< হগয় ভাববাদীর বই 1 >
1 রাজা দারিয়াবসের দ্বিতীয়বর্ষের রাজত্বকালে ষষ্ঠ মাসের প্রথম দিনে সদাপ্রভুর বাক্য ভাববাদী হগয়ের দ্বারা শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, যিহূদার শাসনকর্তা এবং যিহোষাদকের পুত্র মহাযাজক যিহোশূয়ের কাছে উপস্থিত হল।
১দারিয়াবস রাজার রাকত্বের দ্বিতীয় বছরের, ষষ্ঠ মাসে, মাসের প্রথম দিনের সদাপ্রভুর বাক্য হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্ত্তার কাছে এবং যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের কাছে উপস্থিত হল তিনি বললেন,
2 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই লোকেরা বলে, ‘সদাপ্রভুর গৃহ নির্মাণের সময় এখনও আসেনি।’”
২বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, এই লোকেরা বলছে, আমাদের দিন বা সদাপ্রভুর গৃহ নির্মাণের দিন, এখনো আসেনি৷
3 তখন ভাববাদী হগয়ের মাধ্যমে সদাপ্রভুর বাক্য এল,
৩তখন হগয় ভাববাদীর মাধ্যমে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হলো এবং বললেন,
4 “এটি কি ঠিক, যে তোমরা নিজের কারুকার্য করা বাড়িতে রয়েছো, যেখানে সদাপ্রভুর গৃহ বিনষ্ট?”
৪“এটা কি তোমাদের নিজের নিজের সম্পূর্ণ ছাদ দেওয়া বাড়িতে বাস করবার দিন? যখন এই গৃহ ধ্বংসস্তুপের মতন পড়ে রয়েছে?”
5 এখন সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সযত্নে নিজের পথের বিচার করো।
৫এই জন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা নিজেদের বিষয়ে লক্ষ্য কর৷
6 তোমরা অনেক ফসল রোপণ করো, কিন্তু পাও অল্প। তোমরা খাও, কিন্তু তাতে কখনও তৃপ্ত হও না। সুরা পান করো তাও যথেষ্ট হয় না। কাপড় পড়ো কিন্তু তাতে গরম হয় না। কাজের মজুরি ফুটা থলিতে রাখো।”
৬তোমরা অনেক বীজ রোপণ করেও অল্প শস্য সঞ্চয় করছ, তোমরা খাচ্ছ কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে নয়, পান করছ কিন্তু তৃপ্ত হচ্ছ না, জামাকাপড় পরেও উষ্ণতা পাচ্ছনা এবং বেতনজীবী লোকরা কেবল ছেঁড়া থলিতে টাকা রাখার জন্যই রোজগার করছে৷”
7 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সযত্নে নিজের পথের বিষয় বিচার করো।
৭বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা নিজেদের বিষয়ে লক্ষ্য কর৷
8 আমার গৃহ নির্মাণ করার জন্য পাহাড়ে পাহাড়ে যাও এবং কাঠ নিয়ে এসো, যাতে আমি সন্তুষ্ট এবং সম্মানিত হই,” সদাপ্রভু বলেন।
৮পর্বতে উঠে কাঠ নিয়ে এসে, আমার এই গৃহ নির্মাণ কর, তাতে আমি এই গৃহের প্রতি খুশি হব এবং গৌরবান্বিত হব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন৷
9 “তোমরা প্রাচুর্যের প্রত্যাশা করো, কিন্তু দেখো, তা অল্পে পরিণত হয়। যা ঘরে নিয়ে আস, আমি তা উড়িয়ে দিই। কেন?” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “কারণ তোমরা সব নিজের নিজের ঘর নিয়ে ব্যস্ত এবং আমার ঘর বিনষ্ট।
৯তোমরা অনেক আশা করেছিলে কিন্তু দেখ, অল্প পেলে এবং অল্প ঘরে এনেছিলে কারণ আমি তা ফুঁ দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলাম৷ কেন বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন? কারণ, এই যে আমার গৃহ ধ্বংসস্তুপ হয়ে রয়েছে, আর তোমরা তখন নিজের নিজের বাড়িতে আনন্দ করছ৷
10 সেই কারণে পৃথিবীতে শিশির পড়া বন্ধ, ফলে ফসলও হচ্ছে না।
১০এই জন্য আকাশ শিশির দেওয়া বন্ধ করেছে ও জমি ফসল উত্পন্ন বন্ধ করেছে৷
11 ক্ষেতখামার আর পাহাড়ের উপর, শস্যের উপর, নতুন দ্রাক্ষারস, জলপাই তেল সবকিছু যা মাটিতে জন্মায়, মনুষ্য আর প্রাণী এবং তোমাদের সকলের হাতের পরিশ্রমের উপর আমি সদাপ্রভু খরার আহ্বান করেছি।”
১১আর আমি দেশের ও পর্বতের উপরে, শস্য, দ্রাক্ষারস ও তেল প্রভৃতি জমিতে উত্পন্ন বস্তুর উপরে এবং মানুষ, পশু ও তোমাদের হাতের সমস্ত শ্রমের উপরে অনাবৃষ্টিকে আহ্বান করলাম৷
12 আর তখন শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, যিহোষাদকের পুত্র মহাপুরোহিত যিহোশূয়, ও অবশিষ্ট লোকেরা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এবং ভাববাদী হগয়ের আদেশ মানল। আর তারা সদাপ্রভুকে ভয় করতে লাগল।
১২তখন শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজক এবং লোকদের সমস্ত ইসরায়েলী লোকেরা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে এবং হগয় ভাববাদীর সমস্ত কথায় মনোযোগ দিল, কারণ তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে পাঠিয়েছিলেন এবং লোকেরাও সদাপ্রভুর সম্মুখে ভীত হল৷
13 তখন সদাপ্রভুর দূত হগয়, লোকদের সদাপ্রভুর এই বার্তা দিলেন, “আমি তোমাদের সঙ্গে আছি,” এই কথা সদাপ্রভু বলেন।
১৩তখন সদাপ্রভুর দূত হগয়, সদাপ্রভুর এই সংবাদ লোকদের বললেন, “সদাপ্রভু বলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি৷”
14 এরপর সদাপ্রভু শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, যিহূদার শাসনকর্তা, যিহোষাদকের পুত্র মহাযাজক যিহোশূয়, অবশিষ্ট লোকদের অন্তরাত্মাকে উত্তেজিত করলেন। তখন তারা ফিরে এসে একত্রে তাদের ঈশ্বর সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করলেন,
১৪পরে সদাপ্রভু শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল নামে যিহূদার শাসনকর্ত্তার আত্মাকে ও যিহোষাদকের পুত্র যিহোশূয় মহাযাজকের আত্মাকে এবং লোকদের সমস্ত অবশিষ্টাংশের আত্মাকে উত্তেজিত করলেন; তাঁরা এসে নিজেদের ঈশ্বর বাহিনীগনের সদাপ্রভুর গৃহে কাজ করতে লাগলেন;
15 ষষ্ঠ মাসের চব্বিশতম দিনে। রাজা দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের রাজত্বকালে,
১৫এই রকম দারিয়াবস রাজার রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের ষষ্ঠ মাসের চব্বিশতম দিনের ঘটল৷