< যিশাইয় ভাববাদীর বই 8 >

1 সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি একটি বড়ো আকারের ফলক নাও এবং তার উপরে সাধারণ কলম দিয়ে লেখো: মহের-শালল-হাশ-বস।”
সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি একটা বড় ফলক নিয়ে তার ওপরে লেখ, ‘মহের-শালল-হাশ-বস।’
2 আর আমার নির্ভরযোগ্য সাক্ষী হওয়ার জন্য আমি যাজক ঊরিয় ও যিবেরিখিয়ের পুত্র সখরিয়কে ডেকে নেব।
এর প্রমাণের জন্য ঊরিয় যাজক ও যিবেরিখিয়ের ছেলে সখরিয়, এই দুইজন বিশ্বস্ত লোককে আমি আপনার সাক্ষী করব”
3 তারপর আমি আমার ভাববাদিনী, অর্থাৎ আমার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলাম। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন। সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওর নাম রাখো মহের-শালল-হাশ-বস।
পরে আমি [নিজের স্ত্রী] ভাববাদীনীর কাছে গেলে তিনি গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দিলেন। তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওর নাম রাখ মহের-শালল-হাস-বস [তাড়াতাড়ি-লুট-তাড়াতাড়ি-অপহরণ] রাখ;
4 কারণ ছেলেটি ‘আমার বাবা’ বা ‘আমার মা’ বলতে শেখার আগেই দামাস্কাসের ধনসম্পদ ও শমরিয়ার লুট আসিরীয় রাজা বহন করে নিয়ে যাবে।”
কারণ ছেলেটির বাবা, মা, এই কথা বলার জ্ঞান হওয়ার আগে দম্মেশকের সম্পত্তি ও শমরিয়ার লুট অশূর রাজার আগে নিয়ে যাওয়া হবে।”
5 সদাপ্রভু আবার আমাকে বললেন:
সদাপ্রভু আবার আমাকে বললেন,
6 “যেহেতু এই লোকেরা অগ্রাহ্য করেছে শীলোহের ধীরগামী স্রোত রৎসীন ও রমলিয়ের পুত্রে আনন্দ করেছে,
কারণ এই লোকেরা তো শীলোহের আস্তে আস্তে বয়ে যাওয়া স্রোত অগ্রাহ্য করে রৎসীনে আর রমলিয়ের ছেলেকে নিয়ে আনন্দ করছে।
7 সেই কারণে প্রভু তাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসতে চলেছেন ইউফ্রেটিস নদীর প্রবল প্লাবনকারী জলরাশি—সমস্ত সমারোহের সঙ্গে আসিরীয় রাজাকে। তা তার সমস্ত খালগুলিতে প্রবাহিত হবে, এবং তাদের দুই কুল ছাপিয়ে যাবে।
অতএব প্রভু [ফরাৎ] নদীর প্রবল ও প্রচুর জল, অর্থাৎ অশূর রাজা ও তাঁর সব মহিমাকে তাদের ওপরে আনবেন, সে ফেঁপে সমস্ত খাল পূর্ণ করবে ও সমস্ত তীরের ওপর দিয়ে যাবে;
8 তা যিহূদা প্রদেশে প্রবাহিত হবে, ঘূর্ণিপাক খাবে, তার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে, তার জল লোকদের ঘাড় পর্যন্ত উঠবে। হে ইম্মানুয়েল! তার প্রসারিত দুই ডানা তোমার দেশের বিস্তার পর্যন্ত আবৃত করবে।”
সে যিহূদা দেশ দিয়ে বেগে বয়ে যাবে, উথলে উঠে বেড়ে যাবে, গলা পর্যন্ত উঠবে; আর, হে ইম্মানূয়েল, তোমার দেশ তার ডানা দুটির বিস্তারের মাধ্যমে পূর্ণ হবে।
9 জাতিসমূহ তোমরা রণহুঙ্কার করো ও ভগ্ন হও! দূরবর্তী দেশগুলি, তোমরাও শোনো। তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ও ভগ্ন হও! তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ও ভগ্ন হও!
“হে জাতিরা, তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; হে দূরের দেশের সব লোক, শোন, যুদ্ধের জন্য তৈরী হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; তোমরা অস্ত্রে সজ্জিত হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হও।
10 তোমরা কৌশল পরিকল্পনা করবে, কিন্তু তা নিষ্ফল হবে; তোমরা পরিকল্পনার প্রস্তাব দাও, তা কিন্তু দাঁড়াবে না, কারণ ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন।
১০একটি পরিকল্পনা গঠন কর, কিন্তু তা সফল হবে না; কথা বল কিন্তু তা স্থির থাকবে না, কারণ “ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে।”
11 সদাপ্রভু তাঁর শক্তিশালী হাত আমার উপরে রেখে এই কথা বললেন। তিনি সতর্ক করে দিলেন, যেন আমি এই জাতির জীবনাচরণ অবলম্বন না করি। তিনি বললেন:
১১কারণ সদাপ্রভু তাঁর শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে এই কথা বললেন এবং আমাকে বলে দিলেন যে, এই লোকদের পথে যাওয়া আমার উচিত না।
12 “এই সমস্ত লোকে যাকে চক্রান্ত বলে, তার সবগুলিকেই তুমি চক্রান্ত বোলো না; তারা যাকে ভয় করে, তুমি তাতে ভয় পেয়ো না এবং তার জন্য আতঙ্কগ্রস্ত হোয়ো না।
১২তিনি বললেন, “এই লোকেরা যেসব বিষয়কে ষড়যন্ত্র বলে, তোমরা সেগুলোকে ষড়যন্ত্র বোলো না এবং এদের ভয়ে ভীত হয়ো না, ভয় পেও না।
13 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুকেই তুমি পবিত্র বলে মান্য করবে, কেবলমাত্র তাঁকেই তুমি ভয় করবে, কেবলমাত্র তাঁরই কারণে তুমি আতঙ্কগ্রস্ত হবে।
১৩বাহিনীদের সদাপ্রভুকেই পবিত্র বলে মানো; তোমরা তাকেই ভয় কর; তাঁকেই ভয়ানক বলে মনে কর।
14 আর তিনিই হবেন তোমার ধর্মধাম; কিন্তু ইস্রায়েলের ও যিহূদার উভয় কুলের পক্ষে তিনি হবেন এক পাথর, যাতে মানুষ হোঁচট খাবে এবং এক শিলা, যার কারণে তাদের পতন হবে। আর জেরুশালেমের লোকদের জন্য তিনি এক ফাঁদ ও এক জালস্বরূপ হবেন।
১৪তা হলে তিনি একটা পবিত্র আশ্রয়স্থান হবেন; কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের উভয় কুলের জন্য তিনি হোঁচট খাওয়া পাথর ও বাধাজনক পাথর হবেন, যিরূশালেমের লোকদের জন্য তিনি হবেন একটা ফাঁদ ও একটা জাল।
15 তাদের মধ্যে অনেকেই হোঁচট খাবে; তারা পতিত হয়ে ভগ্ন হবে, তারা ফাঁদে ধৃত হয়ে বন্দি হবে।”
১৫তাদের মধ্যে অনেকে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে ও বিনষ্ট হবে এবং ফাঁদে বন্দী হয়ে ধরা পড়বে।”
16 এই সতর্কীকরণের সাক্ষ্য বদ্ধ করো এবং ঈশ্বরের বিধান মোহরাঙ্কিত করো আমার শিষ্যদের কাছে।
১৬তুমি সাক্ষ্যের কথা বন্ধ কর, আমার শিষ্যদের মধ্যে নিয়ম সীলমোহর কর।
17 আমি সদাপ্রভুর জন্য অপেক্ষা করব, যিনি যাকোবের কুলের কাছ থেকে তাঁর মুখ লুকিয়েছেন। আমি তাঁরই উপরে আমার আস্থা রাখব।
১৭আমি সদাপ্রভুর জন্য অপেক্ষা করব, যিনি যাকোব-কুলের থেকে মুখ লুকান এবং আমি তাঁর অপেক্ষায় থাকব।
18 এই আমি ও আমার সন্তানেরা, সদাপ্রভু যাদের আমাকে দিয়েছেন। সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, যিনি সিয়োন পর্বতে বাস করেন, তাঁর পক্ষ থেকে আমরা ইস্রায়েলের কাছে চিহ্ন ও প্রতীকস্বরূপ।
১৮দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের সদাপ্রভু আমাকে দিয়েছেন, সিয়োন পাহাড়ে বাস করেন বাহিনীদের সদাপ্রভুর দেওয়া অনুসারে আমরা ইস্রায়েলের মধ্যে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো।
19 যখন লোকেরা তোমাদের প্রেতমাধ্যম ও ভুতুড়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিড়বিড় ও ফিসফিস করতে বলে, তখন কোনো জাতি কি তাদের ঈশ্বরের কাছে অনুসন্ধান করবে না? জীবিতদের পক্ষে কেন মৃতদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে?
১৯আর যখন তারা তোমাদেরকে বলে, তোমরা আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারীদের ও জাদুকরদের কাছে যারা বিড়বিড় ও ফুসফুস করে বলে তাদের কাছে খোঁজ কর, [তখন তোমরা বলবে] লোকেরা কি নিজেদের ঈশ্বরের কাছে খোঁজ করবে না?
20 তোমরা ঈশ্বরের বিধান ও সতর্কীকরণের সাক্ষ্য অন্বেষণ করো! যদি তারা এই বাক্য অনুযায়ী কথা না বলে, তাহলে তারা ভোরের আলো দেখবে না।
২০নিয়মের কাছে ও সাক্ষের কাছে [খোঁজ কর]। এর অন্য কথা যদি তারা না বলে তবে তাদের মধ্যে কোনো আলো নেই।
21 বিপর্যস্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। চরম খিদেতে কষ্ট পেয়ে তারা ভীষণ ক্রুদ্ধ হবে এবং ঊর্ধ্বদৃষ্টি করে তারা তাদের রাজা ও তাদের ঈশ্বরকে অভিশাপ দেবে।
২১তারা কষ্ট ও খিদে নিয়ে তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। খিদেতে রাগ করে নিজেদের রাজাকে ও নিজেদের ঈশ্বরকে অভিশাপ দেবে এবং ওপর দিকে মুখ তুলবে।
22 তারপর তারা পৃথিবীর দিকে তাকাবে ও কেবলমাত্র বিপর্যয়, অন্ধকার ও ভয়ংকর যন্ত্রণা দেখতে পাবে; তারা ঘোর অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে।
২২তারা পৃথিবীর দিকে তাকাবে এবং দেখ, সংকট, অন্ধকার আর ভয়ানক যন্ত্রণা। তাদেরকে ভীষণ অন্ধকারের মধ্যে তাদের দূর করে দেওয়া হবে।

< যিশাইয় ভাববাদীর বই 8 >