< ইয়োবের বিবরণ 9 >
ଏଥିରେ ଆୟୁବ ଉତ୍ତର କରି କହିଲା,
2 “বাস্তবিক, আমি জানি যে তা সত্যি। কিন্তু ঈশ্বরের সামনে নিছক নশ্বর মানুষ কীভাবে তাদের নির্দোষিতা প্রমাণ করবে?
“ଏହା ସତ୍ୟ ବୋଲି ମୁଁ ନିଶ୍ଚୟ ଜାଣେ; ମାତ୍ର କିପରି ମନୁଷ୍ୟ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ନିକଟରେ ଧାର୍ମିକ ହୋଇପାରେ?
3 যদিও তারা তাঁর সাথে বাদানুবাদ করতে চায়, তবুও হাজার বারের মধ্যে একবারও তারা তাঁর কথার জবাব দিতে পারে না।
ସେ ତାହା ସଙ୍ଗେ ବାଦାନୁବାଦ କରିବାକୁ ଇଚ୍ଛା କଲେ, ମନୁଷ୍ୟ ତାହାଙ୍କୁ ସହସ୍ର କଥା ମଧ୍ୟରୁ ଗୋଟିକର ଉତ୍ତର ଦେଇ ପାରିବ ନାହିଁ।
4 তাঁর জ্ঞান অগাধ, তাঁর শক্তি অসীম। তাঁর বিরোধিতা করে কে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে পেরেছে?
ସେ ମନରେ ଜ୍ଞାନବାନ ଓ ବଳରେ ପରାକ୍ରାନ୍ତ; କିଏ ତାହାଙ୍କ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଆପଣାକୁ ପ୍ରବଳ କରି ମଙ୍ଗଳ ପାଇଅଛି?
5 পর্বতগুলির অজান্তে তিনি তাদের স্থানান্তরিত করেন ও তাঁর ক্রোধে সেগুলি উচ্ছেদ করেন।
ସେ ପର୍ବତଗଣକୁ ସ୍ଥାନାନ୍ତର କରନ୍ତି, ସେ ଆପଣା କ୍ରୋଧରେ ସେମାନଙ୍କୁ ଓଲଟାଇ ପକାଇବା ବେଳେ ସେମାନେ ତାହା ଜାଣନ୍ତି ନାହିଁ।
6 তিনি পৃথিবীকে স্বস্থান থেকে নাড়িয়ে দেন, ও তার স্তম্ভগুলিকে টলিয়ে দেন।
ସେ ପୃଥିବୀକୁ ସ୍ୱ ସ୍ଥାନରୁ ହଲାଇ ଦିଅନ୍ତି ଓ ତହିଁର ସ୍ତମ୍ଭମାନ ଟଳଟଳ ହୁଏ।
7 তিনি সূর্যকে বারণ করেন ও তা দীপ্তি দেয় না; তিনি নক্ষত্রদের আলো নিভিয়ে দেন।
ସେ ବାରଣ କଲେ, ସୂର୍ଯ୍ୟ ଉଦିତ ହୁଏ ନାହିଁ ଓ ସେ ତାରାଗଣକୁ ବନ୍ଦ କରି ମୁଦ୍ରାଙ୍କିତ କରନ୍ତି।
8 তিনি একাই আকাশমণ্ডলের বিস্তার ঘটান, ও সমুদ্রের ঢেউগুলিকে পদদলিত করেন।
ସେ ଏକାକୀ ଆକାଶମଣ୍ଡଳ ପ୍ରସାରନ୍ତି ଓ ସମୁଦ୍ରର ତରଙ୍ଗ ଉପରେ ଗମନ କରନ୍ତି।
9 তিনি সপ্তর্ষি ও কালপুরুষ, কৃত্তিকা ও দক্ষিণের নক্ষত্রপুঞ্জের নির্মাতা।
ସେ ସପ୍ତର୍ଷି, ମୃଗଶୀର୍ଷ ଓ କୃତ୍ତିକା ଓ ଦକ୍ଷିଣସ୍ଥ ମଣ୍ଡଳ ସୃଷ୍ଟି କରନ୍ତି।
10 তিনি এমন সব আশ্চর্য কাজ করেন যা অনুধাবন করা যায় না, এমন সব অলৌকিক কাজ করেন যা গুনে রাখা যায় না।
ସେ ଅନୁଦ୍ଦେଶ୍ୟ ମହାକାର୍ଯ୍ୟ ଓ ଅସଂଖ୍ୟ ଆଶ୍ଚର୍ଯ୍ୟକ୍ରିୟା କରନ୍ତି।
11 তিনি যখন আমাকে পার করে চলে যান, আমি তাঁকে দেখতে পাই না; তিনি যখন কাছ দিয়ে যান, আমি তাঁকে চিনতে পারি না।
ଦେଖ, ସେ ମୋʼ ନିକଟରେ ଗମନ କରନ୍ତି, ମାତ୍ର ମୁଁ ତାହାଙ୍କୁ ଦେଖେ ନାହିଁ; ମଧ୍ୟ ସେ ଚାଲିଗଲେ, ମୁଁ ତାହାଙ୍କୁ ଚିହ୍ନେ ନାହିଁ।
12 তিনি যদি কেড়ে নেন, কে তাঁকে থামাতে পারবে? কে তাঁকে বলতে পারবে, ‘তুমি কী করছ?’
ଦେଖ, ସେ ଶିକାର ଧରିଲେ, କିଏ ତାହାଙ୍କୁ ନିବାରଣ କରିପାରେ? ତୁମ୍ଭେ କଅଣ କରୁଅଛ, ଏହା କିଏ ତାହାଙ୍କୁ କହିବ?
13 ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে রাখেন না; রহবের বাহিনীও তাঁর পদতলে ভয়ে জড়সড় হয়ে থাকে।
ପରମେଶ୍ୱର ଆପଣା କ୍ରୋଧ ପ୍ରତ୍ୟାହାର କରିବେ ନାହିଁ; ରାହବର ସହାୟଗଣ ତାହାଙ୍କ ପାଦ ତଳେ ନତ ହୁଅନ୍ତି।
14 “কীভাবে তবে আমি তাঁর সাথে বাদানুবাদ করব? কীভাবে আমি তাঁর সঙ্গে তর্ক করার জন্য শব্দ খুঁজে পাব?
ତେବେ ମୁଁ ତାହାଙ୍କୁ କେତେ ଅଳ୍ପ ଉତ୍ତର ଦେବି? ଓ ତାହାଙ୍କ ସଙ୍ଗେ ଯୁକ୍ତି କରିବାକୁ ଆପଣା କଥା ବାଛିବି?
15 আমি নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও, তাঁকে জবাব দিতে পারিনি; আমার বিচারকের কাছে শুধু আমি দয়াভিক্ষাই করতে পেরেছি।
ମୁଁ ଧାର୍ମିକ ହେଲେ ହେଁ ତାହାଙ୍କୁ ଉତ୍ତର ଦିଅନ୍ତି ନାହିଁ; ମୁଁ ଆପଣା ବିପକ୍ଷ ନିକଟରେ ବିନତି କରନ୍ତି।
16 আমি যদিও তাঁকে ডেকেছি ও তিনি সাড়া দিয়েছেন, তাও আমি বিশ্বাস করি না যে তিনি আমার কথায় কর্ণপাত করবেন।
ଯଦି ମୁଁ ଡାକିଥାʼନ୍ତି ଓ ସେ ମୋତେ ଉତ୍ତର ଦେଇଥାʼନ୍ତେ, ତେବେ ହେଁ ସେ ମୋʼ ରବରେ ମନୋଯୋଗ କଲେ ବୋଲି ମୁଁ ବିଶ୍ୱାସ କରନ୍ତି ନାହିଁ।
17 এক ঝড় পাঠিয়ে তিনি আমাকে চূর্ণ করবেন, ও অকারণেই আমার ক্ষতস্থানগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন।
କାରଣ ସେ ବତାସରେ ମୋତେ ଭାଙ୍ଗି ପକାନ୍ତି ଓ ଅକାରଣରେ ମୋହର କ୍ଷତ ବୃଦ୍ଧି କରନ୍ତି।
18 তিনি আমাকে দম নেওয়ার সুযোগ দেবেন না কিন্তু দুর্দশা দিয়ে আমাকে আচ্ছন্ন করে তুলবেন।
ସେ ମୋତେ ନିଶ୍ୱାସ ମାରିବାକୁ ଦିଅନ୍ତି ନାହିଁ, ମାତ୍ର ମୋତେ ତିକ୍ତତାରେ ପୂର୍ଣ୍ଣ କରନ୍ତି।
19 এটি যদি শক্তির বিষয় হয়, তবে তিনি শক্তিমান! ও এটি যদি বিচার্য বিষয় হয়, তবে কে তাঁর বিরুদ্ধ আপত্তি তুলবে?
ଆମ୍ଭେମାନେ ବିକ୍ରମୀର ବଳର କଥା କହିଲେ, ଦେଖ, ସେ ଅଛନ୍ତି! ଓ ବିଚାରର କଥା କହିଲେ, କିଏ ମୋʼ ପାଇଁ ସମୟ ନିରୂପଣ କରିବ?
20 আমি যদি নির্দোষও হতাম, তাও আমার মুখই আমাকে দোষারোপ করত। আমি যদি অনিন্দনীয় হতাম, তাও তা আমায় দোষী সাব্যস্ত করত।
ମୁଁ ଧାର୍ମିକ ହେଲେ ହେଁ ମୋର ନିଜ ମୁଖ ମୋତେ ଦୋଷୀ କରିବ। ମୁଁ ସିଦ୍ଧ ହେଲେ ହେଁ ମୋତେ କୁଟିଳ ବୋଲି ତାହା ପ୍ରମାଣ କରିବ।
21 “যদিও আমি অনিন্দনীয়, আমি নিজের বিষয়ে চিন্তিত নই; আমার নিজের জীবনকেই আমি ঘৃণা করি।
ମୁଁ ସିଦ୍ଧ, ମୁଁ ଆପଣାକୁ ମାନ୍ୟ କରେ ନାହିଁ; ମୁଁ ଆପଣା ଜୀବନକୁ ତୁଚ୍ଛ କରେ।
22 এসবই সমান; তাই আমি বলি, ‘অনিন্দনীয় ও দুষ্ট উভয়কেই তিনি ধ্বংস করেন।’
ସବୁ ତ ସମାନ; ଏଥିପାଇଁ ମୁଁ କହେ, ସେ ସିଦ୍ଧ ଓ ଦୁଷ୍ଟକୁ ସଂହାର କରନ୍ତି।
23 এক কশা যখন আকস্মিক মৃত্যু ডেকে আনে, তিনি তখন নির্দোষের হতাশা দেখে বিদ্রুপ করেন।
ଯଦି କୋରଡ଼ା ହଠାତ୍ ମାରି ପକାଏ, ସେ ନିର୍ଦ୍ଦୋଷର ପରୀକ୍ଷାରେ ହସିବେ।
24 দেশ যখন দুষ্টের হাতে গিয়ে পড়ে, তখন তিনি সেখানকার বিচারকদের চোখ বেঁধে দেন। যদি তিনি এ কাজ না করেন, তবে কে তা করে?
ପୃଥିବୀ ଦୁଷ୍ଟମାନଙ୍କ ହସ୍ତରେ ସମର୍ପିତ ହୋଇଅଛି; ସେ ତହିଁର ବିଚାରକର୍ତ୍ତୃଗଣର ମୁଖ ଆଚ୍ଛାଦନ କରନ୍ତି; ଯଦି ସେ ନ କରନ୍ତି, ତେବେ ଆଉ କିଏ?
25 “আমার দিনগুলি একজন ডাকহরকরার চেয়েও দ্রুতগামী; সেগুলি আনন্দের কোনও আভাস ছাড়াই উড়ে যায়।
ମୋହର ଦିନସବୁ ଡାକ ଅପେକ୍ଷା ଶୀଘ୍ରଗାମୀ; ତାହାସବୁ ପଳାଇଯାଏ, କୌଣସି ମଙ୍ଗଳର ଦର୍ଶନ ପାଏ ନାହିଁ।
26 নলখাগড়ার নৌকার মতো সেগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়, যেভাবে ঈগল পাখি তার শিকারের উপরে নেমে আসে।
ତାହାସବୁ ବେଗଗାମୀ ଜାହାଜ ପରି ଓ ଶିକାର ଉପରେ ଝାମ୍ପ ମାରିବା ଉତ୍କ୍ରୋଶ ପକ୍ଷୀ ପରି ଚାଲିଯାଏ।
27 আমি যদি বলি, ‘আমি আমার অভিযোগ ভুলে যাব, আমি আমার অভিব্যক্তি পালটে ফেলব, ও হাসব,’
ଯଦି ମୁଁ କହେ, ‘ମୁଁ ଆପଣା ବିଳାପ ଭୁଲିଯିବି, ମୁଁ ଆପଣା ବିଷଣ୍ଣ ମୁଖ ଦୂର କରି ହୃଷ୍ଟଚିତ୍ତ ହେବି;’
28 তাও আমি এখনও আমার সব দুঃখকষ্টকে ভয় করি, কারণ আমি জানি তুমি আমাকে নির্দোষ গণ্য করবে না।
ମୁଁ ଆପଣା ସକଳ ଦୁଃଖ ବିଷୟରେ ଭୀତ ହୁଏ, ମୁଁ ଜାଣେ, ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ନିର୍ଦ୍ଦୋଷ ଜ୍ଞାନ କରିବ ନାହିଁ।
29 যেহেতু আমি ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছি, তবে কেন আমি অনর্থক সংগ্রাম করব?
ମୁଁ ଦୋଷୀକୃତ ହେବି; ତେବେ ମୁଁ କାହିଁକି ବୃଥା ପରିଶ୍ରମ କରୁଅଛି?
30 আমি যদিও সাবান দিয়ে নিজেকে ধুয়ে ফেলি ও পরিষ্কার করার সোডা দিয়ে আমার হাত পরিষ্কার করি,
ଯଦି ମୁଁ ହିମଜଳରେ ଆପଣାକୁ ଧୌତ କରେ ଓ ଆପଣା ହସ୍ତ ଅତିଶୟ ପରିଷ୍କାର କରେ,
31 তাও তুমি আমাকে পাঁকে ভরা খন্দে ডোবাবে যেন আমার পোশাকও আমায় ঘৃণা করে।
ତେବେ ହେଁ ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ଗର୍ତ୍ତରେ ମଗ୍ନ କରିବ ଓ ମୋହର ନିଜ ବସ୍ତ୍ର ମୋତେ ଘୃଣା କରିବ।
32 “তিনি আমার মতো নিছক এক নশ্বর মানুষ নন যে আমি তাঁকে উত্তর দেব, ও আদালতে আমরা পরস্পরের সম্মুখীন হব।
କାରଣ ସେ ମୋʼ ପରି ମନୁଷ୍ୟ ନୁହନ୍ତି ଯେ, ମୁଁ ତାହାଙ୍କୁ ଉତ୍ତର ଦେବି ଓ ଆମ୍ଭେମାନେ ଏକତ୍ର ବିଚାର ସ୍ଥାନକୁ ଆସିବା।
33 শুধু যদি আমাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার মতো কেউ থাকত, যদি আমাদের একসঙ্গে মিলিত করার মতো কেউ থাকত,
ଆମ୍ଭ ଦୁହିଁଙ୍କ ଉପରେ ହସ୍ତାର୍ପଣ କରିବାକୁ ସମର୍ଥ କୌଣସି ମଧ୍ୟସ୍ଥ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରେ ନାହିଁ।
34 যদি আমার কাছ থেকে ঈশ্বরের লাঠি দূর করার মতো কেউ থাকত, যেন তাঁর আতঙ্ক আমাকে আর আতঙ্কিত করতে না পারে।
ସେ ମୋʼ ଠାରୁ ଆପଣା ଯଷ୍ଟି ଦୂର କରନ୍ତୁ ଓ ତାହାଙ୍କ ଭୟଙ୍କରତା ମୋତେ ଭୀତ ନ କରୁ;
35 তবে তাঁকে ভয় না করে আমি কথা বলতে পারতাম, কিন্তু এখন আমার যা অবস্থা, আমি তা পারব না।
ତେବେ ମୁଁ ତାହାଙ୍କୁ ଭୟ ନ କରି କଥା କହିବି; କାରଣ ମୁଁ ନିଜେ ସେହିପରି ନୁହେଁ।