< যোহন 16 >

1 “আমি তোমাদের এ সমস্ত কথা বললাম, যেন তোমরা বিপথে না যাও।
我が斯く汝等に語りしは、汝等の躓かざらん為なり。
2 ওরা সমাজভবন থেকে তোমাদের বহিষ্কার করবে; এমনকি সময় আসছে, যখন তোমাদের যারা হত্যা করবে তারা ভাববে যে তারা ঈশ্বরের উদ্দেশে এক নৈবেদ্য উৎসর্গ করছে।
人々汝等を會堂より逐出さん、而も汝等を殺す人凡て自ら神に盡すと思ふ時來らん。
3 ওরা পিতাকে বা আমাকে জানে না বলেই, এই সমস্ত কাজ করবে।
人の斯る事を汝等に為さんとするは、父をも我をも知らざる故なり。
4 একথা আমি তোমাদের এজন্য বললাম যে, সময় উপস্থিত হলে তোমরা মনে করতে পারো যে, আমি আগেই তোমাদের সতর্ক করেছিলাম। আমি প্রথমে তোমাদের একথা বলিনি, কারণ আমি এতদিন তোমাদের সঙ্গেই ছিলাম।
但し我が斯く汝等に語りたるは、時至らば汝等をして、我が之を告げたるを思出でしめんが為なり。
5 “যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, এখন আমি তাঁরই কাছে যাচ্ছি, অথচ তোমরা কেউই আমাকে জিজ্ঞাসা করছ না, ‘আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’
而も之を初より告げざりしは、汝等と共に居りし故なり、今我を遣はし給ひし者に至らんとするに、何處に至るぞと我に問ふ者、汝等の中に一人もあらず、
6 এ সমস্ত কথা আমি বলেছি বলেই তোমাদের হৃদয় দুঃখে ভরে গেছে।
然れど斯く語りしに因りて、憂汝等の心に満てり。
7 কিন্তু আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মঙ্গলের জন্যই আমি চলে যাচ্ছি। আমি না গেলে সেই সহায় তোমাদের কাছে আসবেন না। আমি গিয়ে তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।
然りながら我實を以て汝等に告ぐ、我が去るは汝等に利あり、我若去らずば弁護者は汝等に來るまじきを、去りなば我之を汝等に遣はすべければなり。
8 তিনি এসে পাপ, ধার্মিকতা এবং বিচার সম্বন্ধে জগৎকে অভিযুক্ত করবেন:
彼來らば世を責めて、罪と義と審判とに就きて其過を認めしめん。
9 পাপের সম্বন্ধে করবেন, কারণ মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে না;
罪に就きてとは、人々我を信ぜざりし故なり。
10 ধার্মিকতার সম্বন্ধে করবেন, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি এবং তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না;
義に就きてとは、我父の許に去りて汝等最早我を見ざるべき故なり。
11 আর বিচার সম্বন্ধে করবেন, কারণ এই জগতের অধিপতি এখন দোষী প্রমাণিত হয়েছে।
審判に就きてとは、此世の長既に審判せられたる故なり。
12 “তোমাদেরকে আমার আরও অনেক কিছু বলার আছে, যা এখন তোমরা সহ্য করতে পারবে না।
我が汝等に云ふべき事尚多けれども、汝等今は之に得堪へず。
13 কিন্তু যখন তিনি, সেই সত্যের আত্মা আসবেন, তিনি তোমাদের সমস্ত সত্যের পথে নিয়ে যাবেন। তিনি নিজে থেকে কিছুই বলবেন না, তিনি যা শুনবেন, তিনি শুধু তাই বলবেন। আর তিনি আগামী দিনের ঘটনার কথাও তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।
彼眞理の霊來らん時、一切の眞理を汝等に教へ給はん。其は己より語るに非ずして、悉く其聞きたらん所を語り、又起るべき事を汝等に告げ給ふべければなり。
14 তিনি আমাকেই মহিমান্বিত করবেন, কারণ তিনি আমার কাছ থেকে যা গ্রহণ করবেন তা তিনি তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।
彼は我に光榮あらしむべし、其は我がものを受取りて汝等に示し給ふべければなり。
15 যা কিছু পিতার অধিকারভুক্ত, তা আমারই। সেজন্যই আমি বলছি পবিত্র আত্মা আমার কাছ থেকে সেইসব গ্রহণ করে তোমাদের কাছে প্রকাশ করবেন।
凡て父の有し給ふものは悉く我ものなり、彼は我ものを受取りて汝等に示し給はんと云へるは、之を以てなり。
16 “কিছুকাল পরে তোমরা আমাকে আর দেখতে পাবে না, কিন্তু তার অল্পকাল পরে তোমরা আমাকে আবার দেখতে পাবে, কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি।”
暫くにして汝等最早我を見ざるべく、又暫くにして我を見ん、是我父に至ればなり、[と曰へり]。
17 তখন তাঁর কয়েকজন শিষ্য পরস্পর বলাবলি করলেন, “‘আর কিছুকাল পরে তোমরা আমাকে দেখতে পাবে না, কিন্তু তার অল্পকাল পরে তোমরা আমাকে আবার দেখতে পাবে,’ আবার বলছেন, ‘কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি,’ এসব কথার মাধ্যমে তিনি কী বলতে চাইছেন?”
是に於て弟子の或人々、暫くにして汝等我を見ざるべく、又暫くにして我を見ん、又我父に至ればなり、と曰へるは何事ぞ、と語合ひつつ、
18 তাঁরা আরও বললেন, “‘অল্পকাল পরে’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? আমরা তাঁর কথার মানে বুঝতে পারছি না।”
然て、暫くにしてと曰へるは何ぞや、我等は其語り給ふ所を知らず、と云ひ居りしに、
19 যীশু বুঝতে পারলেন, তাঁরা এ সম্পর্কে তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করতে চান। তাই তিনি বললেন, “‘আর কিছুকাল পরে তোমরা আমাকে দেখতে পাবে না, কিন্তু তার অল্পকাল পরে তোমরা আমাকে দেখতে পাবে,’ আমার একথার অর্থ কি তোমরা পরস্পরের কাছে জানতে চাইছ?
イエズス彼等が己に問はんと欲するを暁りて曰ひけるは、汝等は、暫くにして汝等を見ざるべく、又暫くにして我を見ん、と我が云へるを僉議し合へるか、
20 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যখন কাঁদবে ও শোক করবে, জগৎ তখন আনন্দ করবে। তোমরা শোক করবে, কিন্তু তোমাদের শোক আনন্দে রূপান্তরিত হবে।
誠に實に汝等に告ぐ、汝等は悲しみ且泣かんに世は喜ぶべく、汝等は憂ふべけれども、其憂は變りて喜となるべし。
21 সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় নারী যন্ত্রণায় কাতর হয়ে ওঠে, কারণ তার সময় পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু সন্তানের জন্ম হলে, আনন্দে সে তার যন্ত্রণা ভুলে যায়, কারণ জগতে একটি শিশুর জন্ম হয়েছে।
婦の産まんとするや、我時期來れりとて憂ふれども、既に子を産み了れば、世に人一人生れたる喜によりて、最早苦痛を覚ゆる事なし。
22 তোমাদের ক্ষেত্রেও তাই। এখন তোমাদের শোকের সময়, কিন্তু আমি তোমাদের সঙ্গে আবার সাক্ষাৎ করব এবং তোমরা আনন্দ করবে। তোমাদের সেই আনন্দ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
汝等も今は憂を懐けども、我再び汝等を見ば、汝等の心は喜ぶべく、而も其喜を汝等より奪ふ者なかるべし。
23 সেদিন তোমরা আমার কাছে আর কিছু চাইবে না। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, আমার নামে, আমার পিতার কাছে, তোমরা যা কিছু প্রার্থনা করবে, তা তিনি তোমাদের দান করবেন।
彼日には、汝等何事をも我に問はざらん。誠に實に汝等に告ぐ、汝等もし我名によりて父に求むる所あらば、父は之を汝等に賜ふべし。
24 এখনও পর্যন্ত তোমরা আমার নামে কোনো কিছুই চাওনি। চাও, তোমরা পাবে এবং তখন তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হবে।
汝等今までは、我名によりて何をも求めざりしが、求めよ、然らば受け得て汝等の喜全かるべし。
25 “আমি রূপকের মাধ্যমে কথা বললেও এমন এক সময় আসছে, যখন আমি আর এমন ভাষা প্রয়োগ করব না। আমার পিতার সম্পর্কে আমি স্পষ্টভাবে কথা বলব।
我喩を以て斯く汝等に語りしかど、最早喩を以て語らずして明白に父に就きて汝等に告ぐべき時は來る、
26 সেদিন তোমরা আমার নামে চাইবে। আমি বলছি না যে, তোমাদের পক্ষে আমি পিতার কাছে অনুরোধ করব,
其日には汝等我名によりて求めん、而も我汝等の為に父に祈らんとは云はず、
27 কিন্তু পিতা স্বয়ং তোমাদের প্রেম করেন, কারণ তোমরা আমাকে ভালোবেসেছ এবং বিশ্বাস করেছ যে, আমি পিতার কাছ থেকে এসেছি।
其は汝等我を愛して、我が神より出でたるを信じたるが故に、父自ら汝等を愛し給へばなり。
28 আমি পিতার কাছ থেকে এসে এই জগতে প্রবেশ করেছি। এখন আমি জগৎ থেকে বিদায় নিয়ে পিতার কাছে ফিরে যাচ্ছি।”
我は父より出でて世に來りしが、復世を離れて父に至る、と曰ひしかば、
29 তাঁর শিষ্যেরা তখন বললেন, “এখন আপনি রূপকের সাহায্য না নিয়েই স্পষ্টভাবে কথা বলছেন।
弟子等云ひけるは、今は明白に語り給ひて豪も喩を語り給はず。
30 এখন আমরা জানতে পারলাম যে, আপনি সবই জানেন এবং আপনাকে প্রশ্ন করার কারও কোনো প্রয়োজন নেই। এর দ্বারাই আমরা বিশ্বাস করছি যে, ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনি এসেছেন।”
今にして我等は、汝が萬事を知り給ひて、人の問ふを待ち給はざる事を知り、是によりて汝の神より出で給へる事を信ず、と。
31 যীশু উত্তর দিলেন, “অবশেষে তোমরা বিশ্বাস করলে!
イエズス彼等に答へ給ひけるは、汝等は今信ずるか、
32 কিন্তু সময় আসছে, বরং এসে পড়েছে, যখন তোমরা ছিন্নভিন্ন হয়ে প্রত্যেকে আপন আপন ঘরের কোণে ফিরে যাবে। তোমরা আমাকে নিঃসঙ্গ অবস্থায় পরিত্যাগ করবে। তবুও আমি নিঃসঙ্গ নই, কারণ আমার পিতা আমার সঙ্গে আছেন।
看よ時は來る、最早來れり、汝等は何れも己がじし散亂れて我を獨り棄置くに至らん。然れど我は獨に非ず、其は父我と共に在せばなり。
33 “আমি তোমাদের এসব কথা জানালাম, যেন আমার মধ্যে তোমরা শান্তি লাভ করো। এই জগতে তোমরা সংকটের সম্মুখীন হবে, কিন্তু সাহস করো! আমি এই জগৎকে জয় করেছি।”
斯く汝等に語りたるは、汝等が我に於て平安を得ん為なり。世に於ては汝等難に遇はん、然れど頼もしかれ、我は世に勝てり、と。

< যোহন 16 >