< যিশাইয় ভাববাদীর বই 39 >

1 ওই সময়ে বলদনের পুত্র, ব্যাবিলনের রাজা মরোদক-বলদন হিষ্কিয়ের কাছে পত্র ও উপহার পাঠালেন, কারণ তিনি হিষ্কিয়ের অসুস্থতা ও আরোগ্যলাভের কথা শুনেছিলেন।
এই দিন ব্যাবিলনের রাজা বলদনের ছেলে মরোদক-বলদন হিষ্কিয়ের অসুখ ও সুস্থ হবার খবর শুনে তাঁর কাছে চিঠি ও উপহার পাঠিয়ে দিলেন।
2 হিষ্কিয় আনন্দের সঙ্গে ওইসব প্রতিনিধিকে গ্রহণ করলেন। তিনি তাঁর ভাণ্ডারগৃহের সবকিছুই তাদের দেখালেন—রুপো, সোনা, সুগন্ধি মশলা, বহুমূল্য তেল, তাঁর সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ও তাঁর ধনসম্পদের সমস্ত কিছু তাদের দেখালেন। তাঁর রাজপ্রাসাদে বা তাঁর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে এমন কিছুই ছিল না, যা হিষ্কিয় তাদের দেখাননি।
হিষ্কিয় দূতেদের দ্বারা সন্তুষ্ট হয়ে তার যা ছিল; মূল্যবান জিনিস রৌপ্যের ভান্ডার, সোনা, মশলা এবং মূল্যবান তেল, তার অস্ত্রের ভান্ডার এবং তার সব ধনভান্ডারেও পাওয়া যায়নি, তার বাড়িতেও কিছু পাওয়া যায়নি, না তার রাজ্যে, এমন কিছু নেই যে হিষ্কিয় তাদের দেখায়নি।
3 তখন ভাববাদী যিশাইয় রাজা হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন ও তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ওই লোকেরা কী বলল এবং ওরা কোথা থেকে এসেছিল?” হিষ্কিয় উত্তর দিলেন, “বহু দূরের এক দেশ থেকে। ওরা ব্যাবিলন থেকে আমার কাছে এসেছিল।”
ভাববাদী যিশাইয় রাজা হিষ্কিয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এই লোকেরা তোমাকে কি বলল? আর কোথা থেকেই তারা এসেছিল? হিষ্কিয় বললেন, তারা দূর দেশ ব্যাবিলন থেকে এসেছিল।
4 ভাববাদী জিজ্ঞাসা করলেন, “ওরা আপনার প্রাসাদে কী কী দেখল?” হিষ্কিয় বললেন, “ওরা আমার প্রাসাদের সবকিছুই দেখেছে। আমার ঐশ্বর্যভাণ্ডারে এমন কিছুই নেই, যা আমি ওদের দেখাইনি।”
ভাববাদী যিশাইয় জিজ্ঞাসা করলেন, “ওরা তোমার বাড়ীর মধ্যে কি কি দেখেছে?” হিষ্কিয় বলল, “আমার বাড়িতে সব কিছুই তারা দেখেছে। আমার মূল্যবান জিনিসগুলোর মধ্যে এমন কিছু নেই যা আমি তাদের দেখাই নি।”
5 তখন যিশাইয় হিষ্কিয়কে বললেন, “আপনি সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর বাক্য শ্রবণ করুন:
তখন যিশাইয় হিষ্কিয়কে বললেন, “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা শোন:
6 সেই সময় অবশ্যই উপস্থিত হবে, যখন আপনার প্রাসাদে যা কিছু আছে এবং আপনার পিতৃপুরুষেরা এ পর্যন্ত যা কিছু সঞ্চয় করেছেন, সে সমস্তই ব্যাবিলনে বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে। কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, বলেন সদাপ্রভু।
দেখো, এমন দিন আসবে যখন তোমার প্রাসাদে সব কিছু তোমার পূর্বপুরুষরা আজ পর্যন্ত যে জিনিসগুলো সংরক্ষণ করেছিল, ব্যাবিলননকে তা বহন করতে হবে, কিছুই বাকি থাকবে না।
7 আর আপনার কিছু সংখ্যক বংশধর, যারা আপনারই রক্তমাংস, যাদের আপনি জন্ম দেবেন, তাদেরও সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। তারা ব্যাবিলনের রাজপ্রাসাদে নপুংসক হয়ে সেবা করবে।”
এবং তুমি যাকে জন্ম দিয়েছ, যেহেতু তোমরা নিজেই পিতা হয়েছ, তারা তাদের দূরে নিয়ে যাবে, তারা ব্যাবিলনের রাজার বাড়িতে নপুংসকদের সেবা কাজ করবে।”
8 হিষ্কিয় উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভুর যে বাক্য আপনি বললেন, তা ভালোই।” কারণ তিনি ভাবলেন, তাঁর নিজের জীবনকালে তো শান্তি আর নিরাপত্তা থাকবে!
তখন হিষ্কিয় যিশায়কে বললেন, “সদাপ্রভুর কথা তুমি যে বলেন তা ভাল।” কারণ তিনি চিন্তা করেন, আমার দিন গুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকবে।

< যিশাইয় ভাববাদীর বই 39 >