< যিশাইয় ভাববাদীর বই 6 >
1 যে বছরে রাজা উষিয় মারা যান, আমি প্রভুকে এক উচ্চ ও উন্নত সিংহাসনে বসে থাকতে দেখলাম। তাঁর রাজপোশাকের প্রান্তভাগে মন্দির পরিপূর্ণ ছিল।
১যে বছরে রাজা উষিয় মারা গেলেন সেই বছরে আমি দেখলাম প্রভু খুব উঁচু একটা সিংহাসনে বসে আছেন। তিনি উচ্চ ও উন্নত ছিলেন এবং তাঁর পোশাকের পাড় দিয়ে মন্দির পূর্ণ ছিল।
2 তাঁর নিকটে উপস্থিত ছিলেন ছয় ডানাবিশিষ্ট সরাফেরা। দুটি ডানা দিয়ে তারা মুখ ঢেকেছিলেন, দুটি ডানা দিয়ে তারা তাদের পা ঢেকেছিলেন এবং দুটি ডানা দিয়ে তারা উড়ছিলেন।
২তাঁর উপরে ছিলেন সরাফরা; তাঁদের প্রত্যেকের ছয়টা করে ডানা ছিল, প্রত্যেকে দুটি ডানা দিয়ে নিজেদের মুখ ঢাকতেন এবং দুটি ডানা দিয়ে পা ঢাকেন এবং দুটি ডানা দিয়ে তাঁরা ওড়েন।
3 আর তারা পরস্পরকে ডেকে বলছিলেন, “পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, সমস্ত পৃথিবী তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ।”
৩তাঁরা একে অন্যকে ডাকছিল এবং বলছিল, “বাহিনীদের সদাপ্রভু পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র; সমস্ত পৃথিবী তাঁর মহিমায় পরিপূর্ণ।”
4 তাদের কণ্ঠস্বরের শব্দে দরজার চৌকাঠগুলি কেঁপে উঠল এবং মন্দির ধোঁয়ায় পূর্ণ হল।
৪তাদের আওয়াজে দরজা ও গোবরাটগুলো কেঁপে উঠল যারা চিত্কার করছিল এবং ঘরটা ধোঁয়ায় ভরে গেল।
5 আমি চিৎকার করে উঠলাম, “ধিক্ আমাকে! আমি শেষ হয়ে গেলাম! আমি অশুচি ওষ্ঠাধরবিশিষ্ট মানুষ। আর আমার দুই চোখ মহারাজকে, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুকে দেখেছে।”
৫তখন আমি বললাম, “হায়, আমি নষ্ট হয়ে গেলাম, কারণ আমি অশুচি ঠোঁটের মানুষ এবং আমি অশুচি ঠোঁট লোকদের মধ্যে বাস করছি। কারণ আমার চোখ রাজাকে, বাহিনীদের সদাপ্রভুকে দেখতে পেয়েছে।”
6 তখন সরাফদের মধ্যে একজন, তাঁর হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে আমার কাছে উড়ে এলেন। সেই অঙ্গার তিনি বেদির মধ্য থেকে চিমটা দিয়ে নিয়েছিলেন।
৬তখন সরাফদের একজন আমার কাছে উড়ে আসলেন, তার হাতে একটা জ্বলন্ত কয়লা ছিল, তিনি যজ্ঞবেদির ওপর থেকে চিমটা দিয়ে তা নিয়েছিলেন।
7 তা দিয়ে তিনি আমার মুখ স্পর্শ করলেন এবং বললেন, “দেখো, এটি তোমার ওষ্ঠাধর স্পর্শ করেছে; তোমার অপরাধ অপসারিত এবং তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হয়েছে।”
৭তিনি আমার মুখে তা ছোঁয়ালেন এবং বললেন, “দেখ, এটা তোমার ঠোঁট ছুঁয়েছে; তোমার অপরাধ দূর করা হল এবং তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত হল।”
8 তখন আমি প্রভুর কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। তিনি বলছিলেন, “আমি কাকে পাঠাব? কে আমাদের জন্য যাবে?” আমি বললাম, “এই যে আমি। আমাকে পাঠান!”
৮আমি প্রভুর কথা শুনতে পেলাম, তিনি বললেন, “আমি কাকে পাঠাব? আমাদের জন্য কে যাবে?” তখন আমি বললাম, “এই যে আমি, আমাকে পাঠান।”
9 তিনি বললেন, “তুমি যাও ও গিয়ে এই লোকদের বলো: “‘তোমরা সবসময় শুনতে থাকো, কিন্তু কখনও বোঝো না; সবসময় দেখতে থাকো, কিন্তু কখনও উপলব্ধি করো না।’
৯তিনি বললেন, “যাও এবং লোকদেরকে এই কথা বল, শোনো, কিন্তু বোঝো না, দেখো, কিন্তু জেনো না।
10 তুমি এই জাতির লোকদের হৃদয় অসাড় করে দাও; তাদের কানগুলি উপড়ে ফেলো ও চোখগুলি বন্ধ করে দাও। নতুবা তারা তাদের চোখে দেখতে পাবে, তারা কানে শুনতে পাবে, তারা তাদের হৃদয়ে বুঝতে পারবে এবং আরোগ্যলাভের জন্য আমার কাছে ফিরে আসবে।”
১০তুমি এই লোকদের হৃদয় কঠিন কর এবং তাদের কান বধির কর এবং তাদের চোখ অন্ধ কর। যাতে তারা চোখে দেখতে পাওয়া অথবা কানে শুনতে না পাওয়া হৃদয়ে বুঝতে পারা এবং ফিরে আসা এবং সুস্থ করতে না পারে।”
11 তখন আমি বললাম, “ও প্রভু, তা কত দিন ধরে হবে?” তিনি উত্তর দিলেন, “যতদিন না নগরগুলি ধ্বংস হয়, তাদের মধ্যে জনপ্রাণী না থাকে, যতদিন না ঘরবাড়িগুলি জনশূন্য হয় ও মাঠগুলি ধ্বংস হয়ে ছারখার না হয়,
১১তখন আমি বললাম, “হে প্রভু, কত দিন?” তিনি উত্তর দিলেন, “যতদিন না শহরগুলো ধ্বংস ও বাসিন্দাবিহীন না হয় এবং বাড়ী-ঘর খালি না হয়ে যায় এবং ভূমি নির্জন স্থান পরিণত হয়;
12 যতক্ষণ না সদাপ্রভু সবাইকে দূরে প্রেরণ করেন এবং এই ভূমির কথা সকলে ভুলে যায়।
১২এবং যতদিন না সদাপ্রভু লোকদেরকে দূরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত এই দেশের নির্জনতাই মহান।
13 আর যদিও দেশের এক-দশমাংশ লোক অবশিষ্ট থাকে, তা পুনরায় জনশূন্য পড়ে থাকবে। কিন্তু তার্পিন ও ওক গাছ কেটে ফেললেও যেমন তাদের গুঁড়ি থেকেই যায়, তেমনই এই দেশে সেই গুঁড়ির মতো এক পবিত্র বংশ থেকেই যাবে।”
১৩এমনকি যদি এর মধ্যে দশভাগ লোক থাকে, এটা আবার ধ্বংস হবে; যেমন তার্পিন অথবা এলোন গাছ কাটা হয় এবং যার গুঁড়ি অবশিষ্ট থাকে, তেমনি এই গুঁড়ি হিসাবে দেশে পবিত্র বীজের লোক থাকবে।”