< যিশাইয় ভাববাদীর বই 54 >
1 “গান গাও, ওগো বন্ধ্যা নারী, তুমি, যে কখনও সন্তানের জন্ম দাওনি; সংগীতে ফেটে পড়ো, আনন্দে চিৎকার করো, যারা কখনও প্রসবযন্ত্রণা ভোগ করোনি; কারণ যার স্বামী আছে, সেই নারীর চেয়ে, যে নারী পরিত্যক্তা, তার সন্তান বেশি,” সদাপ্রভু একথা বলেন।
Juble, du Unfruchtbare, die nicht geboren hat! Brich in Jubel aus und jauchze, die nicht gekreißt hat! Denn der Söhne der Vereinsamten sind mehr als der Söhne der Vermählten, spricht Jahwe.
2 “তোমার তাঁবুর স্থান আরও প্রশস্ত করো, তোমার তাঁবুর পর্দাগুলি আরও প্রসারিত করো, খরচের ভয় কোরো না; তোমার তাঁবুর দড়িগুলি আরও লম্বা করো, তোমার গোঁজগুলি আরও শক্ত করো।
Erweitre den Raum deines Zeltes, und die Zeltdecken deiner Behausung mögen sie weit ausspannen: wehre dem nicht! Mache deine Zeltstricke lang und dein Pflöcke schlage fest ein!
3 কারণ তুমি ডান ও বাঁ, উভয় দিকে প্রসারিত হবে; তোমার বংশধরেরা জাতিসমূহকে অধিকারচ্যুত করবে ও তাদের পরিত্যক্ত নগরগুলিতে বসবাস করবে।
Denn nach rechts und links wirst du dich ausbreiten: Deine Nachkommen werden das Gebiet ganzer Völker in Besitz nehmen und verödete Städte neu bevölkern.
4 “তুমি ভয় পেয়ো না, তুমি লজ্জিত হবে না। তুমি অপমানের ভয় কোরো না; তোমাকে অসম্মানিত করা হবে না। তুমি তোমার যৌবনকালের লজ্জা ভুলে যাবে, তোমার বৈধব্যের দুর্নাম আর কখনও স্মরণ করবে না।
Sei getrost, denn du wirst nicht zu Schanden werden, und fühle dich nicht beschämt, denn du wirst nicht zu erröten brauchen. Denn die Schande deiner Jugendzeit wirst du vergessen und der Schmach deiner Witwenschaft wirst du nicht länger gedenken.
5 কারণ তোমার নির্মাতাই তোমার স্বামী— সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর নাম— ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন তোমার মুক্তিদাতা; তিনি সমস্ত পৃথিবীর ঈশ্বর নামে আখ্যাত।
Denn dein Gemahl ist dein Schöpfer: Jahwe der Heerscharen ist sein Name; und dein Erlöser ist der Heilige Israels: der Gott der ganzen Erde heißt er!
6 সদাপ্রভু তোমাকে আবার ডাকবেন, তুমি যেন এক পরিত্যক্ত ও আত্মায় বিপর্যস্ত এক স্ত্রীর মতো— এক স্ত্রী, যার যৌবনকালে বিবাহ হয়েছিল কেবলমাত্র অগ্রাহ্য হওয়ার জন্য,” বলেন তোমার ঈশ্বর।
Denn wie ein verlassenes und in tiefster Seele betrübtes Weib berief dich Jahwe und eine Jugendgattin - kann die verschmäht werden? spricht dein Gott.
7 “ক্ষণিক মুহূর্তের জন্য আমি তোমাকে পরিত্যাগ করেছিলাম, কিন্তু গভীর মমতায় আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব।
Einen kleinen Augenblick zwar habe ich dich verlassen, aber mit großem Erbarmen will ich dich an mich ziehn.
8 ক্রোধের আবেশে আমি তোমার কাছ থেকে ক্ষণিকের জন্য আমার মুখ লুকিয়েছিলাম, কিন্তু চিরন্তন করুণায় আমি তোমার প্রতি মমতা করব,” বলেন সদাপ্রভু, তোমার মুক্তিদাতা।
In einer Aufwallung von Zorn habe ich mein Angesicht einen Augenblick vor dir verborgen, aber mit ewiger Huld erbarme ich mich dein, spricht dein Erlöser, Jahwe.
9 “আমার কাছে এ যেন নোহের সময়ের মতো, যখন আমি শপথ করেছিলাম যে, নোহের সময়কালীন জলরাশি আর কখনও পৃথিবীকে প্লাবিত করবে না। সেরকমই, এখন আমি প্রতিজ্ঞা করছি, তোমার উপরে আর ক্রুদ্ধ হব না, তোমাকে আর কখনও তিরস্কার করব না।
Denn den Wassern Noahs gilt mir dies gleich: wie ich geschworen habe, daß die Wasser Noahs die Erde nicht nochmals überfluten sollen, so habe ich geschworen, dir nicht mehr zu zürnen, noch dich zu schelten.
10 যদিও পর্বতসকল কম্পিত হয়, পাহাড়গুলি অপসারিত হতে থাকে, তবুও তোমার প্রতি আমার অফুরান ভালোবাসা কখনও সরে যাবে না, আমার শান্তিচুক্তিও অপসারিত হবে না,” একথা বলেন সদাপ্রভু, যিনি তোমার প্রতি অনুকম্পা করেন।
Denn mögen auch die Berge weichen und die Hügel wanken, so soll doch meine Huld nicht von dir weichen und mein Friedensbund nicht wanken, spricht dein Erbarmer, Jahwe.
11 ওহে দুর্দশাগ্রস্ত, ঝড়ে আহত, সান্ত্বনাবিহীন নগরী, আমি ফিরোজা মণি দিয়ে তোমাকে গেঁথে তুলব, তোমার ভিত্তিমূলগুলি হবে নীলকান্তমণির।
Du Elende, Sturmbewegte, Ungetröstete! Fürwahr, ich will deine Grundfesten mit Rubinen legen und will dich gründen mit Sapphiren.
12 আমি পদ্মরাগমণি দিয়ে তোমার প্রাচীরের আলিসা, তোমার তোরণদ্বারগুলি ঝকমকে মণি দিয়ে গাঁথব, তোমার প্রাচীরগুলি সব বহুমূল্য মণি দিয়ে গাঁথা হবে।
Und deine Zinnen will ich aus Jaspis machen und deine Thore aus Karfunkeln und deine ganze Grenzeinfassung aus Edelsteinen.
13 তোমার সন্তানেরা সকলে সদাপ্রভুর কাছ থেকে শিক্ষা পাবে, তোমার ছেলেমেয়েরা মহাশান্তি ভোগ করবে।
Und alle deine Söhne sind Jünger Jahwes und großen Frieden haben deine Söhne.
14 ধার্মিকতায় তুমি প্রতিষ্ঠিত হবে: উপদ্রব থেকে তুমি দূরে থাকবে; তোমার ভয় করার কিছু থাকবে না। আতঙ্ক বহুদূরে সরিয়ে ফেলা হবে, তা তোমার কাছে আসবে না।
Durch Gerechtigkeit wirst du fest gegründet stehen: erachte dich fern von Bedrückung, denn du brauchst dich nicht zu fürchten, sowie von Schrecknis, denn es wird dir nicht nahen.
15 কেউ যদি তোমাকে আক্রমণ করে, তা আমার থেকে হবে না; যে কেউই তোমাকে আক্রমণ করুক, সে তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে।
Streitet aber doch einer wider dich, so ist's sicher nicht von mir gewollt: wer irgend mit dir streitet, der soll fallen!
16 “দেখো, আমি সেই কর্মকারকে সৃষ্টি করেছি, যে হাপরে বাতাস দিয়ে অঙ্গার প্রজ্বলিত করে ও কাজের উপযুক্ত এক অস্ত্র গঠন করে। বিনাশককে ধ্বংস করার জন্য আমিই সৃষ্টি করেছি;
Fürwahr, ich habe den Schmied geschaffen, der das Kohlenfeuer anfacht und eine Waffe als sein Werk hervorbringt; ich habe aber auch den Verderber geschaffen, um unbrauchbar zu machen.
17 তোমার বিরুদ্ধে গঠিত কোনো অস্ত্র সফল হবে না, তোমার বিরুদ্ধে প্রত্যেক জিহ্বার অভিযোগ তুমি খণ্ডন করবে। সদাপ্রভুর দাসেদের এই হল অধিকার, আমার কাছে তারা এভাবেই নির্দোষ প্রতিপন্ন হবে,” সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।
Keine Waffe, die zu deinem Unheile geschmiedet wird, soll etwas ausrichten, und jeder Zunge, die sich in einen Rechtsstreit mit dir einläßt, wirst du ihr Unrecht beweisen können. Dies ist das Erbteil der Knechte Jahwes und die Gerechtigkeit, die ihnen durch mich zu teil wird, ist der Spruch Jahwes!