< যিরমিয়ের বই 29 >

1 নির্বাসিতদের মধ্যে অবশিষ্ট বেঁচে থাকা প্রাচীনদের, যাজকদের ও অন্য সব মানুষকে, যাদের নেবুখাদনেজার জেরুশালেম থেকে ব্যাবিলনে নির্বাসিত করেন, তাদের কাছে ভাববাদী যিরমিয় যে পত্র প্রেরণ করেন, তার নির্যাস এরকম।
এটিই হল গুটানো চিঠি, যা যিরমিয় ভাববাদী বন্দীদের মধ্যে অবশিষ্ট থাকা প্রাচীনদের, যাজকদের, ভাববাদীদের এবং অন্য যে সমস্ত লোকেদের নবূখদনিৎসর যিরূশালেম থেকে বাবিলে নির্বাসিত করেছিলেন তাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
2 (রাজা যিহোয়াখীন ও রাজমাতা, রাজদরবারের কর্মকর্তারা এবং যিহূদা ও জেরুশালেমের নেতারা, কারুশিল্পী ও সুদক্ষ মিস্ত্রিরা যখন জেরুশালেম থেকে নির্বাসনে যান, এ সেই সময়কার ঘটনা)
রাজা যিকনিয়, রাজমাতা, রাজকর্মচারীরা, যিহূদা ও যিরূশালেমের নেতারা এবং কারিগরেরা যিরূশালেম থেকে যাবার পরে এই চিঠি লেখা হয়েছিল।
3 তিনি ওই পত্রখানি শাফনের পুত্র এলাসা ও হিল্কিয়ের পুত্র গমরিয়ের হাতে সমর্পণ করেন, যাদের যিহূদার রাজা সিদিকিয়, ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের কাছে প্রেরণ করেন। সেই পত্রে লেখা ছিল:
তিনি এই গোটানো চিঠি শাফনের ছেলে ইলীয়াসা ও হিল্কিয়ের ছেলে গমরিয়ের হাতে পাঠিয়েছিলেন, যাকে যিহূদার রাজা সিদিকিয় বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
4 জেরুশালেম থেকে আমি যাদের ব্যাবিলনে নির্বাসিত করেছি, তাদের প্রতি বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলেন:
এই গোটানো চিঠিতে এই কথা ছিল, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সমস্ত বন্দীদের এই কথা বলেন, যারা আমার কারণে যিরূশালেম থেকে বাবিলে নির্বাসিত হয়েছিল, তাদের প্রতি
5 “তোমরা বাসগৃহ নির্মাণ করে সেখানে বসতি করো; উদ্যানে সব গাছপালা রোপণ করো ও সেগুলিতে উৎপন্ন ফল খাও।
বাড়ি তৈরী কর ও তাতে বাস কর। বাগান চাষ কর ও তার ফল খাও।
6 সেখানে আমোদ-আনন্দ করো এবং পুত্রকন্যার জন্ম দাও; তোমাদের পুত্রদের জন্য স্ত্রীর অন্বেষণ করো ও কন্যাদের বিবাহ দাও, যেন তারাও পুত্রকন্যাদের জন্ম দেয়। সেখানে সংখ্যায় বৃদ্ধি পাও, হ্রাস পেয়ো না।
স্ত্রী গ্রহণ কর ও ছেলেমেয়ের জন্ম দাও। তোমাদের ছেলেদের জন্য স্ত্রী ও মেয়েদের জন্য স্বামী নিয়ে এসো। তারাও ছেলেমেয়ে জন্ম দিক এবং সেখানে বেড়ে উঠুক, যাতে তোমাদের সংখ্যা না কমে।
7 সেই সঙ্গে ওই নগরের শান্তি ও সমৃদ্ধির অন্বেষণ করো, যেখানে আমি তোমাদের নির্বাসিত করেছি। সদাপ্রভুর কাছে সেই নগরের জন্য প্রার্থনা করো, কারণ সেই নগরের সমৃদ্ধি হলে তোমরাও সমৃদ্ধ হবে।”
সেই শহরে শান্তির খোঁজ কর যেখানে আমার কারণে তোমরা নির্বাসিত হয়েছ এবং আমার পক্ষে মধ্যস্থতা কর, কারণ যদি সেই শহর শান্তিতে থাকে তবে তোমরাও শান্তিতে থাকবে।
8 হ্যাঁ, এই কথাই বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন: “তোমাদের মধ্যে স্থিত ভাববাদীরা ও গণকেরা তোমাদের বিভ্রান্ত না করুক। তোমরা তাদের স্বপ্নের কথায় বিশ্বাস কোরো না।
কারণ বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, তোমাদের মধ্যে থাকা ভাববাদীরা এবং তোমাদের গণকেরা তোমাদের প্রতারিত না করুক এবং তোমরা নিজেরা যে স্বপ্ন দেখ, তাতে কান দিও না।
9 তারা আমার নামে তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী বলে। আমি তাদের প্রেরণ করিনি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
কারণ তারা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী করে। আমি তাদের পাঠাই নি। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
10 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “ব্যাবিলন সম্বন্ধে যে সত্তর বছরের কথা বলা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ হলে, আমি তোমাদের কাছে আসব এবং এই স্থানে ফিরিয়ে আনার মূল্যবান প্রতিশ্রুতি আমি পূর্ণ করব।
১০কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যখন বাবিল তোমাদের উপর সত্তর বছর শাসন করেছে, আমি তোমাদের সাহায্য করব এবং তোমাদের এই জায়গায় ফিরিয়ে এনে আমার মঙ্গল জনক বাক্য পূর্ণ করব।
11 কারণ তোমাদের জন্য কৃত পরিকল্পনার কথা আমি জানি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “তা হল তোমাদের সমৃদ্ধির পরিকল্পনা, তোমাদের ক্ষতি করার নয়, তোমাদের এক আশা ও ভবিষ্যৎ মঙ্গলদানের পরিকল্পনা।
১১তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমি নিজেই জানি এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা তোমাদের শান্তির জন্য পরিকল্পনা, ক্ষতির জন্য নয়; যা তোমাদের একটি ভবিষ্যত ও আশা দেবে।
12 তখন তোমরা আমার নামে ডাকবে ও আমার কাছে এসে প্রার্থনা করবে। আর আমি তোমাদের কথা শুনব।
১২তখন তোমরা আমাকে ডাকবে, আসবে ও আমার কাছে প্রার্থনা করবে এবং আমি তোমাদের কথা শুনব।
13 তোমরা যখন সম্পূর্ণ মনেপ্রাণে আমার অন্বেষণ করবে, তখন আমাকে খুঁজে পাবে।
১৩কারণ তোমরা আমার খোঁজ করবে ও আমাকে খুঁজে পাবে, যেহেতু তোমরা আমাকে তোমাদের হৃদয় দিয়ে খোঁজ করবে।
14 তোমরা আমার সন্ধান পাবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি তোমাদের বন্দিত্ব থেকে ফিরিয়ে আনব। আমি তোমাদের যেখানে যেখানে নির্বাসিত করেছিলাম, সেই সমস্ত জাতি ও স্থান থেকে তোমাদের সংগ্রহ করব এবং যে দেশ থেকে তোমাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছিলাম, সেই দেশে ফিরিয়ে আনব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
১৪তখন তোমাদের মাধ্যমে আমার খোঁজ পাওয়া যাবে এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমি তোমাদের বন্দীদশা থেকে ফিরিয়ে আনব এবং সমস্ত জাতির কাছ থেকে একত্রিত করব ও যেখানে আমি তোমাদের ছড়িয়ে দিয়েছিলাম সেখান স্থাপন করব এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমার কারণে যেখান থেকে তোমরা নির্বাসিত হয়েছিলে, সেখানে তোমাদের কে ফিরিয়ে আনব।
15 তোমরা হয়তো বলবে, “সদাপ্রভু আমাদের জন্য ব্যাবিলনে ভাববাদীদের উৎপন্ন করেছেন,”
১৫যেহেতু তোমরা বলেছ যে, সদাপ্রভু বাবিলে আমাদের জন্য ভাববাদীদের তুলেছেন,
16 কিন্তু দাউদের সিংহাসনে উপবেশনকারী রাজা ও অন্য সব লোক, তোমাদের স্বদেশবাসী যারা নির্বাসনে যায়নি, যারা এই নগরে থেকে গেছে, তাদের উদ্দেশে সদাপ্রভু এই কথা বলেন—
১৬সদাপ্রভু সেই রাজাকে, যে দায়ূদের সিংহাসনে বসেন এবং এই শহরে বসবাসকারী লোকেরা, তোমার ভাইয়েরা যারা তোমাদের সাথে বন্দী হয়নি তাদের এই কথা বলেন
17 হ্যাঁ, তাদেরই উদ্দেশে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারি প্রেরণ করব। আমি তাদের অতি নিকৃষ্ট ডুমুরফলের মতো করব, যা এত খারাপ যে মুখে দেওয়া যায় না।
১৭বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, দেখ, আমি তাদের উপর তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও অসুখ পাঠাব। কারণ আমি তাদের এমন পচা ডুমুরের মত করব যেটি খেতেও খুব খারাপ।
18 আমি তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারি নিয়ে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করব ও জগতের সমস্ত রাজ্যের কাছে তাদের ঘৃণ্য করে তুলব। আমি যেখানেই তাদের বিতাড়িত করি, সেইসব জাতির কাছে অভিশাপ ও বিভীষিকার, নিন্দা ও দুর্নামের পাত্র করব।
১৮আমি তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী নিয়ে তাদের খোঁজ করব এবং পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের কাছে তাদের ভয়ের পাত্র করে তুলব সমস্ত জাতির কাছে একটি ভীতি, একটি অভিশপ্ত, শিশ শব্দের এবং একটি লজ্জার পাত্র, যেখানে আমি তাকে ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।
19 কারণ তারা আমার কথা শোনেনি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “আমি তাদের কাছে আমার যে দাস ভাববাদীদের মাধ্যমে বারবার যেসব বার্তা প্রেরণ করেছিলাম, তা তারা শোনেনি। আর নির্বাসিত যে তোমরা, তোমরাও আমার কথা শোনোনি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
১৯এর কারণ হল, তারা আমার কথা শোনে না, এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, আমি তাদের আমার দাস ভাববাদীদের মাঝে পাঠিয়েছি। আমি বার বার তাদের পাঠিয়েছি, কিন্তু তোমরা শোনো নি এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
20 সেই কারণে, আমি যাদের জেরুশালেম থেকে ব্যাবিলনে নির্বাসনে প্রেরণ করেছি, সেই তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
২০সেইজন্য তোমরা নিজেরা সদাপ্রভুর বাক্য শোন, তোমরা সমস্ত নির্বাসিতরা, যাদের তিনি যিরূশালেম থেকে বাবিলে পাঠিয়েছেন:
21 কোলায়ের পুত্র আহাব ও মাসেয়ের পুত্র সিদিকিয় সম্বন্ধে, যারা আমার নামে তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী বলেছে, তাদের সম্বন্ধে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “আমি তাদের ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজারের হাতে সমর্পণ করব। সে তোমাদের চোখের সামনে তাদের মেরে ফেলবে।
২১আমি, বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর কোলায়ের ছেলে আহাব ও মাসেয়ের ছেলে সিদিকিয়, যারা আমার নামে তোমাদের কাছে মিথ্যা ভাববাণী করে, তাদের সম্মন্ধে এই কথা বলি: দেখ, আমি বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে তাদের সমর্পণ করব। সে তোমাদের চোখের সামনেই তাদের হত্যা করবে।
22 তাদের কারণে, যিহূদা থেকে ব্যাবিলনে নির্বাসিত সকলে এই অভিশাপের বাক্য ব্যবহার করবে: ‘সদাপ্রভু তোমার প্রতি সিদিকিয় ও আহাবের মতো আচরণ করুন, যাদের ব্যাবিলনের রাজা অগ্নিদগ্ধ করেছেন।’
২২তখন বাবিলে যিহূদার যে সমস্ত বন্দী লোক আছে, তাদের মাধ্যমে সেই লোকেদের একটি অভিশাপের কথা বলা হবে। অভিশাপটি হবে, সদাপ্রভু তোমাকে সিদিকিয় ও আহাবের মত করুন, যাদের বাবিলের রাজা আগুনে পুড়িয়েছিলেন।
23 কারণ তারা ইস্রায়েলের মধ্যে জঘন্য সব কাজ করেছে; তারা প্রতিবেশীদের স্ত্রীদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং আমার নাম করে মিথ্যা কথা বলেছে। যে কথা আমি তাদের বলবার অধিকার দিইনি। আমি একথা জানি এবং আমি এই বিষয়ের সাক্ষী,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
২৩তারা ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে যে লজ্জাজনক কাজ করেছে; তারা প্রতিবেশীর স্ত্রীদের সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং তারা আমার নামে সেই সব মিথ্যা কথা বলেছে, আমি তাদের যা বলতে বলি নি; এর কারণেই এই সব ঘটবে। কারণ একমাত্র আমিই জানি; আমি তার সাক্ষী। এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা।
24 তুমি নিহিলামীয় শময়িয়কে এই কথা বলো,
২৪নিহিলামীয় শময়িয়র বিষয়ে এই কথা বলেন,
25 “বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন: তুমি মাসেয়ের পুত্র যাজক সফনিয় ও জেরুশালেমের সমস্ত লোকের কাছে তোমার নিজের নামে বিভিন্ন পত্র প্রেরণ করেছ। তুমি সফনিয়কে বলেছ,
২৫বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর বলেন, তুমি নিজের নামে যিরূশালেমের সব লোকদের কাছে, মাসেয়ের ছেলে যাজক সফনিয়ের কাছে এবং অন্য সমস্ত যাজকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছ এবং বলেছ,
26 ‘সদাপ্রভু তোমাকে যিহোয়াদার স্থানে সদাপ্রভুর গৃহের তত্ত্বাবধায়ক করে যাজকরূপে নিযুক্ত করেছেন; কোনো পাগল যদি ভাববাদীর মতো অভিনয় করে, তাহলে তুমি তাকে হাড়িকাঠে ও গলায় লোহার বেড়ি দিয়ে বদ্ধ করবে।
২৬সদাপ্রভু তোমাকে যিহোয়াদায় যাজক বানিয়েছেন, যাতে সদাপ্রভুর গৃহের অধ্যক্ষ হতে পারো। যদি সমস্ত লোকেদের মধ্যে কোন ব্যক্তি পাগল হয়ে নিজেকে ভাববাদী বলে, তবে সে তোমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তুমি তাকে কারাগারে শেকল দিয়ে আটকে রাখবে।
27 কাজেই তুমি কেন অনাথোতীয় যিরমিয়কে কঠোরভাবে তিরস্কার করোনি, যে তোমাদের মধ্যে একজন ভাববাদীর মতো ভান করে?
২৭তাই এখন, অনাথোতীর যিরমিয় যে তোমার বিরুদ্ধে নিজেকে ভাববাদী বলে, তাকে তুমি তিরস্কার করো নি কেন?
28 সে আমাদের কাছে ব্যাবিলনে এই বার্তা প্রেরণ করেছে: এখনও অনেক দিন আমাদের এখানে থাকতে হবে। তাই ঘরবাড়ি তৈরি করে তোমরা সেখানে বসবাস করো; উদ্যান তৈরি করে তার ফল খাও।’”
২৮কারণ সে বাবিলে আমাদের কাছে এটা বলে পাঠিয়েছে যে, অনেক দিন লাগবে। তাই বাড়ি তৈরী কর ও সেখানে বাস কর, বাগান চাষ কর এবং তার ফল খাও।
29 যাজক সফনিয় অবশ্য চিঠিখানি ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে পাঠ করলেন।
২৯যাজক সফনিয় সেই চিঠিটি ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে পড়লেন।
30 তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে উপস্থিত হল:
৩০তখন সদাপ্রভুর বাক্য যিরমিয়ের কাছে এল ও বলল,
31 “নির্বাসিত সকলের কাছে তুমি এই বার্তা প্রেরণ করো: ‘নিহিলামীয় শময়িয় সম্পর্কে সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আমি শময়িয়কে প্রেরণ না করলেও, সে যেহেতু তোমাদের কাছে ভাববাণী বলেছে এবং তোমাদের মিথ্যা কথা বিশ্বাস করার জন্য চালিত করেছে,
৩১“তুমি সমস্ত নির্বাসিতদের কাছে এই খবর পাঠাও, নিহিলামীয় শময়িয়ের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আমি শময়িয়কে তোমাদের কাছে না পাঠালেও, সে তোমাদের কাছে ভাববাণী করেছে; সে মিথ্যা কথায় তোমাদের বিশ্বাস করিয়েছে’।
32 সেই কারণে সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আমি নিহিলামীয় শময়িয় ও তার বংশধরদের অবশ্যই শাস্তি দেব। এই লোকদের মধ্যে তার কেউই অবশিষ্ট থাকবে না। আমার প্রজাদের জন্য আমি যে মঙ্গলসাধন করব, তাও সে দেখতে পাবে না, সদাপ্রভু এই কথা বলেন, কারণ সে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা ঘোষণা করেছে।’”
৩২সেইজন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি নিহিলামীয় শময়িয় ও তার বংশধরদের শাস্তি দেব। এই জাতির মধ্যে তার কেউ থাকবে না। আমি আমার প্রজাদের যে মঙ্গল করব, তা সে দেখতে পাবে না’ এটি সদাপ্রভুর ঘোষণা, ‘কারণ সে আমি, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে অবিশ্বস্ততার কথা প্রচার করেছে’।”

< যিরমিয়ের বই 29 >