যিশাইয় ভাববাদীর বই 44
1 “কিন্তু এখন, ওহে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত ইস্রায়েল, তোমরা শোনো।
১এখন শোন, হে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত ইস্রায়েল:
2 যিনি তোমাকে নির্মাণ করেছেন, যিনি মায়ের গর্ভে তোমাকে গঠন করেছেন এবং যিনি তোমাকে সাহায্য করবেন, সেই সদাপ্রভু এই কথা বলেন: ওহে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত যিশুরূণ, তুমি ভয় কোরো না।
২এটা সদাপ্রভু বলেন, তিনি, যিনি তোমাকে তৈরী করেছেন, মায়ের গর্ভে গড়ে তুলেছেন ও তোমাকে সাহায্য করবেন, হে আমার দাস যাকোব, আমার মনোনীত যিশুরূণ, তুমি ভয় কোরো না;
3 কারণ আমি তৃষিত ভূমিতে জল ঢেলে দেব, শুষ্ক মাটিতে বইয়ে দেব নদীর স্রোত; আমি তোমার বংশধরদের উপরে ঢেলে দেব আমার আত্মা, তোমার সন্তানদের উপরে ঢেলে দেব আমার আশীর্বাদ।
৩কারণ আমি পিপাসিত জমির ওপরে জল ঢালব আর শুকনো ভূমির ওপর দিয়ে স্রোত বইয়ে দেব। আমি তোমার সন্তানদের ওপর আমার আত্মা ঢেলে দেব আর তোমার সন্তানদের আশীর্বাদ করব।
4 যেমন জলস্রোতের তীরে ঝাউ গাছ, তেমনই চারণভূমিতে তৃণের মতো তারা উৎপন্ন হবে।
৪জলের স্রোতের দ্বারা যেমন উইলো গাছ, তেমনি তারা ঘাসের মধ্যে বেড়ে উঠবে।
5 কেউ একজন বলবে, ‘আমি সদাপ্রভুর’; অন্য একজন যাকোবের নামে নিজের পরিচয় দেবে; আরও একজন তার হাতে লিখবে, ‘সদাপ্রভুর,’ আর তারা ইস্রায়েল নামে পদবি গ্রহণ করবে।
৫একজন বলবে যে, “আমি সদাপ্রভুর ও একজন যাকোবের নামে নিজের পরিচয় দেবে এবং আর একজন নিজের হাতের উপরে লিখবে যে, সদাপ্রভুর সঙ্গে যুক্ত, আর ইস্রায়েল নাম গ্রহণ করবে।”
6 “ইস্রায়েলের রাজা ও মুক্তিদাতা, সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আমিই প্রথম ও আমিই শেষ: আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।
৬যিনি ইস্রায়েলের রাজা, তার মুক্তিদাতা, যিনি বাহিনীদের সদাপ্রভু, তিনি এই কথা বলছেন, “আমিই প্রথম ও আমিই শেষ; আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর নেই।
7 তাহলে আমার মতো আর কে আছে? সে সেকথা ঘোষণা করুক। সে তা বলুক ও আমার সামনে উপস্থাপন করুক; আমার পুরাকালের লোকদের স্থাপন করার সময় কী ঘটেছিল, আর ভবিষ্যতেই বা কী ঘটবে, হ্যাঁ, সে আগাম বলুক, ভাবীকালে কী ঘটবে।
৭আমার মত আর কে আছে? সে তা ঘোষণা করুক। আমার কাছে বর্ণনা করুক এবং বলুক যে, আমি পুরানো দিনের লোকদের স্থাপন করবার পর কি ঘটেছিল এবং যা ঘটবে সে তা আগেই বলুক।
8 তোমরা ভয়ে কেঁপো না, ভয় কোরো না। একথা আমি কি ঘোষণা করিনি ও বহুপূর্বেই তা বলে দিইনি? তোমরাই আমার সাক্ষী। আমি ছাড়া আর কোনো ঈশ্বর কি আছে? না, আর কোনো শৈল নেই; আমি তেমন কাউকে জানি না।”
৮তোমরা ভয় পেও না বা ভীত হয়ো না। আমি কি অনেক দিন আগে এই সব ঘোষণা করিনি ও জানায়নি? তোমরাই আমার সাক্ষী; আমি ছাড়া আর কি কোনো ঈশ্বর আছে? না, আর কোনো শক্তিশালী পাহাড়ের মত ঈশ্বর নেই; আমি আর কাউকে জানি না।”
9 যারা প্রতিমা নির্মাণ করে, তারা কিছুই নয়, তাদের নির্মিত মনোহর বস্তুগুলি কোনো উপকারে আসে না। যারা তাদের হয়ে কথা বলে, তারা অন্ধ; নিজেদেরই লজ্জা উদ্রেকের জন্য তারা অজ্ঞ প্রতিপন্ন হয়।
৯যারা খোদাই করে প্রতিমা তৈরী করে তারা মূল্যহীন; তাদের এই মূল্যবান জিনিসগুলো উপকারী নয়। সেই প্রতিমাগুলোর পক্ষ হয়ে যারা কথা বলে তারা অন্ধ, কিছু জানে না এবং তারা লজ্জা পাবে।
10 কে কোনো প্রতিমার আকার দেয় ও কোনো মূর্তি ছাঁচে ঢালে, যা তার কোনো উপকারে আসে না?
১০কে দেবতা তৈরী করেছে আর অপদার্থ প্রতিমা ছাঁচে ঢেলেছে?
11 সে ও তার অনুগামী সকলে লজ্জিত হবে; শিল্পকরেরা মানুষ ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা সকলে এসে নিজের অবস্থান গ্রহণ করুক; তাদের সকলকে আতঙ্কগ্রস্ত ও নীচ প্রতিপন্ন করা হবে।
১১দেখ, যারা প্রতিমার সঙ্গে যুক্ত তাদের লজ্জায় ফেলা হবে; তাদের কারিগরেরা মানুষ ছাড়া আর কিছু নয়। তারা সবাই এসে একসঙ্গে দাঁড়াক; তারা ভয়ে জড়সড় ও একসঙ্গে অসম্মানিত হবে।
12 কামার একটি যন্ত্র গ্রহণ করে ও জ্বলন্ত কয়লায় তা নিয়ে কাজ করে; হাতুড়ি পিটিয়ে সে এক মূর্তি তৈরি করে, সে তার শক্তিশালী হাতে তার আকৃতি দেয়। সে ক্ষুধার্ত হয়ে তার শক্তি হারায়; জলপান না করে সে মূর্ছিত হয়।
১২কামার একটা যন্ত্র নেয় আর তা দিয়ে জ্বলন্ত কয়লার মধ্যে কাজ করে। সে হাতুড়ি দিয়ে প্রতিমার আকার গড়ে এবং হাতের শক্তি দিয়ে তা তৈরী করে। সে ক্ষুধার্ত ও শক্তি হ্রাস পায়; সে জল খায় না এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
13 ছুতোর একটি সুতো দিয়ে মাপে ও কম্পাস দিয়ে তার রূপরেখা তৈরি করে; ছেনি দিয়ে সে তা খোদাই করে ও কম্পাস দিয়ে তার আকার ঠিক করে। সে তাতে পুরুষের আকৃতি দেয়, যার মধ্যে থাকে মানুষের সব সৌন্দর্য, যেন তা কোনো দেবালয়ে স্থান পেতে পারে।
১৩ছুতার মিস্ত্রি সুতা দিয়ে মাপে আর কলম দিয়ে নকশা আঁকে; সে যন্ত্র দিয়ে খোদাই করে আর কম্পাস দিয়ে তার মন্দির নির্মাণ করে। সে তাতে এক আকর্ষণীয় মানুষের মত একটা সুন্দর মানুষের আকার দেয়, যেন তা ঘরের মধ্যে থাকতে পারে।
14 সে সিডার গাছ কেটে ফেলে, কিংবা বেছে নেয় কোনো সাইপ্রেস বা ওক গাছ। সে বনের গাছপালার সঙ্গে সেটিকে বাড়তে দেয়, কিংবা রোপণ করে পাইন গাছ, বৃষ্টি যাকে বাড়িয়ে তোলে।
১৪কেউ দেবদারু গাছ কাটে, কিম্বা হয়তো তর্সা বা এলোন গাছ বেছে নেয়। সে বনের গাছপালার মধ্যে সেটাকে বাড়তে দেয়। সে ঝাউ গাছ লাগায় আর বৃষ্টি সেটা বাড়িয়ে তোলে।
15 পরে তা মানুষের জ্বালানি কাঠ হয়; তার একটি অংশ নিয়ে সে আগুন পোহায়, একটি অংশে আগুন জ্বালিয়ে রুটি সেঁকে। আবার তা দিয়ে সে এক দেবতাও নির্মাণ করে ও তার উপাসনা করে, একটি প্রতিমা নির্মাণ করে তার কাছে সে প্রণত হয়।
১৫পরে সেটা মানুষের আগুনের জন্য ব্যবহার করে এবং নিজেকে গরম করে। হ্যাঁ, সে আগুন জ্বালায় এবং রুটি সেঁকে। তারপর সে একটা দেবতা তৈরী করে এবং তার সামনে নত হয়; সে প্রতিমা তৈরী করে এবং নত হয়ে তাকে প্রণাম করে।
16 অর্ধেক কাঠ দিয়ে সে আগুন জ্বালায়, তার উত্তাপে সে রান্না খাবার করে, মাংস ঝলসে নিয়ে সে তা দিয়ে উদরপূর্তি করে। আবার সে আগুনের তাপ নেয় ও বলে, “আহা! আমি উষ্ণ হয়েছি, আগুনের তাপ নিচ্ছি।”
১৬সে কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালায়, তারপর তার ওপর তার মাংস ঝলসে নেয়। সে খায় এবং সন্তুষ্ট হয়। সে নিজে আগুন পোহায় এবং বলে, “আহা, আমি আগুন পোহালাম, আমি তাপ নিরীক্ষণ করলাম।”
17 কাঠের অবশিষ্ট অংশ নিয়ে সে এক দেবতা, তার আরাধ্য মূর্তি নির্মাণ করে; সে তার কাছে প্রণত হয়ে উপাসনা করে। সে তার কাছে প্রার্থনা করে ও বলে, “আমাকে রক্ষা করো; তুমি আমার দেবতা!”
১৭বাকি অংশ দিয়ে সে একটা দেবতা, তার প্রতিমা তৈরী করে; সে তার সামনে নত হয় এবং পূজা করে এবং সে তার কাছে প্রার্থনা করে বলে, “আমাকে উদ্ধার কর কারণ তুমি আমার দেবতা।”
18 তারা কিছু জানে না, কিছু বোঝে না; তাদের চোখে প্রলেপ থাকে, তাই তারা দেখতে পায় না, তাদের মন থাকে অবরুদ্ধ, তাই তারা বুঝতে পারে না।
১৮তারা জানেও না, বোঝেও না, কারণ তাদের চোখ বন্ধ এবং তারা দেখতে পায় না এবং তাদের হৃদয় বুঝতেও পারে না।
19 কেউ থেমে একটু চিন্তা করে না, কারও তেমন জ্ঞান বা বোধবুদ্ধি নেই যে বলে, “কাঠের অর্ধেক আমি জ্বালানিরূপে ব্যবহার করেছি; এর অঙ্গারে আমি এমনকি খাবার তৈরি করেছি, মাংস রান্না করে আমি তা খেয়েছি। তাহলে এর অবশিষ্ট অংশ নিয়ে আমি কি কোনো ঘৃণ্য বস্তু তৈরি করব? একটি কাঠের টুকরোর কাছে আমি কি প্রণত হব?”
১৯কেউ চিন্তা করে না; তারা বোঝে না এবং বলে, “আমি কাঠের এক ভাগ দিয়ে আগুন জ্বালিয়েছি; হ্যাঁ, তার কয়লার ওপর রুটি সেঁকেছি। আমি তার কয়লার ওপরে মাংস ঝলসে নিয়েছি ও খেয়েছি। এখন কি আমি কাঠের অন্য অংশ দিয়ে আমি উপাসনার জন্য ঘৃণার জিনিস তৈরী করব? কাঠের গুঁড়ির সামনে কি আমি নত হব?”
20 সে যেন ছাই ভোজন করে, এক মোহগ্রস্ত হৃদয় তাকে বিপথগামী করে; সে নিজেই নিজেকে রক্ষা করতে পারে না, কিংবা বলে না, “আমার ডান হাতে রাখা এই বস্তুটি কি মিথ্যা নয়?”
২০যদি সে ছাই খাওয়ার মত কাজ করে এবং তার প্রতারণাপূর্ণ হৃদয় তাকে ভুল পথে চালিত করে। সে নিজের প্রাণ উদ্ধার করতে পারে না, সে বলেও না, “আমার ডান হাতের এই জিনিসটা মিথ্যা দেবতা।”
21 “ওহে যাকোব, এসব কথা স্মরণে রেখো, কারণ ওহে ইস্রায়েল, তুমি আমার দাস। আমি তোমাকে গঠন করেছি, তুমি আমার দাস; ওহে ইস্রায়েল, আমি তোমাকে ভুলে যাব না।
২১হে যাকোব, হে ইস্রায়েল, তুমি এই সব মনে কর, কারণ তুমি আমার দাস। আমি তোমাকে গঠন করেছি, তুমি আমারই দাস; হে ইস্রায়েল, আমি তোমাকে ভুলে যাব না।
22 আমি তোমার সব অপরাধ মেঘের মতো সরিয়ে ফেলেছি, তোমার সব পাপ সকালের কুয়াশার মতো দূর করেছি। তুমি আমার কাছে ফিরে এসো, কারণ আমি তোমাকে মুক্ত করেছি।”
২২ঘন মেঘের মত তোমার সব বিদ্রোহী কাজ এবং মেঘের মত তোমার সব পাপ মুছে দিয়েছি। আমার কাছে ফিরে এস, কারণ আমিই তোমাকে মুক্ত করেছি।
23 আকাশমণ্ডল, আনন্দে গান গাও, কারণ সদাপ্রভু এ কাজ করেছেন; পৃথিবীর গভীরতম স্থান সকল, তোমরাও জয়ধ্বনি করো। যত পাহাড়-পর্বত, সমস্ত অরণ্য ও সেগুলির মধ্যে স্থিত সব গাছপালা, তোমরা আনন্দ সংগীতে ফেটে পড়ো, কারণ সদাপ্রভু যাকোবকে মুক্ত করেছেন, তিনি ইস্রায়েলে তাঁর গৌরব প্রকাশ করেন।
২৩হে আকাশমণ্ডল, গান কর, কারণ সদাপ্রভুই এটা করেছেন। হে পৃথিবীর নীচু জায়গাগুলো, জয়ধ্বনি কর। হে পর্বতরা, হে বন আর তার প্রত্যেক গাছপালা, তোমরা জোরে চিত্কার কর, কারণ সদাপ্রভু যাকোবকে মুক্ত করেছেন আর ইস্রায়েলের মধ্যে দিয়ে তাঁর গৌরব প্রকাশ করবেন।
24 “সদাপ্রভু, যিনি তোমাকে মায়ের গর্ভে গঠন করেছেন, তোমার সেই মুক্তিদাতা একথা বলেন: “আমিই সদাপ্রভু, যিনি এই সমস্ত নির্মাণ করেছেন, যিনি একা আকাশমণ্ডল বিস্তার করেছেন, যিনি স্বয়ং পৃথিবীকে প্রসারিত করেছেন,
২৪সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, তোমার মুক্তিদাতা, যিনি তোমাকে গর্ভে গড়েছেন, “আমি সদাপ্রভু; যিনি সব কিছু তৈরী করেছি। যিনি আকাশকে বিছিয়েছেন, যিনি পৃথিবীকে গড়েছেন।
25 যিনি ভণ্ড ভাববাদীদের চিহ্নসকল ব্যর্থ করেন এবং গণকদের মূর্খ প্রতিপন্ন করেন, যিনি জ্ঞানবানদের শিক্ষা বিফল করেন ও তা অসারতায় পরিণত করেন,
২৫মিথ্যা ভাববাদীদের লক্ষণ আমি ব্যর্থ করে দিই এবং যারা পূর্বাভাস পড়ে তাদের অপদস্থ করি; আমি জ্ঞানীদের শিক্ষা বিনষ্ট করে তা বোকাদের উপদেশ করি।
26 যিনি তাঁর দাসেদের কথা সফল করেন ও তাঁর দূতদের পূর্বঘোষণা পূর্ণ করেন, “যিনি জেরুশালেমের বিষয়ে বলেন, ‘এতে লোকেদের বসতি হবে,’ যিহূদার নগরগুলির বিষয়ে বলেন, ‘সেগুলি পুনর্নির্মিত হবে,’ তার ধ্বংসাবশেষকে বলেন, ‘আমি তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করব,’
২৬আমি, সদাপ্রভু! আমার দাসের কথা সফল হতে দিই আর আমার দূতদের বলা কথা পূর্ণ করি। তিনি যিরূশালেমের বিষয়ে বলেন, সে বসবাসের জায়গা হবে, আর যিহূদার শহরগুলো সম্বন্ধে বলেন, সেগুলো আবার তৈরী হবে এবং আমি ধ্বংসের জায়গাগুলো ওঠাব।
27 যিনি অগাধ জলরাশিকে বলেন, ‘শুষ্ক হও, আমি তোমার স্রোতোধারাগুলি শুকিয়ে ফেলব,’
২৭তিনি গভীর সমুদ্রকে বলেন, ‘তুমি শুকিয়ে যাও এবং আমি তোমার স্রোতগুলো শুকিয়ে ফেলব।’
28 যিনি কোরস সম্পর্কে বলেন, ‘সে হবে আমার মেষদের পালক এবং আমি যা চাই, সে তা পূর্ণ করবে; সে জেরুশালেম সম্পর্কে বলবে, “তা পুনর্নির্মিত হোক,” এবং তার মন্দির সম্পর্কে বলবে, “এর ভিত্তিপ্রস্তরগুলি স্থাপিত হোক।”’
২৮তিনি কোরসের বিষয়ে বলেন, সে আমার পশুপালক; সে আমার প্রতিটি ইচ্ছা পূর্ণ করবেন। সে যিরূশালেমের বিষয়ে আদেশ দেবে, ‘ওটা আবার তৈরী হোক’ এবং মন্দিরের বিষয়ে বলবে, ‘তোমার ভিত্তিমূল স্থাপিত হবে।’”
