< ইয়োবের বিবরণ 33 >

1 “কিন্তু এখন, হে ইয়োব, আমার কথা শুনুন; আমি যা কিছু বলি, তাতে মনোযোগ দিন।
তাই এখন, ইয়োব, আমি আপনাকে অনুনয় করি, আমার কথা শুনুন; আমার সমস্ত কথা শুনুন।
2 আমি আমার মুখ খুলতে যাচ্ছি; আমার কথা আমার জিভের ডগায় লেগে আছে।
এখন দেখুন, আমি আমার মুখ খুলেছি; আমার জিভ আমার মুখের ভিতরে কথা বলেছে।
3 আমার কথা এক ন্যায়পরায়ণ অন্তর থেকে বেরিয়ে আসে; আমি যা জানি আমার ঠোঁট সততাপূর্বক তাই বলে।
আমার কথা আমার হৃদয়ের ন্যায়পরায়ণতার বাক্য বলবে; আমার ঠোঁট যা জানে, তারা অকপটে তা বলবে।
4 ঈশ্বরের আত্মা আমাকে সৃষ্টি করেছেন; সর্বশক্তিমানের শ্বাস আমায় জীবন দান করেছে।
ঈশ্বরের আত্মা আমায় বানিয়েছেন; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস আমায় জীবন দিয়েছে।
5 যদি পারেন তবে আমার কথার উত্তর দিন; উঠে দাঁড়ান ও আমার সামনে আপনার মামলার যুক্তি সাজান।
যদি আপনি পারেন, আমায় উত্তর দিন; আপনার কথা আমার সামনে সাজিয়ে রাখুন এবং উঠে দাঁড়ান।
6 ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আপনি যেমন আমিও তেমনই; আমিও মাটির এক টুকরো।
দেখুন, আমিও ঠিক আপনার মত ঈশ্বরের চোখে; আমিও মাটি থেকেই তৈরী।
7 আমাকে ভয় করতে হবে না, বা আমার হাতও আপনার উপরে ভারী হবে না।
দেখুন, আমার আতঙ্ক আপনাকে ভয় পাওয়াবে না; না আমার চাপ আপনার কাছে খুব ভারী হবে।
8 “কিন্তু আপনি আমার কানে কানে বলেছেন— সেকথা আমি শুনেছি—
আপনি আমার কানের কাছে কথা বলেছেন; আমি আপনার কথার আওয়াজ শুনেছি,
9 ‘আমি শুচিশুদ্ধ, আমি কোনও অন্যায় করিনি; আমি নির্মল ও পাপমুক্ত।
আমি শুচি এবং পাপ বিহীন; আমি নির্দোষ এবং আমার মধ্যে কোন পাপ নেই।
10 তবুও ঈশ্বর আমার মধ্যে দোষ খুঁজে পেয়েছেন; তিনি আমাকে তাঁর শত্রু বলে গণ্য করেছেন।
১০দেখুন, ঈশ্বর আমাকে আক্রমণ করার সুযোগ খোঁজেন; তিনি আমায় তাঁর শত্রু মনে করেন।
11 তিনি আমার পায়ে বেড়ি পড়িয়েছেন; তিনি আমার সব পথের উপরে সজাগ দৃষ্টি রাখেন।’
১১তিনি আমার পায়ে বেড়ি পরান; তিনি আমার সমস্ত পথে দৃষ্টি রাখেন।
12 “কিন্তু আমি আপনাকে বলছি, এ বিষয়ে আপনি নির্ভুল নন, যেহেতু ঈশ্বর যে কোনো নশ্বর মানুষের চেয়ে মহান।
১২দেখুন, আমি আপনাকে উত্তর দেব: এই বলে যে আপনি সঠিক নন, কারণ ঈশ্বর মানুষের থেকে মহান।
13 আপনি কেন তাঁর কাছে অভিযোগ জানাচ্ছেন যে তিনি কারোর কথার উত্তর দেন না?
১৩কেন আপনি তাঁর বিরুদ্ধে বিবাদ করছেন? তিনি তাঁর মানুষের কোন কাজের হিসাব দেন না।
14 যেহেতু ঈশ্বর তো কথা বলেন—এখন একভাবে, তো তখন অন্যভাবে— যদিও কেউই তা হৃদয়ঙ্গম করে না।
১৪কারণ ঈশ্বর একবার বলেন বরং, দুবার বলেন, যদিও মানুষ তা লক্ষ্য করে না।
15 স্বপ্নে, রাতে আসা দর্শনে, যখন মানুষ গভীর ঘুমে মগ্ন থাকে তাদের বিছানায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে থাকে,
১৫স্বপ্নে, রাত্রির দর্শনে, যখন গভীর ঘুমে মানুষ আচ্ছন্ন হয়, বিছানায় গভীর ভাবে ঘুমায়
16 তখন হয়তো তিনি তাদের কানে কানে কথা বলেন ও সতর্কবার্তা দিয়ে তাদের আতঙ্কিত করে তোলেন,
১৬তখন ঈশ্বর মানুষের কান খোলেন এবং সতর্কবার্তায় তাদের ভয় দেখান।
17 যেন তিনি তাদের অন্যায়াচরণ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন ও অহংকার থেকে তাদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন,
১৭মানুষকে তার পাপময় উদ্দেশ্য থেকে ফেরাতে এবং তার থেকে অহঙ্কার দূরে রাখেন।
18 যেন খাত থেকে তাদের প্রাণ, তরোয়ালের আঘাত থেকে তাদের জীবন রক্ষা করতে পারেন।
১৮ঈশ্বর গর্ত থেকে মানুষের জীবন বাঁচান, মৃত্যু থেকে তার জীবন রক্ষা করেন।
19 “অথবা কেউ হয়তো অস্থিতে অবিরত যন্ত্রণা নিয়ে বিছানায় ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে শাস্তি পায়,
১৯মানুষ তার বিছানায় ব্যাথায় শাস্তি পায়, তার হাড়ের অবিরত অসম্ভব যন্ত্রণায়,
20 তাদের কাছে খাবার বিরক্তিকর বলে মনে হয় ও তাদের প্রাণ সুস্বাদু আহারও ঘৃণা করে।
২০যাতে তার জীবন খাবার ঘৃণা করে এবং তার প্রাণ সুস্বাদু খাবার ঘৃণা করে।
21 তাদের শরীর ক্ষয়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়, ও তাদের অস্থি, যা এক সময় অদৃশ্য ছিল, তা এখন বেরিয়ে পড়েছে।
২১তা মাংস ক্ষয়ে চলে যায় যাতে তা দেখা না যায়; তার হাড়, একদিন দেখা যেত না, কিন্তু এখন বেরিয়ে পড়েছে।
22 তারা খাতের কাছে এগিয়ে যায়, ও তাদের জীবন মৃত্যুদূতদের নিকটবর্তী হয়।
২২সত্যি, তার প্রাণ গর্তের কাছাকাছি, তার জীবন তাদের হাতে যারা তা ধ্বংস করতে চায়।
23 তবুও যদি তাদের পাশে থেকে একথা বলার জন্য এক স্বর্গদূতকে, হাজার জনের মধ্যে থেকে একজন দূতকে পাঠানো হয়, যে কীভাবে ন্যায়পরায়ণ হওয়া যায়,
২৩কিন্তু যদি সেখানে কোন স্বর্গদূত থাকে যে তার মধ্যস্থকারী হতে পারে, একজন মধ্যস্থকারী, একজন হাজার জনের মধ্যে থেকে, তাকে দেখাতে কোনটা ঠিক কাজ,
24 ও তিনি সেই লোকটির প্রতি অনুগ্রহকারী হয়ে ঈশ্বরকে বলেন, ‘খাদে নেমে যাওয়ার হাত থেকে তাদের রেহাই দাও; আমি তাদের জন্য মুক্তিপণ খুঁজে পেয়েছি—
২৪এবং যদি সেই স্বর্গদূত তার প্রতি সদয় হন এবং ঈশ্বরকে বলেন, এই লোকটিকে গর্তে নেমে যাওয়া থেকে রক্ষা করুন; আমি প্রায়শ্চিত্ত পেয়েছি,
25 তাদের শরীর এক শিশুর মতো সতেজ হয়ে যাক; তারা তাদের যৌবনের দিনগুলিতে ফিরে যাক।’
২৫তখন তার মাংস বাচ্চাদের থেকেও সতেজ হবে; সে তার যৌবন শক্তির দিনের ফিরে যাবে।
26 তখন সেই লোকটি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারবে ও তাঁর অনুগ্রহ লাভ করবে, তারা ঈশ্বরের মুখদর্শন করবে ও আনন্দে চিৎকার করবে; তিনি তাদের আবার পূর্ণ মঙ্গলের দশায় ফিরিয়ে আনবেন।
২৬সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে এবং ঈশ্বর তার প্রতি সদয় হবেন, যাতে সে আনন্দের সাথে ঈশ্বরের মুখ দেখে। ঈশ্বর সেই লোককে তাঁর ধার্ম্মিকতা দেবেন।
27 আর তারা অন্যদের কাছে গিয়ে বলবে, ‘আমি পাপ করেছি, আমি সত্য বিকৃত করেছি, কিন্তু আমার যা প্রাপ্য আমি তা পাইনি।
২৭তখন সেই লোক অন্য সমস্ত লোকের সামনে গান করবে এবং বলবে, আমি পাপ করেছি এবং যা ঠিক ছিল তা বিকৃত করেছি, কিন্তু আমার পাপের জন্য কোন শাস্তি পাইনি।
28 ঈশ্বর আমাকে খাদে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছেন, ও আমি জীবনের আলো উপভোগ করার জন্য বেঁচে থাকব।’
২৮ঈশ্বর গর্তে নেমে যাওয়া থেকে আমার প্রাণকে রক্ষা করেছেন; আমার জীবন আলো দেখবে।
29 “ঈশ্বর একজন লোকের সঙ্গে এসব কিছু করেন— দু-বার, এমনকি তিনবারও করেন—
২৯দেখ, ঈশ্বর এই সমস্ত একজন মানুষের জন্য করেছেন, হ্যাঁ দুবার, এমনকি তিনবার করেছেন,
30 খাত থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য, যেন তাদের উপরে জীবনের আলো উদ্ভাসিত হয়।
৩০তার জীবন নরক থেকে ফিরিয়ে আনতে, যাতে সে জীবন্ত লোকেদের আলোয় আলোকিত হয়।
31 “হে ইয়োব, মনোযোগ দিন, ও আমার কথা শুনুন; নীরব থাকুন, ও আমাকে বলতে দিন।
৩১ইয়োব, মনোযোগ দিন এবং আমার কথা শুনুন; আপনি চুপ করে থাকুন এবং আমি কথা বলব।
32 আপনার যদি কিছু বলার থাকে, তবে আমাকে উত্তর দিন; কথা বলুন, কারণ আমি আপনাকে সমর্থন করতে চাই।
৩২যদি আপনার কোন কথা থাকে, আমাকে বলুন; কথা বলুন, কারণ আমি প্রমাণ করতে চাই যে আপনি ন্যায়ী।
33 কিন্তু যদি না থাকে, তবে আমার কথা শুনুন; নীরব থাকুন, ও আমি আপনাকে জ্ঞান শিক্ষা দেব।”
৩৩যদি না থাকে, তবে আমার কথা শুনুন; চুপ করে থাকুন এবং আমি আপনাকে প্রজ্ঞা শিক্ষা দেব।

< ইয়োবের বিবরণ 33 >