< ইয়োবের বিবরণ 40 >
1 সদাপ্রভু ইয়োবকে আরও বললেন:
2 “যে সর্বশক্তিমানের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করে সে কি তাঁকে সংশোধন করবে? যে ঈশ্বরকে অভিযুক্ত করেছে সেই তাঁকে জবাব দিক!”
3 পরে ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন:
4 “আমি অযোগ্য—আমি কীভাবে তোমাকে জবাব দেব? এই আমি আমার মুখে হাত দিলাম।
5 আমি একবার কথা বলেছি, কিন্তু আমার কাছে কোনও উত্তর নেই— দু-বার বলেছি, কিন্তু আমি আর কিছু বলব না।”
6 পরে ঝড়ের মধ্যে থেকে সদাপ্রভু ইয়োবের সঙ্গে কথা বললেন:
7 “পুরুষমানুষের মতো নিজেকে মজবুত করো; আমি তোমাকে প্রশ্ন করব, ও তুমি আমাকে উত্তর দেবে।
8 “তুমি কি আমার ন্যায়বিচার অগ্রাহ্য করবে? নিজেকে ধার্মিক প্রতিপন্ন করার জন্য কি তুমি আমাকে দোষী সাব্যস্ত করবে?
9 ঈশ্বরের মতো তোমারও কি হাত আছে, ও তাঁর মতো তুমিও কি বজ্রধ্বনি করতে পারো?
10 তবে নিজেকে প্রতাপ ও উজ্জ্বল দীপ্তি দিয়ে ঢেলে সাজাও, এবং সম্মান ও মর্যাদার পোশাক গায়ে দিয়ে নাও।
11 তোমার ক্রোধের উন্মত্ততা নিয়ন্ত্রণমুক্ত করো, যারা অহংকারী তাদের দিকে তাকাও ও তাদের নিচে টেনে নামাও,
12 যারা অহংকারী তাদের দিকে তাকাও ও তাদের নত করো, দুষ্টেরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই তাদের দমন করো।
13 তাদের সবাইকে একসাথে ধুলোয় পুঁতে ফেলো; কবরে তাদের মুখ আবৃত করো।
14 তখনই আমি তোমার কাছে স্বীকার করব যে তোমার নিজের ডান হাত তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে।
15 “বহেমোতের দিকে তাকাও, তাকে আমি তোমার সাথেই তৈরি করেছি ও বলদের মতো সেও তৃণভোজী।
16 তার কোমরে কত শক্তি আছে, তার পেটের পেশিতে কত ক্ষমতা আছে!
17 তার লেজ দেবদারু গাছের মতো দোলে; তার ঊরুর পেশিতন্তু আঁটোসাঁটোভাবে সংলগ্ন।
18 তার অস্থি ব্রোঞ্জের নলের মতো, তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ লোহার ছড়ের মতো।
19 ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্মের মধ্যে সেই প্রথম স্থান পেয়েছে, তবুও তার সৃষ্টিকর্তা তাঁর তরোয়াল নিয়ে তার কাছে যেতে পারেন।
20 পাহাড়গুলি তার কাছে তাদের উৎপন্ন দ্রব্য আনে, ও সব বুনো পশু তার কাছাকাছি খেলে বেড়ায়।
21 পদ্মবনের তলায় সে শুয়ে থাকে, জলাভূমির নলবনের মধ্যে সে লুকিয়ে থাকে।
22 পদ্মবন তার ছায়ায় তাকে আড়াল করে রাখে; জলস্রোতের ধারে থাকা ঝাউ গাছ তাকে ঘিরে রাখে।
23 ফুলেফেঁপে ওঠা নদী তাকে ভয় দেখাতে পারে না; জর্ডন নদীর ঢেউ তার মুখের উপর আছড়ে পড়লেও সে সুরক্ষিত থাকে।
24 কেউ কি চোখ দিয়ে তাকে ধরতে পারে, বা তাকে ফাঁদে ফেলে তার নাক ফুঁড়তে পারে?