< ইয়োবের বিবরণ 28 >

1 রুপোর জন্য খনি আছে ও একটি স্থান আছে যেখানে সোনা শোধন করা হয়।
নিশ্চিত সেখানে রূপার খনি আছে, যেখানে তারা সোনাও পরিষ্কার করে।
2 ভূগর্ভ থেকে লোহা উত্তোলন করা হয়, ও আকরিক থেকে তামা বিগলিত করা হয়।
লোহা মাটি থেকে বার করা হয়, তামা পাথর থেকে গলিয়ে বার করা হয়।
3 নশ্বর মানুষ অন্ধকার নিকাশ করে; তারা সবচেয়ে অন্ধকারে থাকা আকরিক পাওয়ার জন্য সর্বাধিক দূরবর্তী গর্তের খোঁজ করে।
একজন মানুষ অন্ধকার শেষ করেন এবং সেই পাথর দুর্বোধ্য এবং ঘন অন্ধকার জায়গা থেকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে খুঁজে বার করে।
4 লোকালয় থেকে বহুদূরে অবস্থিত এমন স্থানে তারা খাদ কাটে, যেখানে মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি; অন্যান্য মানুষজনের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে তারা দুলতে ও ঝুলতে থাকে।
লোকেরা যেখানে বাস করে তার থেকে দূরে সে একটি খাদ খোঁড়ে, সেই জায়গা যা মানুষ ভুলে গেছে, সে লোকেদের থেকে দূরে ঝুলত এবং দুলতো এবং সে এখানে ওখানে ঘুরত।
5 যে মাটি থেকে খাদ্য উৎপন্ন হয়, তার তলদেশ আগুন দ্বারা রূপান্তরিত হয়ে যায়;
যেমন পৃথিবী থেকে শস্য উত্পাদন হয়, তার গোড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
6 সেখানকার পাষাণ-পাথরগুলিতে নীলকান্তমণি পাওয়া যায়, ও সেখানকার ধুলোয় দলা দলা সোনা মিশে থাকে।
তার পাথর যেখানে নীলকান্ত মণি পাওয়া যায় এবং এটার ধূলোয় সোনা থাকে।
7 কোনও শিকারি পাখি সেই গুপ্ত পথ চেনে না, কোনও বাজপাখির চোখ তা দেখেনি।
না কোন শিকারী পাখি এটার পথ জানে, না বাজপাখির চোখ এটা দেখেছে।
8 উদ্ধত পশুরা তার উপরে পা ফেলে না, ও কোনও সিংহ সেখানে শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় না।
গর্বিত পশুরাও সেই রকম পথ দিয়ে হাঁটে নি, না ভয়ঙ্কর সিংহ সেখান দিয়ে গেছে।
9 মানুষজন তাদের হাত দিয়ে সেই অতি কঠিন পাষাণ-পাথরে হামলা চালায় ও পর্বত-মূল উন্মুক্ত করে দেয়।
মানুষ শক্ত পাথরের ওপর তার হাত রাখে; সে পাহাড়দের সমূলে উল্টিয়ে ফেলে।
10 তারা পাষাণ-পাথর খুঁড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে; সেখানকার সব মণিরত্ন তাদের চোখে পড়ে।
১০সে পাথরের মধ্যে দিয়ে নালা কাটে; তার চোখ সেখানকার সমস্ত মূল্যবান জিনিস দেখে।
11 তারা নদীর উৎসস্থলের খোঁজ করে ও লুকানো বস্তুগুলি প্রকাশ্যে আনে।
১১সে ঝর্নাদের বাঁধে যাতে তারা চলে না যায়; যা কিছু সেখানে লুকান সে তা আলোয় নিয়ে আসে।
12 কিন্তু প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যাবে? বুদ্ধি-বিবেচনা কোথায় থাকে?
১২প্রজ্ঞা কোথায় পাওয়া যাবে? বুদ্ধির স্থানই বা কোথায়?
13 কোনও নশ্বর মানুষ তার মূল্য হৃদয়ঙ্গম করতে পারে না; জীবিতদের দেশে তা পাওয়া যায় না।
১৩মানুষ এর মূল্য জানে না; না এটা জীবিতদের দেশে পাওয়া যায়।
14 অগাধ জলরাশি বলে, “আমাতে তা নেই” সমুদ্র বলে, “আমার কাছেও তা নেই।”
১৪গভীর জলরাশি বলে, এটা আমার মধ্যে নেই; সমুদ্র বলে, এটা আমার কাছে নেই।
15 খাঁটি সোনা দিয়ে তা কেনা যায় না, তার মূল্য রুপো দিয়েও মেপে দেওয়া যায় না।
১৫এটা সোনা দিয়ে পাওয়া যায় না; না রূপা এটার দাম নির্ধারণ করতে পারে।
16 ওফীরের সোনা দিয়ে, মূল্যবান গোমেদক বা নীলকান্তমণি দিয়েও তা কেনা যায় না।
১৬ওফীরের সোনাও এটার সমান নয়, অনেক দামী মনি বা নীলকান্ত মণিও এটার সমান নয়।
17 তার সাথে সোনা বা স্ফটিকের তুলনা করা যায় না, সোনা-মানিকের বিনিময়ে তা পাওয়া যায় না।
১৭সোনা এবং কাঁচ এটার দামের সমান নয়; না এটা খাঁটি সোনার গয়নার সঙ্গে পরিবর্তন করা যায়।
18 প্রবাল ও জ্যাসপারের কথাই ওঠে না; প্রজ্ঞার মূল্য পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি।
১৮তার কাছে প্রবাল এবং কাঁচের কথা উল্লেখ করা যায় না; সত্যি, প্রজ্ঞার দাম চুনির থেকেও বেশি।
19 তার সাথে কূশ দেশের পোখরাজের তুলনা করা যায় না; খাঁটি সোনা দিয়েও তা কেনা যায় না।
১৯কূশ দেশের পোখরাজ এটার সমান নয়; না এটা খাঁটি সোনার সমান।
20 তবে প্রজ্ঞা কোথা থেকে আসে? বুদ্ধি-বিবেচনা কোথায় থাকে?
২০অতএব, কোথা থেকে, প্রজ্ঞা আসবে? বুদ্ধির স্থানই বা কোথায়?
21 প্রত্যেক সজীব প্রাণীর চোখে তা অজ্ঞাত থাকে, আকাশের পাখিদের কাছেও তা অদৃশ্য থাকে।
২১প্রজ্ঞা সমস্ত সজীব প্রাণীর চোখ থেকে গুপ্ত এবং এটা আকাশের পাখিদের থেকেও গোপন।
22 বিনাশ ও মৃত্যু বলে, “আমাদের কানে শুধু এক গুজব পৌঁছেছে।”
২২ধ্বংস এবং মৃত্যু বলে, আমরা নিজের কানে এটার বিষয়ে একটা গুজব শুনেছি।
23 ঈশ্বরই প্রজ্ঞার কাছে পৌঁছানোর রাস্তা জানেন ও একমাত্র তিনিই জানেন তা কোথায় থাকে,
২৩ঈশ্বর এটার পথ বোঝেন; তিনি এটার জায়গা জানেন।
24 যেহেতু তিনি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত দেখেন ও আকাশমণ্ডলের নিচে যা যা আছে, তিনি সবকিছু দেখেন।
২৪কারণ তিনি পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত দেখেন এবং আকাশের নিচের সব কিছু দেখেন।
25 যখন তিনি বাতাসের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন ও জলরাশির মাপ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন,
২৫অতীতে, তিনি বাতাসের শক্তি নিরূপন করলেন এবং জলের পরিমাণ মাপলেন।
26 যখন তিনি বর্ষার জন্য এক আদেশ জারি করেছিলেন ও বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝোড়ো বৃষ্টির জন্য এক পথ স্থির করেছিলেন,
২৬তিনি বৃষ্টির জন্য আদেশ করলেন এবং বর্জ-বিদ্যুতের জন্য পথ তৈরী করলেন।
27 তখন তিনি প্রজ্ঞার দিকে তাকিয়েছিলেন ও তার মূল্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন; তিনি তাকে অনুমোদন দিয়েছিলেন ও তার পরীক্ষা নিয়েছিলেন।
২৭তখন তিনি প্রজ্ঞাকে দেখলেন এবং এটার ঘোষণা করলেন; সত্যি, তিনি এটা প্রতিষ্ঠা করলেন এবং তিনি এটার পরীক্ষা করলেন।
28 আর তিনি মানবজাতিকে বললেন, “সদাপ্রভুর ভয়—সেটিই হল প্রজ্ঞা, ও মন্দকে এড়িয়ে চলাই হল বুদ্ধি-বিবেচনা।”
২৮তিনি লোকেদের বললেন, দেখ, প্রভুর ভয় সেটা প্রজ্ঞা; মন্দ থেকে দূরে সরে যাওয়াই হল বুদ্ধি।

< ইয়োবের বিবরণ 28 >