< আদিপুস্তক 43 >

1 তখনও পর্যন্ত সেদেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছিল।
কনান দেশত আকালে ভয়ানক ৰূপ লৈ উঠিল।
2 অতএব যখন তাঁরা মিশর থেকে আনা সব খাদ্যশস্য খেয়ে ফেললেন, তখন তাঁদের বাবা তাঁদের বললেন, “তোমরা ফিরে যাও ও আমাদের জন্য আরও কিছু খাদ্যশস্য কিনে আনো।”
মিচৰ দেশৰ পৰা কিনি অনা শস্য খাই শেষ হোৱাত, তেওঁলোকৰ বাপেকে ক’লে, “তোমালোকে আকৌ যোৱা আৰু আমাৰ বাবে কিছুমান শস্য কিনি আনাগৈ।”
3 কিন্তু যিহূদা তাঁকে বললেন, “সেই লোকটি শপথপূর্বক আমাদের সাবধান করে দিয়েছিলেন, ‘তোমাদের ভাই যদি তোমাদের সঙ্গে না থাকে তবে তোমরা আর আমার মুখদর্শন করবে না।’
যিহূদাই তেওঁক ক’লে, “সেই পুৰুষে আমাক দৃঢ়ভাৱে সতর্ক কৰি দি কৈছিল যে, ‘তোমালোকৰ লগত তোমালোকৰ ভাই নাহিলে, মোৰ মুখ চাব নোৱাৰিবা।’
4 আপনি যদি আমাদের সঙ্গে আমাদের ভাইকে পাঠান, তবেই আমরা সেখানে যাব ও আপনার জন্য খাদ্যশস্য কিনে আনব।
এতিয়া তুমি যদি আমাৰ ভাইক আমাৰ লগত পঠোৱা, তেতিয়াহে আমি নামি গৈ তোমাৰ কাৰণে শস্য কিনি আনিম।
5 কিন্তু আপনি যদি তাকে না পাঠান, আমরা সেখানে যাব না, কারণ সেই লোকটি আমাদের বলেছিলেন, ‘তোমাদের ভাই যদি তোমাদের সঙ্গে না থাকে তবে তোমরা আর আমার মুখদর্শন করবে না।’”
কিন্তু যদি নপঠোৱা, তেন্তে আমি নাযাওঁ; কিয়নো সেই লোকে আমাক কৈছিল, ‘তোমালোকৰ লগত তোমালোকৰ ভাই নাহিলে, মোৰ মুখ চাব নোৱাৰিবা’।”
6 ইস্রায়েল জিজ্ঞাসা করলেন, “সেই লোকটিকে একথা বলে কেন তোমরা আমার উপর এই বিপত্তি ডেকে এনেছ যে তোমাদের অন্য একটি ভাই আছে?”
ইস্ৰায়েলে ক’লে, “তোমালোকে মোলৈ কিয় এনে দুর্ব্যৱহাৰ কৰিলা? তোমালোকৰ যে এজন ভাই আছে সেই কথানো লোকজনক কিয় ক’লা?”
7 তাঁরা উত্তর দিলেন, “সেই লোকটি আমাদের বিষয়ে ও আমাদের পরিবারের বিষয়ে পুঙ্খনাপুঙ্খভাবে আমাদের প্রশ্ন করেছিলেন। ‘তোমাদের বাবা কি এখনও জীবিত আছেন?’ তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ‘তোমাদের কি অন্য কোনও ভাই আছে?’ আমরা শুধু তাঁর প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলাম। আমরা কীভাবে জানব যে তিনি বলবেন, ‘তোমাদের ভাইকে এখানে নিয়ে এসো’?”
তেওঁলোকে ক’লে, “সেই লোকজনে আমাৰ আৰু আমাৰ পৰিয়ালৰ সম্বন্ধে পুংখানুপুংখভাবে সুধিছিল; তেওঁ সুধিছিল, ‘তোমালোকৰ পিতা এতিয়াও জীয়াই আছে নে? তোমালোকৰ আৰু কোনো ভাই আছে নে?’ আমিও তেওঁৰ প্রশ্নবোৰৰ উত্তৰ সেইদৰেই দিছিলোঁ; পাছত তেওঁ যে আমাক ‘তোমালোকৰ ভাইক লৈ আনা’ বুলি ক’ব অামি কেনেকৈ জানিম?”
8 তখন যিহূদা তাঁর বাবা ইস্রায়েলকে বললেন, “বালকটিকে আমার সঙ্গে পাঠিয়ে দিন এবং আমরা এখনই রওনা দেব, যেন আমরা ও আপনি এবং আমাদের সন্তানেরা বাঁচতে পারি এবং না মরি।
তেতিয়া যিহূদাই পিতৃ ইস্ৰায়েলক ক’লে, “আপুনি বিন্যামীনক মোৰ লগত পঠাওঁক; আমি, আপুনি আৰু আমাৰ সন্তানবোৰেৰে সৈতে উভয়ে যেন নমৰি জীয়াই থাকিম, তাৰ বাবে আমি সোনকালে ওলাই যাওঁহক।
9 আমি নিজে তার নিরাপত্তার মুচলেকা দেব; তার জন্য আপনি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে দায়ী করতে পারেন। আমি যদি তাকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে না পারি ও আপনার সামনে তাকে দাঁড় করাতে না পারি, তবে সারা জীবন আমি এই দোষ বয়ে বেড়াব।
মই বিন্যামীনৰ বাবে জামিন হৈছোঁ। বিন্যামীনৰ দায়িত্বক লৈ আপুনি মোকে জগৰীয়া কৰিব। মই যদি তাক ঘূৰাই আনি আপোনাৰ সন্মুখলৈ নানো, তেন্তে চিৰকাল মই আপোনাৰ ওচৰত অপৰাধী হৈ থাকিম।
10 তবে ঘটনা হল এই যে, আমরা যদি দেরি না করতাম, তবে এতক্ষণে আমরা দু-দুবার সেখানে গিয়ে ফিরে আসতে পারতাম।”
১০আমি যদি ইমান পলম নকৰিলোঁ হয়, ইতিমধ্যে আমি দ্বিতীয়বাৰো ঘূৰি আহিব পাৰিলোহেঁতেন।”
11 তখন তাঁদের বাবা ইস্রায়েল তাঁদের বললেন, “যদি তা আবশ্যক হয়, তবে এরকম করো: তোমাদের বস্তাগুলিতে এদেশের শ্রেষ্ঠ দ্রব্যগুলির মধ্যে কিছু কিছু নিয়ে রাখো ও এক উপহারসামগ্রীরূপে সেগুলি সেই লোকটির কাছে নিয়ে যাও—যেমন সামান্য কিছু গুগ্‌গুল ও সামান্য কিছু মধু, কিছু মশলাপাতি ও গন্ধরস, কিছু পেস্তাবাদাম ও কাঠবাদাম।
১১তেওঁলোকৰ পিতৃ ইস্ৰায়েলে তেতিয়া ক’লে, “যদি সেয়ে কৰিব লাগে, তেন্তে এতিয়া এটা কাম কৰা। সেই লোকৰ কাৰণে উপহাৰ হিচাবে তোমালোকৰ নিজৰ নিজৰ বস্তাত এই দেশৰ সকলোতকৈ উত্তম দ্ৰব্যবোৰৰ কিছু কিছু লৈ যোৱা; যেনে, কিছু বিষ নিৰাময়ৰ মলম, মৌজোল, মা-মচলা, গন্ধৰস, পেস্তা আৰু বাদাম।
12 তোমরা নিজেদের সঙ্গে দ্বিগুণ পরিমাণ রুপো নাও, কারণ সেই রুপোগুলি তোমাদের ফেরত দিতে হবে যা তোমাদের বস্তার মুখে রেখে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো ভুলবশতই তা হয়েছিল।
১২তোমালোকৰ হাতত দুগুণ ধন লোৱা; কাৰণ তোমালোকৰ বস্তাৰ মুখত যি ধন তেওঁলোকে উভটাই দিলে, তাকো ঘূৰাই দিবলৈ লৈ যোৱা। হয়তো ভুলতে সেয়া তোমালোকক দিছিল।
13 তোমাদের ভাইকেও সঙ্গে নাও এবং এখনই সেই লোকটির কাছে চলে যাও।
১৩তোমালোকৰ ভাইক লৈ সোনকালে সেই লোকৰ ওচৰলৈ আকৌ যোৱাহঁক।
14 আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সেই লোকটির দৃষ্টিতে তোমাদের দয়া পেতে দিন, যেন তিনি তোমাদের অন্য ভাইকে ও বিন্যামীনকে তোমাদের সঙ্গে ফিরে আসতে দেন। আমার আর কি, আমাকে যদি সন্তানহারা হতে হয় তবে তাই হোক।”
১৪সেই লোক জনে তোমালোকক যেন দয়া কৰে, সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বৰে ইয়াকে কৰক আৰু তোমালোকৰ আনজন ভাই চিমিয়োন আৰু বিন্যামীনক তোমালোকলৈ এৰি দিয়ে। মই যদি পুত্রহীনৰ শোক ভুগিব লগাই হয়, তেন্তে তেনেকৈয়ে থাকিম।”
15 অতএব তাঁরা উপহারসামগ্রী ও দ্বিগুণ পরিমাণ রুপো, এবং বিন্যামীনকেও সঙ্গে নিলেন। তাঁরা তাড়াতাড়ি করে মিশরে গেলেন ও যোষেফের কাছে নিজেদের উপস্থিত করলেন।
১৫তেতিয়া তেওঁলোকে সেই উপহাৰ, হাতত দুগুণ ধন আৰু বিন্যামীনক লগত লৈ মিচৰ দেশলৈ নামি গ’ল, আৰু তেওঁলোক যোচেফৰ সন্মুখত উপস্থিত হ’ল।
16 যোষেফ যখন বিন্যামীনকে তাঁদের সঙ্গে দেখতে পেলেন, তখন তিনি তাঁর বাড়ির গোমস্তাকে বললেন, “এদের আমার বাড়িতে নিয়ে যাও, একটি পশু বধ করো এবং ভোজের আয়োজন করো, দুপুরবেলায় এরা আমাদের সঙ্গে ভোজনপান করবে।”
১৬তাতে তেওঁলোকৰ লগত বিন্যামীনক দেখি, যোচেফে তেওঁৰ ঘৰৰ ঘৰগিৰীক ক’লে, “এই লোকসকলক ঘৰৰ ভিতৰলৈ লৈ আহা আৰু এটা পশু মাৰি আহাৰ যুগুত কৰা; এই লোকসকলে দুপৰীয়া মোৰ সৈতে ভোজন কৰিব।”
17 যোষেফ যেমনটি করতে বললেন, সেই লোকটি ঠিক সেরকমই করলেন এবং তাঁদের যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
১৭যোচেফে যিদৰে ক’লে, ঘৰগিৰীয়ে সেইদৰেই কৰিলে; তেওঁ তেওঁলোকক যোচেফৰ ঘৰলৈ লৈ আহিল।
18 যখন তাঁদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল তখন তাঁরা ভয় পেয়ে গেলেন। তাঁরা ভাবলেন, “প্রথমবার আমাদের বস্তায় যে রুপো রেখে দেওয়া হয়েছিল সেজন্যই আমাদের এখানে আনা হয়েছে। তিনি আমাদের উপর হামলা করতে ও ক্রীতদাসরূপে আমাদের গ্রেপ্তার করতে এবং আমাদের গাধাগুলি দখল করে নিতে চাইছেন।”
১৮যোচেফৰ ঘৰলৈ তেওঁলোকক লৈ যোৱাৰ বাবে তেওঁলোকে ভয়তে কোৱাকুই কৰি ক’লে, “আগৰ বাৰত যি ধন আমাৰ বস্তাৰ ভিতৰত উভটি গ’ল, তাৰ কাৰণেই আমাক তালৈ লৈ আনিছে নেকি; এইবাৰ হয়তো আমাৰ বিৰুদ্ধে দোষ বিচাৰি তেওঁ আমাক বন্দী কৰি থ’ব আৰু আমাৰ গাধবোৰকো লৈ আমাক তেওঁৰ দাস কৰি ৰাখিব।”
19 অতএব তাঁরা যোষেফের গোমস্তার কাছে চলে গেলেন ও বাড়ির প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন।
১৯সেয়ে তেওঁলোকে যোচেফৰ ঘৰৰ দুৱাৰ মুখত ঘৰগিৰীজনৰ কাষলৈ গ’ল।
20 “হে আমাদের প্রভু, আমরা আপনার দয়া ভিক্ষা করছি,” তাঁরা বললেন, “প্রথমবার আমরা এখানে খাদ্যশস্য কেনার জন্যই এসেছিলাম।
২০তেওঁলোকে ক’লে, “মালিক, আমি ইয়াৰ আগেয়েও প্রথমবাৰ শস্য কিনিবলৈ আহিছিলোঁ;
21 কিন্তু রাত্রিযাপনের জন্য আমরা একটি স্থানে থেমে আমাদের বস্তাগুলি খুলেছিলাম এবং আমাদের প্রত্যেকেই বস্তার মুখে নিজের নিজের রুপো—একেবারে নির্ভুল ওজনের রুপো—খুঁজে পেয়েছিলাম। তাই আমরা তা নিজেদের সঙ্গে করে ফিরিয়ে এনেছি।
২১কিন্তু উলটি যোৱাৰ পথত বিশ্রামৰ ঠাই পোৱাত আমি আমাৰ বস্তা মেলোতেই দেখিলোঁ যে, আমাৰ সম্পূর্ণ ধন প্ৰতিজনৰ বস্তাৰ মুখত আছিল; আমি এতিয়া সেই ধন উভটাই আনিছোঁ।
22 খাদ্যশস্য কেনার জন্য আমরা আরও কিছু রুপো আমাদের সঙ্গে করে এনেছি। আমরা জানি না কে আমাদের বস্তাগুলিতে আমাদের রুপোগুলি রেখে দিয়েছিল।”
২২ইয়াৰ উপৰিও আমি শস্য কিনিবলৈ লগত ধন আনিছোঁ। আমাৰ সেই ধন আমাৰ বস্তাৰ ভিতৰত কোনে যে সুমুৱাই দিছিল, তাক আমি নাজানো।”
23 “ঠিক আছে,” তিনি বললেন। “ভয় পেয়ো না। তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের পৈত্রিক ঈশ্বর, তোমাদের বস্তাগুলিতে পুরে তোমাদের ধনসম্পদ দিয়েছেন; আমি তোমাদের রুপো পেয়েছি।” পরে তিনি শিমিয়োনকে তাঁদের কাছে আনলেন।
২৩সেই ঘৰগিৰীয়ে তেতিয়া কলে, “আপোনালোকে ভয় কৰিব নালাগে, শান্তি মনেৰে থাকক। আপোনালোকৰ আৰু আপোনালোকৰ পিতৃৰ ঈশ্বৰেই নিশ্চয়কৈ সেই ধন আপোনালোকৰ বস্তাত ৰাখিছিল। মই কিন্তু আপোনালোকৰ ধন পালোঁ।” পাছত ঘৰগিৰীজনে চিমিয়োনক বাহিৰ কৰি তেওঁলোকৰ ওচৰলৈ আনিলে।
24 সেই গোমস্তা তাঁদের যোষেফের বাড়িতে নিয়ে গেলেন, তাঁদের পা ধোয়ার জন্য তাঁদের জল দিলেন এবং তাঁদের গাধাগুলির জন্য জাবনার জোগান দিলেন।
২৪তাৰ পাছত ঘৰগিৰীয়ে সেই সকলো লোকক যোচেফৰ ঘৰৰ ভিতৰলৈ লৈ গৈ পানী দিলে আৰু তেওঁলোকে নিজৰ ভৰি ধুলে; তেওঁ তেওঁলোকৰ গাধবোৰকো খাবলৈ দিলে।
25 দুপুরে যোষেফ আসবেন বলে তাঁরা তাঁদের উপহারসামগ্রী প্রস্তুত করে রাখলেন, কারণ তাঁরা শুনেছিলেন যে সেখানে তাঁদের ভোজনপান করতে হবে।
২৫যোচেফ দুপৰীয়া আহিব বুলি তেওঁলোকে নিজৰ নিজৰ উপহাৰবোৰ যুগুত কৰি ৰাখিলে। কিয়নো তেওঁলোকে শুনিছিল যে তেওঁলোকৰ খোৱা-বোৱা তাতেই হ’ব।
26 যোষেফ যখন ঘরে এলেন, তখন সেই বাড়িতে তাঁরা যেসব উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন, সেগুলি তাঁরা তাঁকে দিলেন, এবং মাটিতে নতমস্তক হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন।
২৬যোচেফ যেতিয়া ঘৰলৈ আহিল, তেতিয়া তেওঁলোকে নিজৰ নিজৰ উপহাৰবোৰ ঘৰৰ ভিতৰলৈ আনি তেওঁক দিলে আৰু মাটিত উবুৰি হৈ পৰি তেওঁক প্ৰণিপাত কৰিলে।
27 তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন তারা কেমন আছেন, এবং পরে তিনি বললেন, “তোমাদের যে বৃদ্ধ বাবার কথা তোমরা বলেছিলে, তিনি কেমন আছেন? তিনি কি এখনও বেঁচে আছেন?”
২৭তেওঁলোকৰ কুশল মঙ্গল জনাৰ পাছত তেওঁ তেওঁলোকক সুধিলে, “তোমালোকৰ বৃদ্ধ পিতাৰ কথা যে তোমালোকে কৈছিলা, তেওঁ ভালে আছে নে? তেওঁ এতিয়ালৈকে জীয়াই আছে নে?”
28 তাঁরা উত্তর দিলেন, “আপনার দাস আমাদের বাবা এখনও বেঁচে আছেন ও ভালোই আছেন।” এবং তাঁরা তাঁর সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন।
২৮তেওঁলোকে ক’লে, “আপোনাৰ দাস আমাৰ পিতৃ এতিয়াও জীয়াই আছে আৰু তেওঁ ভালে আছে।” এই বুলি তেওঁলোকে উবুৰি হৈ প্ৰণিপাত কৰিলে।
29 তিনি চোখ তুলে তাকিয়ে যেই না তাঁর ভাই বিন্যামীনকে, তাঁর সহোদর ভাইকে দেখতে পেলেন, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “এই কি তোমাদের সেই ছোটো ভাই, যার কথা তোমরা আমাকে বলেছিলে?” আর তিনি বললেন, “বাছা, ঈশ্বর তোমার প্রতি মঙ্গলময় হোন।”
২৯তেতিয়া তেওঁ চকু তুলি নিজ মাকৰ পুতেক ভায়েক বিন্যামীনক দেখি ক’লে, “এওঁৱেই নেকি তোমালোকৰ সেই সৰু ভাই, যি জনৰ কথা তোমালোকে মোক কৈছিলা?” তেওঁ তাক ক’লে, “বোপা, ঈশ্বৰে তোমাক আশীর্বাদ কৰক।”
30 ভাইকে দেখতে পেয়ে যোষেফ দারুণ আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন, তাই তিনি তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে গেলেন ও কাঁদার জন্য একটি স্থান খুঁজলেন। তিনি নিজের খাস কামরায় ঢুকে গেলেন ও সেখানে কেঁদে নিলেন।
৩০নিজ ভায়েকক দেখি মৰমতে যোচেফৰ অন্তৰ শোকত ভাগি পৰিল। তেওঁ কান্দিবলৈ ঠাই বিচাৰি বেগাবেগিকৈ সেই ঠাইৰ পৰা ওলাই গ’ল আৰু নিজৰ কোঁঠালিত সোমাই কান্দিবলৈ ধৰিলে।
31 নিজের মুখ ধুয়ে নেওয়ার পর, নিজেকে সংযত করে তিনি বাইরে বেরিয়ে এসে বললেন, “খাবার পরিবেশন করো।”
৩১পাছত তেওঁ নিজৰ চকু-মুখ ধুই বাহিৰলৈ আহিল আৰু নিজকে নিয়ন্ত্রণ কৰি আহাৰ পৰিবেশন কৰিবলৈ ক’লে।
32 তারা আলাদা আলাদা করে তাঁর জন্য, তাঁর ভাইদের জন্য এবং তাঁর সাথে যে মিশরীয়রা খেতে বসেছিল, তাদের জন্য খাবার পরিবেশন করল, কারণ মিশরীয়রা হিব্রুদের সাথে ভোজনপান করত না, যেহেতু মিশরীয়দের কাছে তা ঘৃণ্য বলে গণ্য হত।
৩২তেতিয়া দাসবোৰে যোচেফক, তেওঁৰ ভায়েক-ককায়েকসকলক আৰু যি মিচৰীয়সকলে যোচেফৰ লগত ভোজন কৰে, তেওঁলোকক বেলেগ বেলেগকৈ খাবলৈ দিলে; কিয়নো মিচৰীয়সকলে ইব্ৰীয়াসকলৰ সৈতে খোৱা-বোৱা নকৰে; কাৰণ সেয়া মিচৰীয়সকলৰ কাৰণে এক ঘৃণনীয় কাৰ্য।
33 বড়ো থেকে শুরু করে ছোটো পর্যন্ত, তাঁদের বয়সানুসারেই তাঁদের তাঁর সামনে বসানো হল; এবং তাঁরা অবাক হয়ে পরস্পরের দিকে তাকালেন।
৩৩ভায়েক-ককায়েকসকল যোচেফৰ সন্মুখত বয়স অনুসাৰে জ্যেষ্ঠৰ পৰা কনিষ্ঠজন বহিল। তাতে তেওঁলোক সকলোৱে একেলগে আচৰিত মানিলে।
34 যোষেফের টেবিল থেকে যখন তাঁদের খাবার পরিবেশন করা হল, বিন্যামীনের অংশটি অন্য যে কারোর অংশের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি হল। অতএব তাঁরা তাঁর সাথে বসে অবাধে পেট পুরে ভোজনপান করলেন।
৩৪তাৰ পাছত যোচেফে তেওঁৰ নিজৰ সন্মুখৰ আহাৰৰ পৰা কিছু ভাগ ভায়েক-ককায়েকসকলক দিবলৈ দিলে। কিন্তু আন সকলো ভায়েক-ককায়েকসকলৰ ভাগতকৈ বিন্যামীনক পাঁচ গুণ অধিক দিয়া হ’ল। এইদৰে তেওঁলোকে যোচেফৰ সৈতে ভোজন-পান কৰি আনন্দ কৰিলে।

< আদিপুস্তক 43 >