যিরমিয়ের বই 23

1 সদাপ্রভু বলেন, “ধিক্ সেই পালকদের, যারা আমার চারণভূমির মেষদের ছিন্নভিন্ন ও ধ্বংস করে!”

١ يَقُولُ الرَّبُّ: «وَيْلٌ لِلرُّعَاةِ الَّذِينَ يُبِيدُونَ وَيُبَدِّدُونَ غَنَمَ رَعِيَّتِي (أَيْ شَعْبِي)».

2 সেই কারণে, যারা আমার প্রজাদের চরায়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন: “তোমরা যেহেতু আমার মেষদের ছিন্নভিন্ন করেছ, তাদের বিতাড়িত করেছ এবং তাদের প্রতি কোনো যত্ন করোনি, তোমরা তাদের প্রতি যে অন্যায় করেছ, তার জন্য আমি তোমাদের শাস্তি দেব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

٢ لِذَلِكَ هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ عَنِ الرُّعَاةِ الَّذِينَ يَرْعَوْنَ شَعْبِي: «لَقَدْ بَدَّدْتُمْ غَنَمِي (أَيْ شَعْبِي) وَطَرَدْتُمُوهَا، وَلَمْ تَتَعَهَّدُوهَا. فَهَا أَنَا أُعَاقِبُكُمْ عَلَى شَرِّ أَعْمَالِكُمْ.

3 “আমি যে সমস্ত দেশে আমার প্রজাপালকে বিতাড়িত করেছি, আমি স্বয়ং সেখান থেকে তাদের অবশিষ্টাংশকে সংগ্রহ করে তাদের চারণভূমিতে ফিরিয়ে আনব। সেখানে তারা ফলবান হবে ও সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে।

٣ وَأَجْمَعُ شَتَاتَ غَنَمِي مِنْ جَمِيعِ الأَرَاضِي الَّتِي أَجْلَيْتُهَا إِلَيْهَا، وَأَرُدُّهَا إِلَى مَرَاعِيهَا فَتَنْمُو وَتَتَكَاثَرُ،

4 আমি তাদের উপরে পালকদের নিযুক্ত করব। তারা তাদের তত্ত্বাবধান করবে। তারা আর ভীত বা আতঙ্কগ্রস্ত হবে না, কেউ হারিয়েও যাবে না,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

٤ وَأُقِيمُ عَلَيْهَا رُعَاةً يَتَعَهَّدُونَهَا فَلا يَعْتَرِيهَا خَوْفٌ مِنْ بَعْدُ وَلا تَرْتَعِدُ وَلا تَضِلُّ.

5 সদাপ্রভু বলেন, “সেদিন আসন্ন,” যখন দাউদের বংশ থেকে আমি এক ধার্মিক পল্লবকে তুলে ধরব, সেই রাজা জ্ঞানপূর্বক রাজত্ব করবে এবং সেদেশে যথার্থ ও ন্যায়সংগত কাজ করবে।

٥ هَا أَيَّامٌ مُقْبِلَةٌ أُقِيمُ فِيهَا لِدَاوُدَ ذُرِّيَّةَ بِرٍّ، مَلِكاً يَسُودُ بِحِكْمَةٍ، وَيُجْرِي فِي الأَرْضِ عَدْلاً وَحَقّاً.

6 তার সময়ে যিহূদা পরিত্রাণ পাবে এবং ইস্রায়েল নিরাপদে বসবাস করবে। আর এই নামে সে আখ্যাত হবে, সদাপ্রভু আমাদের ধার্মিক ত্রাণকর্তা।

٦ فِي عَهْدِهِ يَتِمُّ خَلاصُ شَعْبِ يَهُوذَا، وَيَسْكُنُ شَعْبُ إِسْرَائِيلَ آمِناً. أَمَّا الاسْمُ الَّذِي سَيُدْعَى بِهِ فَهُوَ: الرَّبُّ بِرُّنَا.

7 সদাপ্রভু বলেন, “তাহলে সেই দিনগুলি আসছে, যখন লোকেরা আর বলবে না, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে মুক্ত করে এনেছেন,’

٧ لِذَلِكَ هَا أَيَّامٌ مُقْبِلَةٌ لَا يُرَدِّدُ فِيهَا النَّاسُ مِنْ بَعْدُ: حَيٌّ هُوَ الرَّبُّ الَّذِي أَخْرَجَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ.

8 কিন্তু তারা বলবে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলের বংশধরদের উত্তরের দেশ থেকে এবং যে সমস্ত দেশে তাদের নির্বাসিত করেছিলেন, সেখান থেকে তাদের নিয়ে এসেছেন।’ তখন তারা স্বদেশে বসবাস করবে।”

٨ بَلْ يَقُولُونَ: حَيٌّ هُوَ الرَّبُّ الَّذِي أَخْرَجَ ذُرِّيَّةَ شَعْبِ إِسْرَائِيلَ، وَأَتَى بِهِمْ مِنْ أَرْضِ الشِّمَالِ وَمِنْ كَافَّةِ الدِّيَارِ الَّتِي أَجْلاهُمْ إِلَيْهَا، فَيَسْكُنُونَ فِي أَرْضِهِمْ».

9 ভাববাদীদের সম্পর্কিত বিষয়: আমার অন্তর আমার মধ্যে ভেঙে পড়েছে, আমার সব হাড় কাঁপতে থাকে; আমি এক মাতাল ব্যক্তির মতো হয়েছি, দ্রাক্ষারসে পরাভূত কোনো লোকের মতো, সদাপ্রভু ও তাঁর পবিত্র বাক্যের কারণে।

٩ ثُمَّ تَكَلَّمَ إِرْمِيَا عَنِ الأَنْبِيَاءِ الكَذَبَةِ فَقَالَ: «إِنَّ قَلْبِي مُنْكَسِرٌ فِي دَاخِلِي، وَجَمِيعَ عِظَامِي تَرْتَجِفُ، فَأَنَا، بِتَأْثِيرِ الرَّبِّ وَبِفِعْلِ كَلامِهِ الْمُقَدَّسِ كَرَجُلٍ سَكْرَانَ غَلَبَتْ عَلَيْهِ الْخَمْرُ

10 দেশ সব ব্যভিচারীতে পূর্ণ; অভিশাপের কারণে দেশ শুকনো হয়ে পড়ে আছে, মরুপ্রান্তের সব চারণভূমি শুকিয়ে গেছে। ভাববাদীরা এক মন্দ উপায় অবলম্বন করে, তারা তাদের ক্ষমতার অন্যায় ব্যবহার করে।

١٠ لأَنَّ الأَرْضَ قَدِ اكْتَظَّتْ بِالْفَاسِقِينَ، وَنَاحَتْ مِنْ عَاقِبَةِ لَعْنَةِ اللهِ، فَجَفَّتْ مَرَاعِي الْحُقُولِ لأَنَّ مَسَاعِيَهُمْ بَاتَتْ شِرِّيرَةً، وَجَبَرُوتَهُمْ مُسَخَّرٌ لِلْبَاطِلِ».

11 “ভাববাদী ও যাজক, উভয়েই ভক্তিহীন; এমনকি, আমার মন্দিরেও আমি তাদের দুষ্টতা দেখি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

١١ وَيَقُولُ الرَّبُّ: «النَّبِيُّ وَالْكَاهِنُ كَافِرَانِ، وَفِي بَيْتِي وَجَدْتُ شَرَّهُمَا.

12 “সেই কারণে তাদের পথ পিচ্ছিল হবে, তাদের অন্ধকারে তাড়িয়ে দেওয়া হবে এবং সেখানেই তাদের পতন হবে। যে বছরে তারা শাস্তি পাবে, আমি তাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

١٢ لِذَلِكَ يُضْحِي طَرِيقُهُمَا مَزَالِقَ لَهُمَا، تُفْضِي بِهِمَا إِلَى الظُّلُمَاتِ الَّتِي يُطْرَدُونَ إِلَيْهَا، وَيَهْوِيانَ فِيهَا لأَنِّي أَجْلِبُ عَلَيْهِمَا شَرّاً فِي سَنَةِ عِقَابِهِمَا.

13 “শমরিয়ার ভাববাদীদের মধ্য আমি এই বিরক্তিকর ব্যাপার দেখেছি, তারা বায়াল-দেবতার নামে ভাববাণী করে আমার প্রজা ইস্রায়েলকে বিপথগামী করেছে।

١٣ فِي أَوْسَاطِ أَنْبِيَاءِ السَّامِرَةِ شَهِدْتُ أُمُوراً كَرِيهَةً، إِذْ تَنَبَّأُوا بِاسْمِ الْبَعْلِ، وَأَضَلُّوا شَعْبِي إِسْرَائِيلَ.

14 আবার জেরুশালেমের ভাববাদীদের মধ্যে, আমি এই ভয়ংকর ব্যাপার দেখেছি, তারা ব্যভিচার করে ও মিথ্যাচারের জীবন কাটায়। তারা অন্যায়কারীদের হাত শক্ত করে, যেন কেউই তার দুষ্টতার পথ থেকে না ফেরে। তারা সবাই আমার কাছে সদোমের লোকদের মতো; জেরুশালেমের লোকেরা ঘমোরার মতো।”

١٤ وَفِي أَوْسَاطِ أَنْبِيَاءِ أُورُشَلِيمَ رَأَيْتُ أُمُوراً مَهُولَةً: يَرْتَكِبُونَ الْفِسْقَ، وَيَسْلُكُونَ فِي الأَكَاذِيبِ، يُشَدِّدُونَ أَيْدِي فَاعِلِي الإِثْمِ لِئَلَّا يَتُوبَ أَحَدٌ عَنْ شَرِّهِ. صَارُوا جَمِيعاً كَسُكَّانِ سَدُومَ وَأَصْبَحَ أَهْلُهَا كَأَهْلِ عَمُورَةَ».

15 অতএব, ভাববাদীদের সম্পর্কে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “আমি তাদের খেতে দেব তেতো আহার, পান করার জন্য বিষাক্ত জল, কারণ জেরুশালেমের সব ভাববাদীর কাছ থেকে ভক্তিহীনতা ছড়িয়ে পড়েছে সমস্ত দেশে।”

١٥ لِذَلِكَ هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ عَنِ الأَنْبِيَاءِ: «هَا أَنَا أُطْعِمُهُمْ أَفْسَنْتِيناً وَأَسْقِيهِمْ مَاءً مَسْمُوماً، لأَنَّهُ مِنْ أَنْبِيَاءِ أُورُشَلِيمَ شَاعَ الْكُفْرُ فِي كُلِّ أَرْجَاءِ الأَرْضِ».

16 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ভাববাদীরা তোমাদের কাছে যে ভাববাণী বলে, তোমরা সেই কথা শুনো না; তারা মিথ্যা আশা তোমাদের মনে ভরায়। তাদের মনগড়া দর্শনের কথা তারা বলে, যা সদাপ্রভুর মুখ থেকে নির্গত হয়নি।

١٦ «لا تَسْمَعُوا لأَقْوَالِ الأَنْبِيَاءِ الَّذِينَ يَتَنَبَّأُونَ لَكُمْ وَيَخْدَعُونَكُمْ بِالأَوْهَامِ، لأَنَّهُمْ يَنْطِقُونَ بِرُؤَى مُخَيَّلاتِهِمْ، وَلا يَتَكَلَّمُونَ بِمَا أَوْحَى بِهِ فَمِي.

17 যারা আমাকে অবজ্ঞা করে, তারা তাদের কাছে বলে যায়, ‘সদাপ্রভু বলেন: তোমাদের শান্তি হবে।’ আর যারাই তাদের হৃদয়ের একগুঁয়েমির অধীনে চলে, তারা বলে, ‘তোমাদের কোনো ক্ষতি হবে না।’

١٧ قَائِلِينَ بِإِصْرَارٍ لِمَنْ يَحْتَقِرُونَنِي:’قَدْ أَعْلَنَ الرَّبُّ أَنَّ السَّلامَ يَسُودُكُمْ‘وَيُرَدِّدُونَ لِكُلِّ مَنْ يَجْرِي وَرَاءَ أَهْوَاءِ قَلْبِهِ:’لَنْ يُصِيبَكُمْ ضَرُّ.‘

18 কিন্তু তাদের মধ্যে কে সদাপ্রভুর সভায় দাঁড়িয়েছে তাঁকে দেখার বা তাঁর কথা শোনার জন্য? কে তাঁর বাক্য শুনে তা অবধান করেছে?

١٨ مَعَ أَنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهُمْ مَنْ مَثَلَ فِي مَجْلِسِ الرَّبِّ وَرَأَى وَأَنْصَتَ لِكَلِمَتِهِ، وَلا مَنْ أَصْغَى لِقَوْلِهِ وَأَطَاعَهُ.

19 দেখো, সদাপ্রভুর ক্রোধ ঝড়ের মতো আছড়ে পড়বে, তা ঘূর্ণিবায়ুর মতো ঘুরে ঘুরে দুষ্টদের মাথায় পড়বে।

١٩ هَا عَاصِفَةُ سُخْطِ الرَّبِّ قَدِ انْطَلَقَتْ، وَزَوْبَعَةٌ هَوْجَاءُ قَدْ ثَارَتْ لِتَجْتَاحَ رُؤُوسَ الأَشْرَارِ.

20 সদাপ্রভুর ক্রোধ ফিরে আসবে না যতক্ষণ না তা তাঁর হৃদয়ের অভিপ্রায় পূর্ণরূপে সাধন করে। আগামী দিনগুলিতে তোমরা তা স্পষ্ট বুঝতে পারবে।

٢٠ فَغَضَبُ الرَّبِّ لَنْ يَرْتَدَّ حَتَّى يُنْجِزَ مَقَاصِدَ قَلْبِهِ الَّتِي سَتُدْرِكُونَهَا بِوُضُوحٍ فِي آخِرِ الأَيَّامِ.

21 আমি এসব ভাববাদীকে প্রেরণ করিনি, তবুও তারা নিজেদেরই বার্তা আমার বলে দাবি করেছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলিনি, তবুও তারা ভাববাণী বলেছে।

٢١ إِنِّي لَمْ أُرْسِلْ هَؤُلاءِ الأَنْبِيَاءَ، وَمَعَ ذَلِكَ انْطَلَقُوا رَاكِضِينَ، وَلَمْ أُوْحِ لَهُمْ وَمَعَ ذَلِكَ يَتَنَبَّأُونَ.

22 কিন্তু, যদি তারা আমার দরবারে দাঁড়াত, তারা আমার কথা আমার প্রজাদের কাছে ঘোষণা করত এবং তাদের মন্দ পথ ও সব মন্দ কর্ম করা থেকে ফেরাত।

٢٢ لَوْ مَثَلُوا حَقّاً فِي مَجْلِسِي لَبَلَّغُوا كَلامِي لِشَعْبِي، وَلَكَانُوا رَدُّوهُمْ عَنْ مَسَاوِئِهِمْ وَعَنْ شَرِّ أَعْمَالِهِمْ.

23 “আমি কি কেবলমাত্র নিকটের ঈশ্বর,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি কি দূরের ঈশ্বর নই?

٢٣ أَلَعَلِّي أَرَى فَقَطْ مَا يَجْرِي عَنْ قُربٍ، وَلَسْتُ إِلَهاً يَرْقُبُ مَا يَجْرِي عَنْ بُعْدٍ؟

24 কেউ কি এমন কোনো গোপন স্থানে লুকাতে পারে, যেখানে আমি তাকে দেখতে পাব না?” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “আমি কি স্বর্গ ও মর্ত্য জুড়ে থাকি না?” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

٢٤ أَيُمْكِنُ لأَحَدٍ أَنْ يَتَوَارَى فِي أَمَاكِنَ خَفِيَّةٍ فَلا أَرَاهُ؟ أَمَا أَمْلأُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ؟

25 “যে ভাববাদীরা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলে, সেই ভাববাদীরা কী বলে, আমি তা শুনেছি। তারা বলে, ‘আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি! আমি একটি স্বপ্ন দেখেছি!’

٢٥ قَدْ سَمِعْتُ مَا نَطَقَ بِهِ الْمُتَنَبِّئُونَ بِاسْمِي زُوراً قَائِلِينَ:’قَدْ حَلِمْتُ، قَدْ حَلِمْتُ.‘

26 এসব ভণ্ড ভাববাদীর মনে কত কাল এসব থাকবে, যারা নিজেদের ভ্রান্ত মন থেকে উৎপন্ন এসব ভাববাণী বলে?

٢٦ إِلَى مَتَى يَظَلُّ هَذَا الْخِدَاعُ مَكْنُوناً فِي قُلُوبِ الْمُتَنَبِّئِينَ زُوراً؟ إِنَّهُمْ حَقّاً أَنْبِيَاءُ خِدَاعٍ، يَتَنَبَّأُونَ بَأَوْهَامِ قُلُوبِهِمْ.

27 তারা মনে করে, পরস্পরের কাছে তারা যে স্বপ্নের কথা বলে, তার ফলে আমার প্রজারা আমার নাম ভুলে যাবে, যেভাবে তাদের পূর্বপুরুষেরা বায়াল-দেবতার উপাসনার মাধ্যমে আমার নাম ভুলে গিয়েছিল।

٢٧ فَيُنَسُّونَ شَعْبِي اسْمِي بِمَا يَقُصُّهُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ عَلَى صَاحِبِهِ مِنْ أَحْلامِهِ، كَمَا نَسِيَ آبَاؤُهُمُ اسْمِي لأَجْلِ وَثَنِ الْبَعْلِ.

28 যে ভাববাদী স্বপ্ন দেখেছে, সে তার স্বপ্নের কথা বলুক, কিন্তু যার কাছে আমার বাক্য আছে, সে তা বিশ্বস্তভাবে বলুক। কারণ শস্যদানার সঙ্গে খড়ের কী সম্পর্ক?” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

٢٨ فَلْيَقُصَّ النَّبِيُّ الْحَالِمُ حُلْمَهُ. وَلَكِنْ مَنْ لَدَيْهِ كَلِمَتِي فَلْيُعْلِنْهَا بِالْحَقِّ، إِذْ مَاذَا يَجْمَعُ بَيْنَ التِّبْنِ وَالْقَمْحِ؟

29 “আমার বাক্য কি আগুনের মতো নয়,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এবং তা কি কোনো হাতুড়ির মতো নয়, যা পাথরকে খণ্ড খণ্ড করে?

٢٩ أَلَيْسَتْ كَلِمَتِي كَالنَّارِ، وَكَالْمِطْرَقَةِ الَّتِي تُحَطِّمُ الصُّخُورَ؟

30 “সেই কারণে,” সদাপ্রভু বলেন, “আমি সেইসব ভাববাদীর বিরুদ্ধে, যারা পরস্পরের কাছ থেকে বাক্য চুরি করে ও দাবি করে যে সেই বাক্যগুলি আমার কাছ থেকে পেয়েছে।”

٣٠ لِذَلِكَ هَا أَنَا أُقَاوِمُ هَؤُلاءِ الأَنْبِيَاءَ الَّذِينَ يَنْتَحِلُ كُلٌّ مِنْهُمْ كَلامَ الآخَرِ،

31 সদাপ্রভু বলেন, “হ্যাঁ, আমি সেইসব ভাববাদীর বিরুদ্ধে, যারা নিজেরা নিজেদের জিভ নাড়ায়, অথচ বলে, ‘সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।’

٣١ وَأُقَاوِمُ الأَنْبِيَاءَ الَّذِينَ يُسَخِّرُونَ أَلْسِنَتَهُمْ قَائِلِينَ:’الرَّبُّ يَقُولُ هَذَا.‘

32 প্রকৃতপক্ষে, আমি তাদের বিরুদ্ধে, যারা আমার নামে মিথ্যা স্বপ্নের ভাববাণী বলে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “তারা তাদের সেগুলি বলে এবং তাদের ভাবনাচিন্তাহীন মিথ্যার দ্বারা আমার প্রজাদের বিপথগামী করে, যদিও আমি তাদের পাঠাইনি বা নিয়োগ করিনি। তারা এই লোকদের বিন্দুমাত্রও উপকার করতে পারে না,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

٣٢ هَا أَنَا أُقَاوِمُ الْمُتَنَبِّئِينَ بِأَحْلامٍ كَاذِبَةٍ وَيَقُصُّونَهَا مُضِلِّينَ شَعْبِي بِأَكَاذِيبِهِمْ وَاسْتِخْفَافِهِمْ، مَعَ أَنِّي لَمْ أُرْسِلْهُمْ وَلَمْ أُكَلِّفْهُمْ بِشَيْءٍ. وَلا جَدْوَى مِنْهُمْ لِهَذَا الشَّعْبِ».

33 “মনে করো, কোনো প্রজা বা ভাববাদীদের বা যাজকদের মধ্যে কোনো একজন তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, ‘সদাপ্রভু কোনও ভাববাণী দিয়ে এখন তোমাকে ভারগ্রস্ত করেছেন?’ তাহলে তাদের বোলো, ‘তোমরাই হলে সেই ভার। সদাপ্রভু বলেছেন, তিনি তোমাদের পরিত্যাগ করবেন।’

٣٣ «إِذَا سَأَلَكَ أَحَدٌ مِنْ هَذَا الشَّعْبِ أَوْ نَبِيٌّ أَوْ كَاهِنٌ:’مَا هُوَ وَحْيُ قَضَاءِ الرَّبِّ؟‘فَأَجِبْهُمْ:’أَنْتُمْ وَحْيُ قَضَائِهِ. وَسَأَطْرَحُكُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ.‘

34 কোনো ভাববাদী বা যাজক বা অন্য কেউ যদি দাবি করে, ‘এই হল সদাপ্রভুর কাছ থেকে পাওয়া প্রত্যাদেশ,’ তাহলে আমি সেই ব্যক্তিকে এবং তার পরিজনদের শাস্তি দেব।

٣٤ أَمَّا النَّبِيُّ أَوِ الْكَاهِنُ أَوْ أَيُّ وَاحِدٍ مِنَ الشَّعْبِ يَدَّعِي قَائِلاً:’هَذَا وَحْيُ الرَّبِّ‘فَإِنِّي سَأُعَاقِبُهُ مَعَ أَهْلِ بَيْتِهِ.

35 তোমাদের প্রত্যেকে তার বন্ধু বা আপনজনকে এই কথা বলতে থাকো: ‘সদাপ্রভু কি উত্তর দিয়েছেন?’ অথবা ‘সদাপ্রভু কী কথা বলেছেন?’

٣٥ لِذَلِكَ هَكَذَا يُوَاظِبُ كُلُّ وَاحِدٍ عَلَى الْقَوْلِ لِصَاحِبِهِ، وَكُلُّ جَارٍ لِجَارِهِ:’مَا هُوَ جَوَابُ الرَّبِّ؟‘أَوْ’بِمَاذَا تَكَلَّمَ الرَّبُّ؟‘

36 কিন্তু তোমরা আর ‘সদাপ্রভুর ভাববাণী’ বলে উল্লেখ করবে না, কারণ সব মানুষের নিজেরই কথা তার পক্ষে ভারস্বরূপ হবে এবং এইভাবে তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের সব বাক্যকে বিকৃত করে থাকো, যিনি হলেন বাহিনীগণের সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর।

٣٦ أَمَّا ادِّعَاءُ وَحْيِ الرَّبِّ فَلا تَذْكُرُوهُ مِنْ بَعْدُ، فَإِنَّ كَلِمَةَ الْمَرْءِ تَغْدُو وَحْيَ قَضَائِهِ، إِذْ قَدْ حَرَّفْتُمْ كَلامَ الإِلَهِ الْحَيِّ، الرَّبِّ الْقَدِيرِ، إِلَهِنَا.

37 তোমরা এই কথা কোনো ভাববাদীকে বলতে থাকো, ‘আপনাকে সদাপ্রভু কী উত্তর দিয়েছেন?’ বা ‘সদাপ্রভু কী কথা বলেছেন?’

٣٧ لِذَلِكَ هَذَا مَا تَسْأَلُ بِهِ النَّبِيَّ:’بِمَاذَا أَجَابَ الرَّبُّ؟ وَبِمَاذَا تَكَلَّمَ؟‘

38 তোমরা যদিও দাবি করো, ‘এই হল সদাপ্রভুর ভাববাণী,’ একথা সদাপ্রভু বলেন: তোমরা এই কথাগুলি ব্যবহার করো, ‘এই হল সদাপ্রভুর ভাববাণী,’ যদিও আমি তোমাদের বলেছি, তোমরা ‘এই হল সদাপ্রভুর ভাববাণী,’ একথা অবশ্যই আর বলবে না।

٣٨ فَإِنِ ادَّعَيْتُمْ وَحْيَ قَضَاءِ الرَّبِّ، فَهَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ: لأَنَّكُمُ ادَّعَيْتُمْ وَحْيَ قَضَائِهِ بَعْدَ أَنْ حَظَرْتُهُ عَلَيْكُمْ قَائِلاً:’لَا تَقُولُوا هَذَا وَحْيُ قَضَائِهِ‘

39 অতএব, আমি নিশ্চিতরূপে তোমাদের ভুলে যাব এবং যে নগর আমি তোমাদের ও তোমাদের পিতৃপুরুষদের দিয়েছিলাম, তা আমার উপস্থিতি থেকে দূরে নিক্ষেপ করব।

٣٩ لِذَلِكَ هَا أَنَا أَنْسَاكُمْ تَمَاماً، وَأَطْرُدُكُمْ مِنْ مَحْضَرِي أَنْتُمْ وَالْمَدِينَةَ الَّتِي وَهَبْتُهَا لَكُمْ وَلِآبَائِكُمْ.

40 আমি তোমাদের উপরে চিরস্থায়ী দুর্নাম নিয়ে আসব—এক চিরকালীন লজ্জা, যা লোকেরা ভুলে যাবে না।”

٤٠ وَأُلْحِقُ بِكُمْ عَاراً أَبَدِيًّا وَخِزْياً لَا يُنْسَى».