< যিরমিয়ের বই 4 >

1 সদাপ্রভু বলেন, “হে ইস্রায়েল, তোমরা যদি ফিরতে চাও, তবে ফিরে এসো আমার কাছে।” “তোমরা যদি আমার চোখের সামনে থেকে তোমাদের ওইসব ঘৃণ্য প্রতিমাকে ছুঁড়ে ফেলো, এবং আর কখনোই বিপথগামী না হও,
»Wenn du umkehrst, Israel« – so lautet der Ausspruch des HERRN –, »sollst du zu mir zurückkehren dürfen; und wenn du deine greulichen Götzen mir aus den Augen schaffst, sollst du nicht verstoßen werden;
2 এবং সত্যে, ন্যায়পরায়ণতায় ও ধার্মিকতায় তোমরা শপথ করে বলো, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,’ তাহলে জগতের জাতিগুলি তাঁর আশীর্বাদ যাচ্ঞা করবে, এবং তাঁর নামের প্রশংসা করবে।”
und wenn du ›So wahr der HERR lebt!‹ in Wahrheit, in Treue und Aufrichtigkeit schwörst, sollen die Heidenvölker mit deinem Namen sich segnen und dein Glück sich wünschen!«
3 যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকদের কাছে সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “তোমরা পতিত ভূমি কর্ষণ করো এবং কাঁটাঝোপে বীজবপন কোরো না।
Denn so hat der HERR zu den Männern von Juda und zu den Bewohnern Jerusalems gesprochen: »Brecht euch einen Neubruch und säet nicht in die Dornen hinein!
4 তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে ছিন্নত্বক হও, তোমাদের হৃদয়ের ত্বক দূর করে ফেলো, হে যিহূদার লোকসকল ও জেরুশালেম নিবাসীরা, তা না হলে তোমাদের কৃত যাবতীয় পাপের জন্য, আমার ক্রোধ জ্বলে উঠবে আগুনের মতো হবে, যে আগুন কেউ নেভাতে পারবে না।
Beschneidet euch für den HERRN und schafft die Vorhaut eurer Herzen weg, ihr Männer von Juda und ihr Bewohner Jerusalems, damit mein Zorn nicht ausbricht wie Feuer und unauslöschlich brennt wegen der Verworfenheit eures ganzen Tuns!«
5 “যিহূদায় প্রচার করো এবং জেরুশালেমে ঘোষণা করে বলো: ‘তোমরা সমগ্র দেশে তূরীধ্বনি করো!’ চিৎকার করে বলো: ‘তোমরা একত্রিত হও! চলো, আমরা সুরক্ষিত নগরগুলিতে পলায়ন করি!’
Verkündet es in Juda und laßt in Jerusalem die Botschaft ausrufen: »Stoßt in die Posaune im Lande umher! Ruft mit voller Kraft aus und macht bekannt: ›Schart euch zusammen und laßt uns in die festen Städte ziehen!‹
6 সিয়োনের দিকে যাওয়ার জন্য পতাকা তুলে ধরো! রক্ষা পাওয়ার জন্য এক্ষুনি পালাও, দেরি কোরো না! কেননা আমি উত্তর দিক থেকে ধ্বংস নিয়ে আসছি, তা এক ভয়ংকর বিনাশ।”
Pflanzt ein Banner auf nach Zion hin, flüchtet euch, ohne Halt zu machen! Denn Unheil lasse ich von Norden her kommen und gewaltige Zerschmetterung.«
7 এক সিংহ তার গুহা থেকে বেরিয়ে এসেছে; জাতিদের ধ্বংসকারী একজন যাত্রা শুরু করেছে। সে তার স্বস্থান থেকে বের হয়েছে তোমার দেশকে ধ্বংস করার জন্য। তোমার নগরগুলি পরিণত হবে ধ্বংসস্তূপে, সেগুলি হবে জনবসতিহীন।
Heraufgestiegen ist schon der Löwe aus seinem Dickicht, und der Völkerwürger ist aufgebrochen, ist ausgezogen aus seiner Wohnstätte, um dein Land zur Wüste zu machen, daß deine Städte in Trümmer sinken, menschenleer werden!
8 তাই শোকপ্রকাশের চটবস্ত্র পরে নাও এবং বিলাপ ও হাহাকার করো, কেননা সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ আমাদের দিক থেকে ফেরেনি।
Darum gürtet euch Sackleinen um, wehklagt und jammert: »Ach, der lodernde Zorn des HERRN hat sich nicht von uns abgewandt!«
9 সদাপ্রভু বলেন, “সেদিন, রাজার ও তাঁর কর্মচারীদের হৃদয় ভয়ে কাঁপবে, যাজকেরা আতঙ্কিত হবে এবং ভাববাদীরা স্তম্ভিত হবে।”
»An jenem Tage« – so lautet der Ausspruch des HERRN – »wird dem Könige und den Fürsten der Mut entschwinden, werden die Priester ratlos sein und die Propheten fassungslos dastehen.«
10 তখন আমি বললাম, “হায়, সার্বভৌম সদাপ্রভু! তুমি এই লোকেদের এবং জেরুশালেমকে এই কথা বলে পুরোপুরি প্রতারণা করলে যে, ‘তোমরা শান্তি পাবে,’ অথচ তরোয়াল এখন একেবারে আমাদের গলার কাছে!”
Da sagte ich: »Ach, HERR, mein Gott! Wahrlich, arg hast du dieses Volk und Jerusalem getäuscht, als du verhießest: ›Heil soll euch widerfahren!‹, und nun ist das Schwert ihnen gedrungen bis ans Leben!« –
11 সেই সময়ে এই লোকেদের এবং জেরুশালেমকে বলা হবে, “এক উষ্ণ বায়ু মরুপ্রান্তরের বৃক্ষশূন্য পর্বতের দিক থেকে বয়ে আসছে আমার জাতির দিকে, কিন্তু তা শস্য ঝাড়াই বা পরিষ্কার করার জন্য নয়;
In jener Zeit wird man zu diesem Volk und zu Jerusalem sagen: »Ein Glutwind von den kahlen Höhen in der Wüste kommt dahergestürmt auf die Tochter meines Volkes zu, ungeeignet zum Worfeln und ungeeignet zum Sieben des Korns,
12 এ আমার পাঠানো তার চেয়েও প্রচণ্ড শক্তিশালী এক বায়ু। এবার আমি তাদের বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করব!”
ein Wind zu scharf, als daß er dazu taugte, kommt, von mir bestellt: nun will ich selbst mit ihnen ins Gericht gehen!« –
13 দেখো! সে এগিয়ে আসছে মেঘের মতো, তার রথগুলি আসছে ঘূর্ণিবায়ুর মতো। তাদের অশ্বেরা ঈগলের চেয়েও বেগবান, হায়, হায়! আমরা আজ ধ্বংস হয়ে গেলাম!
Sehet, wie Wetterwolken zieht er herauf, und wie der Sturmwind sind seine Kriegswagen, schneller als Adler seine Rosse: wehe uns, wir sind verloren! –
14 হে জেরুশালেম, রক্ষা পাওয়ার জন্য তোমার হৃদয় থেকে দুষ্টতা ধুয়ে তা পরিষ্কার করো। কত কাল তুমি তোমার মন্দ চিন্তাগুলি মনে পুষে রাখবে?
Wasche dein Herz vom Bösen rein, Jerusalem, auf daß du Rettung erlangst! Wie lange soll noch dein unheilvolles Sinnen in deinem Inneren wohnen? –
15 দান নগর থেকে কোনও প্রচারকের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, যা ইফ্রয়িমের পর্বতমালা থেকে ধ্বংসের বার্তা ঘোষণা করছে।
Ach, horch! Eine Botschaft kommt von Dan her, eine Unglückskunde vom Gebirge Ephraim!
16 “এই কথা চারপাশের জাতিগুলিকে বলো, জেরুশালেমের বিষয়ে ঘোষণা করো: ‘বহু দূরবর্তী দেশ থেকে অবরোধকারী এক সেনাবাহিনী আসছে, যিহূদার নগরগুলির বিরুদ্ধে তারা রণহুঙ্কার দিচ্ছে।
»Verkündet es den Völkern, meldet es weiter nach Jerusalem: ›Belagerer kommen aus fernem Lande und erheben ihren Kriegsruf gegen die Städte Judas!
17 কোনো মাঠের চারপাশে পাহারাদার যেমন, ঠিক তেমনই তারা জেরুশালেমকে ঘিরে ধরেছে, কেননা সে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েছে,’” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
Wie Feldhüter stellen sie sich ringsum gegen Jerusalem auf, weil es widerspenstig gegen mich gewesen ist!‹« – so lautet der Ausspruch des HERRN. –
18 “তোমার পথ ও তোমার কৃতকর্ম তোমার উপরে এসব নিয়ে এসেছে। এই তোমার শাস্তি। কী তিক্ত এই শাস্তি! যা বিদ্ধ করে হৃদয়কে!”
Dein Wandel und dein ganzes Tun haben dir solches Unheil eingetragen: deiner Verworfenheit verdankst du dies, daß es so bitterweh ist, ja daß es dir bis ans Leben geht. –
19 আহ্, এ আমার কি নিদারুণ মনোবেদনা, কী নিদারুণ মনোবেদনা! আমি যন্ত্রণায় ছটফট করছি। আহা, আমার হৃদয়ে এ এক নিদারুণ যন্ত্রণা! আমার হৃদয় উদ্বেগে ধকধক করছে, আমি নীরব থাকতে পারছি না। কেননা আমি তূরীর শব্দ শুনেছি; আমি রণহুঙ্কারের শব্দ শুনেছি।
O meine Brust, meine Brust! Mir ist so angst! O ihr Wände meines Herzens! Mein Inneres ist mir in wildem Aufruhr: ich kann nicht schweigen! Denn Posaunenschall vernimmst du, meine Seele, das Getöse des Krieges.
20 একের পর এক বিপর্যয় আছড়ে পড়ছে; সমগ্র দেশ আজ ধ্বংসস্তূপে পরিণত। এক নিমেষে আমার তাঁবুগুলি এবং এক মুহূর্তে আমার আশ্রয়স্থানগুলি ধ্বংস হয়ে গেল।
Zerstörung über Zerstörung wird gemeldet, denn verheert ist das ganze Land! Urplötzlich sind meine Hütten zerstört, in einem Augenblick meine Zelte!
21 আর কত দিন যুদ্ধের পতাকা আমাকে দেখতে হবে এবং তূরীর ধ্বনি শুনতে হবে?
Wie lange noch soll ich Paniere sehen, Posaunenschall vernehmen? –
22 “আমার প্রজারা মূর্খ; তারা আমাকে জানে না। তারা নির্বোধ সন্তান; তাদের কোনো বুদ্ধিশুদ্ধি নেই। অন্যায় করতে তারা পটু, কিন্তু উত্তম কাজ কীভাবে করতে হয়, তা তারা জানে না।”
Ach, verblendet ist mein Volk: mich kennen sie nicht! Törichte Kinder sind sie und ohne Einsicht: klug sind sie zum Bösestun, aber auf das Tun des Guten verstehen sie sich nicht. –
23 আমি পৃথিবীর দিকে তাকালাম এবং তা ছিল নিরাকার ও শূন্য; আমি তাকালাম আকাশের দিকে এবং সেখানকার আলো ছিল নির্বাপিত।
Ich blicke die Erde an: ach, sie ist wüst und öde! und zum Himmel empor: sein Licht ist verschwunden!
24 আমি পর্বতমালার দিকে তাকালাম, এবং সেগুলি কাঁপছিল; সকল উপপর্বতগুলি টলছিল।
Ich blicke die Berge an: ach, sie beben, und alle Hügel schwanken!
25 আমি তাকালাম এবং দেখলাম কোথাও জনমানব নেই; উড়ে গেছে আকাশের সব কটা পাখি।
Ich blicke umher: ach, kein Mensch ist da, und alle Vögel des Himmels sind entflohen!
26 আমি তাকালাম এবং দেখলাম উর্বর দেশটি এখন একটি মরুভূমি; তার প্রতিটি নগর সদাপ্রভুর সামনে, তাঁর ভয়ংকর রোষে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
Ich blicke umher: ach, das Fruchtgefilde (Juda) ist eine Wüste, und alle seine Städte sind zerstört: nach dem Willen des HERRN, infolge der Glut seines Zorns! –
27 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “সমস্ত দেশ বিধ্বস্ত হবে, কিন্তু তবুও তা আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করব না।
Denn so hat der HERR gesprochen: »Zur Wüste soll das ganze Land werden, doch seine völlige Vernichtung will ich nicht herbeiführen.
28 এজন্য পৃথিবী শোক করবে এবং আকাশমণ্ডল অন্ধকার হবে, কেননা একথা আমি বলেছি এবং আমি নরম হব না, আমি মনস্থির করেছি এবং তার কোনও পরিবর্তন করব না।”
Darob trauert die Erde, und der Himmel droben hüllt sich in Schwarz, weil ich (das) ausgesprochen und beschlossen habe; und ich lasse es mich nicht gereuen und gehe nicht davon ab.« –
29 অশ্বারোহী ও ধনুর্ধারীদের চিৎকারে প্রতিটি নগর পলায়ন করে। তাদের কেউ ঘন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে পড়ে; কেউ বা পাহাড়-পর্বতে উঠে পড়ে। প্রতিটি নগর পরিত্যক্ত; কোনও মানুষ সেখানে আর বাস করে না।
Vor dem Ruf »Reiter und Bogenschützen!« ist das ganze Stadtvolk auf der Flucht; in die Dickichte haben sie sich begeben und die Felsen erklommen: jede Ortschaft steht verlassen da, und kein Mensch ist darin wohnen geblieben.
30 ওহে ছারখার হয়ে যাওয়া পুরী, তুমি কী করছ? কেন তুমি লাল রংয়ের পোশাক পরিধান করছ এবং স্বর্ণালংকারে নিজেকে সাজাচ্ছো? কেন তুমি তোমার দুই চোখে রূপটান দিচ্ছ? এইভাবে তোমার নিজেকে পরিপাটি করে তোলা অসার। তোমার প্রেমিকেরা তোমাকে অবজ্ঞা করে; তারা তোমাকে হত্যা করতে চায়।
Du aber, vergewaltigte (Stadt), was willst du tun? Magst du dich auch in Purpur kleiden, magst du dich mit Goldgeschmeide putzen, magst du deine Augenränder mit Schminke umzeichnen: vergebens machst du dich schön! Die Liebhaber haben dich satt, trachten dir nach dem Leben!
31 প্রসববেদনাগ্রস্ত স্ত্রীর কান্নার মতো আমি একটি কান্না শুনতে পাচ্ছি, সেই গোঙানি এমন, যেন কেউ তার প্রথম সন্তানের জন্ম দিচ্ছে, এই কান্না আসলে সিয়োন-কন্যার, যে শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁপাচ্ছে, দু-হাত বিস্তার করছে এবং বলছে, “হায়! আমি মূর্চ্ছিতপ্রায়, কারণ আমার প্রাণকে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
Ach! Geschrei höre ich wie von einem Weibe in Kindesnöten, Angstrufe wie von einer Frau, die zum erstenmal Mutter wird: das Geschrei der Tochter Zion, die da aufstöhnt, ihre Hände flehend ausbreitet: »Wehe mir! Ach, erschöpft ist meine Seele, eine Beute der Mörder!«

< যিরমিয়ের বই 4 >