< ইয়োবের বিবরণ 12 >

1 পরে ইয়োব উত্তর দিলেন:
তখন ইয়োব উত্তর দিল এবং বলল,
2 “নিঃসন্দেহে একমাত্র তোমরাই জনসাধারণ, ও প্রজ্ঞা তোমাদের সাথেই লুপ্ত হয়ে যাবে!
“কোন সন্দেহ নেই তোমরাই লোক; প্রজ্ঞা তোমাদের সঙ্গে মরবে।
3 কিন্তু আমারও তোমাদের মতো এক মন আছে; আমি তোমাদের চেয়ে নিকৃষ্ট নই। এসব কথা কে না জানে?
কিন্তু আমার বুদ্ধি আছে যেমন তোমাদের আছে; আমি তোমাদের থেকে নিচু নই। সত্যি, কে জানে না এই বিষয়ে এমন ভাবে?
4 “আমি আমার বন্ধুদের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছি, যদিও আমি ঈশ্বরকে ডাকতাম ও তিনি আমায় উত্তর দিতেন— ধার্মিক ও অনিন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও নিছক উপহাসের এক পাত্রে পরিণত হয়েছি!
আমি আমার প্রতিবেশীর কাছে হাস্যকর বস্তুর মত, আমি, যে ঈশ্বরকে ডাকে এবং তাঁর দ্বারা উত্তর পায়! আমি, একজন ন্যায্য এবং ধার্মিক লোক, আমি এখন একটা হাস্যকর বস্তু।
5 যারা অরামে আছে, তারা দুর্ভাগ্য-পীড়িত লোকদের এত অবজ্ঞা করে যেন পা পিছলে পড়ে যাওয়াই তাদের পরিণতি।
যে শান্তিতে বাস করে, তার জন্য দুর্ভাগ্য অবজ্ঞার বিষয়; সে ভাবে, যাদের পা পিছলিয়ে যায় তাদের জীবনে আরও বেশি দুর্ভাগ্য আসে।
6 লুঠেরাদের তাঁবু নিরুপদ্রুত থাকে, ও যারা ঈশ্বরকে জ্বালাতন করে তারা নিরাপদে থাকে— তারা ঈশ্বরের হাতেই থাকে।
ডাকাতদের তাঁবুর উন্নতি হয় এবং যারা ঈশ্বরকে রাগিয়ে দেয় তারা সুরক্ষিত অনুভব করে; তাদের নিজেদের হাত তাদের ঈশ্বর।
7 “কিন্তু পশুদের জিজ্ঞাসা করো, ও তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে, বা আকাশের পাখিদের জিজ্ঞাসা করো, ও তারাও তোমায় বলে দেবে;
কিন্তু এখন পশুদের জিজ্ঞাসা কর আর তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে; আকাশের পাখিদের জিজ্ঞাসা কর আর তারা তোমাকে বলবে।
8 বা পৃথিবীকে বলো, ও তা তোমাকে শিক্ষা দেবে, বা সমুদ্রের মাছই তোমাকে খবর দিক।
অথবা মাটির সঙ্গে কথা বল আর তা তোমাকে বলবে; সমুদ্রের মাছ তোমাকে ঘোষণা করবে।
9 এদের মধ্যে কে জানে না যে সদাপ্রভুর হাতই এসব গড়ে তুলেছে?
এদের মধ্যে কোন পশু জানে না যে এসমস্ত সদাপ্রভুর হাত করেছে, তাদের জীবন দিয়েছে,
10 তাঁর হাতেই প্রত্যেকটি প্রাণীর জীবন ও সমগ্র মানবজাতির শ্বাস গচ্ছিত আছে।
১০সদাপ্রভু, যার হাতে সমস্ত জীবন্ত বস্তুর প্রাণ এবং সমস্ত মানবজাতির আত্মা আছে?
11 কান কি শব্দ পরখ করে না যেভাবে জিভ খাদ্যের স্বাদ চাখে?
১১কান কি কথার পরীক্ষা করে না যেমন থালা খাবারের পরীক্ষা করে?
12 প্রবীণেরা কি প্রজ্ঞার অধিকারী নন? সুদীর্ঘ জীবন কি বুদ্ধি নিয়ে আসে না?
১২বৃদ্ধ লোকেদের প্রজ্ঞা আছে; এবং দীর্ঘায়ুর বুদ্ধি আছে।
13 “প্রজ্ঞা ও পরাক্রম ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত বিষয়; পরামর্শ ও বুদ্ধি তাঁরই।
১৩ঈশ্বরের প্রজ্ঞা এবং পরাক্রম আছে; তাঁর ভালো চিন্তা এবং বুদ্ধি আছে।
14 তিনি যা ভাঙেন তা পুনর্নির্মাণ করা যায় না; তিনি যাদের বন্দি করেন তাদের কেউ মুক্ত করতে পারে না।
১৪দেখ, তিনি ভেঙে ফেলেন এবং তা আর গড়া যায় না; যদি তিনি কাউকে বন্দী করেন, তাহলে মুক্তি নেই।
15 তিনি যদি জলধারা আটকে রাখেন, তবে খরা হয়; তিনি যদি তা বাঁধনছাড়া হতে দেন, তবে তা দেশ প্লাবিত করে।
১৫দেখ, যদি তিনি জলকে বদ্ধ করেন, তারা শুকিয়ে যাবে এবং যদি তিনি তাদের পাঠান, তারা দেশকে ভাসিয়ে দেবে।
16 পরাক্রম ও অন্তর্দৃষ্টি তাঁর অধিকারভুক্ত বিষয়; প্রতারিত ও প্রতারক উভয়ই তাঁর।
১৬শক্তি ও প্রজ্ঞা তাঁর; প্রতারিত এবং প্রতারণাকারী দুজনেই তাঁর।
17 তিনি শাসকদের আভরণহীন করে চালান ও বিচারকদের মূর্খে পরিণত করেন।
১৭তিনি মন্ত্রীদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান; বিচারকদের মূর্খে পরিণত করেন।
18 তিনি রাজাদের পরিধেয় বেড়ি অপসৃত করেন ও তাদের কোমরের চারপাশে কৌপিন বেঁধে দেন।
১৮তিনি রাজাদের থেকে কর্তিত্বের শিকল নিয়ে নেন; তিনি তাদের কোমরে কাপড় জড়িয়ে দেন।
19 তিনি যাজকদের আভরণহীন করে চালান ও দীর্ঘকাল যাবৎ ক্ষমতায় থাকা কর্মকর্তাদের উৎখাত করেন।
১৯তিনি যাজকদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যান এবং শক্তিশালীদের উত্খাত করবেন।
20 তিনি বিশ্বস্ত উপদেশকদের ঠোঁট শব্দহীন করে দেন। ও প্রাচীনদের বুদ্ধিবৃত্তি হরণ করেন।
২০তিনি বিশ্বস্তদের কথা মুছে দেন এবং প্রাচীনদের বুদ্ধি নিয়ে নেন।
21 তিনি অভিজাতদের হেনস্থা করেন ও বলশালীদের নিরস্ত্র করেন।
২১তিনি অভিজাতদের ওপর অপমান ঢেলে দেন এবং শক্তিশালীদের কোমরবন্ধন খুলে দেন।
22 তিনি অন্ধকারের জটিল বিষয়গুলি প্রকাশিত করেন ও নিরেট অন্ধকারকে আলোয় নিয়ে আসেন।
২২তিনি অন্ধকার থেকে গভীর বিষয় প্রকাশ করেন এবং গভীর অন্ধকারকে আলোতে নিয়ে আসেন।
23 তিনি জাতিদের মহান করেন, ও তাদের ধ্বংসও করেন; তিনি জাতিদের সম্প্রসারিত করেন, ও তাদের বিক্ষিপ্তও করেন।
২৩তিনি জাতিকে শক্তিশালী করেন এবং আবার তিনি তাদের ধ্বংসও করেন; তিনি দেশকে বাড়ান এবং আবার তিনি তাদের বন্দী হিসাবেও পরিচালনা দেন।
24 তিনি পার্থিব নেতাদের বুদ্ধি-বঞ্চিত করেন; তিনি তাদের পথহীন এক প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য করেন।
২৪তিনি পৃথিবীর নেতাদের থেকে বুদ্ধি নিয়ে নেবেন; তিনি তাদের মরুপ্রান্তে ঘোরান যেখানে কোন পথ নেই।
25 আলো ছাড়াই তারা অন্ধকারে পথ হাতড়ে বেড়ায়; তিনি মাতালদের মতো তাদের টলতে বাধ্য করেন।
২৫তারা আলো ছাড়া অন্ধকার অনুভব করে; তিনি তাদের মাতাল লোকের মত টাল খাওয়ান।”

< ইয়োবের বিবরণ 12 >