< ইয়োবের বিবরণ 41 >

1 “তুমি কি বড়শি দিয়ে লিবিয়াথনকে টেনে তুলতে পারো বা দড়ি দিয়ে তার জিভ বাঁধতে পারো?
But will you catch the serpent with a hook, and put a halter about his nose?
2 তুমি তার নাকে কি দড়ি পরাতে পারো বা বড়শি দিয়ে তার চোয়াল বিঁধতে পারো?
Or will you fasten a ring in his nostril, and bore his lip with a clasp?
3 সে কি তোমার কাছে অনবরত দয়া ভিক্ষা করবে? সে কি কোমল স্বরে তোমার সঙ্গে কথা বলবে?
Will he address you with a petition? softly, with the voice of a suppliant?
4 জীবনভোর তোমার দাসত্ব করার জন্য সে কি তোমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে?
And will he make a covenant with you? and will you take him for a perpetual servant?
5 তুমি কি পাখির মতো তাকে পোষ মানাবে বা তোমার বাড়ির যুবতীদের জন্য তাকে শিকলে বেঁধে রাখবে?
And will you play with him as with a bird? or bind him as a sparrow for a child?
6 ব্যবসায়ীরা কি তাকে নিয়ে ব্যবসা করবে? তারা কি সওদাগরদের মধ্যে তাকে ভাগ করে দেবে?
And do the nations feed upon him, and the nations of the Phoenicians share him?
7 তুমি কি হারপুন দিয়ে তার চামড়া বা মাছ ধরার বর্শা দিয়ে তার মাথা বিঁধতে পারো?
And all the ships come together would not be able to bear the mere skin of his tail; neither [shall they carry] his head in fishing vessels.
8 তুমি যদি তার গায়ে হাত দাও, তবে সেই সংগ্রাম তোমার মনে থাকবে ও তুমি আর কখনও তা করবে না!
But you shall lay your hand upon him [once], remembering the war that is waged by his mouth; and let it not be done any more.
9 তাকে বশে আনার যে কোনো আশা মিথ্যা; তাকে দেখামাত্রই মানুষ কাহিল হয়ে যায়।
Hast you not seen him? and have you not wondered at the things said [of him]?
10 কেউ সাহস করে তাকে জাগাতে যায় না। তবে আমার সামনে কে দাঁড়াতে পারবে?
Do you not fear because preparation has been made by me? for who is there that resists me?
11 কে দাবি করে বলতে পারে যে আমাকেই দিতে হবে? আকাশের নিচে যা যা আছে, সবই তো আমার।
Or who will resist me, and abide, since the whole [world] under heaven is mine?
12 “লিবিয়াথনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিষয়ে, তার শক্তি ও তার শ্রীমণ্ডিত গঠনের বিষয়ে আমি কথা না বলে থাকতে পারব না।
I will not be silent because of him: though because of his power [one] shall pity his antagonist.
13 কে তার বাইরের আচ্ছাদন খুলে নিতে পারে? কে তার বর্মের জোড়া আচ্ছাদন ভেদ করতে পারে?
Who will open the face of his garment? and who can enter within the fold of his breastplate?
14 কে তার সেই মুখের দরজা খোলার সাহস করতে পারে, যা ভয়ংকর দাঁতের সারি দিয়ে সাজানো?
Who will open the doors of his face? terror is round about his teeth.
15 তার পিঠে সারি সারি ঢাল আছে যা একসাথে আঁটোসাঁটোভাবে বাঁধা থাকে;
His inwards are as brazen plates, and the texture of his [skin] as a smyrite stone.
16 প্রত্যেকটি ঢাল পরবর্তীটির সাথে এমন ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত যে মাঝখান দিয়ে একটুও বাতাস বইতে পারে না।
One [part] cleaves fast to another, and the air can’t come between them.
17 সেগুলি পরস্পরের সঙ্গে অটলভাবে জুড়ে আছে; সেগুলি একসাথে আটকে আছে ও সেগুলি আলাদা করা যায় না।
They will remain united each to the other: they are closely joined, and can’t be separated.
18 সে হ্রেষাধ্বনি করলে আলোর ঝলক বের হয়; তার চোখদুটি ভোরের আলোকরশ্মির মতো।
At his sneezing a light shines, and his eyes are [as] the appearance of the morning star.
19 তার মুখ থেকে আগুনের শিখা প্রবাহিত হয়; সবেগে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নিক্ষিপ্ত হয়।
Out of his mouth proceed as it were burning lamps, and as it were hearths of fire are cast abroad.
20 তার নাক থেকে ধোঁয়া বের হয় যেভাবে ফুটন্ত পাত্র থেকে তা জ্বলন্ত নলখাগড়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
Out of his nostrils proceeds smoke of a furnace burning with fire of coals.
21 তার নিঃশ্বাসে কয়লা জ্বলে ওঠে, ও তার মুখ থেকে আগুনের শিখা উড়ে আসে।
His breath is [as] live coals, and a flame goes out of his mouth.
22 তার ঘাড়ে শক্তির বাস; আতঙ্ক তার সামনে সামনে যায়।
And power is lodged in his neck, before him destruction runs.
23 তার শরীরের ভাঁজ আঁটোসাঁটোভাবে যুক্ত; সেগুলি মজবুত ও অনড়।
The flesh also of his body is joined together: [if one] pours [violence] upon him, he shall not be moved.
24 তার বুক পাষাণ-পাথরের মতো কঠিন, জাঁতার নিচের পাটের মতো নিরেট।
His heart is firm as a stone, and it stands like an unyielding anvil.
25 যখন সে জেগে ওঠে, তখন শক্তিমানেরাও ভয় পায়; তারা আতঙ্কিত হয়ে তার সামনে থেকে পশ্চাদপসরণ করে।
And when he turns, [he is] a terror to the four-footed wild beasts which leap upon the earth.
26 তার দিকে এগিয়ে আসা তরোয়াল কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, বর্শা বা বাণ বা বল্লমও করতে পারে না।
If spears should come against him, [men] will effect nothing, [either with] the spear or the breast-plate.
27 সে লোহাকে খড়ের মতো ও ব্রোঞ্জকে পচা কাঠের মতো মনে করে।
For he considers iron as chaff, and brass as rotten wood.
28 তির ছুঁড়ে তাকে তাড়ানো যায় না; গুল্‌তির নুড়ি-পাথর তার কাছে তুষের সমান।
The bow of brass shall not would him, he deems a slinger as grass.
29 গদা তার কাছে নিছক এক টুকরো খড়মাত্র; বর্শার ঝন্‌ঝনানিকে সে উপহাস করে।
Mauls are counted as stubble; and he laughs to scorn the waving of the firebrand.
30 তার বগলগুলি খাঁজকাটা খাপরাবিশেষ, শস্য ঝাড়ার হাতুড়ির মতো সে কাদায় লম্বা সারি টেনে দেয়।
His lair is [formed of] sharp points; and all the gold of the sea under him is an immense [quantity of] clay.
31 অগাধ জলকে সে ফুটন্ত কড়ায় রাখা জলের মতো মন্থন করে ও এক পাত্রে রাখা মলমের মতো করে সমুদ্রকে নাড়ায়।
He makes the deep boil like a brazen cauldron; and he regards the sea as a pot of ointment,
32 সে তার পিছনে এক ঝকঝকে ছাপ ছেড়ে যায়; যে কেউ দেখে ভাববে যে অগাধ সমুদ্রের বুঝি পাকা চুল আছে।
and the lowest part of the deep as a captive: he reckons the deep as [his] range.
33 পৃথিবীর কোনো কিছুই তার সমতুল্য নয়— সে এক নির্ভীক প্রাণী।
There is nothing upon the earth like to him, formed to be sported with by my angels.
34 সব উদ্ধত প্রাণীকে সে অবজ্ঞার চোখে দেখে; সব অহংকারী প্রাণীর উপরে সে রাজত্ব করে।”
He beholds every high thing: and he is king of all that are in the waters.

< ইয়োবের বিবরণ 41 >