< ইয়োবের বিবরণ 21 >
ଏଥିରେ ଆୟୁବ ଉତ୍ତର କରି କହିଲା,
2 “আমার কথা মন দিয়ে শোনো; এই হোক সেই সান্ত্বনা যা তোমরা আমাকে দিতে পারো।
“ମନୋଯୋଗ କରି ମୋʼ କଥା ଶୁଣ ଓ ତାହା ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କର ସାନ୍ତ୍ୱନା ହେଉ।
3 আমি কথা বলার সময় তোমরা একটু সহ্য করো, ও আমি কথা বলার পর, তোমরা আমাকে বিদ্রুপ কোরো।
ମୋତେ ଅନୁମତି ଦିଅ, ମୁଁ ମଧ୍ୟ କଥା କହିବି ଓ ମୁଁ କହିସାରିଲା ଉତ୍ତାରେ ଉପହାସ କରୁଥାଅ।
4 “আমার অভিযোগ কি কোনও মানুষের বিরুদ্ধে? আমি কেন অধৈর্য হব না?
ମୋʼ ଗୁହାରି କʼଣ ମନୁଷ୍ୟ ନିକଟରେ? ତେବେ ମୁଁ କାହିଁକି ଅଧୈର୍ଯ୍ୟ ନୋହିବି?
5 আমার দিকে তাকাও ও তোমরা অবাক হয়ে যাবে; তোমাদের মুখে হাত চাপা দাও।
ମୋତେ ନିରୀକ୍ଷଣ କରି ଚମତ୍କୃତ ହୁଅ ଓ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ମୁଖରେ ଆପଣା ଆପଣା ହାତ ଦିଅ।
6 একথা চিন্তা করে আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই; আমার শরীর কেঁপে ওঠে।
ମୁଁ ସ୍ମରଣ କଲେ ବ୍ୟାକୁଳ ହୁଏ ଓ ମୋʼ ଶରୀର କମ୍ପିତ ହୁଏ।
7 দুষ্টেরা কেন বেঁচে থাকে, কেন তারা বৃদ্ধ হয় ও তাদের ক্ষমতা বাড়ে?
ଦୁଷ୍ଟମାନେ କାହିଁକି ଜୀବିତ ଥାʼନ୍ତି, ବୃଦ୍ଧ ହୁଅନ୍ତି ଓ ପରାକ୍ରମରେ ବର୍ଦ୍ଧିଷ୍ଣୁ ହୁଅନ୍ତି?
8 তাদের চারপাশে তারা তাদের সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত হতে দেখে, তাদের চোখের সামনেই তাদের বংশধরেরা প্রতিষ্ঠিত হয়।
ସେମାନଙ୍କ ବଂଶ ସେମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗେ ସେମାନଙ୍କ ସାକ୍ଷାତରେ ଓ ସେମାନଙ୍କ ସନ୍ତାନସନ୍ତତି ସେମାନଙ୍କ ଦୃଷ୍ଟିଗୋଚରରେ ସ୍ଥିରୀକୃତ ହୁଅନ୍ତି।
9 তাদের ঘরগুলি নিরাপদ ও ভয়মুক্ত; ঈশ্বরের লাঠি তাদের উপরে পড়ে না।
ସେମାନଙ୍କ ଗୃହ ଭୟରୁ ରକ୍ଷିତ ଥାଏ, କିଅବା ସେମାନଙ୍କ ଉପରେ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କର ଯଷ୍ଟି ନ ଥାଏ।
10 তাদের ষাঁড়গুলি বংশবৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হয় না; তাদের গাভীগুলি বাছুরের জন্ম দেয় ও তাদের গর্ভস্রাব হয় না।
ସେମାନଙ୍କ ବୃଷ ସଙ୍ଗମ କରି ନିଷ୍ଫଳ ହୁଏ ନାହିଁ; ସେମାନଙ୍କର ଗାଭୀ ପ୍ରସବ କରେ ଓ ଗର୍ଭପାତ କରେ ନାହିଁ।
11 তারা তাদের সন্তানদের মেষপালের মতো বাইরে পাঠায়; তাদের শিশুসন্তানেরা নেচে বেড়ায়।
ସେମାନେ ଆପଣା ଆପଣା ବାଳକଗଣକୁ ପଲ ପରି ବାହାରେ ପଠାନ୍ତି ଓ ସେମାନଙ୍କ ସନ୍ତାନଗଣ ନୃତ୍ୟ କରନ୍ତି।
12 তারা খঞ্জনি ও বীণা বাজিয়ে গান গায়; তারা বাঁশির সুরে মাতোয়ারা হয়।
ସେମାନେ ତବଲା ଓ ବୀଣା ବଜାଇ ଗାନ କରନ୍ତି ଓ ବଂଶୀଧ୍ୱନିରେ ଆନନ୍ଦ କରନ୍ତି।
13 সমৃদ্ধশালী হয়ে দিনযাপন করে ও শান্তিতে কবরে চলে যায়। (Sheol )
ସେହି ଦୁଷ୍ଟମାନେ ସମୃଦ୍ଧିରେ ଆପଣା ଆପଣା ଦିନ କ୍ଷେପଣ କରନ୍ତି ଓ ଏକ ନିମିଷରେ ପାତାଳକୁ ଓହ୍ଲାଇଯାʼନ୍ତି। (Sheol )
14 তবুও তারা ঈশ্বরকে বলে, ‘আমাদের ছেড়ে দাও! তোমার পথ জানার কোনো ইচ্ছাই আমাদের নেই।
ତଥାପି ସେମାନେ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କୁ କହିଲେ, ‘ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ନିକଟରୁ ଦୂର ହୁଅ; କାରଣ ଆମ୍ଭେମାନେ ତୁମ୍ଭ ମାର୍ଗ ବିଷୟକ ଜ୍ଞାନ ବାଞ୍ଛା କରୁ ନାହୁଁ।
15 সর্বশক্তিমান কে, যে আমাদের তাঁর সেবা করতে হবে? তাঁর কাছে প্রার্থনা করে আমাদের কী লাভ হবে?’
ସର୍ବଶକ୍ତିମାନ କିଏ ଯେ, ଆମ୍ଭେମାନେ ତାହାଙ୍କର ସେବା କରିବା? ଓ ତାହାଙ୍କ ନିକଟରେ ପ୍ରାର୍ଥନା କଲେ, ଆମ୍ଭେମାନେ କି ଲାଭ ପାଇବା?’
16 কিন্তু তাদের শ্রীবৃদ্ধি তাদের নিজেদের হাতে নেই, তাই দুষ্টদের পরিকল্পনা থেকে আমি দূরে সরে দাঁড়াই।
ଦେଖ, ସେମାନଙ୍କର ସୁଖ ସମୃଦ୍ଧି ସେମାନଙ୍କ ହସ୍ତରେ ନାହିଁ; ଦୁଷ୍ଟମାନଙ୍କ ମନ୍ତ୍ରଣା ମୋʼ ଠାରୁ ଦୂରରେ ଥାଏ।
17 “তবুও দুষ্টদের প্রদীপ কতবার নিভে যায়? কতবার তাদের উপরে চরম দুর্দশা নেমে আসে, ক্রোধের বশবর্তী হয়ে ঈশ্বর তাদের এই পরিণতি ঘটান?
କେତେ ଥର ଦୁଷ୍ଟମାନଙ୍କର ପ୍ରଦୀପ ନିଭାଯାଏ? ସେମାନଙ୍କ ବିପଦ ସେମାନଙ୍କ ଉପରେ ପଡ଼େ? ଓ ପରମେଶ୍ୱର ଆପଣା କ୍ରୋଧରେ କ୍ଳେଶ ବିତରଣ କରନ୍ତି?
18 কতবার তারা বাতাসের সামনে পড়া খড়ের মতো, ও প্রবল বাতাস দ্বারা তুষের মতো উড়ে যায়?
ସେମାନେ ବାୟୁ ଆଗରେ କୁଟା ପରି ଓ ବତାସରେ ଉଡ଼ନ୍ତା ତୁଷ ପରି ହୁଅନ୍ତି?
19 বলা হয়, ‘দুষ্টদের প্রাপ্য শাস্তি ঈশ্বর তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখেন।’ তিনিই দুষ্টদের পাপের প্রতিফল দেন, যেন তারা নিজেরাই তা ভোগ করে!
ତୁମ୍ଭେମାନେ କହୁଅଛ, ‘ପରମେଶ୍ୱର ତାହାର ସନ୍ତାନଗଣ ନିମନ୍ତେ ତାହାର ଅଧର୍ମ ସଞ୍ଚୟ କରନ୍ତି।’ ସେ ତାହାକୁ ହିଁ ପ୍ରତିଫଳ ଦେଉନ୍ତୁ, ତହିଁରେ ସେ ତାହା ଜାଣିବ।
20 তাদের নিজেদের চোখই তাদের সর্বনাশ দেখুক; তারা সর্বশক্তিমানের ক্রোধ পান করুক।
ତାହାର ନିଜ ଚକ୍ଷୁ ତାହାର ବିନାଶ ଦେଖୁ ଓ ସେ ସର୍ବଶକ୍ତିମାନଙ୍କ କ୍ରୋଧ ପାନ କରୁ।
21 কারণ তাদের জন্য নির্ধারিত মাসগুলি শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের ছেড়ে যাওয়া পরিবারগুলির কী হবে সে বিষয়ে তারা কি আদৌ চিন্তা করে?
କାରଣ ମଧ୍ୟଭାଗରୁ ତାହାର ମାସ-ସଂଖ୍ୟା କଟାଗଲେ, ତାହାର ପଶ୍ଚାଦ୍ବର୍ତ୍ତୀ ବଂଶରେ କି ତାହାର କିଛି ସନ୍ତୋଷ ଥାଏ?
22 “কেউ কি ঈশ্বরকে জ্ঞান শিক্ষা দিতে পারে, যেহেতু তিনি উচ্চতমেরও বিচার করেন?
ପରମେଶ୍ୱର ଊର୍ଦ୍ଧ୍ୱବାସୀମାନଙ୍କର ଶାସନ କରନ୍ତି, ଏଣୁ କେହି କି ତାହାଙ୍କୁ ଜ୍ଞାନ ଶିଖାଇବ?
23 কেউ কেউ পূর্ণ প্রাণশক্তি থাকাকালীনই মারা যায়, যখন সে পুরোপুরি নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে থাকে,
କେହି ସମ୍ପୂର୍ଣ୍ଣ ବିଶ୍ରାମ ଓ ଶାନ୍ତି ଭୋଗ କରି ବଳବିଶିଷ୍ଟ ହୋଇ ମରେ;
24 তার শরীর যথেষ্ট পুষ্ট থাকে, অস্থিও মজ্জা-সমৃদ্ধ অবস্থায় থাকে।
ତାହାର ସ୍ତନ ଦୁଗ୍ଧରେ ପରିପୂର୍ଣ୍ଣ ଓ ତାହାର ଅସ୍ଥିର ମେଦ ସତେଜ ଥାଏ।
25 অন্য কেউ আবার প্রাণের তিক্ততা নিয়েই মারা যায়, কখনও ভালো কোনো কিছুর স্বাদ না পেয়েই মারা যায়।
ଆଉ, କେହି ପ୍ରାଣର ତିକ୍ତତାରେ ମରେ ଓ କେତେବେଳେ ମଙ୍ଗଳର ଆସ୍ୱାଦ ପାଏ ନାହିଁ।
26 পাশাপাশিই তারা ধুলোয় পড়ে থাকে, ও কীটপতঙ্গ তাদের উভয়কেই ঢেকে রাখে।
ଏମାନେ ଏକ ସମାନ ମାଟିରେ ଶୟନ କରନ୍ତି ଓ କୀଟ ସେମାନଙ୍କୁ ଆଚ୍ଛାଦନ କରେ।
27 “আমি বেশ ভালোই জানি তোমরা কী ভাবছ, যেসব ফন্দি এঁটে তোমরা আমার প্রতি অন্যায় করবে, আমি সেগুলিও জানি।
ଦେଖ, ମୁଁ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କର ବିଚାରସବୁ ଓ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କର ଅନ୍ୟାୟକଳ୍ପିତ ସଂକଳ୍ପସବୁ ଜାଣେ।
28 তোমরা বলছ, ‘সেই মহামান্যের বাড়িটি কোথায়, সেই তাঁবুগুলি কোথায়, যেখানে দুষ্টেরা বসবাস করত?’
କାରଣ ତୁମ୍ଭେମାନେ କହୁଅଛ, ‘ସେହି ଅଧିପତିର ଗୃହ କାହିଁ? ଓ ସେହି ଦୁଷ୍ଟର ବସତି-ତମ୍ବୁ କାହିଁ?’
29 তোমরা কি কখনও পথিকদের জিজ্ঞাসা করোনি? তোমরা কি তাদের বিবরণ বিবেচনা করোনি—
ତୁମ୍ଭେମାନେ କʼଣ ପଥିକମାନଙ୍କୁ ପଚାରି ନାହଁ? ଓ ତୁମ୍ଭେମାନେ କʼଣ ସେମାନଙ୍କ ଲକ୍ଷଣ ଜାଣ ନାହିଁ ଯେ,
30 যে দুষ্টেরা চরম দুর্দশাময় দিনের হাত থেকে নিষ্কৃতি পায়, ক্রোধের দিনের হাত থেকেও তারা মুক্তি পায়?
ଦୁଷ୍ଟ ଲୋକ ବିପଦର ଦିନ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ରକ୍ଷିତ? ଓ ସେମାନେ କୋପର ଦିନ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ଘେନାଯାʼନ୍ତି?
31 কে তাদের মুখের উপরে তাদের আচরণের নিন্দা করবে? কে তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল তাদের দেবে?
ତାହାର ସମ୍ମୁଖରେ କିଏ ତାହାର ପଥ ପ୍ରକାଶ କରିବ? ଓ କିଏ ତାହାର କୃତ କର୍ମର ଫଳ ତାହାକୁ ଦେବ?
32 তাদের কবরে বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, ও তাদের সমাধিতে পাহারা বসানো হয়।
ତଥାପି ସେ କବରକୁ ବହାଯିବ ଓ କବର ଉପରେ ପ୍ରହରୀ ରହିବ।
33 উপত্যকার মাটি তাদের কাছে মিষ্টি লাগে; প্রত্যেকে তাদের অনুগামী হয়, ও অসংখ্য জনতা তাদের আগে আগে যায়।
ଉପତ୍ୟକାର ମୃତ୍ତିକା ତାହା ପ୍ରତି ମିଷ୍ଟ ହେବ, ଯେପରି ତାହା ପୂର୍ବରେ ଅସଂଖ୍ୟ ଲୋକ, ସେପରି ତାହାର ପଶ୍ଚାତ୍ ସମସ୍ତ ଲୋକ ଗମନ କରିବେ।
34 “অতএব তোমরা কীভাবে তোমাদের আবোল-তাবোল কথা দিয়ে আমাকে সান্ত্বনা দেবে? তোমাদের উত্তরে মিথ্যাভাষণ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই!”
ତେବେ କିପରି ତୁମ୍ଭେମାନେ ମୋତେ ବୃଥାରେ ସାନ୍ତ୍ୱନା ଦେଉଅଛ, ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ଉତ୍ତରରେ ତ କେବଳ ମିଥ୍ୟା ଥାଏ।”