< ইয়োবের বিবরণ 27 >
1 আর ইয়োব তাঁর বক্তৃতা চালিয়ে গেলেন:
Hiob ciągnął dalej swoją odpowiedź:
2 “যিনি আমাকে ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছেন, সেই জীবন্ত ঈশ্বরের দিব্যি, যিনি আমার প্রাণ তিক্ত করে দিয়েছেন, সেই সর্বশক্তিমানের দিব্যি,
Jak żyje Bóg, [który] odrzucił mój sąd, i Wszechmocny, [który] rozgoryczył moją duszę;
3 যতদিন আমার শরীরে প্রাণ আছে, আমার নাকে ঈশ্বরের প্রাণবায়ু আছে,
Dopóki jest we mnie tchnienie i duch Boży w moich nozdrzach;
4 ততদিন আমার ঠোঁট খারাপ কোনও কথা বলবে না, ও আমার জিভ মিথ্যা কথা উচ্চারণ করবে না।
Moje wargi nie będą mówiły niegodziwości, a mój język nie wypowie fałszu.
5 আমি কখনোই স্বীকার করব না যে তোমরা নির্ভুল; আমৃত্যু আমি আমার সততা অস্বীকার করব না।
Nie daj Boże, abym miał was usprawiedliwiać; do śmierci nie odstąpię od swej niewinności.
6 আমি আমার সরলতা বজায় রাখব ও কখনোই তা ত্যাগ করব না; যতদিন আমি বেঁচে থাকব, আমার বিবেক আমাকে অনুযোগ করবে না।
Będę trzymał się swojej sprawiedliwości i nie puszczę jej; moje serce nie oskarży mnie, póki żyję.
7 “আমার শত্রু দুষ্টের মতো হোক, আমার বিপক্ষ অধার্মিকের মতো হোক।
Niech mój wróg będzie jak niegodziwiec, a ten, który powstaje przeciwko mnie, jak niesprawiedliwy.
8 যেহেতু অনীশ্বররা যখন বিচ্ছিন্ন হয়, যখন ঈশ্বর তাদের প্রাণ কেড়ে নেন, তখন তাদের কাছে কী প্রত্যাশা থাকে?
Jaka bowiem jest nadzieja obłudnika, choćby zysk osiągnął, gdy Bóg zabiera mu duszę?
9 ঈশ্বর কি তখন তাদের আর্তনাদ শোনেন যখন তাদের উপরে চরম দুর্দশা নেমে আসে?
Czy Bóg usłyszy jego wołanie, gdy spadnie na niego nieszczęście?
10 তারা কি সর্বশক্তিমানে আনন্দ খুঁজে পাবে? তারা কি সবসময় ঈশ্বরকে ডাকবে?
Czy będzie się rozkoszować Wszechmocnym? Czy będzie wciąż wzywał Boga?
11 “ঈশ্বরের পরাক্রমের বিষয়ে আমি তোমাদের শিক্ষা দেব; সর্বশক্তিমানের কোনো কিছুই আমি লুকিয়ে রাখব না।
Pouczę was, [będąc] w ręce Boga, nie zataję niczego o Wszechmocnym.
12 তোমরা নিজেরাই তো তা দেখেছ। তবে কেন এই অনর্থক কথা বলছ?
Oto wy wszyscy [to] widzicie; po co więc te próżne słowa?
13 “ঈশ্বর দুষ্টদের এই পরিণতিই বরাদ্দ করে দিয়েছেন, নিষ্ঠুর মানুষ সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে এই উত্তরাধিকারই লাভ করে:
Taki jest dział niegodziwca u Boga i takie dziedzictwo, które otrzymają od Wszechmocnego ciemięzcy.
14 তাদের সন্তানদের সংখ্যা যতই বেশি হোক না কেন, তাদের পরিণতি তরোয়ালই; তাদের সন্তানসন্ততি কখনোই পর্যাপ্ত খাদ্য পাবে না।
Jeśli rozmnożą się jego synowie, [pójdą] pod miecz; a jego potomstwo nie nasyci się chlebem.
15 যারা বেঁচে থাকবে মহামারি তাদের কবর দেবে, ও তাদের বিধবারাও তাদের জন্য কাঁদবে না।
Ci, którzy po nim pozostaną, będą pogrzebani w śmierci, a jego wdowy nie będą [go] opłakiwały;
16 যদিও সে ধুলোর মতো করে গাদা গাদা রুপো ও কাদার পাঁজার মতো করে পোশাক-পরিচ্ছদ জমাবে,
Choćby nagromadził srebra jak prochu i przygotował sobie szat jak gliny;
17 তবুও সে যা জমাবে ধার্মিকেরা তা গায়ে দেবে, ও নির্দোষ মানুষেরা তার রুপো ভাগাভাগি করে নেবে।
To choć je przygotuje, włoży je sprawiedliwy, a niewinny będzie dzielić srebro.
18 যে বাড়ি সে তৈরি করে তা পতঙ্গের গুটির মতো, চৌকিদারের তৈরি করা কুঁড়েঘরের মতো।
Zbuduje swój dom jak mól, jak szałas, który stawia stróż.
19 সে ধনবান অবস্থায় শুতে যায়, কিন্তু আর কখনও সে এরকম করতে পারবে না; সে যখন চোখ খোলে, তখন সব শেষ।
Bogaty zaśnie, a nie będzie pogrzebany; otworzy oczy, ale [już] go nie ma.
20 আতঙ্ক বন্যার মতো তার নাগাল ধরে ফেলে; রাতের বেলায় প্রচণ্ড ঝড় তাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
Ogarnie go strach jak wody, w nocy porwie go wicher.
21 পূর্বীয় বাতাস তাকে তুলে নিয়ে যায়, ও সে সর্বস্বান্ত হয়; সেই বাতাস তাকে স্বস্থান থেকে উড়িয়ে দেয়।
Uniesie go wiatr wschodni, a odejdzie; bo wicher wyrwie go z jego miejsca.
22 সে যত সেই বাতাসের প্রকোপ থেকে পালায় তা নির্দয়ভাবে তাকে সজোরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
To bowiem [Bóg] rzuci na niego i nie oszczędzi [go], choć bardzo chciał uciekać przed jego ręką.
23 সেই বাতাস উপহাসভরে হাততালি দেয় ও শিস দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়।”
Będą klaskać nad nim w dłonie i wygwizdywać go z jego miejsca.