< যাকোব 4 >
1 তোমাদের মধ্যে কী কারণে সংঘর্ষ ও বিবাদ ঘটে? তোমাদের মধ্যে যেসব অভিলাষ যুদ্ধ করে সেসব থেকেই কি তার উৎস নয়?
Πόθεν πόλεμοι καὶ πόθεν μάχαι ἐν ὑμῖν; οὐκ ἐντεῦθεν, ἐκ τῶν ἡδονῶν ὑμῶν τῶν στρατευομένων ἐν τοῖς μέλεσιν ὑμῶν;
2 তোমরা কিছু পেতে চাও, কিন্তু তা পাও না। তোমরা হত্যা করো, লোভ করো, কিন্তু যা পেতে চাও, তা তোমরা পাও না। তোমরা বিবাদ করো ও সংঘর্ষে লিপ্ত হও। তোমরা ঈশ্বরের কাছে কিছু চাও না, তাই তোমরা পাও না।
ἐπιθυμεῖτε, καὶ οὐκ ἔχετε· φονεύετε καὶ ζηλοῦτε, καὶ οὐ δύνασθε ἐπιτυχεῖν· μάχεσθε καὶ πολεμεῖτε. οὐκ ἔχετε διὰ τὸ μὴ αἰτεῖσθαι ὑμᾶς·
3 তোমরা যখন চাও, তখন তোমরা পাও না, কারণ তোমরা মন্দ উদ্দেশ্যে সেসব চেয়ে থাকো, যেন প্রাপ্ত বিষয়গুলি নিয়ে নিজেদের সুখাভিলাষের জন্য ব্যবহার করতে পারো।
αἰτεῖτε, καὶ οὐ λαμβάνετε, διότι κακῶς αἰτεῖσθε, ἵνα ἐν ταῖς ἡδοναῖς ὑμῶν δαπανήσητε.
4 ব্যভিচারীর দল, তোমরা কি জানো না, জগতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল ঈশ্বরের প্রতি ঘৃণার নিদর্শন? কোনো ব্যক্তি যদি জগতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে বেছে নেয়, সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে ওঠে।
μοιχαλίδες, οὐκ οἴδατε ὅτι ἡ φιλία τοῦ κόσμου ἔχθρα τοῦ θεοῦ ἐστιν; ὃς ἂν οὖν βουληθῇ φίλος εἶναι τοῦ κόσμου, ἐχθρὸς τοῦ θεοῦ καθίσταται.
5 তোমরা কি জানো না যে শাস্ত্র কী বলে? যে আত্মাকে তিনি আমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করতে দিয়েছেন, তিনি চান যেন তিনি শুধু তাঁরই হয়ে থাকেন। ঈশ্বর এই আত্মাকে আমাদের মধ্যে বসবাস করতে দিয়েছেন। তোমাদের কি মনে হয় না যে শাস্ত্রে একথা বলার এক কারণ আছে?
ἢ δοκεῖτε ὅτι κενῶς ἡ γραφὴ λέγει; πρὸς φθόνον ἐπιποθεῖ τὸ πνεῦμα ὃ κατῴκισεν ἐν ἡμῖν;
6 কিন্তু তিনি আমাদের আরও বেশি অনুগ্রহ-দান করেন। এই কারণেই শাস্ত্র বলে: “ঈশ্বর অহংকারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নতনম্রদের অনুগ্রহ-দান করেন।”
μείζονα δὲ δίδωσιν χάριν· διὸ λέγει, Ὁ θεὸς ὑπερηφάνοις ἀντιτάσσεται, ταπεινοῖς δὲ δίδωσιν χάριν.
7 অতএব, তোমরা ঈশ্বরের বশ্যতাধীন হও। দিয়াবলের প্রতিরোধ করো, আর সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
Ὑποτάγητε οὖν τῷ θεῷ. ἀντίστητε δὲ τῷ διαβόλῳ καὶ φεύξεται ἀφ᾽ ὑμῶν,
8 ঈশ্বরের কাছে এসো, তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। পাপীরা, তোমরা তোমাদের হাত ধুয়ে ফেলো ও দ্বিধাগ্রস্ত ব্যক্তিরা, তোমরা তোমাদের অন্তর পরিশুদ্ধ করো।
ἐγγίσατε τῷ θεῷ καὶ ἐγγιεῖ ὑμῖν. καθαρίσατε χεῖρας, ἁμαρτωλοί, καὶ ἁγνίσατε καρδίας, δίψυχοι.
9 তোমরা দুঃখকাতর হও, শোক ও বিলাপ করো। তোমাদের হাসিকে কান্নায় ও আনন্দকে বিষাদে পরিবর্তন করো।
ταλαιπωρήσατε καὶ πενθήσατε καὶ κλαύσατε· ὁ γέλως ὑμῶν εἰς πένθος μεταστραφήτω, καὶ ἡ χαρὰ εἰς κατήφειαν.
10 তোমরা প্রভুর কাছে নিজেদের নতনম্র করো, তিনিই তোমাদের উন্নীত করবেন।
ταπεινώθητε ἐνώπιον κυρίου, καὶ ὑψώσει ὑμᾶς.
11 ভাইবোনেরা, তোমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসা-রটনা থেকে দূরে থাকো। যে তার ভাইয়ের (বা বোনের) বিরুদ্ধে কথা বলে, কিংবা তার বিচার করে, সে বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে ও তা বিচার করে। তোমরা যখন বিধানের বিচার করো, তোমরা তা আর পালন না করে তা নিয়ে বিচার করতে বসো।
Μὴ καταλαλεῖτε ἀλλήλων, ἀδελφοί· ὁ καταλαλῶν ἀδελφοῦ, ἢ κρίνων τὸν ἀδελφὸν αὐτοῦ καταλαλεῖ νόμου καὶ κρίνει νόμον· εἰ δὲ νόμον κρίνεις, οὐκ εἶ ποιητὴς νόμου, ἀλλὰ κριτής.
12 বিধানদাতা ও বিচারক কেবলমাত্র একজনই যিনি রক্ষা বা ধ্বংস উভয়ই করতে সক্ষম। কিন্তু তুমি, তুমি কে যে, তোমার প্রতিবেশীর বিচার করো?
εἷς ἐστιν ὁ νομοθέτης καὶ κριτὴς ὁ δυνάμενος σῶσαι καὶ ἀπολέσαι· σὺ δὲ τίς εἶ ὁ κρίνων τὸν πλησίον;
13 এখন শোনো, তোমরা যারা বলে থাকো, “আজ বা আগামীকাল আমরা এই নগরে বা ওই নগরে যাব, সেখানে এক বছর থাকব, ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করব।”
Ἄγε νῦν οἱ λέγοντες, Σήμερον ἢ αὔριον πορευσόμεθα εἰς τήνδε τὴν πόλιν, καὶ ποιήσωμεν ἐκεῖ ἐνιαυτόν, καὶ ἐμπορευσόμεθα καὶ κερδήσομεν·
14 কেন, তোমরা তা জানোই না যে আগামীকাল কী ঘটবে! তোমাদের জীবন কী ধরনের? তোমরা তো কুয়াশার মতো, যা সামান্য সময়ের জন্য দেখা দিয়েই মিলিয়ে যায়।
οἵτινες οὐκ ἐπίστασθε τὸ τῆς αὔριον· ποία [γὰρ] ἡ ζωὴ ὑμῶν; ἀτμὶς γάρ ἐστε ἡ πρὸς ὀλίγον φαινομένη ἔπειτα καὶ ἀφανιζομένη·
15 বরং তোমাদের বলা উচিত, “যদি প্রভুর ইচ্ছা হয়, আমরা বেঁচে থেকে এ কাজ বা ও কাজ করব।”
ἀντὶ τοῦ λέγειν ὑμᾶς, Ἐὰν ὁ κύριος θελήσῃ καὶ ζήσομεν, καὶ ποιήσομεν τοῦτο ἢ ἐκεῖνο.
16 কিন্তু যেমন দেখা যাচ্ছে, তোমরা দম্ভ ও বড়াই করছ। এ ধরনের সমস্ত গর্ব হল মন্দ বিষয়।
νῦν δὲ καυχᾶσθε ἐν ταῖς ἀλαζονείαις ὑμῶν· πᾶσα καύχησις τοιαύτη πονηρά ἐστιν.
17 তাহলে, সৎকর্ম করতে জেনেও যে তা করে না, সে পাপ করে।
εἰδότι οὖν καλὸν ποιεῖν καὶ μὴ ποιοῦντι, ἁμαρτία αὐτῷ ἐστιν.