< ইয়োবের বিবরণ 15 >
1 পরে তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন:
Then answered Eliphaz the Temanite, and said:
2 “কোনও জ্ঞানবান কি ফাঁপা ধারণা সমেত উত্তর দেবেন বা গরম পূর্বীয় বাতাস দিয়ে তিনি পেট ভরাবেন?
Should a wise man answer with arguments of wind, Or fill his bosom with the east wind?
3 অনর্থক কথা বলে, মূল্যহীন বক্তৃতা দিয়ে কি তিনি তর্ক করবেন?
Should he argue with speech that helpeth him not, And with words which do not profit him?
4 কিন্তু তুমি এমনকি চুপিচুপি ভক্তিরও হানি ঘটাচ্ছ ও ঈশ্বরনিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছ।
Behold, thou makest the fear of God a vain thing, And discouragest prayer before him.
5 তোমার পাপ তোমার মুখকে উত্তেজিত করছে; তুমি ধূর্ততার জিভ অবলম্বন করছ।
Yea, thy own mouth proclaimeth thy iniquity, Though thou choosest the tongue of the crafty.
6 আমার নয়, তোমার নিজের মুখই তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করছে; তোমার নিজের ঠোঁটই তোমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিচ্ছে।
Thy own mouth condemneth thee, and not I; Thy own lips testify against thee.
7 “মানুষের মধ্যে তুমি কি প্রথমজাত? পাহাড়ের জন্মের আগেই কি তোমার জন্ম হয়েছিল?
Art thou the first man that was born? Wast thou formed before the hills?
8 তুমি কি ঈশ্বরের পরামর্শ শুনেছ? প্রজ্ঞার উপরে কি তোমারই একচেটিয়া অধিকার আছে?
Hast thou listened in the council of God, And drawn all wisdom to thyself?
9 তুমি এমনকি জানো যা আমরা জানি না? তোমার এমন কি অন্তর্দৃষ্টি আছে যা আমাদের নেই?
What dost thou know, that we know not also? What dost thou understand, that is a secret to us?
10 পাকা চুলবিশিষ্ট লোকেরা ও বৃদ্ধেরা আমাদের পক্ষে আছেন, যারা তোমার বাবার চেয়েও বয়স্ক।
With us are the aged and hoary-headed; Much older than thy father.
11 ঈশ্বরের সান্তনা কি তোমার জন্যে যথেষ্ট নয়, মৃদুভাবে বলা কথাও কি কিছুই নয়?
Dost thou despise the consolations of God, And words so full of kindness to thee?
12 তোমার অন্তর কেন তোমাকে বিপথে পরিচলিত করেছে, ও তোমার চোখ কেন মিট্মিট্ করছে,
Why hath thy passion taken possession of thee? And why this winking of thine eyes?
13 যার ফলে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তুমি তোমার উগ্র রোষ প্রকাশ করছ ও তোমার মুখ থেকে এ ধরনের কথা উগরে দিচ্ছ।
For against God hast thou turned thy spirit, And uttered such words from thy mouth.
14 “নশ্বর মানুষ কী, যে তারা শুচিশুদ্ধ হবে, বা স্ত্রী-জাত মানুষও কী, যে তারা ধার্মিক হবে?
What is man, that he should be pure, And he that is born of woman, that he should be innocent?
15 ঈশ্বর যদি তাঁর পবিত্রজনদেরই বিশ্বাস করেন না, আকাশমণ্ডলও যদি তাঁর দৃষ্টিতে অকলুষিত না হয়,
Behold, He putteth no trust in his ministering spirits, And the heavens are not pure in his sight;
16 তবে সেই নশ্বর মানুষ কী, যারা নীচ ও দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা জলের মতো করে অনিষ্ট পান করে!
Much less, abominable and polluted man, Who drinketh iniquity as water.
17 “আমার কথা শোনো ও আমি তোমার কাছে ব্যাখ্যা করে দেব; আমি যা দেখেছি তা তোমাকে বলতে দাও,
Hear me, and I will show thee, And that which I have seen will I declare;
18 জ্ঞানবানেরা যা ঘোষণা করেছিলেন, তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখেননি:
Which the wise men have told, And not kept concealed, as received from their fathers;
19 (শুধু তাদেরই দেশটি দেওয়া হয়েছিল যখন কোনও বিদেশি তাদের মধ্যে ঘোরাফেরা করত না)
To whom alone the land was given, And among whom not a stranger wandered.
20 দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ আজীবন যন্ত্রণাভোগ করে, নিষ্ঠুর মানুষ ক্লেশে পরিপূর্ণ বছরগুলি নিজের জন্য সঞ্চয় করে রাখে।
“All his days the wicked man is in pain; Yea, all the years, that are laid up for the oppressor.
21 আতঙ্কজনক শব্দে তার কান ভরে ওঠে; যখন সবকিছু ঠিক আছে বলে মনে হয়, তখনই লুঠেরারা তাকে আক্রমণ করে।
A fearful sound is in his ears; In peace the destroyer cometh upon him.
22 সে অন্ধকার জগৎ থেকে পালানোর মরিয়া চেষ্টা করে; সে তরোয়ালের জন্য চিহ্নিত হয়ে যায়।
He hath no hope that he shall escape from darkness; He is set apart for the sword.
23 সে শকুনের মতো হন্যে হয়ে খাদ্য খুঁজে বেড়ায়; সে জানে অন্ধকারাচ্ছন্ন দিন এসে পড়েছে।
He wandereth about, seeking bread; He knoweth that a day of darkness is at hand.
24 চরম দুর্দশা ও মনস্তাপ তাকে আতঙ্কিত করে তোলে; অস্থিরতা তাকে আচ্ছন্ন করে, যেভাবে একজন রাজা আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হন,
Distress and anguish fill him with dread; They prevail against him like a king ready for the battle.
25 যেহেতু সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে তার হাত মুষ্টিবদ্ধ করেছে ও সর্বশক্তিমানের বিরুদ্ধে নিজেকে আস্ফালিত করেছে,
Because he stretched forth his hand against God, And bade defiance to the Almighty,
26 বেপরোয়াভাবে এক পুরু, শক্ত ঢাল নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে।
And ran against him with outstretched neck, With the thick bosses of his bucklers;
27 “যদিও তার মুখমণ্ডল চর্বিতে ঢাকা পড়েছে ও তার কোমর মাংস দিয়ে ফুলেফেঁপে উঠেছে,
Because he covered his face with fatness, And gathered fat upon his loins,
28 সে ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরে ও সেইসব বাড়িতে বসবাস করবে যেখানে কেউ বসবাস করে না, যেসব বাড়ি ভেঙে গিয়ে নুড়ি-পাথরের স্তূপে পরিণত হয়েছে।
And dwelt in desolated cities, In houses which no man inhabiteth, That are ready to become heaps.
29 সে আর ধনী হয়ে থাকতে পারবে না ও তার ধনসম্পদও স্থায়ী হবে না, তার সম্পত্তিও দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে না।
He shall not be rich; his substance shall not endure, And his possessions shall not be extended upon the earth.
30 সে অন্ধকারের হাত থেকে রেহাই পাবে না; আগুনের শিখা তার মুকুলগুলি শুকিয়ে দেবে, ও ঈশ্বরের মুখনির্গত শ্বাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
He shall not escape from darkness, And the flame shall dry up his branches; Yea, by the breath of His mouth shall he be taken away.
31 মূল্যহীন কোনো কিছুতে আস্থা স্থাপন করে সে নিজেকে প্রতারিত না করুক, যেহেতু তার পরিবর্তে সে কিছুই পাবে না।
“Let not man trust in vanity! he will be deceived; For vanity shall be his recompense.
32 সময়ের আগেই সে শুকিয়ে যাবে, ও তার শাখাপ্রশাখাগুলি আর সতেজ থাকবে না।
He shall come to his end before his time, And his branch shall not be green.
33 সে এমন এক দ্রাক্ষালতার মতো হয়ে যাবে যেখান থেকে কাঁচা আঙুর ঝরে পড়ে, এমন এক জলপাই গাছের মতো হয়ে যাবে যেখান থেকে ফুলের কুঁড়ি খসে পড়ে।
He shall shake off his unripe fruit like the vine, And shed his blossoms like the olive-tree.
34 কারণ ভক্তিহীনদের সমবেত জনসমষ্টি নির্বংশ হবে, ও যারা ঘুস নিতে ভালোবাসে তাদের তাঁবু আগুন গ্রাস করে ফেলবে।
The house of the unrighteous shall be famished, And fire shall consume the tents of bribery.
35 তারা সংকট গর্ভে ধারণ করে ও অমঙ্গলের জন্ম দেয়; তাদের গর্ভ প্রতারণা তৈরি করে।”
They conceive mischief, and bring forth misery, And their breast deviseth deceit.”