< আদিপুস্তক 27 >

1 ইস্‌হাক যখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন ও তাঁর চোখদুটি যখন এত দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে তিনি আর দেখতেই পারতেন না, তখন তিনি তাঁর বড়ো ছেলে এষৌকে ডেকে তাঁকে বললেন, “বাছা।” “এই তো আমি এখানে,” এষৌ উত্তর দিলেন।
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ଇସ୍‌ହାକ ବୃଦ୍ଧ ହୁଅନ୍ତେ, ଚକ୍ଷୁ ନିସ୍ତେଜ ହେବାରୁ ଆଉ ଦେଖି ପାରିଲେ ନାହିଁ; ସେତେବେଳେ ସେ ଆପଣା ଜ୍ୟେଷ୍ଠ ପୁତ୍ର ଏଷୌକୁ ଡାକି କହିଲେ, “ପୁଅରେ,” ତହିଁରେ ସେ ଉତ୍ତର କଲା, “ଦେଖନ୍ତୁ, ମୁଁ ଏଠାରେ।”
2 ইস্‌হাক বললেন, “আমি এখন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি আর এও জানি না কবে আমার মৃত্যু হবে।
ତହୁଁ ସେ ତାହାଙ୍କୁ କହିଲେ, “ଦେଖ, ମୁଁ ବୃଦ୍ଧ ହୋଇଅଛି, କେଉଁ ଦିନ ମୋହର ମୃତ୍ୟୁୁ ହେବ, ତାହା ମୁଁ ଜାଣେ ନାହିଁ।
3 তাই এখন, তোমার সাজসরঞ্জাম—তোমার তূণীর ও ধনুক হাতে তুলে নাও—এবং মরুপ্রান্তরে গিয়ে আমার জন্য পশু শিকার করে আনো।
ଏବେ ବିନୟ କରୁଅଛି, ତୁମ୍ଭେ ଏତେବେଳେ ତୂଣ ଓ ଧନୁକାଦି ଶସ୍ତ୍ର ଘେନି ପ୍ରାନ୍ତରକୁ ଯାଇ ମୋʼ ନିମନ୍ତେ ମୃଗ ଆଣ।
4 আমি যে ধরনের সুস্বাদু খাবার পছন্দ করি, সেরকম পদ রান্না করে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি তা খাব; যেন মারা যাওয়ার আগে আমি আমার আশীর্বাদ তোমাকে দিয়ে যেতে পারি।”
ପୁଣି, ମୁଁ ଯେରୂପ ଖାଦ୍ୟ ଭଲ ପାଏ, ସେହିପରି ସୁସ୍ୱାଦୁ ଖାଦ୍ୟ ପ୍ରସ୍ତୁତ କରି ଭୋଜନ ନିମନ୍ତେ ମୋʼ ନିକଟକୁ ଆଣ; ତହିଁରେ ମୋହର ପ୍ରାଣ ମୃତ୍ୟୁୁ ପୂର୍ବରେ ତୁମ୍ଭକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରିବ।”
5 ইস্‌হাক যখন এষৌর সাথে কথা বলছিলেন তখন রিবিকা তা শুনে ফেলেছিলেন। এষৌ যখন শিকার করে আনার জন্য মরুপ্রান্তরের উদ্দেশে বেড়িয়ে পড়লেন,
ଇସ୍‌ହାକ ଆପଣା ପୁତ୍ର ଏଷୌକୁ ଏହି କଥା କହିବା ସମୟରେ ରିବିକା ଶୁଣିଲା। ଏହେତୁ ଏଷୌ ମୃଗୟା ମାଂସ ଆଣିବା ନିମନ୍ତେ କ୍ଷେତ୍ରକୁ ଗଲା ଉତ୍ତାରେ,
6 তখন রিবিকা তাঁর ছেলে যাকোবকে বললেন, “দেখো, আমি আড়ি পেতে শুনে ফেলেছি, তোমার বাবা তোমার দাদা এষৌকে বলেছেন,
ରିବିକା ଆପଣା ପୁତ୍ର ଯାକୁବଙ୍କୁ କହିଲା, “ଦେଖ, ତୁମ୍ଭର ଭ୍ରାତା ଏଷୌ ସହିତ ତୁମ୍ଭ ପିତାଙ୍କର କଥୋପକଥନ ମୁଁ ଶୁଣିଲି,
7 ‘আমার কাছে শিকার করা পশুর মাংস নিয়ে এসো এবং আমার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করো, যেন মারা যাওয়ার আগে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে আমি তোমায় আশীর্বাদ দিয়ে যেতে পারি।’
ସେ ତାହାକୁ କହିଲେ, ‘ତୁମ୍ଭେ ମୃଗୟା ମାଂସ ଆଣି ଆମ୍ଭ ନିମନ୍ତେ ସୁସ୍ୱାଦୁ ଖାଦ୍ୟ ପ୍ରସ୍ତୁତ କର, ତହିଁରେ ଆମ୍ଭେ ଭୋଜନ କରି ମୃତ୍ୟୁୁ ପୂର୍ବରେ ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କ ଛାମୁରେ ତୁମ୍ଭକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରିବା।’
8 এখন বাছা, আমি তোমাকে যা বলছি তা ভালো করে শোনো এবং আমি যা বলছি, তাই করো:
ଏନିମନ୍ତେ, ପୁଅ, ଏବେ ମୁଁ ତୁମ୍ଭକୁ ଯେଉଁ ଆଜ୍ଞା ଦେଉଅଛି, ମୋହର ସେହି କଥା ଶୁଣ।
9 পশুপালের কাছে চলে যাও এবং বাছাই করা দুটি কচি পাঁঠা নিয়ে এসো, যেন আমি তোমার বাবার জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে দিতে পারি, ঠিক যেমনটি তিনি পছন্দ করেন।
ତୁମ୍ଭେ ଏବେ ଗୋଠକୁ ଯାଇ ସେଠାରୁ ଦୁଇଗୋଟି ଉତ୍ତମ ଛେଳିଛୁଆ ଆଣ; ତହିଁରେ ତୁମ୍ଭର ପିତା ଯେପରି ଭଲ ପାʼନ୍ତି, ସେହିପରି ସୁସ୍ୱାଦୁ ଖାଦ୍ୟ ମୁଁ ରାନ୍ଧିଦେବି।
10 পরে তুমি তা নিয়ে গিয়ে তোমার বাবাকে খেতে দিয়ো, যেন মারা যাওয়ার আগে তিনি তোমাকে তাঁর আশীর্বাদ দিয়ে যেতে পারেন।”
ତୁମ୍ଭେ ତାହା ଘେନି ପିତାଙ୍କ ନିକଟକୁ ଯାଅ; ତହିଁରେ ସେ ତାହା ଭୋଜନ କରି ମୃତ୍ୟୁୁ ପୂର୍ବରୁ ତୁମ୍ଭକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରିବେ।”
11 যাকোব তাঁর মা রিবিকাকে বললেন, “কিন্তু আমার দাদা এষৌ যে এক লোমশ মানুষ, অথচ আমার ত্বক তো মসৃণ।
ସେତେବେଳେ ଯାକୁବ ଆପଣା ମାତା ରିବିକାକୁ କହିଲା, “ଦେଖ, ମୋହର ଭ୍ରାତା ଏଷୌ ଲୋମଶ, ମାତ୍ର ମୁଁ ନିର୍ଲୋମ।
12 আমার বাবা যদি আমাকে স্পর্শ করেন তবে কী হবে? আমি যে তাঁর সাথে ছলচাতুরি করছি তা প্রমাণ হয়ে যাবে এবং আমার উপর আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ নেমে আসবে।”
ଏଣୁ ଯଦି ପିତା ମୋତେ ସ୍ପର୍ଶ କରିବେ, ତେବେ ମୁଁ ତାଙ୍କ ଦୃଷ୍ଟିରେ ପ୍ରବଞ୍ଚକ ଦେଖାଯିବି; ତାହାହେଲେ ମୁଁ ଆପଣା ଉପରକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ ନ ଆଣି ଅଭିଶାପ ଆଣିବି।”
13 তাঁর মা তাঁকে বললেন, “বাছা, সেই অভিশাপ আমার উপরেই নেমে আসুক। আমি যা বলছি তুমি শুধু তাই করো; যাও ও আমার জন্য সেগুলি নিয়ে এসো।”
ମାତ୍ର ତାହାର ମାତା କହିଲା, “ପୁଅ, ସେହି ଅଭିଶାପ ମୋତେ ଘଟୁ, କେବଳ ତୁମ୍ଭେ ମୋʼ କଥା ମାନ ଓ ଯାଇ ଛେଳିଛୁଆ ଆଣ।”
14 অতএব তিনি চলে গেলেন ও সেগুলি সংগ্রহ করে তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে এলেন, এবং তাঁর বাবা যেমনটি পছন্দ করতেন, রিবিকা ঠিক তেমনই সুস্বাদু খাবার রান্না করে দিলেন।
ତହୁଁ ଯାକୁବ ଯାଇ ତାହା ଘେନି ମାତା ନିକଟକୁ ଆଣନ୍ତେ, ମାତା ତାହାର ପିତାଙ୍କର ରୁଚି ଅନୁସାରେ ସୁସ୍ୱାଦୁ ଖାଦ୍ୟ ରନ୍ଧନ କଲା।
15 পরে রিবিকা তাঁর বড়ো ছেলে এষৌর সবচেয়ে ভালো সেই পোশাকগুলি বের করলেন, যা সেই বাড়িতেই রাখা ছিল, এবং সেগুলি তাঁর ছোটো ছেলে যাকোবের গায়ে পরিয়ে দিলেন।
ତହିଁରେ ରିବିକା ଘରେ ଆପଣା ନିକଟରେ ଜ୍ୟେଷ୍ଠ ପୁତ୍ର ଏଷୌର ଥିବା ଉତ୍ତମ ବସ୍ତ୍ର ଆଣି କନିଷ୍ଠ ପୁତ୍ର ଯାକୁବକୁ ପିନ୍ଧାଇଲା।
16 তিনি যাকোবের দুটি হাত ও ঘাড়ের মসৃণ অংশগুলি ছাগচর্ম দিয়ে আচ্ছাদিত করে দিলেন।
ପୁଣି, ଛେଳିଛୁଆର ଛାଲ ଘେନି ତାହା ହସ୍ତରେ ଓ ଗଳଦେଶର ନିର୍ଲୋମ ସ୍ଥାନରେ ଗୁଡ଼ାଇ ଦେଲା।
17 পরে তিনি তাঁর ছেলে যাকোবের হাতে তাঁর নিজের হাতে তৈরি করা সেই সুস্বাদু খাবার ও রুটি তুলে দিলেন।
ଆଉ ସେହି ରନ୍ଧା ସୁସ୍ୱାଦୁ ଖାଦ୍ୟ ଓ ରୁଟି ଯାକୁବର ହସ୍ତରେ ଦେଲା।
18 যাকোব তাঁর বাবার কাছে গিয়ে বললেন, “বাবা।” “হ্যাঁ বাছা,” তিনি উত্তর দিলেন, “তুমি কে?”
ତହୁଁ ଯାକୁବ ଆପଣା ପିତା ନିକଟକୁ ଯାଇ କହିଲା, “ପିତଃ,” ସେ ଉତ୍ତର କଲେ, “ଦେଖ, ମୁଁ ଏଠାରେ ପୁତ୍ର, ତୁମ୍ଭେ କିଏ?”
19 যাকোব তাঁর বাবাকে বললেন, “আমি আপনার বড়ো ছেলে এষৌ। আপনি আমায় যা বলেছিলেন, আমি তাই করেছি। দয়া করে উঠে বসুন এবং আমার শিকার করা পশুর মাংসের খানিকটা অংশ খান, যেন আপনি আমাকে আপনার আশীর্বাদ দিতে পারেন।”
ଯାକୁବ ଆପଣା ପିତାଙ୍କୁ କହିଲା, “ମୁଁ ଆପଣଙ୍କ ଜ୍ୟେଷ୍ଠ ପୁତ୍ର ଏଷୌ; ଆପଣ ଯାହା ଆଜ୍ଞା କରିଥିଲେ, ମୁଁ ତାହା କରିଅଛି, ଏବେ ନିବେଦନ କରୁଅଛି, ଆପଣ ଉଠନ୍ତୁ, ପୁଣି, ବସି ମୋହର ମୃଗୟା ମାଂସ ଭୋଜନ କରନ୍ତୁ, ତହିଁ ଉତ୍ତାରେ ଆପଣ ମୋତେ ଆଶୀର୍ବାଦ କରନ୍ତୁ।”
20 ইস্‌হাক তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বাছা, এত তাড়াতাড়ি তুমি কীভাবে তা খুঁজে পেলে?” “আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাকে সফলতা দিয়েছেন,” তিনি উত্তর দিলেন।
ତହିଁରେ ଇସ୍‌ହାକ ଆପଣା ପୁତ୍ରକୁ କହିଲେ, “ପୁତ୍ର, ତୁମ୍ଭେ ଏତେ ଶୀଘ୍ର ତାହା କିପରି ପାଇଲ?” ସେ କହିଲା, “ଆପଣଙ୍କ ସଦାପ୍ରଭୁ ପରମେଶ୍ୱର ମୋତେ ତାହା ଭେଟାଇ ଦେଲେ।”
21 তখন ইস্‌হাক যাকোবকে বললেন, “বাছা, আমার কাছে এসো, যেন আমি তোমাকে স্পর্শ করে বুঝতে পারি তুমি সত্যিই আমার ছেলে এষৌ কি না।”
ଇସ୍‌ହାକ ଯାକୁବଙ୍କୁ ଆହୁରି କହିଲେ, “ପୁତ୍ର, ମୋʼ ପାଖକୁ ଆସ, ତୁମ୍ଭେ ପ୍ରକୃତରେ ମୋହର ପୁତ୍ର ଏଷୌ କି ନାହିଁ, ତୁମ୍ଭକୁ ସ୍ପର୍ଶ କରି ଜାଣିବି।”
22 যাকোব তাঁর বাবা ইস্‌হাকের কাছে গেলেন, ও তিনি যাকোবকে স্পর্শ করে বললেন, “কণ্ঠস্বর তো যাকোবের কণ্ঠস্বরের মতো, কিন্তু হাত দুটি এষৌর হাতের মতো।”
ତହୁଁ ଯାକୁବ ଆପଣା ପିତା ଇସ୍‌ହାକଙ୍କ ନିକଟକୁ ଯାʼନ୍ତେ, ସେ ତାହା ସ୍ପର୍ଶ କରି କହିଲେ, “ଏହି ସ୍ୱର ଯାକୁବର ସ୍ୱର, ମାତ୍ର ଏହି ହସ୍ତ ଏଷୌର ହସ୍ତ ଅଟଇ।”
23 তিনি যাকোবকে চিনতে পারেননি, কারণ তাঁর হাত দুটি তাঁর দাদা এষৌর হাতের মতোই লোমশ ছিল; তাই তিনি তাঁকে আশীর্বাদ করার জন্য এগিয়ে গেলেন।
ଏହିରୂପେ ସେ ତାହାକୁ ଚିହ୍ନି ପାରିଲେ ନାହିଁ, ଯେହେତୁ ସେ ଆପଣା ଭ୍ରାତା ଏଷୌର ହସ୍ତ ନ୍ୟାୟ ଆପଣା ହସ୍ତ ଲୋମଯୁକ୍ତ କରିଥିଲା; ଏଣୁ ସେ ତାହାକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କଲେ।
24 “তুমি কি সত্যিই আমার ছেলে এষৌ?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন। “হ্যাঁ,” যাকোব উত্তর দিলেন।
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ସେ କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭେ କି ନିତାନ୍ତ ମୋହର ପୁତ୍ର ଏଷୌ?” ସେ କହିଲା, “ହଁ, ମୁଁ ସେହି।”
25 তখন তিনি বললেন, “বাছা, শিকার করা পশুর মাংস খাওয়ার জন্য খানিকটা আমার কাছে নিয়ে এসো, যেন আমি তোমাকে আমার আশীর্বাদ দিতে পারি।” যাকোব তাঁর কাছে তা নিয়ে এলেন ও তিনি তা খেলেন; এবং যাকোব তাঁকে কিছুটা দ্রাক্ষারসও এনে দিলেন ও তিনি তা পান করলেন।
ସେତେବେଳେ ଇସ୍‌ହାକ କହିଲେ, “ତାହା ମୋʼ ପାଖକୁ ଆଣ; ମୁଁ ଆପଣା ପୁତ୍ରର ଆନୀତ ମୃଗୟା ମାଂସ ଭୋଜନ କରିବି, ତହୁଁ ମୁଁ ତୁମ୍ଭକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରିବି।” ତହିଁରେ ସେ ନିକଟକୁ ଆଣି ଦିଅନ୍ତେ, ଇସ୍‌ହାକ ତାହା ଭୋଜନ କଲେ; ପୁଣି, ଦ୍ରାକ୍ଷାରସ ଆଣି ଦିଅନ୍ତେ, ତାହା ପାନ କଲେ।
26 তখন তাঁর বাবা ইস্‌হাক তাঁকে বললেন, “বাছা, এখানে এসো, ও আমাকে চুমু দাও।”
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ତାହାର ପିତା ଇସ୍‌ହାକ କହିଲେ, “ପୁତ୍ର, ଏବେ ମୋʼ ନିକଟକୁ ଆସି ମୋତେ ଚୁମ୍ବନ କର।”
27 অতএব যাকোব তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে চুমু দিলেন। ইস্‌হাক যখন তাঁর পোশাকের গন্ধ শুঁকলেন, তখন তিনি তাঁকে আশীর্বাদ করে বললেন, “আহা, আমার ছেলের সুগন্ধ তা যেন এমন এক ক্ষেতের সুগন্ধ যা সদাপ্রভুর আশীর্বাদধন্য।
ସେତେବେଳେ ସେ ନିକଟକୁ ଯାଇ ଚୁମ୍ବନ କରନ୍ତେ, ଇସ୍‌ହାକ ତାହାର ବସ୍ତ୍ରର ଗନ୍ଧ ପାଇ ତାଙ୍କୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରି କହିଲେ, “ଦେଖ, ସଦାପ୍ରଭୁଙ୍କ ଆଶୀର୍ବାଦ ପ୍ରାପ୍ତ କ୍ଷେତ୍ରର ସୁଗନ୍ଧି ତୁଲ୍ୟ ମୋʼ ପୁତ୍ରର ସୁଗନ୍ଧି;
28 ঈশ্বর তোমাকে আকাশের শিশির আর ভূমির প্রাচুর্য— শস্যপ্রাচুর্য ও নতুন দ্রাক্ষারস দান করুন।
ପରମେଶ୍ୱର ଆକାଶର କାକରରୁ ଓ ପୃଥିବୀର ଉର୍ବରତାରୁ ଉତ୍ପନ୍ନ (ଫଳ) ଓ ପ୍ରଚୁର ଶସ୍ୟ ଓ ଦ୍ରାକ୍ଷାରସ ତୁମ୍ଭକୁ ଦିଅନ୍ତୁ;
29 জাতিরা তোমার সেবা করুক এবং মানুষজন তোমার কাছে মাথা নত করুক। তোমার ভাইদের উপর তুমি প্রভুত্ব করো, আর তোমার মায়ের ছেলেরা তোমার কাছে মাথা নত করুক। যারা তোমাকে অভিশাপ দেয় তারা শাপগ্রস্ত হোক আর যারা তোমাকে আশীর্বাদ দেয় তারা আশীর্বাদধন্য হোক।”
ଲୋକସମୂହ ତୁମ୍ଭର ସେବା କରନ୍ତୁ ଓ ନାନା ବଂଶ ତୁମ୍ଭକୁ ପ୍ରଣାମ କରନ୍ତୁ; ତୁମ୍ଭେ ଆପଣା ଜ୍ଞାତିମାନଙ୍କର କର୍ତ୍ତା ହୁଅ, ପୁଣି, ତୁମ୍ଭର ମାତୃପୁତ୍ରମାନେ ତୁମ୍ଭକୁ ପ୍ରଣାମ କରନ୍ତୁ; ଯେ ତୁମ୍ଭକୁ ଅଭିଶାପ ଦିଏ, ସେ ଅଭିଶପ୍ତ ହେଉ, ପୁଣି, ଯେ ତୁମ୍ଭକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରେ, ସେ ଆଶୀର୍ବାଦ ପ୍ରାପ୍ତ ହେଉ।”
30 ইস্‌হাক যাকোবকে আশীর্বাদ করার পর, ও তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে প্রস্থান করতে না করতেই, তাঁর দাদা এষৌ শিকার করে ফিরে এলেন।
ଏହି ପ୍ରକାରେ ଇସ୍‌ହାକ ଯାକୁବଙ୍କୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କଲା ଉତ୍ତାରେ ଯାକୁବ ଆପଣା ପିତା ଇସ୍‌ହାକଙ୍କ ନିକଟରୁ ବାହାର ହେବା ମାତ୍ରେ ତାହାର ଭ୍ରାତା ଏଷୌ ଶିକାରରୁ ଆସିଲା।
31 তিনিও খানিকটা সুস্বাদু খাবার রান্না করে সেটি তাঁর বাবার কাছে আনলেন। পরে তিনি তাঁকে বললেন, “বাবা, দয়া করে উঠে বসুন ও আমার শিকার করা পশুর মাংসের তরকারি খানিকটা খেয়ে নিন, যেন আপনি আমাকে আপনার আশীর্বাদ দিতে পারেন।”
ପୁଣି, ସେ ମଧ୍ୟ ସୁସ୍ୱାଦୁ ଖାଦ୍ୟ ପ୍ରସ୍ତୁତ କରି ପିତା ନିକଟକୁ ଆଣି କହିଲା, “ପିତଃ, ଆପଣ ଉଠି ପୁତ୍ରର ଆନୀତ ମୃଗୟା ମାଂସ ଭୋଜନ କରନ୍ତୁ, ତହିଁ ଉତ୍ତାରେ ଆପଣ ମୋତେ ଆଶୀର୍ବାଦ କରନ୍ତୁ।”
32 তাঁর বাবা ইস্‌হাক তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কে?” “আমি তো আপনার ছেলে,” তিনি উত্তর দিলেন, “আপনার বড়ো ছেলে এষৌ।”
ତହିଁରେ ତାହାର ପିତା ଇସ୍‌ହାକ କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭେ କିଏ?” ସେ କହିଲା, “ମୁଁ ଆପଣଙ୍କ ପୁତ୍ର, ଆପଣଙ୍କ ପ୍ରଥମଜାତ ଏଷୌ।”
33 ইস্‌হাক প্রবলভাবে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, “তবে, সে কে ছিল, যে পশু শিকার করেছিল ও আমার কাছে তা নিয়ে এসেছিল? তুমি আসার খানিকক্ষণ আগেই আমি তা খেয়ে ফেলেছি ও তাকে আশীর্বাদ দিয়েছি—আর সে অবশ্যই আশীর্বাদধন্য হবে!”
ସେତେବେଳେ ଇସ୍‌ହାକ ଅତିଶୟ କମ୍ପିତ ହୋଇ କହିଲେ, “ତେବେ ଯେ ମୋʼ ନିକଟକୁ ମୃଗୟା ମାଂସ ଆଣିଥିଲା, ସେ କିଏ? ତୁମ୍ଭ ଆସିବା ପୂର୍ବେ ମୁଁ ତାହା ଭୋଜନ କରି ତାକୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କଲି, ଆହୁରି ସେ ଆଶୀର୍ବାଦ ପ୍ରାପ୍ତ ହେବ।”
34 তাঁর বাবার কথা শুনে এষৌ জোর গলায় চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলেন এবং তাঁর বাবাকে বললেন, “বাবা, আমাকে—আমাকেও আশীর্বাদ করুন!”
ଏଷୌ ପିତାଙ୍କର ଏହି କଥା ଶୁଣିବାମାତ୍ରେ ଅତ୍ୟନ୍ତ ବ୍ୟାକୁଳ ଚିତ୍ତରେ ମହାଚିତ୍କାର କଲା, ପୁଣି, ଆପଣା ପିତାଙ୍କୁ କହିଲା, “ପିତଃ, ମୋତେ, ମୋତେ ମଧ୍ୟ ଆଶୀର୍ବାଦ କରନ୍ତୁ।”
35 কিন্তু তিনি বললেন, “তোমার ভাই ছলনা করে এসেছিল ও তোমার আশীর্বাদ আত্মসাৎ করে নিয়ে গিয়েছে।”
ତହିଁରେ ଇସ୍‌ହାକ କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭର ଭ୍ରାତା ଆସି ପ୍ରବଞ୍ଚନା କରି ତୁମ୍ଭର (ପ୍ରାପ୍ତବ୍ୟ) ଆଶୀର୍ବାଦ ହରଣ କରିଅଛି।”
36 এষৌ বললেন, “তার নাম যাকোব রাখাই কি উচিত হয়নি? সে এই দ্বিতীয়বার আমার সাথে প্রতারণা করল: সে আমার জ্যেষ্ঠাধিকার আত্মসাৎ করেছিল আর এখন সে আমার আশীর্বাদও আত্মসাৎ করে নিল!” পরে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার জন্য আর কোনও আশীর্বাদ কি আপনি রাখেননি?”
ତହିଁରେ ଏଷୌ କହିଲା, “ତାହାର ଯଥାର୍ଥ ନାମ କି ଯାକୁବ ନୁହେଁ? ଯେହେତୁ ସେ ଦୁଇ ଥର ମୋତେ ପ୍ରବଞ୍ଚନା କରିଅଛି, ସେ ପୂର୍ବରେ ମୋର ଜ୍ୟେଷ୍ଠାଧିକାର ହରଣ କରିଥିଲା, ପୁଣି, ଦେଖ, ଏବେ ମୋର (ପ୍ରାପ୍ତବ୍ୟ) ଆଶୀର୍ବାଦ ମଧ୍ୟ ହରଣ କରିଅଛି।” ସେ ପୁନର୍ବାର କହିଲା, “ଆପଣ କି ମୋʼ ନିମନ୍ତେ ଗୋଟିଏ ଆଶୀର୍ବାଦ ରଖି ନାହାନ୍ତି?”
37 ইস্‌হাক এষৌকে উত্তর দিলেন, “তোমার উপর আমি তাকে প্রভু করে দিয়েছি ও তার সব আত্মীয়স্বজনকে আমি তার দাস করে দিয়েছি, এবং খাদ্যশস্য ও নতুন দ্রাক্ষারস দিয়ে আমি তাকে সবল করেছি। তাই, বাছা, তোমার জন্য এখন আমি আর কী করতে পারি?”
ତହୁଁ ଇସ୍‌ହାକ ଏଷୌକୁ କହିଲେ, “ଦେଖ, ମୁଁ ତାହାକୁ ତୁମ୍ଭର କର୍ତ୍ତା କଲି, ପୁଣି, ତାହାର ଜ୍ଞାତି ସମସ୍ତଙ୍କୁ ତାହାର ଅଧୀନ କଲି, ଆଉ ଶସ୍ୟ ଓ ଦ୍ରାକ୍ଷାରସ ଦ୍ୱାରା ତାହାକୁ ସବଳ କଲି; ଏହେତୁ ପୁତ୍ର, ଏବେ ତୁମ୍ଭ ନିମନ୍ତେ ଆଉ କଅଣ କରିପାରେ?”
38 এষৌ তাঁর বাবাকে বললেন, “বাবা, আপনার কাছে কি শুধু একটিই আশীর্বাদ আছে? বাবা, আমাকেও আশীর্বাদ করুন না!” পরে এষৌ জোর গলায় কেঁদে ফেলেছিলেন।
ତହିଁରେ ଏଷୌ ପୁନର୍ବାର ଆପଣା ପିତାଙ୍କୁ କହିଲା, “ପିତଃ, ଆପଣଙ୍କର କି କେବଳ ଗୋଟିଏ ଆଶୀର୍ବାଦ ଥିଲା? ହେ ପିତଃ, ମୋତେ, ମୋତେ ମଧ୍ୟ ଆଶୀର୍ବାଦ କରନ୍ତୁ।” ଏହା କହି ଏଷୌ ଉଚ୍ଚସ୍ୱରରେ କାନ୍ଦିବାକୁ ଲାଗିଲା।
39 তাঁর বাবা ইস্‌হাক তাঁকে উত্তর দিলেন, “তোমার বাসস্থান হবে ভূমির প্রাচুর্য থেকে দূরবর্তী, ঊর্ধ্বস্থ আকাশের শিশির থেকে দূরবর্তী।
ତହୁଁ ତାହାର ପିତା ଇସ୍‌ହାକ ଉତ୍ତର ଦେଇ କହିଲେ, “ଦେଖ, ତୁମ୍ଭର ବସତି ପୃଥିବୀର ଉର୍ବରତାବିହୀନ ଓ ଉପରିସ୍ଥ ଆକାଶର କାକର-ବିହୀନ ହେବ।
40 তরোয়ালের সাহায্যেই তুমি বেঁচে থাকবে আর তুমি তোমার ভাইয়ের সেবা করবে। কিন্তু তুমি যখন অস্থির হয়ে পড়বে, তখন তোমার কাঁধ থেকে তুমি তার জোয়াল ঝেড়ে ফেলবে।”
ତୁମ୍ଭେ ଖଡ୍ଗଜୀବୀ ଓ ଆପଣା ଭ୍ରାତାର ଦାସ ହେବ, ମାତ୍ର ଯେତେବେଳେ ତୁମ୍ଭେ ବନ୍ଧନ ଛିଣ୍ଡାଇବ, ସେତେବେଳେ ଆପଣା କାନ୍ଧରୁ ତାହାର ଯୁଆଳି ପକାଇ ଦେବ।”
41 যাকোবের বিরুদ্ধে এষৌ মনে আক্রোশ পুষে রাখলেন, কারণ তাঁর বাবা যাকোবকে আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। তিনি মনে মনে বললেন, “আমার বাবার জন্য শোকপ্রকাশের সময় আসন্ন; তারপরেই আমি আমার ভাই যাকোবকে হত্যা করব।”
ଏହି ପ୍ରକାରେ ଯାକୁବ ଆପଣା ପିତାଠାରୁ ଆଶୀର୍ବାଦ ପାଇବା ସକାଶୁ ଏଷୌ ତାହା ପ୍ରତି ଈର୍ଷାଭାବ ବହି ମନେ ମନେ ଭାଳିଲା, “ମୋହର ପିତାଙ୍କ ଶୋକକାଳ ପ୍ରାୟ ଉପସ୍ଥିତ, ତହିଁ ଉତ୍ତାରେ ମୁଁ ଆପଣା ଭ୍ରାତା ଯାକୁବକୁ ବଧ କରିବି।”
42 রিবিকার বড়ো ছেলে কী বলেছেন, তা যখন তাঁকে বলা হল, তখন রিবিকা লোক পাঠিয়ে তাঁর ছোটো ছেলে যাকোবকে ডেকে পাঠালেন ও তাঁকে বললেন, “তোমার দাদা এষৌ তোমাকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ମାତ୍ର, ଜ୍ୟେଷ୍ଠ ପୁତ୍ର ଏଷୌର ଏରୂପ କଥା ରିବିକାର କର୍ଣ୍ଣଗୋଚର ହେଲା; ତହୁଁ ସେ ଲୋକ ପଠାଇ କନିଷ୍ଠ ପୁତ୍ର ଯାକୁବଙ୍କୁ ଡକାଇ କହିଲା, “ଦେଖ, ତୁମ୍ଭର ଭ୍ରାତା ଏଷୌ ତୁମ୍ଭକୁ ବଧ କରିବା ମାନସରେ ଆପଣାକୁ ପ୍ରବୋଧିତ କରୁଅଛି।
43 এখন তবে, বাছা, আমি যা বলছি তুমি তাই করো: এখনই তুমি হারণে আমার দাদা লাবনের কাছে পালিয়ে যাও।
ଏଥିପାଇଁ, ପୁତ୍ର, ମୋହର କଥା ଶୁଣ; ତୁମ୍ଭେ ହାରଣ ନଗରକୁ ପଳାଇ ମୋହର ଭ୍ରାତା ଲାବନ ନିକଟକୁ ଯାଅ।
44 সেখানে অল্প কিছুদিন তাঁর কাছে গিয়ে থাকো, যতদিন না তোমার দাদার রাগ কমছে।
ପୁଣି, ଯେପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ତୁମ୍ଭ ଭ୍ରାତାର ପ୍ରଚଣ୍ଡ କ୍ରୋଧ ନିବୃତ୍ତ ନ ହୁଏ, ସେପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ କିଛି ଦିନ ସେଠାରେ ଥାଅ;
45 যখন তোমার উপর তোমার দাদার রাগ শান্ত হয়ে যাবে ও তুমি যা যা করেছ, সে যখন সেসব কথা ভুলে যাবে, তখন আমি সেখান থেকে ফিরে আসার জন্য তোমাকে খবর পাঠাব। একই দিনে কেন আমি তোমাদের দুজনকেই হারাব?”
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ତୁମ୍ଭ ପ୍ରତି ତୁମ୍ଭ ଭ୍ରାତାର କ୍ରୋଧ ନିବୃତ୍ତ ହେଲେ ଓ ତୁମ୍ଭେ ତାହା ପ୍ରତି ଯାହା କରିଅଛ, ତାହା ସେ ପାସୋରିଗଲେ, ମୁଁ ଲୋକ ପଠାଇ ସେଠାରୁ ତୁମ୍ଭକୁ ଅଣାଇବି; ଗୋଟିଏ ଦିନରେ ତୁମ୍ଭ ଦୁଇ ଜଣଙ୍କୁ କାହିଁକି ହରାଇବି?”
46 পরে রিবিকা ইস্‌হাককে বললেন, “এই হিত্তীয় মেয়েদের সাথে বসবাস করতে করতে আমি বিতৃষ্ণ হয়ে পড়েছি। এদের মতো যাকোবও যদি এই দেশের মেয়েদের মধ্যে থেকে, অর্থাৎ হিত্তীয় মেয়েদের মধ্যে থেকে কাউকে তার স্ত্রী করে আনে, তবে আমার বেঁচে থাকাই অর্থহীন হয়ে যাবে।”
ଏଥିଉତ୍ତାରେ ରିବିକା ଇସ୍‌ହାକଙ୍କୁ କହିଲା, “ଏହି ହିତ୍ତୀୟ କନ୍ୟାମାନଙ୍କ ସକାଶୁ ମୁଁ ଆପଣା ପ୍ରାଣରେ ବିରକ୍ତ ହେଉଅଛି; ଯଦି ଯାକୁବ ଏମାନଙ୍କ ତୁଲ୍ୟ କୌଣସି ହିତ୍ତୀୟ କନ୍ୟାକୁ, ଅର୍ଥାତ୍‍, ଏହି ଦେଶର କନ୍ୟାମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରୁ କୌଣସି କନ୍ୟାକୁ ବିବାହ କରେ, ତେବେ ମୋହର ପ୍ରାଣଧାରଣରେ କି ସୁଖ?”

< আদিপুস্তক 27 >