< আদিপুস্তক 42 >
1 যাকোব যখন জানতে পারলেন যে মিশর দেশে খাদ্যশস্য আছে, তখন তিনি তাঁর ছেলেদের বললেন, “তোমরা কেন শুধু পরস্পরের মুখ দেখাদেখি করছ?”
১আর যাকোব দেখলেন যে, মিশর দেশে শস্য আছে, তাই যাকোব নিজের ছেলেদেরকে বললেন, “তোমরা একজন অন্য জনের মুখ দেখাদেখি কেন করছ?”
2 তিনি আরও বললেন, “আমি শুনেছি যে মিশরে খাদ্যশস্য আছে। সেখানে যাও ও আমাদের জন্য কিছুটা খাদ্যশস্য কিনে আনো, যেন আমরা বাঁচতে পারি ও মরে না যাই।”
২তিনি আরও বললেন, “দেখ, আমি শুনলাম, মিশরে শস্য আছে, তোমরা সেখানে যাও, আমাদের জন্য শস্য কিনে আন; তা হলে আমরা বাঁচব, মরব না।”
3 তখন যোষেফের দাদা-ভাইদের মধ্যে দশজন মিশর থেকে খাদ্যশস্য কিনে আনার জন্য সেখানে গেলেন।
৩পরে যোষেফের দশ জন ভাই শস্য কিনতে মিশরে নেমে গেলেন।
4 কিন্তু যাকোব যোষেফের ছোটো ভাই বিন্যামীনকে, অন্যদের সঙ্গে পাঠাননি, কারণ তিনি ভয় পেয়েছিলেন, পাছে তার কোনও ক্ষতি হয়।
৪কিন্তু যাকোব যোষেফের ভাই বিন্যামীনকে ভাইদের সঙ্গে পাঠালেন না; কারণ তিনি বললেন, যদি এর বিপদ ঘটে।
5 অতএব যারা খাদ্যশস্য কেনার জন্য মিশরে গেল তাদের মধ্যে ইস্রায়েলের ছেলেরাও ছিলেন, কারণ কনান দেশেও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল।
৫যারা সেখানে গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ইস্রায়েলের ছেলেরাও শস্য কেনার জন্য গেলেন, কারণ কনান দেশেও দূর্ভিক্ষ হয়েছিল।
6 যোষেফ ছিলেন সেদেশের সেই শাসনকর্তা, যিনি সেখানকার সব প্রজার কাছে খাদ্যশস্য বিক্রি করছিলেন। অতএব যোষেফের দাদারা যখন সেখানে পৌঁছালেন, তাঁরা মাটিতে মাথা নত করে তাঁকে প্রণাম করলেন।
৬সেই দিনের যোষেফই ঐ দেশের শাসক ছিলেন, তিনিই দেশীয় সব লোকদের কাছে শস্য বিক্রি করছিলেন; অতএব যোষেফের ভাইয়েরা তাঁর কাছে গিয়ে ভূমিতে নত হয়ে প্রণাম করলেন।
7 যোষেফ তাঁর দাদাদের দেখামাত্রই, তাঁদের চিনতে পারলেন, কিন্তু তিনি এক অপরিচিত লোক হওয়ার ভান করলেন ও তাঁদের সঙ্গে কর্কশভাবে কথা বললেন। “তোমরা কোথা থেকে এসেছ?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন। “কনান দেশ থেকে,” তাঁরা উত্তর দিলেন, “খাদ্যশস্য কেনার জন্য।”
৭তখন যোষেফ নিজের ভাইদেরকে দেখে চিনতে পারলেন, কিন্তু তাঁদের কাছে অপরিচিতের মতো ব্যবহার করলেন ও কঠোরভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন; তিনি তাঁদেরকে বললেন, “তোমরা কোন জায়গা থেকে এসেছ?” তাঁরা বললেন, “কনান দেশ থেকে খাবার কিনতে এসেছি।”
8 যোষেফ যদিও তাঁর দাদাদের চিনতে পেরেছিলেন, তাঁরা তাঁকে চিনতে পারেননি।
৮বাস্তবে যোষেফ নিজের ভাইদেরকে চিনতে পারলেন, কিন্তু তাঁরা তাঁকে চিনতে পারলেন না।
9 তখন তাঁর সেই স্বপ্নের কথা মনে পড়ল, যা তিনি তাঁদের সম্বন্ধে দেখেছিলেন এবং তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা গুপ্তচর! তোমরা দেখতে এসেছ কোথায় আমাদের দেশ অসুরক্ষিত হয়ে আছে।”
৯আর যোষেফ তাঁদের বিষয়ে যে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা তাঁর মনে পড়ল এবং তিনি তাঁদেরকে বললেন, “তোমরা গুপ্তচর, দেশের অসুরক্ষিত জায়গা দেখতে এসেছ।”
10 “হে আমার প্রভু, না,” তাঁরা উত্তর দিলেন। “আপনার দাসেরা খাদ্যশস্য কিনতে এসেছে।
১০তাঁরা বললেন, “না প্রভু, আপনার এই দাসেরা খাবার কিনতে এসেছে;
11 আমরা সবাই এক ব্যক্তিরই ছেলে। আপনার দাসেরা সৎলোক, তারা গুপ্তচর নয়।”
১১আমরা সবাই এক বাবার ছেলে; আমরা সৎলোক, আপনার এই দাসেরা চর নয়।”
12 “না!” তিনি তাঁদের বললেন। “তোমরা দেখতে এসেছ কোথায় আমাদের দেশ অসুরক্ষিত হয়ে আছে।”
১২কিন্তু তিনি তাঁদেরকে বললেন, “না না, তোমরা দেশের অসুরক্ষিত জায়গা দেখতে এসেছ।”
13 কিন্তু তাঁরা উত্তর দিলেন, “আপনার দাসেরা মোট বারোজন ভাই ছিল, সবাই সেই একজনেরই ছেলে, যিনি কনান দেশে বসবাস করেন। ছোটো ছেলেটি এখন আমাদের বাবার সঙ্গে আছে, এবং অন্যজন আর বেঁচে নেই।”
১৩তাঁরা বললেন, “আপনার এই দাসেরা বারো ভাই, কনান দেশে বসবাসকারী এক জনের ছেলে; দেখুন, আমাদের ছোট ভাই আজ বাবার কাছে আছে এবং এক জন নেই।”
14 যোষেফ তাদের বললেন, “আমি যা বলেছি তাই ঠিক: তোমরা গুপ্তচর!
১৪তখন যোষেফ তাদেরকে বললেন, “আমি যে তোমাদেরকে বললাম, তোমরা চর, তাই বটে।
15 আর এভাবেই তোমাদের পরীক্ষা করা হবে: ফরৌণের প্রাণের দিব্যি, যতক্ষণ না তোমাদের ছোটো ভাই এখানে আসছে, তোমরা এই স্থান ছেড়ে যেতে পারবে না।
১৫এই দিয়ে তোমাদের পরীক্ষা করা যাবে; আমি ফরৌণের প্রাণের শপথ করে বলছি, তোমাদের ছোট ভাই এখানে না এলে তোমরা এখান থেকে বের হতে পারবে না।
16 তোমাদের ভাইকে নিয়ে আসার জন্য তোমাদের মধ্যে থেকে একজনকে পাঠাও; তোমাদের মধ্যে অবশিষ্টজনেদের জেলখানায় পুরে রাখা হবে, যেন তোমাদের কথা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে আদৌ তোমরা সত্যিকথা বলছ কি না। যদি তা না হয়, তবে ফরৌণের প্রাণের দিব্যি, তোমরা গুপ্তচরই!”
১৬তোমাদের এক জনকে পাঠিয়ে তোমাদের সেই ভাইকে আন, তোমরা বন্দী থাক; এই ভাবে তোমাদের কথার পরীক্ষা হবে, তোমরা সত্যবাদী কি না, তা জানা যাবে;” অথবা আমি ফরৌণের প্রাণের শপথ করে বলছি, “তোমরা অবশ্যই চর।”
17 আর তিনদিনের জন্য তিনি তাঁদের জেলে বন্দি করে রাখলেন।
১৭পরে তিনি তাঁদেরকে তিন দিন কারাগারে বন্দী রাখলেন।
18 তৃতীয় দিনে, যোষেফ তাঁদের বললেন “এরকম করো ও তোমরা বেঁচে যাবে, কারণ আমি ঈশ্বরকে ভয় করি:
১৮পরে তৃতীয় দিনের যোষেফ তাঁদেরকে বললেন, “এই কাজ কর, তাতে বাঁচবে; আমি ঈশ্বরকে ভয় করি।
19 যদি তোমরা সৎলোক হও, তবে তোমাদের ভাইদের মধ্যে একজন এখানে জেলখানায় থাকো, ততক্ষণ তোমাদের মধ্যে অন্যেরা চলে যাও ও তোমাদের নিরন্ন পরিবার-পরিজনেদের জন্য খাদ্যশস্যও নিয়ে যাও।
১৯তোমরা যদি সৎলোক হও, তবে তোমাদের এক ভাই তোমাদের এই কারাগারে বন্দী থাকুক; তোমরা নিজের নিজের গৃহের দূর্ভিক্ষের জন্য শস্য নিয়ে যাও;
20 কিন্তু তোমরা অবশ্যই তোমাদের ছোটো ভাইকে আমার কাছে নিয়ে আসবে, যেন তোমাদের বলা কথা যাচাই করা যায় ও তোমরা মারা না যাও।” তাঁরা তাই করতে উদ্যত হলেন।
২০পরে তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে এন; এই ভাবে তোমাদের কথা প্রমাণ হলে তোমার মারা যাবে না।” তাঁরা তাই করলেন।
21 তাঁরা পরস্পরকে বললেন, “আমাদের ভাইয়ের কারণেই আমরা শাস্তি পাচ্ছি। সে যখন আমাদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছিল, আমরা দেখেছিলাম সে কত আকুল হয়ে পড়েছিল, কিন্তু আমরা তার কথা শুনিনি; সেজন্যই আমাদের উপর এই চরম বিপদ ঘনিয়েছে।”
২১আর তাঁরা পরস্পর বললেন, “নিশ্চয়ই আমরা নিজেদের ভাইয়ের বিষয়ে অপরাধী, কারণ সে আমাদের কাছে অনুরোধ করলে আমরা তার প্রাণের কষ্ট দেখেও তাঁ শুনিনি; এই জন্য আমাদের উপরে এই সঙ্কট উপস্থিত হয়েছে।”
22 রূবেণ উত্তর দিলেন, “আমি কি তোমাদের বলিনি যে বালকটির বিরুদ্ধে কোনও পাপ কোরো না? কিন্তু তোমরা তা শোনোনি! এখন তার রক্তের হিসেব আমাদের দিতেই হবে।”
২২তখন রুবেন উত্তর করে তাঁদেরকে বললেন, “আমি না তোমাদেরকে বলেছিলাম, ছেলেটির বিরুদ্ধে পাপ কর না? কিন্তু তোমার তা শোননি; দেখ, এখন তার রক্তেরও হিসাব দিতে হচ্ছে।”
23 তাঁরা অনুভবই করতে পারেননি যে যোষেফ তাঁদের কথা বুঝতে পারছিলেন, কারণ তিনি একজন অনুবাদক ব্যবহার করছিলেন।
২৩কিন্তু যোষেফ যে তাঁদের এই কথা বুঝলেন, এটা তাঁরা জানতে পারলেন না, কারণ দুটো ভাষার মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছিল।
24 তিনি তাঁদের কাছ থেকে দূরে সরে গেলেন ও কাঁদতে শুরু করলেন, কিন্তু পরে আবার ফিরে এলেন ও তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি তাঁদের মধ্যে থেকে শিমিয়োনকে নিয়ে তাঁদের চোখের সামনেই তাকে বেঁধে ফেললেন।
২৪তখন তিনি তাঁদের কাছ থেকে সরে গিয়ে কাঁদলেন; পরে ফিরে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন ও তাঁদের মধ্যে শিমিয়োনকে ধরে তাঁদের সামনেই বাঁধলেন।
25 যোষেফ তাঁদের বস্তাগুলি খাদ্যশস্য দিয়ে ভর্তি করার, প্রত্যেকের রুপো তাঁদের বস্তায় আবার রেখে দেওয়ার, ও তাঁদের যাত্রাপথের জন্য প্রয়োজনীয় রসদপত্র তাঁদের দেওয়ার আদেশ দিলেন। তাঁদের জন্য এসব কিছু সম্পন্ন হওয়ার পর,
২৫পরে যোষেফ তাঁদের সব থলেতে শস্য ভরতে প্রত্যেক জনের থলে টাকা ফিরিয়ে দিতে ও তাঁদেরকে যাত্রা পথের খাবার দিতে আজ্ঞা দিলেন; আর তাঁদের জন্য সেরকম করা হল।
26 তাঁরা তাঁদের গাধাগুলির পিঠে তাঁদের খাদ্যশস্য চাপিয়ে রওনা হয়ে গেলেন।
২৬পরে তাঁরা নিজের নিজের গাধার ওপরে শস্য চাপিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।
27 রাত্রিযাপনের জন্য একটি স্থানে তাঁরা দাঁড়ানোর পর তাঁদের মধ্যে একজন তাঁর গাধার জাবনা নেওয়ার জন্য নিজের বস্তাটি খুললেন, আর তিনি বস্তার মুখে তাঁর রুপো দেখতে পেলেন।
২৭কিন্তু সরাইখানায় যখন এক জন নিজের গাধাকে খাবার দিতে থলে খুললেন, তখন নিজের টাকা দেখলেন, আর দেখ, থলের মুখেই টাকা।
28 “আমার রুপো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে,” তিনি তাঁর ভাইদের বললেন। “এখানে আমার বস্তার মধ্যে তা রাখা আছে।” তাঁদের মনে কাঁপুনি ধরে গেল এবং তাঁরা কাঁপতে কাঁপতে পরস্পরের দিকে ফিরে বললেন, “ঈশ্বর আমাদের প্রতি এ কী করলেন?”
২৮তাতে তিনি ভাইদের বললেন, “আমার টাকা ফিরেছে; দেখ, আমার থলেতেই আছে।” তখন তাঁদের প্রাণ উড়ে গেল ও সবাই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, “ঈশ্বর আমাদের প্রতি এ কি করলেন?”
29 কনান দেশে তাঁরা যখন তাঁদের বাবা যাকোবের কাছে এলেন, তখন তাঁরা তাঁদের প্রতি যা যা ঘটেছিল সেসব কথা তাঁকে বললেন। তাঁরা বললেন,
২৯পরে তাঁরা কনান দেশে নিজেদের বাবা যাকোবের কাছে উপস্থিত হলেন। ও তাঁদের প্রতি যা যা ঘটেছিল, সে সব তাঁকে জানালেন।
30 “যে লোকটি সে দেশের প্রভু, তিনি আমাদের সঙ্গে কর্কশভাবে কথা বললেন এবং আমাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করলেন যে আমরা বুঝি সেই দেশে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়েছি।
৩০বললেন, “যে ব্যক্তি সেই দেশের শাসক,” তিনি আমাদেরকে কঠোর কথা বললেন, আর দেশ অনুসন্ধানকারী চর মনে করলেন।
31 কিন্তু আমরা তাঁকে বললাম, ‘আমরা সৎলোক; আমরা গুপ্তচর নই।
৩১আমরা তাঁকে বললাম, “আমরা সৎ লোক, চর নই;
32 আমরা বারোটি ভাই, সবাই একই বাবার ছেলে। একজন আর বেঁচে নেই, এবং ছোটো ভাই এখন কনানে আমাদের বাবার সাথে আছে।’
৩২আমরা বারো ভাই, সবাই এক বাবার ছেলে; কিন্তু একজন নেই এবং ছোটটি আজ কনান দেশে বাবার কাছে আছে।”
33 “তখন সেদেশের প্রভু সেই লোকটি আমাদের বললেন, ‘এভাবেই আমি জানতে পারব তোমরা সৎলোক কি না: তোমাদের ভাইদের মধ্যে একজনকে এখানে আমার কাছে ছেড়ে যাও, এবং তোমাদের নিরন্ন পরিবার-পরিজনেদের জন্য খাদ্যশস্য নাও ও চলে যাও।
৩৩তখন সেই ব্যক্তি, সেই দেশের শাসক আমাদেরকে বললেন, “এতেই জানতে পারব যে, তোমরা সৎলোক; তোমাদের এক ভাইকে আমার কাছে রেখে তোমাদের গৃহের দূর্ভিক্ষের জন্য শস্য নিয়ে যাও।
34 কিন্তু তোমাদের ছোটো ভাইকে আমার কাছে নিয়ে এসো যেন আমি জানতে পারি যে তোমরা গুপ্তচর নও কিন্তু সৎলোক। পরে আমি তোমাদের ভাইকে তোমাদের কাছে ফিরিয়ে দেব, এবং তোমরা এই দেশে ব্যবসাবাণিজ্য করতে পারো।’”
৩৪পরে তোমাদের ছোট ভাইকে আমার কাছে এন, তাতে বুঝতে পারব যে, তোমরা চর না, তোমরা সৎলোক; আর আমি তোমাদের ভাইকে তোমাদের কাছে দেব এবং তোমরা দেশে বাণিজ্য করতে পারবে।”
35 তাঁরা যখন তাঁদের বস্তাগুলি খালি করছিলেন, প্রত্যেকের বস্তাতেই তাঁদের রুপো ভর্তি বটুয়া পাওয়া গেল! যখন তাঁরা এবং তাঁদের বাবা টাকার বটুয়াগুলি দেখলেন, তখন তাঁরা ভয় পেয়ে গেলেন।
৩৫পরে তাঁরা থলে থেকে শস্য ঢাললে দেখ, প্রত্যেক জন নিজের নিজের থলেতে নিজের নিজের টাকার গোছ পেলেন। তখন সেই সব টাকার গোছ দেখে তাঁরা ও তাঁদের বাবা ভয় পেলেন।
36 তাঁদের বাবা যাকোব তাঁদের বললেন, “তোমরা আমাকে সন্তানহীন করেছ, যোষেফ আর বেঁচে নেই ও শিমিয়োনও আর নেই, এবং এখন তোমরা বিন্যামীনকে নিয়ে যেতে চাইছ। সবকিছুই আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে!”
৩৬আর তাঁদের বাবা যাকোব বললেন, “তোমরা আমাকে পুত্রহীন করেছ; যোষেফ নেই, শিমিয়ন নেই, আবার বিন্যামীনকেও নিয়ে যেতে চাইছ; এই সবই আমার বিরুদ্ধে।”
37 তখন রূবেণ তাঁর বাবাকে বললেন, “আমি যদি তাকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে না পারি তবে আপনি আমার দুই ছেলেকে মেরে ফেলতে পারেন। তার দায়িত্ব আমার হাতে তুলে দিন, আর আমি তাকে ফিরিয়ে আনব।”
৩৭তখন রুবেন তাঁর বাবাকে বললেন, “আমি যদি তোমার কাছে তাঁকে না আনি, তবে আমার দুই ছেলেকে হত্যা কর; আমার হাতে তাঁকে সমর্পণ কর; আমি তোমার কাছে তাঁকে আবার এনে দেব।”
38 কিন্তু যাকোব বললেন, “আমার ছেলে তোমাদের সাথে সেখানে যাবে না; তার দাদা মারা গিয়েছে এবং একমাত্র ওই বেঁচে আছে। তোমাদের যাত্রাপথে ওর যদি কোনও ক্ষতি হয়, তবে শোকার্ত অবস্থায় পাকাচুলে তোমরা আমাকে কবরে পাঠিয়ে দেবে।” (Sheol )
৩৮তখন তিনি বললেন, “আমার ছেলে তোমাদের সঙ্গে যাবে না, কারণ তার ভাই মারা গিয়েছে, সে একা আছে; তোমরা যে পথে যাবে, সেই পথে যদি এর কোনো বিপদ ঘটে, তবে শোকে এই পাকা চুলে আমাকে পাতালে নামিয়ে দেবে।” (Sheol )