< হগয় ভাববাদীর বই 2 >
1 সপ্তম মাসের একুশ দিনের দিন, সদাপ্রভু বাক্য ভাববাদী হগয়ের মাধ্যমে এল,
2 “শল্টীয়েলের ছেলে যিহূদার শাসনকর্তা সরুব্বাবিলকে, যিহোষাদকের ছেলে মহাযাজক যিহোশূয়কে এবং অবশিষ্ট লোকদের জিজ্ঞাসা করো,
3 ‘তোমাদের মধ্যে কেউ বাকি আছে যে সদাপ্রভুর গৃহের পূর্বের শোভা দেখেছে? এখন তা কেমন দেখাচ্ছে? দেখে মনে হয় না আগেকার তুলনায় এটি এখন কিছুই নয়?
4 কিন্তু এখন, সরুব্বাবিল, বলবান হও,’ এই কথা সদপ্রভু বলেন, ‘যিহোষাদকের ছেলে মহাযাজক যিহোশূয় এবং দেশের অবশিষ্ট লোকেরা বলবান হও, কাজ করে যাও কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে আছি,’ এই কথা সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
5 ‘মিশর দেশ থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমি তোমাদের সঙ্গে এই প্রতিশ্রুতি করেছিলাম যে, আমার আত্মা তোমাদের সঙ্গে থাকবে। তাই ভয় করো না।’
6 “সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি আবার আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং ভূমিকে প্রকম্পিত করব।
7 আমি সমগ্র জাতিকে নাড়া দেব, ও সব জাতির মনোরঞ্জনকারী আসবেন, এবং এই গৃহ প্রতাপে পরিপূর্ণ করব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু একথাই বলেন।
8 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, ‘সোনা আমার ও রুপোও আমার,
9 ভবনের বর্তমানের শোভা অতীতের শোভার চেয়ে মহান হবে।’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন। ‘আর এখানেই আমি শান্তি প্রদান করব,’ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন।”
10 নবম মাসের চব্বিশ দিনে, রাজা দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের রাজত্বকালে ভাববাদী হগয়ের কাছে সদাপ্রভুর বাক্য উপস্থিত হল।
11 “সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘বিধান সমন্ধে পুরোহিতদের জিজ্ঞাসা করো,
12 যদি কেউ নিজের কাপড়ের ভাঁজে পবিত্র মাংস বহন করে, এবং সেই ভাঁজ করা কাপড় কোনো রুটি বা সিদ্ধ করা খাবার, দ্রাক্ষারস, জলপাই তেল বা অন্যান্য খাদ্যবস্তুকে স্পর্শ করে, কি সেই বস্তুসমগ্র পবিত্র হবে?’” পুরোহিতরা উত্তর দিল, “না।”
13 তারপর হগয় জিজ্ঞাসা করলেন, “যদি কোনো ব্যক্তি মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়ে, এইসব বস্তুর মধ্যে কাউকে স্পর্শ করে, কি তা অশুচি হবে?” পুরোহিতরা উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, সেটি অশুচি হয়ে যাবে।”
14 তখন হগয় বললেন, সদাপ্রভুর বলছেন, “‘আমার দৃষ্টিতে এই জাতি ও দেশ এমনই, তারা সেখানে যেসব কাজকর্ম করে এবং যা কিছু উৎসর্গ করে সেসব অশুচি।’
15 “‘এখন থেকে সযত্নে চিন্তা করো—সদাপ্রভুর গৃহ স্থাপিত হওয়ার আগে যখন একটি পাথরের উপরে আরেকটি পাথর ছিল না তখন কি অবস্থা ছিল।
16 কেউ যখন কুড়ি কাঠা শস্যরাশির কাছে আসত, তখন শুধুমাত্র দশ কাঠা পেত। কেউ যখন দ্রাক্ষারসের ভাঁটি থেকে পঞ্চাশ পাত্র দ্রাক্ষারস নেওয়ার জন্য যেত, তখন শুধুমাত্র কুড়ি পাত্রই থাকত।
17 আমি তোমাদের হাতের কাজকে ক্ষয়রোগ, ছাতারোগ আর শিলাবৃষ্টি দিয়ে আঘাত করেছি, তা সত্ত্বেও তোমরা আমার দিকে ফেরোনি,’ সদাপ্রভু বলেন।
18 ‘সযত্নে চিন্তা করো আজ নবম মাসের চব্বিশ দিন থেকে সদাপ্রভুর মন্দিরের ভিত্তিমূল স্থাপনের দিন পর্যন্ত। সযত্নে চিন্তা করো,
19 এখনও কি গোলাঘরে কোনো বীজ আছে? এখনও পর্যন্ত দ্রাক্ষালতা, ডুমুর, ডালিম ও জলপাই গাছে ফলও ভালো করে ধরেনি। “‘এখন থেকে আমি সদাপ্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করব।’”
20 সেই মাসের চব্বিশতম দিনে দ্বিতীয়বার সদাপ্রভুর বাক্য হগয়ের কাছে এল,
21 “যিহূদার শাসক সরুব্বাবিলকে বলো যে আমি আকাশ আর পৃথিবীকে নাড়াবো।
22 আমি রাজাদের সিংহাসন উল্টে দেব এবং বিজাতীয় রাজ্যের ক্ষমতা শেষ করে দেব। আমি রথ ও তার চালকদের উল্টে দেব; ঘোড়া এবং ঘোড়সওয়ারেরা প্রত্যকে তার ভাইদের তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে।
23 “সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, ‘সেইদিন, শল্টীয়েলের পুত্র সরুব্বাবিল, আমার দাসকে গ্রহণ করব এবং আমার সিলমোহরের আংটির মতো করব কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি,’ সর্বশক্তিমান সদপ্রভু এই কথা বলেন।”