< ইয়োবের বিবরণ 29 >

1 ইয়োব তাঁর বক্তৃতা চালিয়ে গেলেন:
وَعَادَ أَيُّوبُ يَنْطِقُ بِمَثَلِهِ فَقَالَ:١
2 “পার হয়ে যাওয়া মাসগুলির জন্য আমি কতই না আকাঙ্ক্ষিত, সেই দিনগুলির জন্যও আকাঙ্ক্ষিত, যখন ঈশ্বর আমার উপরে লক্ষ্য রাখতেন,
«يَا لَيْتَنِي كَمَا فِي ٱلشُّهُورِ ٱلسَّالِفَةِ وَكَٱلْأَيَّامِ ٱلَّتِي حَفِظَنِي ٱللهُ فِيهَا،٢
3 যখন তাঁর প্রদীপ আমার মাথার উপরে আলো দিত ও তাঁর আলোতে আমি অন্ধকারেও চলাফেরা করতাম!
حِينَ أَضَاءَ سِرَاجَهُ عَلَى رَأْسِي، وَبِنُورِهِ سَلَكْتُ ٱلظُّلْمَةَ.٣
4 আহা সেই দিনগুলি, যখন আমি উন্নতির শিখরে ছিলাম, ঈশ্বরের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব আমার বাড়িকে আশীর্বাদ করেছিল,
كَمَا كُنْتُ فِي أَيَّامِ خَرِيفِي، وَرِضَا ٱللهِ عَلَى خَيْمَتِي،٤
5 যখন সেই সর্বশক্তিমান আমার সাথেই ছিলেন ও আমার সন্তানেরা আমার চারপাশে ছিল,
وَٱلْقَدِيرُ بَعْدُ مَعِي وَحَوْلِي غِلْمَانِي،٥
6 আমার পথ যখন ননি প্লাবিত হত ও পাষাণ-পাথর আমার জন্য জলপাই তেলের ধারা ঢেলে দিত।
إِذْ غَسَلْتُ خَطَوَاتِي بِٱللَّبَنِ، وَٱلصَّخْرُ سَكَبَ لِي جَدَاوِلَ زَيْتٍ.٦
7 “আমি যখন নগরদ্বারে পৌঁছাতাম ও সার্বজনীন চকে আসন গ্রহণ করতাম,
حِينَ كُنْتُ أَخْرُجُ إِلَى ٱلْبَابِ فِي ٱلْقَرْيَةِ، وَأُهَيِّئُ فِي ٱلسَّاحَةِ مَجْلِسِي.٧
8 যুবকেরা আমাকে দেখে সরে যেত ও প্রাচীনেরা উঠে দাঁড়াতেন;
رَآنِي ٱلْغِلْمَانُ فَٱخْتَبَأُوا، وَٱلْأَشْيَاخُ قَامُوا وَوَقَفُوا.٨
9 শীর্ষস্থানীয় লোকেরা কথা বলা বন্ধ করে দিতেন ও হাত দিয়ে নিজেদের মুখ ঢেকে নিতেন;
ٱلْعُظَمَاءُ أَمْسَكُوا عَنِ ٱلْكَلَامِ، وَوَضَعُوا أَيْدِيَهُمْ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ.٩
10 অভিজাতদের কণ্ঠস্বর ধামাচাপা পড়ে যেত, ও তাদের জিভ তালুতে সংলগ্ন হত।
صَوْتُ ٱلشُّرَفَاءِ ٱخْتَفَى، وَلَصِقَتْ أَلْسِنَتُهُمْ بِأَحْنَاكِهِمْ.١٠
11 আমার কথা শুনে সবাই সাধুবাদ জানাত, ও আমাকে দেখে সবাই আমার প্রশংসা করত,
لِأَنَّ ٱلْأُذُنَ سَمِعَتْ فَطَوَّبَتْنِي، وَٱلْعَيْنَ رَأَتْ فَشَهِدَتْ لِي،١١
12 যেহেতু আমি সাহায্যের আশায় আর্তনাদ করা দরিদ্রকে, ও অসহায় পিতৃহীনকে উদ্ধার করতাম।
لِأَنِّي أَنْقَذْتُ ٱلْمِسْكِينَ ٱلْمُسْتَغِيثَ وَٱلْيَتِيمَ وَلَا مُعِينَ لَهُ.١٢
13 মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ আমাকে আশীর্বাদ করত; বিধবার অন্তরে আমি গানের সঞ্চার করতাম।
بَرَكَةُ ٱلْهَالِكِ حَلَّتْ عَلَيَّ، وَجَعَلْتُ قَلْبَ ٱلْأَرْمَلَةِ يُسَرُّ.١٣
14 আমি আমার ধার্মিকতা পোশাকরূপে গায়ে দিতাম; ন্যায়বিচার ছিল আমার আলখাল্লা ও আমার পাগড়ি।
لَبِسْتُ ٱلْبِرَّ فَكَسَانِي. كَجُبَّةٍ وَعِمَامَةٍ كَانَ عَدْلِي.١٤
15 অন্ধের কাছে আমি ছিলাম চোখ ও খঞ্জের কাছে পা।
كُنْتُ عُيُونًا لِلْعُمْيِ، وَأَرْجُلًا لِلْعُرْجِ.١٥
16 অভাবগ্রস্তের কাছে আমি ছিলাম একজন বাবা; অপরিচিত লোকের মামলা আমি হাতে তুলে নিতাম।
أَبٌ أَنَا لِلْفُقَرَاءِ، وَدَعْوَى لَمْ أَعْرِفْهَا فَحَصْتُ عَنْهَا.١٦
17 দুষ্টদের বিষদাঁত আমি ভেঙে দিতাম ও তাদের দাঁত থেকে শিকারদের ছিনিয়ে আনতাম।
هَشَّمْتُ أَضْرَاسَ ٱلظَّالِمِ، وَمِنْ بَيْنِ أَسْنَانِهِ خَطَفْتُ ٱلْفَرِيسَةَ.١٧
18 “আমি ভাবলাম, ‘নিজের বাড়িতেই আমি মারা যাব, আমার দিনগুলি হবে বালুকণার মতো অসংখ্য।
فَقُلْتُ: إِنِّي فِي وَكْرِي أُسَلِّمُ ٱلرُّوحَ، وَمِثْلَ ٱلسَّمَنْدَلِ أُكَثِّرُ أَيَّامًا.١٨
19 আমার মূল জলের কাছে গিয়ে পৌঁছাবে, ও আমার শাখাপ্রশাখায় গোটা রাত শিশির পড়বে।
أَصْلِي كَانَ مُنْبَسِطًا إِلَى ٱلْمِيَاهِ، وَٱلطَّلُّ بَاتَ عَلَى أَغْصَانِي.١٩
20 আমার গরিমা ম্লান হবে না; ধনুক আমার হাতে চিরনতুন হয়ে থাকবে।’
كَرَامَتِي بَقِيَتْ حَدِيثَةً عِنْدِي، وَقَوْسِي تَجَدَّدَتْ فِي يَدِي.٢٠
21 “মানুষজন প্রত্যাশা নিয়ে আমার কথা শুনত, আমার পরামর্শ লাভের জন্য নীরবে অপেক্ষা করত।
لِي سَمِعُوا وَٱنْتَظَرُوا، وَنَصَتُوا عِنْدَ مَشُورَتِي.٢١
22 আমি কথা বলার পর, তারা আর কিছুই বলত না; আমার কথাবার্তা মৃদুভাবে তাদের কানে গিয়ে পড়ত।
بَعْدَ كَلَامِي لَمْ يُثَنُّوا، وَقَوْلِي قَطَرَ عَلَيْهِمْ.٢٢
23 তারা যেমন বৃষ্টির, তেমনি আমার অপেক্ষায় থাকত ও শেষ বর্ষার মতো আমার কথাবার্তা পান করত।
وَٱنْتَظَرُونِي مِثْلَ ٱلْمَطَرِ، وَفَغَرُوا أَفْوَاهَهُمْ كَمَا لِلْمَطَرِ ٱلْمُتَأَخِّرِ.٢٣
24 আমি যখন তাদের দিকে তাকিয়ে হাসতাম, তারা পুরোপুরি বিশ্বাস করত না; আমার মুখের আলো তাদের চমৎকার লাগত।
إِنْ ضَحِكْتُ عَلَيْهِمْ لَمْ يُصَدِّقُوا، وَنُورَ وَجْهِي لَمْ يُعَبِّسُوا.٢٤
25 আমি তাদের জন্য পথ মনোনীত করতাম ও তাদের নেতা হয়ে বসতাম; সৈন্যদলের মধ্যে যেমন রাজা, তেমনি থাকতাম; বিলাপকারীদের যে সান্ত্বনা দেয়, তারই মতো থাকতাম।
كُنْتُ أَخْتَارُ طَرِيقَهُمْ وَأَجْلِسُ رَأْسًا، وَأَسْكُنُ كَمَلِكٍ فِي جَيْشٍ، كَمَنْ يُعَزِّي ٱلنَّائِحِينَ.٢٥

< ইয়োবের বিবরণ 29 >