< যোহন 7 >

1 এরপর যীশু গালীল প্রদেশের চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন, ইচ্ছাপূর্বক তিনি যিহূদিয়া থেকে দূরে রইলেন, কারণ সেখানে ইহুদিরা তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টায় ছিল।
לאחר מכן חזר ישוע לגליל ועבר מכפר לכפר. הוא לא רצה לשוב ליהודה, כי מנהיגי היהודים שם רצו להרגו.
2 কিন্তু ইহুদিদের কুটিরবাস-পর্ব সন্নিকট হলে,
בהתקרב חג הסוכות
3 যীশুর ভাইয়েরা তাঁকে বলল, “এ স্থান ছেড়ে তোমার যিহূদিয়ায় যাওয়া উচিত, যেন তোমার শিষ্যেরা তোমার অলৌকিক কাজ দেখতে পায়।
האיצו בו אחיו לעלות לירושלים לרגל החג.”לך ליהודה, כדי שגם תלמידיך יראו את הנסים שאתה מחולל“, לעגו לו.
4 প্রকাশ্যে পরিচিতি লাভ করতে চাইলে কেউ গোপনে কাজ করে না। তুমি যখন এই সমস্ত কাজ করছই, তখন নিজেকে জগতের সামনে প্রকাশ করো।”
”איך אתה רוצה להתפרסם בעודך מסתתר כאן? אם אתה מחולל ניסים ונפלאות, גלה את עצמך לעולם.“
5 এরকম বলার কারণ হল, এমনকি যীশুর নিজের ভাইরাও তাঁকে বিশ্বাস করত না।
גם אחיו לא האמינו בו.
6 তখন যীশু তাদের বললেন, “আমার নিরূপিত সময় এখনও আসেনি, তোমাদের পক্ষে যে কোনো সময়ই উপযুক্ত।
”עדיין לא הגיע הזמן שאלך, אולם אתם יכולים ללכת בכל זמן שתרצו“, השיב ישוע.
7 জগৎ তোমাদের ঘৃণা করতে পারে না, কিন্তু আমাকে ঘৃণা করে। কারণ জগৎ যা করে, তা যে মন্দ, তা আমি প্রকাশ করে দিই।
”כי העולם אינו יכול לשנוא אתכם, אבל הוא שונא אותי, משום שאני מוכיח אותו במעשיו המושחתים.
8 তোমরাই পর্বে যোগদান করতে যাও। আমি এখনই পর্বে যাচ্ছি না, কারণ আমার উপযুক্ত সময় এখনও আসেনি।”
לכו אתם לחוג את החג בירושלים. איני הולך עתה, כי טרם הגיע זמני.“
9 একথা বলে তিনি গালীলেই থেকে গেলেন।
וישוע נשאר בגליל.
10 কিন্তু তাঁর ভাইয়েরা পর্বে চলে গেলে, তিনিও সেখানে গেলেন, তবে প্রকাশ্যে নয়, কিন্তু গোপনে।
אולם לאחר שהלכו אחיו הלך גם ישוע לירושלים, אם כי בסתר, כדי שלא יכירו אותו.
11 পর্বের সময় ইহুদিরা যীশুর সন্ধান করছিল এবং জিজ্ঞাসা করছিল, “সেই ব্যক্তি কোথায়?”
בינתיים חיפשוהו המנהיגים בין החוגגים וחקרו:”היכן הוא?“
12 ভিড়ের মধ্যে তাঁকে নিয়ে প্রচুর গুঞ্জন চলছিল। কেউ কেউ বলল, “তিনি একজন সৎ মানুষ।” অন্যেরা বলল, “না, সে মানুষকে ভুল পথে চালনা করছে।”
דעת הקהל הייתה חלוקה עליו; אחדים אמרו:”הוא אדם נפלא!“ואילו אחרים טענו:”הוא רמאי!“
13 কিন্তু ইহুদিদের ভয়ে কেউ তাঁর সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলল না।
אך איש לא העז להשמיע את דעתו עליו ברבים, מפחד מנהיגי היהודים.
14 পর্বের মাঝামাঝি সময়, যীশু মন্দির-প্রাঙ্গণে গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
בעיצומו של החג הלך ישוע לבית־המקדש ולימד את העם.
15 ইহুদিরা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “শিক্ষালাভ না করেও এই মানুষটি কী করে এত শাস্ত্রজ্ঞ হয়ে উঠল?”
”כיצד הוא יודע כל־כך הרבה?“תמהו היהודים.”הרי הוא לא למד אף פעם בבית מדרש!“
16 যীশু উত্তর দিলেন, “এই শিক্ষা আমার নিজস্ব নয়। যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর কাছ থেকেই আমি এই শিক্ষা পেয়েছি।
”איני מלמד אתכם את תורתי, כי אם את תורת האלוהים אשר שלחני“, השיב ישוע.
17 কেউ যদি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে মনস্থির করে, তাহলে সে উপলব্ধি করতে পারবে, আমার এই শিক্ষা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে, না আমি নিজে থেকে বলেছি।
”מי שרוצה לעשות את רצון האלוהים יודע אם אני מדבר בשם אלוהים או בשם עצמי.
18 যে নিজের জ্ঞানের কথা বলে, সে তার গৌরবপ্রাপ্তির জন্যই তা করে, কিন্তু যে তার প্রেরণকর্তার গৌরবের জন্য কাজ করে, সে সত্যবাদী পুরুষ। তার মধ্যে কোনো মিথ্যাচার নেই।
מי שמשמיע את דעתו האישית מצפה לשבחים ותהילה, אולם מי שרוצה בכבוד שולחו הוא אדם ישר ונאמן.
19 মোশি কি তোমাদের বিধান দেননি? তবু তোমরা একজনও সেই বিধান পালন করো না। তোমরা কেন আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছ?”
משה נתן לכם את התורה אבל איש מביניכם אינו מקיים את התורה. מדוע אתם רוצים להרוג אותי על הפרת התורה?“
20 সব লোক উত্তর দিল, “তোমাকে ভূতে পেয়েছে। কে তোমাকে হত্যার চেষ্টা করছে?”
”היצאת מדעתך“, קרא הקהל.”מי רוצה להרוג אותך?“
21 যীশু তাদের বললেন, “আমি মাত্র একটি অলৌকিক কাজ করেছি, আর তা দেখেই তোমরা চমৎকৃত হয়েছিলে।
”אני עשיתי נס אחד בשבת וכולכם התפלאתם והשתוממתם על כך“, אמר ישוע.
22 মোশি তোমাদের সুন্নত প্রথা দিয়েছিলেন বলে (যদিও প্রকৃতপক্ষে মোশি তা দেননি, কিন্তু পিতৃপুরুষদের সময় থেকে এই প্রথার প্রচলন ছিল), তোমরা বিশ্রামদিনে শিশুকে সুন্নত করে থাকো।
”אבל גם אתם עובדים בשבת! הרי אתם עושים ברית־מילה לפי מצוות משה, מצוה שניתנה לנו למעשה מהאבות וקדמה לתורת משה, גם בשבת.
23 এখন, বিশ্রামদিনে কোনো শিশুকে সুন্নত করলে যদি মোশির বিধান ভাঙা না হয়, তাহলে বিশ্রামদিনে একটি মানুষকে সম্পূর্ণ সুস্থ করেছি বলে তোমরা আমার উপর ক্রুদ্ধ হচ্ছো কেন?
אם אתם מתירים קיום ברית־מילה בשבת, כדי לא להפר את התורה, מדוע אתם מתרגזים על שריפאתי מישהו בשבת?
24 শুধু বাহ্যিক বিষয় দেখে বিচার কোরো না, ন্যায়সংগত বিচার করো।”
אל תשפטו רק לפי מה שאתם רואים בעיניכם, אלא בחנו ושפטו בצדק!“
25 সেই সময় জেরুশালেমের কিছু লোক জিজ্ঞাসা করতে লাগল, “এই লোকটিকেই কি তারা হত্যা করার চেষ্টা করছেন না?
אחדים מתושבי ירושלים שאלו:”האם אין זה האיש שהם רוצים להרוג?
26 ইনি তো এখানে প্রকাশ্যে কথা বলছেন, অথচ তারা তাঁকে একটিও কথা বলছেন না। কর্তৃপক্ষ কি সত্যিসত্যিই মেনে নিয়েছেন যে, উনিই সেই খ্রীষ্ট?
הנה הוא מדבר בציבור ואיש אינו פוגע בו. אולי מנהיגינו הגיעו למסקנה שהוא באמת המשיח!
27 যাই হোক, এই ব্যক্তি কোথা থেকে এসেছেন তা আমরা জানি, কিন্তু খ্রীষ্ট এলে কেউ জানবে না যে কোথা থেকে তাঁর আগমন হয়েছে।”
אולם כיצד ייתכן הדבר? הרי אנחנו יודעים מאין בא, ואילו המשיח אמור לבוא מאי־שם, ממקום בלתי ידוע.“
28 তারপর মন্দির-প্রাঙ্গণে শিক্ষা দেওয়ার সময় যীশু উচ্চকণ্ঠে বললেন, “এটা ঠিক যে, তোমরা আমাকে জানো এবং আমি কোথা থেকে এসেছি, তাও তোমরা জানো। আমি নিজের ইচ্ছানুসারে এখানে আসিনি, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তিনি সত্যময়। তোমরা তাঁকে জানো না।
”ודאי שיודעים אתם מי אני ומאין באתי, “קרא ישוע בקול בבית־המקדש,”אבל דעו לכם שלא באתי אליכם על דעת עצמי, אלא נשלחתי על־ידי האלוהים שאותו אינכם מכירים.
29 কিন্তু আমি তাঁকে জানি, কারণ আমি তাঁরই কাছ থেকে এসেছি এবং তিনিই আমাকে পাঠিয়েছেন।”
אולם אני מכיר אותו, כי אני בא ממנו והוא שלח אותי.“
30 একথায় তারা তাঁকে বন্দি করতে চেষ্টা করল, কিন্তু কেউ তাঁর গায়ে হাত দিল না, কারণ তাঁর সময় তখনও উপস্থিত হয়নি।
ההמון רצה לתפוס אותו, אך איש לא הרים עליו אצבע, כי טרם הגיע זמנו.
31 কিন্তু লোকদের মধ্যে অনেকেই তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করল। তারা বলল, “খ্রীষ্টের আগমন হলে তিনি কি এই লোকটির চেয়ে আরও বেশি চিহ্নকাজ করে দেখাবেন?”
אנשים רבים מן העם האמינו בישוע, ואמרו:”לאילו ניסים מצפים אתם מהמשיח שאדם זה לא חולל?“
32 ফরিশীরা লোকদিগকে তাঁর সম্পর্কে এসব বিষয়ে কানাকানি করতে শুনল। তখন প্রধান যাজকবর্গ এবং ফরিশীরা তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য মন্দিরের রক্ষীদের পাঠাল।
כאשר נוכחו הפרושים כי העם נוטה להאמין בישוע, הם שלחו יחד עם ראשי הכוהנים סוכנים לתפוס אותו.
33 যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সঙ্গে আর অল্পকাল আছি, তারপর যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, আমি তাঁর কাছে ফিরে যাব।
אולם ישוע אמר להם:”אני אהיה אתכם עוד זמן־מה, ואחר כך אחזור לשולחי.
34 তোমরা আমার সন্ধান করবে, কিন্তু পাবে না। আর আমি যেখানে থাকব, তোমরা সেখানে আসতে পারো না।”
תחפשו אותי ולא תמצאוני, כי לא תוכלו לבוא אל המקום שאהיה בו.“
35 তখন ইহুদিরা পরস্পর বলাবলি করল, “এই লোকটি এমন কোথায় যেতে চায় যে আমরা তাঁর সন্ধান পাব না? যেখানে গ্রিকদের মধ্যে আমাদের লোকরা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে, ও কি সেখানে গিয়ে গ্রিকদের শিক্ষা দিতে চায়?
היהודים נבוכו מדבריו.”לאן הוא עומד ללכת?“תמהו.”אולי בכוונתו לעזוב את הארץ וללכת ללמד את היהודים בתפוצות או אף את הגויים!
36 ‘তোমরা আমাকে খুঁজবে, কিন্তু পাবে না,’ আর, ‘আমি যেখানে থাকব, তোমরা সেখানে আসতে পারো না,’ একথার দ্বারা ও কী বলতে চায়?”
למה התכוון כשאמר כי נחפש אותו ולא נוכל למצוא אותו, ואף לא נוכל לבוא למקום הימצאו?“
37 পর্বের শেষ ও প্রধান দিনটিতে যীশু দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে বললেন, “কেউ যদি তৃষ্ণার্ত হয়, সে আমার কাছে এসে পান করুক।
ביום האחרון והגדול של החג עמד ישוע וקרא בקול:”כל הצמא שיבוא אלי וישתה!
38 আমাকে যে বিশ্বাস করে, শাস্ত্রের বচন অনুসারে, তার অন্তর থেকে জীবন্ত জলের স্রোতোধারা প্রবাহিত হবে।”
כי כמו שכתוב, המאמין בי, יזרמו מקרבו נהרות מים חיים.“
39 একথার দ্বারা তিনি সেই পবিত্র আত্মার কথাই বললেন। যারা তাঁকে বিশ্বাস করে, পরবর্তীকালে তারা সেই আত্মা লাভ করবে। যীশু তখনও মহিমান্বিত হননি, তাই সেই সময় পর্যন্ত পবিত্র আত্মা প্রদান করা হয়নি।
ישוע התכוון לרוח הקודש שהמאמינים בשמו היו עתידים לקבל. עד לאותו זמן לא ניתן רוח הקודש, כי ישוע עדיין לא נתפאר ולא חזר לשמים.
40 তাঁর একথা শুনে কিছু লোক বলল, “নিশ্চয়ই, এই লোকটিই সেই ভাববাদী।”
אנשים רבים בהמון קראו לאחר ששמעו את דבריו:”הוא באמת הנביא!“
41 অন্যেরা বলল, “ইনিই সেই খ্রীষ্ট।” আবার অনেকে জিজ্ঞাসা করল, “গালীল থেকে কি খ্রীষ্টের আগমন হতে পারে?
אחרים קראו:”זהו המשיח!“היו שלגלגו:”האם המשיח יבוא מהגליל?
42 শাস্ত্র কি একথা বলে না যে, দাউদ যেখানে বসবাস করতেন, সেই বেথলেহেম নগরে, দাউদের বংশে খ্রীষ্টের আগমন হবে?”
הלא כתוב כי המשיח יהיה מזרע דוד וכי יבוא מבית לחם, עיר דוד.“
43 এভাবে যীশুকে নিয়ে লোকদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল।
דעת הקהל עליו הייתה חלוקה.
44 কয়েকজন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চাইলেও কেউ তাঁর গায়ে হাত দিল না।
אחדים מהם רצו לתפסו, אך איש לא שלח בו יד.
45 মন্দিরের রক্ষীরা অবশেষে প্রধান যাজকদের ও ফরিশীদের কাছে ফিরে গেল। তারা তাদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা তাকে ধরে নিয়ে এলে না কেন?”
אנשי החוק שנשלחו לאסרו חזרו אל שולחיהם בידיים ריקות.”היכן הוא? מדוע לא הבאתם אותו?“שאלו הפרושים וראשי הכוהנים.
46 রক্ষীরা বলল, “এই লোকটি যেভাবে কথা বলেন, এ পর্যন্ত আর কেউ সেভাবে কথা বলেননি।”
”הוא דיבר דברים נפלאים כל־כך; מעולם לא שמענו דברים כאלה!“השיבו.
47 প্রত্যুত্তরে ফরিশীরা ব্যঙ্গ করে বলল, “তোমরা বলতে চাইছ, লোকটি তোমাদেরও বিভ্রান্ত করেছে।
”גם אתם הלכתם שולל?“כעסו הפרושים.
48 কোনো নেতা বা কোনো ফরিশী কি তাকে বিশ্বাস করেছে?
”האם ראיתם מישהו בינינו, המנהיגים או הפרושים, אשר מאמין כי הוא המשיח?
49 না! কিন্তু এই যেসব লোক, যারা বিধানের কিছুই জানে না, এরা সকলে অভিশপ্ত।”
רק ההמון מקרב העם הזה מאמין בו, כי הם אינם יודעים את התורה. ארורים הם!“
50 তখন নীকদীম, যিনি আগে যীশুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন এবং যিনি ছিলেন তাদেরই একজন, জিজ্ঞাসা করলেন,
נקדימון היה ביניהם; הוא זה שבא אל ישוע בלילה, וכששמע את דברי הפרושים אמר:
51 “কোনো ব্যক্তির কথা প্রথমে না শুনে ও সে কী করে তা না জেনে, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা কি আমাদের পক্ষে বিধানসংগত?”
”האם תורתנו מתירה לנו לשפוט אדם לפני ששמענו מה בפיו וידענו מה שהוא עושה?“
52 তারা উত্তর দিল, “তুমিও কি গালীলের লোক? শাস্ত্র খুঁজে দেখো, দেখতে পাবে যে, গালীল থেকে কোনো ভাববাদীই আসতে পারেন না।”
”גם אתה מהגליל?“שאלו בלעג.”דרוש בכתובים וראה שאף נביא אינו בא מהגליל!“
53 তখন তারা প্রত্যেকেই নিজের নিজের ঘরে ফিরে গেল,
בזאת הם נפרדו והלכו איש לביתו.

< যোহন 7 >