< যিরমিয়ের বই 39 >

1 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের নবম বছরের দশম মাসে, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁর সমস্ত সৈন্য নিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে সমরাভিযান করেন ও তা অবরোধ করেন।
Εν τω εννάτω έτει του Σεδεκίου βασιλέως του Ιούδα, τον δέκατον μήνα, ήλθε Ναβουχοδονόσορ ο βασιλεύς της Βαβυλώνος και άπαν το στράτευμα αυτού κατά της Ιερουσαλήμ και επολιόρκουν αυτήν.
2 সিদিকিয়ের রাজত্বের এগারোতম বছরের চতুর্থ মাসের নবম দিনে, নগরের প্রাচীর ভেঙে ফেলা হল।
Εν δε τω ενδεκάτω έτει του Σεδεκίου, τον τέταρτον μήνα, την εννάτην του μηνός, επορθήθη η πόλις.
3 তারপর ব্যাবিলনের রাজার সমস্ত কর্মকর্তা এসে মধ্যম-দ্বারে আসন গ্রহণ করল। তারা ছিল সমগরের নের্গল-শরেৎসর, একজন প্রধান আধিকারিক নেবো-সার্সেকিম, একজন উচ্চ পদাধিকারী নের্গল-শরেৎসর এবং ব্যাবিলনের রাজার অন্যান্য সমস্ত কর্মচারী।
Και πάντες οι άρχοντες του βασιλέως της Βαβυλώνος εισήλθον και εκάθησαν εν τη μεσαία πύλη, Νεργάλ-σαρεσέρ, Σαμγάρ-νεβώ, Σαρσεχείμ, Ραβ-σαρείς, Νεργάλ-σαρεσέρ, Ραβ-μαγ και πάντες οι λοιποί άρχοντες του βασιλέως της Βαβυλώνος.
4 যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় ও সমস্ত সৈন্য তাদের দেখলেন, তারা পলায়ন করলেন। রাজার উদ্যানের পথ দিয়ে তারা রাত্রিবেলা নগর ত্যাগ করলেন। সেই ফটকটি ছিল দুটি প্রাচীরের মাঝখানে এবং পথ ছিল অরাবা অভিমুখী।
Και ως είδεν αυτούς Σεδεκίας ο βασιλεύς του Ιούδα και πάντες οι άνδρες του πολέμου, έφυγον και εξήλθον την νύκτα εκ της πόλεως διά της οδού του κήπου του βασιλέως, διά της πύλης της μεταξύ των δύο τειχών· και εξήλθε διά της οδού της πεδιάδος.
5 কিন্তু ব্যাবিলনীয় সৈন্যেরা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং যিরীহোর সমভূমিতে সিদিকিয়ের নাগাল পেল। তারা তাঁকে বন্দি করল এবং হমাৎ দেশের রিব্‌লাতে ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের কাছে তাঁকে নিয়ে গেল। সেখানে তিনি তাঁর দণ্ডাদেশ ঘোষণা করলেন।
Το δε στράτευμα των Χαλδαίων κατεδίωξεν οπίσω αυτών, και έφθασαν τον Σεδεκίαν εις τας πεδιάδας της Ιεριχώ· και συνέλαβον αυτόν και ανήγαγον αυτόν προς τον Ναβουχοδονόσορ βασιλέα της Βαβυλώνος εις Ριβλά, εν γη Αιμάθ, και επρόφερε καταδίκην επ' αυτόν.
6 সেখানে ব্যাবিলনের রাজা রিব্‌লায়, সিদিকিয়ের চোখের সামনেই তাঁর পুত্রদের হত্যা করলেন এবং যিহূদার সমস্ত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকেও হত্যা করলেন।
Και έσφαξεν ο βασιλεύς της Βαβυλώνος τους υιούς του Σεδεκίου εν Ριβλά ενώπιον αυτού, και πάντας τους άρχοντας του Ιούδα έσφαξεν ο βασιλεύς της Βαβυλώνος.
7 তারপর তিনি সিদিকিয়ের দুই চোখ উপড়ে নিলেন এবং তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়ার জন্য পিতলের শিকল দিয়ে বাঁধলেন।
Και τους οφθαλμούς του Σεδεκίου εξετύφλωσε και έδεσεν αυτόν με δύο χαλκίνας αλύσεις, διά να φέρη αυτόν εις την Βαβυλώνα.
8 ব্যাবিলনীয়েরা রাজপ্রাসাদে ও লোকদের সমস্ত গৃহে আগুন লাগিয়ে দিল এবং জেরুশালেমের প্রাচীরগুলি ভেঙে ফেলল।
Και την οικίαν του βασιλέως και τας οικίας του λαού κατέκαυσαν οι Χαλδαίοι εν πυρί, και τα τείχη της Ιερουσαλήμ κατηδάφισαν.
9 রাজরক্ষীবাহিনীর সেনাপতি নবূষরদন নগরের অবশিষ্ট লোকেদের এবং যারা তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল তাদের ও অবশিষ্ট অন্য সব লোককে ব্যাবিলনে নির্বাসিত করলেন।
Το δε υπόλοιπον του λαού το εναπολειφθέν εν τη πόλει και τους προσφυγόντας, οίτινες προσέφυγον εις αυτόν, και το υπόλοιπον του λαού το εναπολειφθέν έφερεν αιχμάλωτον εις Βαβυλώνα Νεβουζαραδάν ο αρχισωματοφύλαξ.
10 কিন্তু রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন যিহূদায় কিছু দীনদরিদ্র ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেন, তাদের কাছে কিছুই ছিল না। সেই সময় তিনি তাদের দ্রাক্ষাকুঞ্জ ও কৃষিজমি দান করলেন।
Εκ δε του λαού τους πτωχούς τους μη έχοντας μηδέν αφήκεν ο Νεβουζαραδάν ο αρχισωματοφύλαξ εν τη γη του Ιούδα και έδωκεν εις αυτούς αμπελώνας και αγρούς εν τω καιρώ εκείνω.
11 এরপর, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁর রাজরক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদনের মাধ্যমে যিরমিয়ের জন্য এই আদেশ দিলেন,
Και έδωκε διαταγήν Ναβουχοδονόσορ ο βασιλεύς της Βαβυλώνος περί του Ιερεμίου εις τον Νεβουζαραδάν τον αρχισωματοφύλακα, λέγων,
12 “তাঁকে গ্রহণ করো ও তাঁর তত্ত্বাবধান করো। তাঁর কোনো ক্ষতি করবে না, বরং তিনি যা চান, তাঁর প্রতি তাই করবে।”
Λάβε αυτόν και επιμελήθητι αυτού και μη κάμης εις αυτόν κακόν· αλλ' όπως λαλήση προς σε, ούτω κάμε εις αυτόν.
13 তাই রক্ষীদলের সেনাপতি নবূষরদন, একজন প্রধান আধিকারিক নবুশাস্‌বন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী নের্গল-শরেৎসর ও ব্যাবিলনের রাজার অন্যান্য সমস্ত কর্মচারীকে
Και απέστειλεν ο Νεβουζαραδάν ο αρχισωματοφύλαξ και ο Νεβουσαζβάν, ο Ραβ-σαρείς και ο Νεργάλ-σαρεσέρ, ο Ραβ-μαγ και πάντες οι άρχοντες του βασιλέως της Βαβυλώνος,
14 যিরমিয়ের কাছে প্রেরণ করে, তাঁকে রক্ষীদের প্রাঙ্গণ থেকে মুক্ত করে আনলেন। তারা তাঁকে শাফনের পুত্র অহীকামের পুত্র গদলিয়ের হাতে সমর্পণ করলেন, যেন তিনি তাঁকে তাঁর গৃহে ফেরত নিয়ে যান। এভাবেই তিনি তাঁর আপনজনদের কাছে থেকে গেলেন।
απέστειλαν και έλαβον τον Ιερεμίαν εκ της αυλής της φυλακής και παρέδωκαν αυτόν εις τον Γεδαλίαν, υιόν του Αχικάμ υιού του Σαφάν, διά να φέρη αυτόν εις τον οίκον αυτού· και κατώκησε μεταξύ του λαού.
15 যখন যিরমিয় রক্ষীদের প্রাঙ্গণে অবরুদ্ধ ছিলেন, সদাপ্রভুর বাক্য তাঁর কাছে উপস্থিত হল:
Και έγεινε λόγος Κυρίου προς τον Ιερεμίαν, ενώ ήτο κεκλεισμένος εν τη αυλή της φυλακής, λέγων,
16 “তুমি যাও ও গিয়ে কূশীয় এবদ-মেলককে বলো, ‘বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, আমি এই নগরের বিরুদ্ধে আমার বচন, সমৃদ্ধির নয়, কিন্তু বিপর্যয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করতে চলেছি। সেই সময়, সেগুলি তোমার চোখের সামনে পূর্ণ হবে।
Ύπαγε και λάλησον προς Αβδέ-μέλεχ τον Αιθίοπα, λέγων, Ούτω λέγει ο Κύριος των δυνάμεων, ο Θεός του Ισραήλ· Ιδού, εγώ θέλω φέρει τους λόγους μου επί την πόλιν ταύτην διά κακόν και ουχί διά καλόν· και θέλουσιν εκτελεσθή ενώπιόν σου την ημέραν εκείνην.
17 কিন্তু সেদিন, আমি তোমাকে উদ্ধার করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন; তুমি যাদের ভয় করো, তাদের হাতে তোমাকে সমর্পণ করা হবে না।
Θέλω όμως σε σώσει εν τη ημέρα εκείνη, λέγει Κύριος, και δεν θέλεις παραδοθή εις την χείρα των ανθρώπων, των οποίων συ φοβείσαι το πρόσωπον,
18 আমি তোমাকে রক্ষা করব; তুমি তরোয়ালের আঘাতে পতিত হবে না, কিন্তু তোমার প্রাণরক্ষা পাবে, কারণ তুমি আমাকে বিশ্বাস করেছ, সদাপ্রভু এই কথা বলেন।’”
διότι εξάπαντος θέλω σε σώσει και δεν θέλεις πέσει διά μαχαίρας, αλλ' η ζωή σου θέλει είσθαι ως λάφυρον εις σε, επειδή πέποιθας επ' εμέ, λέγει Κύριος.

< যিরমিয়ের বই 39 >