tête et pour lui ôter son irritation. Jonas éprouva une grande joie à cause de ce ricin.
7 কিন্তু পরের দিন ভোরবেলায়, ঈশ্বর একটি কীট পাঠালেন যা দ্রাক্ষালতাটিকে দংশন করলে সেটি শুকিয়ে গেল।
Mais le lendemain, à l’aurore, Dieu fit venir un ver qui piqua le ricin, et le ricin sécha.
8 সূর্য ওঠার পরে, ঈশ্বর এক উষ্ণ পূবের বাতাস পাঠালেন এবং সূর্য যোনার মাথায় এমন প্রখর তাপ দিতে লাগল যে, যোনা বিবর্ণ হয়ে নিজের মৃত্যু কামনা করে বললেন, “বেঁচে থাকার চেয়ে আমার মরে যাওয়া ভালো।”
Au lever du soleil, Dieu fit souffler un vent chaud d’orient, et le soleil frappa la tête de Jonas, au point qu’il tomba en défaillance. Il demanda la mort, et dit: La mort m’est préférable à la vie.
9 কিন্তু ঈশ্বর যোনাকে বললেন, “দ্রাক্ষালতাটির জন্য তোমার রাগ করা কি ঠিক হচ্ছে?” যোনা বললেন, “হ্যাঁ ঠিক হচ্ছে, আমি এত রেগে আছি যে, আমি মরে গেলেই ভালো হত।”
Dieu dit à Jonas: Fais-tu bien de t’irriter à cause du ricin? Il répondit: Je fais bien de m’irriter jusqu’à la mort.
10 কিন্তু সদাপ্রভু বললেন, “তুমি এই দ্রাক্ষালতাটি সম্পর্কে চিন্তিত হয়েছ, যদিও তুমি এটি রোপণ করোনি বা তা বেড়ে উঠতে সাহায্য করোনি। এক রাত্রির মধ্যে এটি অঙ্কুরিত হল ও এক রাত্রির মধ্যেই এটি শুকিয়ে গেল।
Et l’Éternel dit: Tu as pitié du ricin qui ne t’a coûté aucune peine et que tu n’as pas fait croître, qui est né dans une nuit et qui a péri dans une nuit.
11 কিন্তু নীনবীতে 1,20,000 এরও বেশি মানুষ আছে, যারা জানে না কোনটা ডান হাত ও কোনটা বাঁ হাত। তেমনই অনেক পশুও আছে। তাহলে, আমিও কি সেই নীনবী মহানগরীর জন্য চিন্তিত হব না?”
Et moi, je n’aurais pas pitié de Ninive, la grande ville, dans laquelle se trouvent plus de cent vingt mille hommes qui ne savent pas distinguer leur droite de leur gauche, et des animaux en grand nombre!

< যোনা ভাববাদীর বই 4 >