< ইব্রীয় 6 >
1 সুতরাং এসো, আমরা খ্রীষ্ট সম্পর্কিত প্রাথমিক শিক্ষার দিকে বারবার দৃষ্টি না দিই। তার পরিবর্তে আমরা পরিপক্বতার দিকে এগিয়ে চলি। সুতরাং, যেসব কাজ মৃত্যুর পথে চালিত করে সেসব থেকে অনুতাপ করা ও ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস করা—এইসব প্রাথমিক শিক্ষার পুনরাবৃত্তি করার আর প্রয়োজন নেই।
১অতএব এস, আমরা খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রথম শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধির চেষ্টায় অগ্রসর হই; পুনরায় এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, মন্দ বিষয় থেকে মন ফেরানো, ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রাখা,
2 বাপ্তিষ্ম সম্পর্কিত নির্দেশ, কারও উপরে হাত রাখা, মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থান ও শেষ বিচার—এইসব বিষয়ে তোমাদের আর নতুন করে নির্দেশের প্রয়োজন নেই। (aiōnios )
২নানা বাপ্তিষ্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতদের পুনরুত্থান ও অনন্তকালীন বিচারের শিক্ষা। (aiōnios )
3 আর ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমরা পরবর্তী শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাব।
৩ঈশ্বরের অনুমতি হলেই তা করব।
4 কারণ একবার যারা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে—যারা স্বর্গীয় বিষয়ের রস আস্বাদন করেছে, যারা পবিত্র আত্মার অংশীদার হয়েছে,
৪কারণ এটা অসম্ভব যারা একবার সত্যের আলো পেয়েছে, ও স্বর্গীয় উপহার আস্বাদন করেছে, ও পবিত্র আত্মার সহভাগী হয়েছে,
5 যারা ঈশ্বরের বাক্যের মাধুর্য উপলব্ধি করেছে ও সন্নিকট যুগের পরাক্রম আস্বাদন করেছে— (aiōn )
৫এবং ঈশ্বরের বাক্যের ও নতুন যুগের নানা পরাক্রম আস্বাদন করেছে, (aiōn )
6 তারা যদি ঈশ্বর থেকে দূরে চলে যায় তাহলে তাদের আবার মন পরিবর্তন ঘটানো অসম্ভব। কারণ ঈশ্বরের পুত্রকে প্রত্যাখ্যান করে তারা আবার তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করছে এবং প্রকাশ্যে তাঁর মর্যাদাহানি করছে।
৬পরে খ্রীষ্ট থেকে দূরে সরে গিয়েছে, পুনরায় তাদেরকে মন পরিবর্তন করতে পারা অসম্ভব; কারণ তারা নিজেদের জন্য ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশ্যে নিন্দা করে।
7 যে জমি বৃষ্টির জল শুষে নেয় ও উপযোগী ফসল উৎপন্ন করে, তা ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে।
৭কারণ যে ভূমি নিজের উপরে বার বার পতিত বৃষ্টি গ্রহণ করে, আর যারা সেই জমি চাষ করে, তাদের জন্য ভালো ফসল উৎপন্ন করে, সেই জমি ঈশ্বর থেকে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়;
8 কিন্তু যে জমি কাঁটাঝোপ ও আগাছা উৎপন্ন করে, তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়। চাষি সেই জমিকে অভিশাপ দেয় ও তা পুড়িয়ে দেয়।
৮কিন্তু যদি এটা কাঁটাবন ও শ্যাকুল উৎপন্ন করে, তবে তা অকর্ম্মণ্য ও অভিশপ্ত হবার ভয় আছে এবং তা আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।
9 প্রিয় বন্ধুরা, আমরা এসব কথা বললেও আমরা বিশ্বাস করি না যে এইসব বিষয় তোমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা নিশ্চিত যে তোমরা এর থেকে উৎকৃষ্ট বিষয়ের সহযোগী যা পরিত্রাণের মাধ্যমে আসে।
৯প্রিয় বন্ধুরা, যদিও আমরা এরূপ বলছি, তবুও তোমাদের বিষয়ে এমন দৃঢ় বিশ্বাস করছি যে, তোমাদের অবস্থা এর থেকে ভাল এবং পরিত্রান সহযুক্ত।
10 কারণ ঈশ্বর অবিচার করেন না; অতীতে তোমরা তাঁর ভক্তদাসদের প্রতি যে সাহায্য করেছ এবং এখনও করে যাচ্ছ এবং তাঁর প্রতি যে ভালোবাসার নিদর্শন দেখিয়েছ, ঈশ্বর তোমাদের সেসব কাজ ভুলে যাবেন না।
১০কারণ ঈশ্বর অন্যায়কারী নন; তোমাদের কাজ এবং তোমরা পবিত্রদের যে পরিষেবা করেছ ও করছ, তাঁর মাধ্যমে তাঁর নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের ভালবাসা, এই সব তিনি ভুলে যাবেন না।
11 আমরা চাই, তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের প্রত্যাশা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সমান আগ্রহ বজায় রাখো।
১১এবং আমাদের ইচ্ছা এই, যেন তোমাদের প্রত্যেক জন একই প্রকার যত্ন দেখায়, যাতে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার পূর্ণতা থাকবে;
12 আমরা চাই না, তোমরা শিথিল হও, বরং বিশ্বাস ও ধৈর্যের দ্বারা যারা প্রতিশ্রুতির অধিকারী, তাদেরই অনুসরণ করো।
১২আমরা চাই না যে তোমরা অলস হও, কিন্তু যারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার কারণে নিয়ম সমূহের অধিকারী, তাদের মতো হও।
13 ঈশ্বর যখন অব্রাহামকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শপথ করার মতো আর মহত্তর কেউ না থাকায়, তিনি নিজের নামেই শপথ করেছিলেন
১৩কারণ ঈশ্বর যখন অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন, তখন মহৎ কোনো ব্যক্তির নামে শপথ করতে না পারাতে নিজেরই নামে শপথ করলেন,
14 এবং বলেছিলেন, “আমি নিশ্চয়ই তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং তোমাকে বহু বংশধর দান করব।”
১৪তিনি বললেন, “আমি অবশ্যই তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং তোমার বংশ অগণিত করব।”
15 তাই অব্রাহাম ধৈর্যের সঙ্গে প্রতীক্ষার পরে প্রতিশ্রুত বিষয় লাভ করেছিলেন।
১৫আর এই ভাবে, আব্রাহাম ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলেন, তিনি প্রতিজ্ঞা প্রাপ্ত হলেন।
16 আর মানুষ নিজের চেয়েও মহত্তর কারও নামে শপথ করে। আবার যা বলা হয়েছে শপথ তার নিশ্চয়তা দেয় ও সব যুক্তিতর্কের অবসান ঘটায়।
১৬মানুষেরা তো মহৎ ব্যক্তির নাম নিয়ে শপথ করে; এবং এই শপথের মাধ্যমে তাদের সমস্ত তর্কবিতর্কের অবসান হয়।
17 কারণ ঈশ্বর তাঁর অপরিবর্তনীয় ইচ্ছাকে প্রতিশ্রুতির উত্তরাধিকারীদের কাছে স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন বলে, তিনি শপথের দ্বারা তা সুনিশ্চিত করলেন।
১৭এই ব্যাপারে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার উত্তরাধিকারীদেরকে নিজের মন্ত্রণার অপরিবর্তনীয়তা আরও স্পষ্টভাবে দেখাবার জন্য শপথের মাধ্যমে নিশ্চয়তা করলেন;
18 ঈশ্বর আমাদের প্রতিশ্রুতি ও শপথ দুই-ই দিয়েছেন। এই দুটি বিষয় অপরিবর্তনীয় কারণ ঈশ্বরের পক্ষে মিথ্যা কথা বলা অসম্ভব। তাই, আমাদের সামনের প্রত্যাশা আঁকড়ে ধরে আমরা শরণ নেওয়ার জন্য তাঁর দিকে ছুটে গিয়েছি যেন আমরা দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই।
১৮এই ব্যাপারে মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য, এমন অপরিবর্তনীয় দুই ব্যাপারের মাধ্যমে আমরা যারা প্রত্যাশা ধরবার জন্য তাঁর শরণার্থে ছুটে গিয়েছি যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই।
19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে যা প্রাণের নোঙরের মতো, সুদৃঢ় ও নিশ্চিত। তা পর্দার অন্তরালে থাকা মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করে,
১৯আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তা প্রাণের নোঙরের মতো, অটল ও দৃঢ়। তা পর্দার আড়ালে স্বর্গীয় মন্দিরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করায়।
20 যেখানে আমাদের অগ্রগামী যীশু আমাদের পক্ষে প্রবেশ করেছেন। মল্কীষেদকের পরম্পরা অনুসারে তিনি চিরকালের জন্য মহাযাজক হয়েছেন। (aiōn )
২০আর সেই জায়গায় আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে যীশু প্রবেশ করেছেন, যিনি মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন। (aiōn )