< ইয়োবের বিবরণ 22 >
1 পরে তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন:
Darauf antwortete Eliphas, der Temaniter, und sprach:
2 “কোনও মানুষ কি ঈশ্বরের পক্ষে লাভজনক হবে? একজন জ্ঞানবানও কি তাঁর উপকার করতে পারবে?
Mag auch ein Mann Gott etwas nützen? Es nützt ja der Verständige nur sich selbst.
3 তুমি ধার্মিক হলেও তা সর্বশক্তিমানকে কী আনন্দ দেবে? তোমার আচরণ অনিন্দনীয় হলেও তাতে তাঁর কী লাভ?
Hat der Allmächtige Freude, wenn du gerecht bist? Ist's ihm ein Gewinn, wenn du in Unschuld wandelst?
4 “তোমার ভক্তি দেখেই কি তিনি তোমাকে তিরস্কার করেন ও তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন?
Straft er dich wegen deiner Gottesfurcht, und geht er darum mit dir ins Gericht?
5 তোমার দুষ্টতা কি অত্যধিক নয়? তোমার পাপগুলিও কি অপার নয়?
Sind nicht deine Missetaten groß und deine Schulden ohne Ende?
6 অকারণে তুমি তোমার আত্মীয়দের কাছ থেকে জামানত চেয়েছ; তুমি লোকদের পরনের পোশাক কেড়ে নিয়েছ, তাদের উলঙ্গ করে ছেড়েছ।
Du hast wohl deine Brüder gepfändet und den Entblößten die Kleider ausgezogen;
7 তুমি ক্লান্ত মানুষকে জল দাওনি ও ক্ষুধার্ত মানুষকে খাদ্য দিতে অসম্মত হয়েছ,
vielleicht hast du dem Müden kein Wasser zu trinken gegeben oder dem Hungrigen das Brot versagt.
8 যদিও তুমি এক ক্ষমতাপরায়ণ লোক, দেশের অধিকারী ছিলে— এমন এক সম্মানিত লোক ছিলে, যে সেখানেই বসবাস করত।
Der Mächtige hat das Land bekommen, und der Angesehene wohnte darin.
9 আর তুমি বিধবাদের খালি হাতে বিদায় করতে, ও পিতৃহীনদের শক্তি চূর্ণ করতে।
Du hast Witwen leer fortgeschickt und die Arme der Waisen zusammenbrechen lassen.
10 সেইজন্যই তোমার চারপাশে ফাঁদ পাতা আছে, আকস্মিক বিপদ তোমাকে আতঙ্কিত করে,
Darum liegst du in Banden und hat Furcht dich plötzlich überfallen.
11 এত অন্ধকার হয়েছে যে তুমি দেখতে পাচ্ছ না, ও জলের বন্যা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে।
Oder siehst du die Finsternis nicht und die Wasserflut, die dich bedeckt?
12 “ঈশ্বর কি স্বর্গের উচ্চতায় বিরাজমান নন? আর দেখো অতি উচ্চে অবস্থিত তারাগুলি কত উঁচু!
Ist Gott nicht himmelhoch? Siehe doch die höchsten Sterne, wie hoch sie stehen!
13 তবুও তুমি বলো, ‘ঈশ্বর কী-ই বা জানেন? এ ধরনের অন্ধকার দিয়ে তিনি কি বিচার করেন?
Und du denkst: «Was weiß Gott! Sollte er hinter dem Dunkel richten?
14 ঘন মেঘ তাঁকে আড়াল করে রাখে, তাই তিনি আমাদের দেখতে পান না যেহেতু তিনি খিলানযুক্ত আকাশমণ্ডলে বিচরণ করেন।’
Die Wolken hüllen ihn ein, daß er nicht sehen kann, und er wandelt auf dem Himmelsgewölbe umher!»
15 তুমি কি সেই পুরানো পথই ধরবে যে পথে দুষ্টেরা পা ফেলেছিল?
Willst du den alten Weg befolgen, den die Bösewichte gegangen sind,
16 তাদের তো অকালেই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তাদের ভিত্তিমূল বন্যায় ভেসে গিয়েছে।
die weggerafft wurden von der Flut, deren Fundament der Strom wegriß,
17 তারা ঈশ্বরকে বলেছিল, ‘আমাদের ছেড়ে দাও! সর্বশক্তিমান আমাদের কী করবেন?’
die zu Gott sprachen: «Hebe dich weg von uns!» und «was könnte der Allmächtige einem tun?»
18 অথচ তিনিই তাদের বাড়িঘর ভালো ভালো জিনিসপত্রে ভরিয়ে দিয়েছিলেন, তাই আমি দুষ্টদের পরিকল্পনা থেকে দূরে সরে দাঁড়াই।
Und er hatte doch ihre Häuser mit Gütern erfüllt! Doch der Gottlosen Rat sei fern von mir!
19 ধার্মিকেরা তাদের বিনাশ দেখে ও আনন্দ করে; নির্দোষেরা তাদের বিদ্রুপ করে বলে,
Die Gerechten werden es sehen und sich freuen, und der Unschuldige wird ihrer spotten:
20 ‘আমাদের শত্রুরা নিশ্চয় ধ্বংস হয়েছে, ও আগুন তাদের ধনসম্পদ গ্রাস করেছে।’
«Fürwahr, unsere Widersacher werden vertilgt, und das Feuer hat ihren Überrest verzehrt.»
21 “ঈশ্বরের হাতে নিজেকে সমর্পণ করো ও শান্তি পাও; এভাবেই তুমি সমৃদ্ধিলাভ করবে।
Befreunde dich doch mit Ihm und mache Frieden! Dadurch wird Gutes über dich kommen.
22 তাঁর মুখ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করো ও তোমার হৃদয়ে তাঁর বাক্য সঞ্চয় করে রাখো।
Nimm doch Belehrung an aus seinem Mund und lege seine Worte in dein Herz!
23 তুমি যদি সর্বশক্তিমানের দিকে ফেরো, তবে তুমি পুনঃস্থাপিত হবে: তুমি যদি তোমার তাঁবু থেকে দুষ্টতা দূর করো
Wenn du dich zu dem Allmächtigen kehrst, so wirst du aufgerichtet werden, wenn du die Ungerechtigkeit aus deiner Hütte entfernst.
24 ও তোমার সোনার তাল ধুলোতে রাখো, তোমার ওফীরের সোনা গিরিখাতের পাষাণ-পাথরের মধ্যে রাখো,
Wirf das Gold in den Staub und das Ophirgold zu den Steinen der Bäche,
25 তবে সর্বশক্তিমানই তোমার সোনা হবেন, তোমার জন্য অসাধারণ রুপো হবেন।
so wird der Allmächtige dein Gold und dein glänzendes Silber sein!
26 তখন নিশ্চয় তুমি সর্বশক্তিমানে আনন্দ খুঁজে পাবে ও তোমার মুখ ঈশ্বরের দিকে তুলে ধরবে।
Dann wirst du dich an dem Allmächtigen ergötzen und dein Angesicht zu Gott erheben;
27 তুমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে, এবং তিনি তোমার প্রার্থনা শুনবেন, ও তুমি তোমার মানতগুলি পূরণ করবে।
du wirst zu ihm flehen, und er wird dich erhören, und du wirst deine Gelübde bezahlen.
28 তুমি যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই সফল হবে, ও তোমার পথগুলি আলোয় উজ্জ্বল হবে।
Was du vornimmst, das wird dir gelingen, und ein Licht wird auf deinen Wegen leuchten.
29 মানুষকে যখন অবনত করা হয় ও তুমি বলো, ‘ওদের তুলে ধরো!’ তখন তিনি হতোদ্যমকে উদ্ধার করবেন।
Führen sie abwärts, so wirst du sagen: «Es geht empor!» Und wer die Augen niederschlägt, den wird er retten.
30 যে নির্দোষ নয় তিনি তাকেও উদ্ধার করবেন, তোমার হাতের পরিচ্ছন্নতায় সে উদ্ধার পাবে।”
Er wird [selbst] den freilassen, der nicht unschuldig ist: durch die Reinheit deiner Hände wird er entrinnen.